নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেনী থেকে বলছি.............

[email protected]

আবদুল্লাহ আল-মামুন

আমি একজন সাধারণ ব্যক্তি।

আবদুল্লাহ আল-মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনাগাজীতে যুবদল-ছাত্রদলের সভায় পুলিশ-আ’লীগের হামলায় আহত অর্ধশত, প্রতিবাদে রোববার হরতাল

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

আবদুল্লাহ আল-মামুন, ফেনী

ফেনীর সোনাগাজীতে শনিবার বিকেলে যুবদল-ছাত্রদল আয়োজিত গণজমায়েতে হামলা ও সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এ হামলার জন্য পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে দায়ি করেছেন। এর প্রতিবাদে রোববার সোনাগাজী উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যায় হরতাল ডেকেছে উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদল।



পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, সোনাগাজী ছাবের মোহাম্মদ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার বিকালে উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদল গণজমায়েতের আয়োজন করে। ফেনী-৩ (দাগনভূঞা- সোনাগাজী) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। দুপুরের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সভাস্থলে খন্ড খন্ড মিছিল আসতে থাকে। বিকেল পৌনে চারটার দিকে একটি মিছিল পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট পার হবার সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হলে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে যুবদল-ছাত্রদল কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে পৌর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুভাষ চন্দ্র পাল, ওসি তদন্ত অর্জুন, এসআই আবু আল মামুন, শ্রীবাস দাস ও মো. উল্লাহ, কনস্টেবল শামছুল, রফিক, মফিজ, হারুন ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, পৌর যুবদলের সভাপতি সিরাজুল হক, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক নাসিরুদ্দিন শিপন, জসিম, কামাল, জামশেদ, রাসেল, সুমন, মামুন, কাশেম, নজরুল, ইসমাইল, মিষ্টার, বেলাল, মোশাররফ, দুলাল, আনোয়ার, রিপন ও বাদল মেম্বারসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়।



এদিকে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নিলে নেতৃবৃন্দ সভা সংক্ষেপ করেন। এ সময় সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে। মুহূর্তেই পৌর শহরের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাইনুদ্দিন, নিজামুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মতিন, শাকিল ও মাইনুদ্দিন নামে যুবদল ছাত্রদলের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে।



স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এ হামলার জন্য পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে দায়ি করে বলেন, যুবদল-ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পণ্ড করতে পূর্ব পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়। তাদের বোমা, গুলি ও লাঠিসোটার আঘাতে যুবদল-ছাত্রদলের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার সোনাগাজী উপজেলায় যুবদল ও ছাত্রদল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে বলে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আলম ভূঞা জানান।



উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুল কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির অন্তঃকোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষ গ্র“প গতকালের কর্মসূচিতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালালে দলীয় নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানায়।



রাত আটটায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বোমার শব্দ শোনা যাচ্ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় পুরো উপজেলায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।



সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) শামছুল আলম সরকার জানান, ফেনী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রায় দুইশ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বছরে দুইবার নরকের দীর্ঘশ্বাস আসে
আর ক্ষমতার নোংরা দাপট থাকে বাংলায় বারমাসে ।।
আর কত রক্তের হোলি খেলা ছিঃ চ্ছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.