![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশু যৌন নির্যাতন শুনে অধিকাংশ বাংলাদেশী অবাক হয়ে যায়!!
সিরিয়াল কিলার পেডোফাইল -
গ্রামান্চলের ঘটনা। একটি বিশেষ গ্রাম ও তার আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে এক অদ্ভুত নৃশংস ঘটনা ঘটছে। ঘুমন্ত শিশুদের রাতের আঁধারে ঘর থেকে কেউ কিডন্যাপ করছে, কোন কোন ক্ষেত্রে মা বাবা দুজনের মাঝে ঘুমিয়ে থাকা শিশুকে ভোরে আর খুঁজে পাওয়া যায়না, অনেক খোঁজাখুঁজির কিছুদিন পর নির্যাতিত, নিপীড়িত শিশুর রক্তাক্ত মৃত দেহ মিলছে গ্রামের কোন ঝোপ ঝাড় বা ডোবা নালায়।
নিয়মিত ভাবে এমন নৃশংস ঘটনা একের পর এক ঘটছে, হত্যাকারী ধর্ষক কে কেউ জানছে না!
প্রায় ২-৩ ডজন এধরনের বিকৃত যৌননির্যাতন ও হত্যার পর অনেকে লক্ষ্য করে সকল ঘটনার কমন ফ্যাক্টর একজন অতি জনপ্রিয় অমায়িক মিশুক যুবক। অধিকাংশ হত্যাকান্ডের দুতিন দিন আগে সে ভিকটিমের বাসায় গিয়েছে, তাদের বাবা মায়েদের সাথে বসে সুখ দুঃখের গল্প করেছে এমনকি শিশু নিখোঁজ হবার পর খুঁজতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে সে। শুধু তাই নয়, প্রায় সব গুলো মৃত দেহ সেই (?)খুঁজে বের করেছে!!
বিকৃত মানসিকতার অধিকারি সেই নরপশু ৩-৪ মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৪/৫ বছরের শিশুদের যৌন নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেহটি ডোবা নালা ঝোপঝাড়ে ফেলে আসতো। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার ছিলো হত্যাকারী বন্ধু ও সহানুভূতিশীল সেজে ভিকটিমের মা বাবার সাথে শিশুকে খোঁজার নাম করে একসময় তাদের যথাস্থান পৌঁছে দিতো।
ঘটনা পড়ে অনেকের হয়তো বিশ্বাস হবেনা, এটা আমাদের দেশেরই ঘটনা। এই ব্লগে জেনেছিলাম ৬/৭ বছর আগে, দেশের দক্ষিন পূর্বান্চল... খুলনা যশোর এলাকায় এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে অথচ তেমন আলোড়ন সৃষ্টি হয়নি।
অধিকাংশ নিহত শিশু ছিলো হত দরিদ্র ঘরের সন্তান, অনেকের তেমন সুরক্ষিত বাড়ি দূরের কথা থাকার ঘর ছিলোনা, অন্য কারো বাড়ির দাওয়া বা উঠোনে মা বাবার সাথে ঘুমাতো। সেকারনে তার অপরাধ যেমন সহজ হয়ে যেতো তেমনই অপরাধের পর শাস্তি এড়িয়ে যাওয়া। সবচেয়ে দুঃখজনক ও আশংকার বিষয়, এই বিকৃত মানসিকতার নরপশু এলাকার ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার ভাতিজা, পরবর্তীতে তাই হয়তো এই মামলার কোন আপডেট জানা সম্ভব হয়নি।
শিশু যৌন নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত চিত্র -
দুঃখজনক ভাবে আমাদের দেশের গণমাধ্যমে শিশু নির্যাতনের সংবাদ সহজে পৌঁছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় নির্যাতিত শিশু বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে জীবনের কোন একসময় হয়তো তা প্রকাশ করছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে করছেনা।
আমাদের সমাজ আর আইন প্রয়োগের ব্যর্থতা এই হতাশাজনক অবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী। আর সেই সাথে আমাদের সমাজের "পাছে লোকে কিছু বলে"র ভয়ে পরিবার পরিজন ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে অপরাধীকে আরো বেশি বেপরোয়া হতে সাহায্য করে।
অনেক বাবা মা সন্তানের চেয়ে নির্যাতকের প্রতি অধিক আস্থা দেখিয়ে থাকে, ফলে নির্যাতিত শিশু কখনও সাহস করে বাবা মা কে জানালেও তা নিতান্তই শিশুমনের কল্পণা বা মিথ্যা হিসেবে অভিহিত হয়। সেক্ষেত্রে নির্যাতকের হিংস্রতা আর নির্যাতনের মাত্রা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
আবার অনেক সময় শিশু ভয়ে মা বাবাকে ঘটনাটি কখনও জানায়না। আর যদি বাবা মা জানতে পারেন, প্রায় সকল ক্ষেত্রে সামাজিক মর্যাদাহানীর ভয়ে তাঁরা ঘটনা গোপন করে যান ফলে অপরাধী আইনের দন্ডের ধরছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
শিশু নির্যাতনের ঘটনা শুধু আলোচনা নয়, বরং তা কিভাবে প্রতিহত করা যায় তা নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরী।
মনে রাখতে হবে শিশুদের সারল্য আর মা বাবার ঔদাসীন্য এসকল নরপশু পেডোফাইলদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
শিশু যৌন নির্যাতক বা পেডোফাইল কে?-
যৌন নির্যাতক যে কেউ হতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য সম্পূর্ণ অপরিচত ব্যক্তি থেকে পরম প্রিয় জন্মদাতা পিতা হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে বিকৃত মনা নারীরা এধরনের নির্যাতনের সহায়ক হয়।- যদিও পিতা এবং নারীর দ্বারা শিশু যৌননির্যাতনের ঘটনা আমাদের দেশে তুলনামূলক ভাবে কম।
অত্যন্ত অপ্রিয় সত্য যে যেকোন বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষ যারা শিশুদের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে সময় কাটানোর সুযোগ পায় তারা নির্যাতক হয়ে উঠতে পারে। আবার তেমন ভাবে এক স্থানে থাকছেনা অথচ কিছু সময়ের জন্য একান্ত ভাবে শিশুর সঙ্গ পাচ্ছে এমন অনেকে নরপশু হিসেবে আবির্ভূত হয়। যেমন, এক মা প্রতিদিনের দুপুরের ঘুম আর একটু বিশ্রাম নিতে সন্তানকে নীচের কম্পিউটার ট্রেনিং অফিসে ট্রেনিং নিতে পাঠাতো, সেই নরপশু নিয়মিত ভাবে শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করে যেতো আমাদের বাংলাদেশেই। গ্রামের এক পশুসম লজিং মাস্টার গৃহকর্তার আস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের ৮/৯ বছরের পুত্রকে নিয়মিত ভাবে ধর্ষন করতো... উভয়ক্ষেত্রে তারা ভিকটিমদের বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছিলো যে তাদের মা বাবা পুত্রের চেয়ে ধর্ষককে বেশী বিশ্বাস করবে।
শুধু মাস্টার বা ট্রেইনার নয়, ড্রাইভার বা গৃহ ভৃত্যের দ্বারা নির্যাতিত হবার ঘটনা খুব আন কমন নয়। এক ভারতীয় যুবকের জবানবন্দী শুনেছিলাম, অত্যন্ত ধনাঢ্য আধুনিক পরিবারের বিলাসবহুল জীবন তাদের। ছেলেটি দেশের অত্যন্ত সন্মানিত ও কাঙ্খিত বোর্ডিং স্কুলে পড়ার সময় ছুটিতে বাসায় এলে ব্যস্ত মা বাবা অধিকাংশ সময় তাকে গৃহভৃত্যের কাছে রেখে বাইরে যেতো। নরপশু গৃহভৃত্য সেই সুযোগে নিয়মিত ভাবে এই অবোধ কিশোরকে ধর্ষন করেছে। বোর্ডিং স্কুল ছুটির সময় আর সব ছেলেরা যখন আনন্দে মেতে উঠতো, কিশোরটি মনে প্রাণে চাইতো ছুটি যেনো না হয়, তাকে যেনো বাড়িতে যেতে না হয়।
বাংলাদেশের এক কিশোরকে গ্রামের মা বাবা উচ্চ শিক্ষার জন্য শহরে ভাইয়ের কাছে পাঠিয়েছে। বেঁচে থাকার সংগ্রামে ব্যস্ত ভাই মেসে থাকে, সেখানে এক বিনয়ী রুমমেট কিশোরটিকে আপন করে নেয়, এমনকি রাতে নিজের বিছানায় নিজের পাশে ঘুমাতে দেয়। তারপরের ঘটনা সহজে অণুমেয়। বড়ভাই কৃতজ্ঞ হয় রুমমেটের সহযোগিতায় অথচ জানতে পারেনা তার পশুত্ব।
এরা শিয়ালের চেয়েও বেশি ধূর্ত হয়ে থাকে। মনে রাখা জরুরী অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুকাম বিকারগ্রস্থরা বাহ্যিক ভাবে অত্যন্ত অমায়িক, মিশুক ও বন্ধুত্বসুলভ হয়ে থাকে। তাদের চার্মিং পারসোনালিটি সহজেই শুধু শিশুকে নয় বরং মা বাবাকেও তাদের প্রতি আস্থা রাখতে সাহায্য করে। তবে চার্মিং পারসোনালিটির সকল পুরুষ পেডোফাইল বা শিশু ধর্ষক এমন মনে করার লারন নেই।
প্রতিহত করা যায় যেভাবে----
১. প্রতিটি মা বাবার উচিত নিয়মিত ভাবে সন্তানের কাছে তাদের প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
২. শিশুদের কখনও কোন আত্মীয় বা অনাত্মীয় পুরুষের কাছে একা রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যাওয়া অনুচিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন বাবা মায়ের পক্ষে বিশ্বাস করা সম্ভব নয় যে তার নিজের ভাই, বাবা বা চাচা মামা এমন কাজ করতে পারে; অথচ নির্মম সত্য হলো শিশু নির্যাতনের বড় একটি অংশ ঘটে শিশুর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজনের লালসায়।
৩. শিশুদের মাঝে এই আস্থা গড়ে উঠা জরুরী যে তারা তাদের সকল কথা মা বাবা, বিশেষ করে মা বা নানি, খালা ফুপুর সাথে শেয়ার করতে পারবে। একজন আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশু নির্যাতন রুখে দিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
৪. মনে রাখা জরুরী, শিশুদের মনে হাজার কল্পণা খেলা করলেও যৌন বিকৃতি শিশুতোষ কল্পণা নয়, তাই কখনও এধরনের কোন ঘটনা এমনকি ইংগিত দিয়ে সন্তান কিছু জানালে তা সিরিয়াসলি নিয়ে প্রতিকার করা উচিৎ!
৫. দেশ জাতি নির্বিশেষে শুধু পেডোফাইল বা শিশু যৌন নির্যাতক নয়, যেকোন যৌন বিকারগ্রস্থ অপরাধীর বসচেয়ে বড় ক্ষমতা থাকে তারা ভিকটিম দের বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়, নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে কেউ বিশ্বাস করবেনা অথবা ভিকটিমের মা বাবা পরিবারকে সে হত্যা করবে। আর তাই মা বাবা, বিশেষ করে মায়ের উচিৎ সন্তানকে জানানো পৃথিবীর সকল কিছুর চেয়ে সে মায়ের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেকেই আছে। এটা জানলে, শিশুরা মা বাবাকে খোলাখুলি অনেক কিছু নির্দ্বিধায় জানাতে পারে।
৬. গোপনীয়তা রক্ষা অত্যন্ত জরুরী। কখনও কোন শিশু বিশ্বাস করে কোন ঘটনা, তা শুধু যৌন নির্যাতন নয় এমনকি মজার কোন ঘটনা জানালে তা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা বা হাস্যরস করলে অনেক ক্ষেত্রে তা শিশুদের আস্থা নষ্ট করে। কোন মজার ঘটনা শেয়ার করতে চাইলে তা অনুমতি নিয়ে অথবা শিশুর আড়ালে আলোচনা করা যায়।
৭. প্রতিটি মায়ের উচিৎ সন্তান বয়ঃপ্রাপ্ত হবার আগে পর্যন্ত মাঝে মাঝে তার পোশাক পড়িয়ে দেয়া বা গোসল করানো, এতে সন্তানদের শরীরে কোন অস্বাভাবিক ক্ষত চিহ্ন বা ব্যথার স্থান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
৮. বয়ঃপ্রাপ্ত বা পিউবারিটি মানেই সন্তান পেডোফাইল শকুনের থেকে নিরাপদ এমন নয়, আর তাই তাদের সাথে নিয়মিত ভাবে আলোচনা, প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা আন্তরিক ভাবে আলোচনা জরুরী। এধরনের আলোচনা শুধু শিশু যৌন নির্যাতন নয়, মাদকাসক্তি, অসৎ সঙ্গ আর বখে যাওয়া থেকেও সন্তানদের রক্ষা করতে পারে।
৯. শিশু নির্যাতন রুখে দিতে শিশুদের প্রস্তুত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ৪/৫ বছর বয়স থেকে কিছু বিশেষ ব্যাপারে অবগত ও সতর্ক করা জরুরী---
ক) আগন্তুকদের সাথে কথা না বলা বা তাদের সাথে কোথাও না যাওয়া। যেনো সর্বক্ষণ ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে না থাকে সেকারনে কোমলমতি শিশুদের জানানো জরুরী পৃথিবী অত্যন্ত সুন্দর স্থান, এখানে অধিকাংশ মানুষ ভালো। তবে এসব ভালো মানুষদের মাঝে গুটিকয়েক দুষ্ট লোক মিশে আছে বিধায় সাবধান হওয়া জরুরী।
খ) শিশুদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থান সম্পর্কে তাদের অবগত করা উচিৎ। শরীরের প্রাইভেট পার্ট বা স্পর্শকাতর স্থান( বুক, গোপনাঙ্গ, উরু, নিতম্ব) কেউ ছোঁয়ার অধিকার রাখেনা। কেউ কখনও এসব স্থানে তাদের স্পর্শ করলে তা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং তা সাথে সাথে মাকে জানানো জরুরী।
গ) কোন ব্যক্তি তাদের জোড় করে কোলে নিলে বা প্রাইভেট পার্টে স্পর্শ করলে সাথে সাথে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে হবে। জোড় করে কোলে নিতে চাইলে চিৎকার করার সাথে সাথে খামচি, কামড় দিয়ে হাত পা ছুঁড়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ঘ) শিশুদের নিজের স্পর্শকাতর স্থানের সাথে সাথে নির্যাতকের স্পর্শকাতর স্থানটি সম্পর্কেও অবগত করা জরুরী। এমন অগুনিত উদাহরন আছে যেখানে পেডোফাইল শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করা বা জোড় করে তুলে নিতে চাইলে, শিশু তার সর্ব শক্তিদিয়ে পেডোফাইলের গোপনাঙ্গে সজোড়ে আঘাত করে আত্মরক্ষা করেছে।
ঙ) প্রতিটি শিশুকে জানিয়ে দেয়া জরুরী তাদের যেকোন সমস্যার কথা তারা তাদের বাবা মা, বিশেষ করে মাকে নির্দ্বিধায় জানাতে পারে এবং তাদের কথা তাঁরা বিশ্বাস করে।
১০. একজন যৌন নির্যাতকের আদর্শ ভিকটিম সেই শিশু যাদের মা বাবা সন্তানের ব্যাপারে উদাসীন। শিশু যৌন নির্যাতক সাধারনত সময় নিয়ে ভিকটিম নির্ধারন করে, সেসব ক্ষেত্রে তারা দেখে যেসব বাবা মায়েরা সন্তানদের তেমন সময় দেয়না, বাইরে বের হলে সন্তানের দিকে তেমন লক্ষ্য রাখেনা বা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো সন্তানকে যার তার কাছে রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যায়, অথবা ঘরে থেকেও নিজেকে নিয়ে বা টিভি, আড্ডা নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের সন্তানরা আদর্শ ভিকটিম। তাই সন্তানদের সময় দেয়া জরুরী, সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের মনোযোগ ভীষণ ভীযণ গুরুত্বপূর্ণ।
জীবন যুদ্ধের সংগ্রামে সন্তানের কাছ থেকে দূরে এমনকি প্রবাসে অবস্থান করেও সন্তানের সাথে নিয়মিত আন্তরিক আলাপের মাধ্যমে তাদের আস্থাভাজন হয়ে উঠা যায়।
শিশুরা অবোধ, তাই তারা প্রতিবাদ করতে জানেনা। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল মিটিং করে টকশোতে আলোচনার ঝড় তুলতে অক্ষম তাই তাদের অব্যক্ত কষ্টরা চার দেয়ালের মাঝে গুমড়ে কাঁদে। একজন শিশু যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠে তার জীবনে তখন হাজারও নতুন সমস্যা ভীড় করে, সেই ভীড়ের মাঝে শৈশবের অপমান আর নির্যাতন অসহায় ভাবে মুখ লুকিয়ে আড়াল হয়ে যায়, তাই আমরা নারী নির্যাতন, ইভ টিজিং নিয়ে হাজারও আন্দোলন দেখলেও শিশু নির্যাতনের বিরুরদ্ধে যেনো পিন পতন নিস্তব্ধতা!
শিশু যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে প্রতিটি মানুষের সচেতন হওয়া জরুরী। শুধু নিজের সন্তান নয়, আশেপাশে পরিচিত অপরিচিত যেকোন শিশুকে যৌন হয়রানির শিকার হতে দেখলে বা আশংকা করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করুন। শিশু যৌন নির্যাতন সম্পর্কে যতো আলোচনা ও প্রচার ঘটবে নির্যাতক নপুংসকের পাল ততোটাই পিছু হটবে।
কখনও কারো মনে শিশুদের প্রতি কামবাসনা জাতীয় আকর্ষন সৃষ্টি হয়েছে জানলে তাকে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়া ও তার ঘনিষ্ঠজনদের সচেতন করা জরুরী।
আমাদের দেশের গণ মাধ্যমগুলো এই বিষয়ে নিরব মানে এই নয় যে আমাদের দেশে এই নির্যাতন অস্তিত্বহীন। বিশ্বের আর সকল দেশের মতো আমাদের দেশেও মনোবিকৃতির এই নির্মম অন্ধকার রূপের ঘৃন্য চর্চা বিরাজমান।
আমাদের সকলের একটু সচেতনতা আর প্রচেষ্টা রুখে দিতে পারে এধরনের বিকৃত লালসার অধিকারী হায়নাদের।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
মানবী বলেছেন: এই কথাগুলিই প্রতিটা বাবা মাকে সব সময় মনে রাখতে হবে ।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো শায়মা।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
আহা রুবন বলেছেন: খুব দরকারি কথা বলেছেন। আমরা শুধু সন্তানকে ভালবেসেই দায়ীত্ব শেষ করতে চাই্। ওদের কথা জানার জন্য কৌশলী হতে হবে। শিশুদের সচেতন করে তুলতে হবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০
মানবী বলেছেন: সন্তানের প্রতি ভালোবাসার সাথে সাথে তাদের সাথে একান্ত সময় কাটানো প্রতিটি মা বাবার জন্য জরুরী।
সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের নির্লিপ্ততা এধরনের পেডোফাইলদের সুবিধা করে দেয়।
ধন্যবাদ আহা রুবন, ভালো থাকুন।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক প্রতিটি ঘটনা । একটা শিশুর প্রতি কিভাবে কামনা আসে ! এরা কী মানুষ নাকী অন্য কোন প্রজাতি ?
গুটিকয়েক হায়েনাদের কারণে তো দেখছি অতি কাছের অনেককেই দূরে ঠেলে রাখতে হবে । তাহলে আর বিশ্বাস কাকে করা যাবে !!
আপনার সচেতনতামূলক পোস্টে সবাই সচেতন হোক ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১১
মানবী বলেছেন: সাধারণ মানুষের সুস্থ মস্তিষ্কে শিশুদের যৌন নির্যাতনের মতো বিকৃত ভাবনা আসেনা আর তা মনোবিকার গ্রস্থদের জন্য অভয়ারণ্য হতে সহায়তা করে।
দুঃখজনক যে উপরে বর্ণিত ভারতের ঘটনা ছাড়া আর সবগুলো আমাদের বাংলাদেশের, এই ব্লগেই বিভিন্ন সময় এসেছে এসব খবর। তারপরও আপনজনদের অবিশ্বাস বা দূরে ঠেলে দেবার প্রয়োজন নেই, সন্তানদের সচেতন করে গড়ে তোলা আর নিজেদের সতর্ক থাকাটা জরুরী।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু। অনেক শুভকামনা রইলো।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
আমাদের সকলের একটু সচেতনতা আর প্রচেষ্টা রুখে দিতে পারে এধরনের বিকৃত লালসার অধিকারী হায়নাদের।
+।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২১
মানবী বলেছেন: শিশু যৌন নির্যাতন রুখে দিতে শুধু অভিভাবক নয়, শিক্ষক শিক্ষিকা সহ আমরা সকলের সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন সম্ভব।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা সুমন কর।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছোট কিন্তু জরুরী একটা ঘটনা শেয়ার করি।
একদিন রাতে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ নিউজফিডে একটা ভিডিও আসলো। আমার ছেলে বলল সেও দেখবে। সম্ভবত ইন্ডিয়ায় নির্মিত এই ভিডিওটা চাইল্ড এবিউজ নিয়ে। আমিও ভাবছিলাম ছেলেকে এই বিষয়টা নিয়ে সতর্ক করবো যদিও তাকে এটা নিয়ে নকিং এর উপর রাখি মাঝে মাঝে। ভিডিওতে দেখায় এনিমেটেড ভিক্টিম মেয়েটি ওর সাথে যা ঘটেছে সেটা ওর বাবা-মা'কে বলে দেয়। আমি যখন আমার ছেলেকে বললাম এরকম কিছু হলে আমাকে বল্বা এমনকি তোমার কোনো ক্লাসমেট এমন করলেও বলবা। এই কথা শুনে আমার ছেলে সাথে সাথে আমার কাছ থেকে সরে গিয়ে কাঁথায় মুখ লুকিয়ে ফেললো। ওর রিয়েকশন দেখে আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যাই। তারপর সে ইজি হবার পর কাঁদতে কাঁদতে বলল তার এক ক্লাসমেট তার মেইন পয়েন্টে হাত দিয়েছিল কিছুদিন আগে। এরকম চার পাঁচ বার হয়েছে। তাকে প্রশ্ন করে করে জানতে হয়েছে খেলতে খেলতে হাত লেগে গেছে কিনা নাকি ইচ্ছাকৃত, সেটা জামা কাপড়ের উপরে দিয়েছে নাকি ওপেন করে।
ছেলে যা বলল ওর কিছু কিছু ক্লাসমেট ওকে ক্ষেপায় ও আন্ডারওয়্যার পরে বলে। ও তখন সিক্সে পড়তো, এটা গত বছরের ঘটনা। আর আমার ছেলেটা খুব চাপা স্বভাবের, টিফিন টাইমেও ক্লাসে বসে থাকে তার মত স্বভাবের আরো দুই তিনজনের সাথে। সেদিন ওর ফ্রেন্ডরা ছিল না। সেই ছেলে দুষ্টুমি করে করেই ওর ব্যাক থাপ্পড় মেরেছে তারপর মেইন পয়েন্টে হাত দিয়েছে।
ও লজ্জায় কাউকে বলতে পারে নাই ইভেন আমাকেও না। তারপর আমার ছেলেকে বললাম তুমি এটা মিসকে ক্লাসের সবার সামনে বলবা, মিস কি করে আমাকে জানাবে। আর আমি তোমার স্কুলে গিয়ে মিসের সাথে কথা বলবো। আমি খেয়াল করেছি আমার ছেলে স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিল। যেতেই চাইতো না। এই ঘটনা ছাড়াও স্যারেরা তুই তুই করে কথা বলে ইত্যাদি রিজনও ছিল। আমি ছেলেকে স্কুল চেঞ্জ করে দিলেই সমস্যার সমাধান হতো না। মিস সেই স্টুডেন্টকে পানিশ্ম্যান্ট দিয়েছিল অন্য ক্লাসে নিয়ে, আমি মিসের সাথে দেখা করে কথা বলেছি। সেই ছেলের বাবা-মা'কে ডাকিয়েছিলাম তারা আসেনি। এরপর এরকম আর হয়নি আমার ছেলের সাথে। কিন্তু ভয় তো রয়েই যায় শিশুদের প্রতি এমন এবিউজ নারী, পুরুষ, সহপাঠীদের কাছ থেকে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩১
মানবী বলেছেন: মন্তব্য পড়ে হিম শীতল অনুভূতি হলো, আমাদের অজান্তে নিজেদের ঘরের মাঝেই ছোট্ট শিশু কিশোর কিশোরী গোপন কষ্ট অপমান আর নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছে। আপনি সময় মতো সন্তানের সথে আলোচনা করায় ভয়াবহ মানসিক বিষাদ থেকে আপনা পুত্রকে রক্ষা সম্ভব হয়েছে।
নিজেদের প্রাইভেট পার্ট সম্পর্কে সচেতন করার সাথে সাথে তাদের শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন অপরের প্রাইভেট পার্টে স্পর্শ করার অধিকার তাদেরও নেই। শৈশব থেকে শিশূদের মাঝে নিজের ও অ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলা জরুরী।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ অপর্ণা মন্ময়।
আপনার সন্তান নিয়ে অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: মেয়েরা যেদিন পুরুষদের তুলেনিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে সেদিন পুরুষদের এই কুরুচি কাজ কমবে । মিঠে কথায় এটা উঠবেনা
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৩
মানবী বলেছেন: শিশু যৌনকামের ভিক্টিম নারী পুরুষ ভেদাভেদ নেই। ছোট ছেলে মেয়ে উভয়ই পেডোফাইলের ভিক্টিম হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কানাডার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক ড. জেমস ক্যান্টরের দীর্ঘদিনের গবেষণায় বেশ কিছু তথ্য সামনে হাজির হয়েছে। মাস কয়েক আগে পড়ছিলুম আর ভাবছিলুম, ব্যাপারটা নিয়ে। যা হোক, একদম ঠিক কথা বলেছেন, বিশ্বের আর সকল দেশের মতো আমাদের দেশেও মনোবিকৃতির এই নির্মম অন্ধকার রূপের ঘৃণ্য চর্চা বিরাজমান। ভারতের অবস্থা ভয়াবহরকম।
আমি যৌন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব রাখতে চাইছি। এবং পারিবারিক ও সামাজিক জনসচেতনতার কোনও বিকল্প নাই। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরো বেশি সক্রিয় ও মজবুত করার দাবীও জানাচ্ছি।
আমরা অভিভাবকদের দায় বা দায়িত্ব যেহেতু সবার আগে, আশাকরি আপনার এই সুলিখিত ও সচেষ্ট পোস্টখানা অনেকের উপকারে আসবে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।
(ভাল ছিলেন তো ? বেশ কদিন বাদে দেখলুম আপনাকে)
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
মানবী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ আ'লা কুল্লি হা'ল। আন্তরিক ধন্যবাদ স্মরণ করার জন্য।
প্রায় ৬/৭ বছর আগে ভেবেছি এই বিষয়ে লেখার, না লেখার অক্ষমতাটা প্রায় অপরাধবোধে পরিনত হয়েছিলো। ২০১৬ র শুরুতে অন্তঃত দীর্ঘদিন পরিক্লপনা করা কোন কিছুর বাস্তবায়ন হলো :-)
আসলে শুধু ব্লগ লেখা যথেষ্ট নয়। এই বিষয়ে প্রয়োজন ব্যপক প্রচার। সামাজিক আড্ডা সহ সকল ক্ষেত্রে এ্ বিষয়ে পরিচিত জনদের সচেতন করে তোলা যায়।
ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ভারতের ভয়াবহ যৌনসন্ত্রাসের অন্যতম প্রধান কারন ব্যাপক ও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এ্যালকোহল/মদ ক্রয় বিক্রয় ও নেশা। ভারতের সকল যৌন সন্ত্রাসের(শিশুকাম অথবা ধর্ষন) প্রায় ৯৫% সময় অপরাধী মাতাল অবস্থায় ছিলো এমন দেখা যায়। গত বছর এক বাবা মাতাল অবস্থাণ তার ৩ বছরের কন্যাকে ধর্ষন করে, শিশুর মায়ের টিভি ইন্টারভিউয়ের সময় পিছনে শিশুর গগন বিদারী আর্ত চিৎকার যেকারো ভাবনার জগৎ এলোমেলো করে দেবার মতো ভয়ংকর ও হৃদয় বিদারক ছিলো।
আমার সাধারন লেখা পোস্টটির এমন মূল্যায়নের জন্য কৃতজ্ঞতা।
সব সময় ভালো থাকুন অন্ধ বিন্দু।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
নতুন বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূন` বিষয়... এটা নিয়ে সবারই সচেতন হওয়া দরকার।
আমার মতে শিশুদের কখনোই অন্যদের কাছে ছেড়ে যাওয়া ঠিক না। যদিও সেটা প্রায় অসম্ভব কিন্তু যারা শিশুদের নিযাতন করে তার সবাই আমাদের পরিবারের মাঝেই থাকে তাই তাদের খুজে বের করা কস্ট।
আমার মেয়ের বয়স ৮ মাস হলো... তাকে যেন একটা সুন্দর পরিবেশে ভাল মনের মানুষ হিবেসে গড়ে তুলতে পারি সেটাই আমার সামনের চ্যালেন্জ ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
মানবী বলেছেন: আমাদের সামাজিক অবকাঠামো বিবেচনা করে মনে হয় নানী, দাদী, এমনকি মামি চাচিদের তত্ত্বাবধানে শিশুদের কিছু সময়ের জন্য রাখা যায়। আবার সন্তানকে কোন খেলাধুলা, নাচ, গান শেখার স্কুলে ভর্তি করলে সেখানে প্রতিদিন নাহলেও ঘনঘন বাবা বা মায়েদের উপস্থিতি জরুরী, তাতে সকলে জানতে পারে শিশু কিশোরের অভিভাবক শুধু বুয়া বা ড্রাইভারের উপর দায়িত্য় দিয়ে উদাসীন হয়ে নেই।
আপনার মেয়ের সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য অনেক প্রার্থনা রইলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ নতুন। ভালো থাকুন সব সময়।
৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ৬ নাম্বার কমেন্ট পড়ে অবাক হলাম। পোস্টের বিষয় কি আর উনি কি লিখলেন!!!
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
মানবী বলেছেন: পুরো পোস্ট পড়েননি হয়তো তিনি :-)
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিঃসন্দেহে।
আমাদের দেশে যৌন শিক্ষাকে আজো স্বাভাবিক চোখে দেখা হয় না। সন্তান ও বাবা মায়ের মধ্যেও থেকে যায় দুরত্ব। মানুষ লুকিয়েচুরিয়ে আলোচনা করে। পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত নেই বিষয়টি। যার ফলে ছেলেমেয়েরা ছোটখাটো অনেক হ্যারাস্মেন্ট অব্যক্ত রাখে। যা প্রশ্রয় দেয় বড় ক্রাইমকে। বাবা মা ও মানসম্মানের অজুহাতে অনেক ঘটনা এড়িয়ে যায়। কিন্তু এই এড়িয়ে যাওয়া মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয় শিশুদে।
মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের মধ্যে পশুত্বভাব বেশি। এরা দারিদ্র অশিক্ষা আর অসচেতনতার সুযোগ নেয়। আর দেশের আইন তো মানুষের উপকারের জন্য। নেতারা দেশের মানুষ। তাই তাদের উপকার করে। আইন আছে। তবে তীব্রতা কম। যা সমস্যা সমাধানের থেকে উস্কে দেয় বেশি।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তো শ্রদ্ধেয় পিতাই কষ্ট করে অত্যাচারের ভার নেয়। এখন ভারতে থাকার সবাদে এই খবর ডালভাত হয়ে যাচ্ছে। বাসে ট্রামে টিজিং নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
এখন মানুষ জন্মগতভাবেই মানবিক গুণাবলী হারাচ্ছে। তাই সচেতনতা শিক্ষা আইনের সঠিক প্রয়োগ এই তিনের মেলবন্ধন পারে সকল পর্যায়ের যৌন নির্যাতন রুখে দিতে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
মানবী বলেছেন: যদিও আর্থসামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে কোমলমতি শিশুরা এধরনের বিকৃত নির্যাতনের শিকার, আমার ধারনা বাংলাদেশে শিশু যৌন নির্যাতনের সংখ্যালঘু ভিক্টিম হতদরিদ্র পথশিশু, টোকাই, ভিখেরি শিশুরা। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই শিশুদের হাজার সচেতনতা তাদের ঘৃন্যনরপশুর পাল থেকে রক্ষা করতে পারেনা।
এই জনগোষ্ঠির ভয়াবহ দুর্ভোগের দায়ভার ১০০% আমাদের প্রশাসন ও সরকারের। দেশের সকল নাগরিকের সমান অথিকার, সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যা গৃহহীন হয়ে পথে ঘাটে মানবেতর জীবনযাপন করছে আর আর রাষ্ট্রের নির্লজ্জ হর্তাকর্তারা এদের হকের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে সঙ্গী সাথী নিয়ে বিদেশ ভ্রমন আর নিজেদের মিছিল মিটিং (?)দিবসের সাজসজ্জায় ব্যস্ত।
বাংলাদেশের কোন আইন আজ অবধি এসব পথশিশুদের রক্ষা করেছে এমন উদাহরন নেই।
এই ব্যর্থতার ভয়ংকর এক অপরাধবোধের বোঝা মাথায় নিয়েই অন্তত আমাদের পরিবার ও আশেপশের শীশুদের হায়নার ছোবল থেকে রক্ষা করতে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া জরুরী।
ভারতের যৌনসন্ত্রাস এখন মড়কের আকার ধারন করেছে। কয়েক দশক আগে সেখানে প্লেগের প্রকোপও মনে হয় এমন ভয়াবহ প্রকট হয়ে উঠেনি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৬
রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
খুব গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতামূলক পোস্ট।কিন্তু দুঃখের বিষয় এসব। যাদের কাছে পৌছা দরকার তাদের কাছে খুব বেশি একটা পৌছে না।আর তারা এসব জেনে সচেতন হওয়ারও সুযোগ পাই না।
এসব বর্বর কর্মকান্ড সমাজে অহরহ ঘটছে।সত্যি তা অগোচরে রয়ে যায়। তাই আমাদের আরো সোচ্চার হয়ে আশাপাশের সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১
মানবী বলেছেন: শিশুদের প্রতি এধরনের বিকৃত নির্যাতন সমাজের সকল স্তরে ঘটছে, ধনী দরিদ্র কোন ঘর বাদ নেই। তবে নির্যাতিতের সবচেয়ে বড় অংশটি নিঃসন্দেহে সহায় সম্বলহীন ভাসমান জনগোষ্ঠী। গৃহহীন এই শিশুদের হায়নার ছোবলে থেকে রক্ষা করতে আমাদের রাষ্টপ ব্যর্থ।
আমরা আমাদের পরিবার পরিচিতজনদের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারি, শিশুদের আত্মরক্ষার কৌশল শিখিয়ে তাদের সচেতন করতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ রুদ্র জাহিদ। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪
রাজিয়া সুলতানা বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আমাদের সকলের এই সকল বিষয় জানা উচিত। সচেতন থাকা উচিত। দু:খের বিষয় অনেকেই চোখলজ্জার ভয়ে এ ধরণের বিষয় এড়িয়ে যাই।
সচেতনতার শুরু হোক ঘর থেকেই!
ধন্যবাদ এত সুন্দর পোষ্ট এর জন্য।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
মানবী বলেছেন: শিশুদের চক্ষুলজ্জাটা গ্রহনযোগ্য তবে অভিভাবকরা যখন চক্ষুলজ্জার কারনে ঘটনা গোপন করেন তখন অপরাধী দুর্দমনীয় হয়ে উঠে!
এধরনের অপরাধের বিচার আমাদের আইনে ব্যর্থতা হলেও, মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের সাহায্যে অ্পরাধির ছোবল থেলে অনেক শিশুদের রক্ষা সম্ভব।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ রাজিয়া সুলতানা।
ভালো থাকুন সব সময়।
১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
আরজু পনি বলেছেন:
এখন বাইরে যেতে হচ্ছে তাই পড়ে শেষ করতে পারলাম না...আপাতত ভালোলাগা সহ পনিজের শোকেসে নিয়ে রাখলাম ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭
মানবী বলেছেন: পড়া হয়েছে কিনা বুঝতে পারছিনা!
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো আরজুপনি।
১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিভৎস!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৭
মানবী বলেছেন: কি?
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আইনের প্রয়োগ নেই তাই এসব হবেই!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১০
মানবী বলেছেন: শিশু অধিকার রক্ষায় আইনের প্রয়োগ এই জীবনে আমাদের দেশে খুব কম দেখেছি।
দেশে শিশু যৌন নির্যাতনের অপরাধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির একটি উদাহরনও জানা নেই!
যথাযথ আইন ও আইনের প্রয়োগের ব্যর্থতার কারনে ভিক্টিম ও তার পরিবারও এধরনের অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচনে দ্বিধাবোধ করে।
ধন্যবাদ ঢাকাবাসী, ভালো থাকুন সব সময়।
১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
এতো গেল এক দিক। ইচ্ছের বিরুদ্ধে ঘটমান ঘটনাগুলো। আপনি কি বিস্মিত হবেন শুনে ইদানিং শিশুরা আগ্রহী হয়েও ঝুকে পড়ছে যৌন কাজে!!!!!
শুধু দরিদ্ররাই নয় বড়লোকের ঘরের শিশুরাও কৌতুহলে, মজা নিতে বা এসব জটিল কিছূ নয় চকলেট খাবার মতোই ভাবছে!!!!!
আর সকল কারণের পিছনে সচেতনতা বা শিক্ষা যতটা দায়ী দরচে বড় কারণগুলো আমরা কি হাইড করে যাচ্ছি বা ইগনোর করে যাচ্ছি!
আগে পরিবারের গোড়া থেকে যে ধর্মীয় অনুশাসন শিশুদের ম,নে দেযা হতো তার ভয়ে, তার প্রভাবেও কিন্তু যে কোন মন্দ কাজের আগে শতবার ভাবতো! কিন্তু এখন জীবন বোধের বিশ্বমূখীতায়, আধুনিকতায়, আমরা ধর্মকে এত বেশী পেছনে ফেলে রাখছি- ফাউন্ডেশনটাই গড়ে উঠছে না।
তার উপর আছে নিত্য ভোগবাদী জীবনের উপকরণ, রঙিন ঝলমলে হাতছানি!
যে জণ্য শিশু মেয়েটাকে সেক্সি পোষাক পড়িয়ে যখন পুলক অনুভব করছি তখই সর্বনাশের বীজও রোপিত হচ্ছে!
একাকী সেই অবুঝ মেয়েটিই সিনেমার মতো নিয়াকার মতো অঙগভঙ্গি করছে! গানের মতো বিপরীত কাউকে খুঁজছে পার্টনার হিসাবে। তেমন অবোধ পেলেতো সমস্যা নেই- সেই সুযোগটা যখন বুঝদার কেউ নিচ্ছে-ঘটনা ভিন্ন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে!
দরিদ্র কিছু সংখ্যক আছে- কিছূ খাবার বা গিফটের বিনিময়ে যা কিছূতেই রাজী! আবার বিত্তবানের ক্ষেত্রে অর্ত মূখ্য নয়- সখ বা আগ্রহ মেটাতেই পা বাড়িয়ে দিচ্ছে অন্ধকারের দিকে! পিতা-মাতার কাচে সবকিছূইতো দিচ্ছি- যা ইচ্ছে করছে বায়না করছে সবই দিচ্ছি! তবে কেন?
তারা ভূলে যান - এই বিত্ত আর ইচ্ছা পূরণের বাইরেও জীবন আছে। ভাবনা আছে। পিতা-মাতার সঙ্ড়গ লাভ, মাতৃত্ব-পিতৃত্ব, শাসন, আদরের ভি্ন্ন মাত্রা আছে। যা শিশুকে পরিপূর্ণকরে গড়তে সাহায্য করে।
ক্যায় করু মে শালা ক্যারেক্টার ঢিলা হ্যায় সংষ্কৃতিকে হাই বলে আর যাই হোক.. নৈতিকতা ভিত যে মজবুত হবেনা বলাই বাহুল্য!
হিন্দি আগ্রাসনে তরুনীর হৃদয়ে যে দোলা রাগে- নিজেকে উজার করে দিতে যে নায়ক খুঝে বেড়ায় তাকে শুধু সচেতনার ;দোহাই দিলে কি চলবে- সেতো ওভার সচেতন! সেখানে চাই ধর্ম। চাই পারিবারিক দৃঢ় বাঁধন। চাই যৌথ পরিবার। যেখানে অনেক চোখ ফাকি দেয়া কস্টকরই হবে!
সরি অনেক বেশী বলে ফেল্লাম। এ আমরা ভাবনা। একমত হয়তো নাও হতে পারেন- তবে ফেলে দিতে পারবেন কি?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৬
মানবী বলেছেন: ১১+ শিশু কিশোর কিশোরীদের এধরনের বিকৃত কর্মকান্ডের কথা শুনেছি অণেকের কাছে। সেব ক্ষেত্রে অধিকাংশরাই সম বয়সী(কুলঙ্গার পরিমল ও তার ভিক্টিমদের মতো ঘটনাগুলো ব্যতীত), তাই তাদের পেডোফাইল সেভাবে বলা যাবেনা। আমাদের কুশিক্ষা আর মূল্যবোধের অবক্ষয় এই ঘৃন্য চর্চার জন্য দায়ী।
পারিবরিক শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পোস্টে উল্লেখিত দুটো পয়েন্ট, এক শৈশব থেকে শিশুদের শীক্ষা দেয়া আর সন্তানের প্রতিদিনের কার্যকলাপের খুঁটিনাটির বর্ণনা প্রতিদিন মনযোগ দিয়ে শোনার অভ্যাস এধরনের ভয়াবহ চর্চা থেকে রক্ষা করতে পারে।
ধর্মশিক্ষা নিঃসন্দেহে এধরনের কার্যকলাপ থেকে শিশু এবং পেডোফাইল সকলকেই বিরত রাখতে সক্ষম। আর যারা নিজেদের ধর্নহীন মনে করে তাদের মাঝে নুন্যতম দেশপ্রেম, স্বদেশের সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা থাকলেও নিজেদের এধরনের নোংরামী থেকে রক্ষা করতে পারে।
আমাদের বাংলাদেশ ধর্ম নির্বিশেষে অত্যন্ত রক্ষণশীল।
মোটেও বেশি বলেননি, এই বিষয়টি এমন যে এ নিয়ে কোন আলোচনাই যথেষ্ট নয়, বেশি হবার প্রশ্ন নেই।
আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু, অনেক অণেক ভালো থাকুন।
১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সন্তানদের সময় দেয়া জরুরী, সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের মনোযোগ ভীষণ ভীযণ গুরুত্বপূর্ণ।
সহমত ।
সতর্কতা মূলক চমৎকার পোস্টের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন।
অনেক ভালো থাকুন।
১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
আলোরিকা বলেছেন: সব সময় ভাবতে চাই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর , আরও সুন্দর এর মানুষগুলো ! কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভয়ংকর । নিজের ছেলেকে নিয়ে শঙ্কিত
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু , একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সতর্কতামূলক চমৎকার ও অনবদ্য পোস্টের জন্য ।ভাল থাকবেন ।অনেক অনেক শুভ কামনা ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
মানবী বলেছেন: পৃথিবীটা আসলেই সুন্দর আপু। এই পৃথিয়ির অধকাংশ মানুষ শিশুদের আঘাত করার কথা ভাবতে পারেনা তারপরও মুষ্টিমেয় নরপশুর কারনে সবকিছু বিষাদময় হয়ে উঠে।
শুধু বাবা চাচা নয়, অনাত্মীয় এমন হাজারও পুরুষ আছে যাঁরা যেকোন শীশুকে নিজের সন্তানের মতো আগলে রাখার মানসিকতা ধারন করে। এটা মনে রেখেই আমাদের সাবধান হতে হবে গুটি কয়েক হায়নার জন্য।
ছেলের সাথে প্রচুর একান্ত সময় কাটাবেন, তার প্রতিদিনের ঘটনা জানবেন, ইনশাহ্ আল্লাহ্ আপনার ছেলে ভালো থাকবে। শিশুরা নিজেরা সচেতন হলে আর মা বাবা সতর্ক থাকলে অনেক বিপদ এড়ীয়ে যাওয়া যায়।
আন্তরিক ধন্যবাদ আলোরিকা।
সব সময় ভালো থাকুন।
১৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০০
আলোরিকা বলেছেন: এই পোস্টটিতো মনে হয় স্টিকি হলে ভাল হত ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
মানবী বলেছেন: কর্তৃপক্ষের অভিরুচি।
আমরা আমাদের সাধ্যমতো সচেতনতা ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের কাজটা করতে পারি।
ভালো থাকুন আপু।
২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব দরকারী একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন, ধন্যবাদ। এগুলো নিয়ে যত আলোচনা হবে সবাই তত সচেতন হবে। আলোরিকার সাথে সহমত।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
মানবী বলেছেন: আরো অনেক বেশী আলোচনা প্রচার প্রয়োজন। এধরনের ঘটনা সবাই লোকলজ্জার ভয়ে ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে, খোলাখুলি আলোচনা ভিক্টিমদের সাহসী করে তুলবে ধর্ষকের মুখোশ উন্মোচনে।
আন্তরিক ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা। অনেক শুচকামনা রইলো।
২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন বলেছেন: যতক্ষণ না মানুষকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা না যাবে, ততক্ষন সমাজ থেকে এসব নোংরা কাজ গুলিকে অপসারণ সম্ভব নয়। আর তার সাথে সাথে প্রয়জন যথাযত আইনের প্রয়োগ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০০
মানবী বলেছেন: নৈতিক শিক্ষা আর মানবিক বোধ সুস্থ সুন্দর সমাজের জন্য অপরিহার্য।
অনেক ধন্যবাদ মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
আবু শাকিল বলেছেন: সচেতন হোক সবার বিবেক।নিরাপদে থাকুক সকল শিশু।
"
শিশু যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে প্রতিটি মানুষের সচেতন হওয়া জরুরী। শুধু নিজের সন্তান নয়, আশেপাশে পরিচিত অপরিচিত যেকোন শিশুকে যৌন হয়রানির শিকার হতে দেখলে বা আশংকা করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করুন। শিশু যৌন নির্যাতন সম্পর্কে যতো আলোচনা ও প্রচার ঘটবে "
ধন্যবাদ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
মানবী বলেছেন: যথাসম্ভব আলোচনা ও সচেতনতা ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে আমরা নিজের অজান্তে অনেক শিশুকে এধরনের নরপশুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ আবু শাকিল। ভালো থাকুন সব সময়।
২৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
ধমনী বলেছেন: একই পোস্ট মাস তিনেক আগেও স্টিকি ছিল। তবে করণীয় অংশটা বিস্তারিত লিখেছেন। ধন্যবাদ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
মানবী বলেছেন: আরো শত বার স্টিকি হোক, ছড়িয়ে পড়ুক সচেতনতা- আমাদের নিষ্পাপ শিশুরা রক্ষা পাক হায়নার বিকৃত লালসার থাবা থেকেখ
ধন্যবাদ ধমনী। ভালো থাকুন।
২৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, অনেকদিন পর আপনাকে এ আসরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মানবী। আশাকরি এতদিন যেখানেই ছিলেন, কুশলেই ছিলেন।
তৎপরতঃ, এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং দিনে দিনে প্রকট আকার ধারণ করা সমস্যার প্রতি আলোকপাত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাচ্ছি। সমস্যাটি জনগুরুত্বসম্পন্ন, তাই এই লেখাটিকে স্টিকি করার দাবী জানাচ্ছি। শিশু ধর্ষক/ হন্তারকদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাঠক কর্তৃক এ লেখাটিকে লাইক/শেয়ার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করার জন্য (৫ নং মন্তব্য) অপর্ণা মম্ময়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সকল ঘটনার কমন ফ্যাক্টর একজন অতি জনপ্রিয় অমায়িক মিশুক যুবক -- বেশ ভয়ঙ্কর কথা! শিশু বৎসল ব্যক্তিদের প্রতি এখন থেকে সন্দেহটা বেড়ে যাবে।
একজন আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশু নির্যাতন রুখে দিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। -- একমত।
আলোচনায় পাঠককূলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করছি এবং আলোচনা থেকে কিছু প্রয়োগযোগ্য সুপারিশমালা বেড়িয়ে আসে কিনা, তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
মানবী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্ আ'লা কুল্লী হা'ল :-)
"শিশু বৎসল ব্যক্তিদের প্রতি এখন থেকে সন্দেহটা বেড়ে যাবে। "
- অধিকাংশ শুধু নয় প্রায় সকল শিশু বৎসল মানুষ নিতান্তই শিশুদের প্রতি ভালোবাসা থেকে নিজেদের নিষ্পাপ বাৎসল্য দেখিয়ে থাকেন। তারপরও "প্রায়" শব্দটিতেই যতো সমস্যা... লক্ষ তে একজন হলেও সাবধানতা জরুরী। সন্দেহ না করে নিজেদের সচেতনতা, সতর্কতা আর শিশুদের প্রতি মনোযোগ পেডোফাইল প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
ভালো থাকুন সব সময়।
২৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রতিহত করা যায় যেভাবে" - এর ১০ নম্বরে যে কান্নারত শিশুটির ছবি দেয়া হয়েছে, তা হৃদয় বিদীর্ণ করে।
যৌন, অনুচিত, ইত্যাদি শব্দে 'ণ' না হয়ে 'ন' হবে। অন্ততঃপক্ষে শিরোনামে 'যৌন' শব্দটিকে ঠিক করে নিন, প্লীজ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭
মানবী বলেছেন: লেখালেখিতে আমার যোগ্যতা বরাবরই নিম্নমানের, এক লাইন লিখতে তিনটি বানান ভুল, চারটি টাইপের ভুল হয়ে থাকে! ব্লগার 'কালপুরুষ" অনিয়মিত হওয়ায় বানান শুদ্ধকরনে(করণ হবে কিনা বুঝতে পারছিনা!!) আমার অসহায়ত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
কষ্ট করে বানান পড়ে বানা শুধরে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা।
"অণুচিত" টাইপের ভুল ছিলো তবে অপরটা নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলাম।
আবারও ধন্যবাদ খায়রুল আহসান, ভালো থাকুন।
২৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনার কথা ফেলে দিতে পারছিনে। বরং এ কথা আমাদেরও কথা। নৈতিকতা, পারিবারিক বন্ধন, ধর্মীয় অনুশাসন এসব যেকোনও সমাজের জন্য আবশ্যিক কিছু উপাদান। ইহা কখনোই এড়িয়ে যাওয়া সম্বব হয় নি।
আপনি সর্বনাশের বীজের কথা বলেছেন। এ বীজ অনেক আগেই রোপিত হয়েছে। পৃথিবীর কোন শক্তি দিয়ে এ ফাউন্ডেশন/গাছটি ভাঙবেন! যখন এগুলো নিজেই সচেতনতা বা শিক্ষা হয়ে গেছে!!
মানবী,
হ্যা। ব্লগ লেখা যথেষ্ট নয়। ক জন ব্লগ পড়েন ? তাও আবার লেখা বড় হলে তো পাঠক টাঁ টাঁ !! হাহ হাহ হাহ। মুল ধরারা গণ মাধ্যমগুলোকে এগিয়ে আসতেই হবে। টেলিভিশন/ভিজ্যুয়াল মাধ্যমই এখন সবচেয়ে কার্যকর। এছাড়া স্কুল-ভিত্তিক বিভিন্ন অনূক্রম আরো জোরদার করতে হবে। হচ্ছেও কিন্তু।
আপনি ভারতের সমস্যার কথা বলেছেন। তাঁরা যেভাবে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেটাও কিন্তু আমাদের জন্য অনুসরনীয়। আশাকরছি আপনি সেগুলোতেও আপনার দৃষ্টি রাখছেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
মানবী বলেছেন: শিশু যৌন নির্যাতনের সমাধান দেবার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সাফল্য বা প্রচেষ্টা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ঘটেছে বলে জানা নেই। তার বরং ভিন্টিম শিশুর চেয়ে ক্রিমিনাল(ধর্ষক এবং হত্যাকারী) কে অপ্রাপ্তবয়স্ক হবার অঝুহাতে রক্ষায় বেশী সচেষ্ট। বীস্ব জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী জ্যোতি সিং যিনি নির্ভয়া নামে বেশী পরিচিত, তাঁকে সবচেয়ে পাশবিক ভাবে নির্যাতনকারী নরপশুকে নাম মাত্র শাস্তি দেয়া হয় এই অজুহাতে যে ঘটনার কয়েক দিন পর তার ১৮ বছর বয়স হয় আগে নয়। বিশহবের যেকোন সভ্য দেশে সেই নরপশুকে এমন ঘৃন্য অ্পরাধে "প্রাপ্তবয়স্ক" হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আবার অ্প্রাপ্ত বয়স্ক ভিক্টিমরা প্রায়ই আত্মহননের পথ বেছে নেয় শূধু মাত্র পুলিশ দ্বারা অগুনিত বার হেনস্থা হবার কারনে যা তাদের কাছে ধর্ষনের মতোই যাতনাময় মনে হয়।
তবে ভারতে এধরনের সমস্যা সমাধানে কারো প্রচেষ্টা সাধুবাদ পাবার যোগ্য হলে তা নিঃসন্দেহে তাদের মিডিয়া। আমাদের মিডিয়া ভারতীয় ভিজেদের অণুকরনে পোশাক আর অদ্ভুত উচ্চারণ রপ্ত করলেও টিভি রিপোর্টিং ও সরকার ও আইনের সমালোচনায় সাহসী টকশো প্রচারে হাজার বছর পিছিয়ে আছে।
আন্তরিক ধন্যবাদ অন্ধ বিন্দু।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আরো অনেকের মত আমিও অতি গুরুত্ব এই পোস্টটা স্টিকি করার জন্য সামু কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
অন্ধবিন্দুর মত আমিও বিদ্রোহী ভৃগু সাথে একমতঃ ধর্মীয় মূল্যবোধটাকে সমুন্নত রাখুন, একান্নবর্তী পরিবারের নিরাপদ বলয়ে ফিরে আসুন।
আল্লাহ্ সবাইকে সুমতি দিক।
আর যাদের সুমতি আসবে না, তাদের প্রতিহত করার, শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের দান করুন।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
মানবী বলেছেন: "একান্নবর্তী পরিবারের নিরাপদ বলয়ে ফিরে আসুন।"
- দুঃখজনক হলেও সত্য একান্নবর্তী পরিবারে এধরনের অনাচার ঘটানার সম্ভাবনা কোন অংশে কম নয়। ৩৫ নং মন্তব্যে একজন প্রিয় ব্লগার একান্নবর্তী পরিবারেই এমন নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
মানুষের নৈতিকতার উন্নয়ন, ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাথে সকলের সচেতনতা ও সতর্কতা এধরনের বিকৃত লালসা থেকে শিশুদের রক্ষা করতে পারে।
আমার পোস্টটিকে এভাবে মূল্যায়নে সন্মানিত হলাম।
অনেক অনেক ভালো থাকুন শামছুল ইসলাম।
২৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখালেখিতে আমার যোগ্যতা বরাবরই নিম্নমানের -- আপনার যোগ্যতা যে কি মানের, তা এ আসরের সবাই জানে, মানবী। বানান ভুল নিয়ে আমি আগে খুব এলার্জিক ছিলাম, এখন নই, কারণ এখন আমি জানি যে এখানে অনেকেই মোবাইল ফোন থেকে লিখে থাকেন, আর মোবাইল ফোন থেকে বাংলা লেখাটা যে কতটা কষ্টের, তা আমি দুই একদিন চেষ্টা করে বিফল হয়ে বুঝে গেছি।
আমি শুধু একটু অস্বস্তিতে ছিলাম শিরোনামে ভুল বানানটি নিয়ে। আমার সাজেশনটাকে স্পোর্টিংলি নিলেন, এজন্য খুব খুশী হ'লাম। ধন্যবাদ আপনাকে সংশোধন করে নেয়ার জন্য।
শিরক ও মূর্তিপূজা নিয়ে আপনার একটা পুরনো লেখায় আমি মন্তব্য করেছিলাম। আমার মন্তব্যের সাথে বোধকরি আপনি দ্বিমত পোষণ করে থাকবেন, তবুও একটু সেটা দেখে নিলে খুশী হবো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০
মানবী বলেছেন: ভদ্রভাবে যেকোন ভুল ধরিয়ে দিলে তা নিয়ে আপত্তি থাকার কথা নয় আর বানান শুধরে দিলে লেখকের উপকার হয়, অ্পকার নয় :-)
ঐ পোস্টে মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। দ্বিমত হতেই পারে, যার প্রেক্ষিতে আলোচনার মাধ্যমে সব সময় কেউনা কেউ নতুন কিছু শিখতে পারে, জানতে পারে।
পূণরায় মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
২৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
আরজু পনি বলেছেন:
পড়া শেষ করতে পারিনি আমার নতুন পোস্টের চাপে
পড়াটা মিস করতে চাইনা বলেই মন্তব্য করে রাখা ।
হয়তো অফলাইনে পড়ে শেষ করতে হবে, আজকে হাসানের পোস্ট যেভাবে পড়েছি ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৭
মানবী বলেছেন: সময় করে এসে আবার জবাব দিয়েছেন, সেজন্য ধন্যবাদ আরজুপনি।
ভালো থাকুন সব সময়।
৩০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০
বাঘ মামা বলেছেন: যৌন নির্যাতক যে কেউ হতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য সম্পূর্ণ অপরিচত ব্যক্তি থেকে পরম প্রিয় জন্মদাতা পিতা হতে পারে,
এই সমস্যা কি সচেতনতার বিষয়? পিতা মাতা এমন হলে কে কাকে সচেতন করবে? সন্তান পিতা মাতাকে? এই যায়গাটা লেখায় না আনাই ভালো, এমন নোংরামী দুনিয়াতে হয় হতে পারে আমরা আলোচনাতো দুর ভাবতেও রাজি নই,এই শ্রেনীর মানুষ গুলো থাকলে থাকুক সেগুলো নিয়ে আলোচনা করলে প্রচার হবে প্রসার হবে, সন্তানরা জানবে,পিতা মাতার প্রতি সন্দেহ ভয় সৃষ্টি হবে।শ্রদ্ধা উঠে যাবে, দুনিয়াতে কিছু ঘটনা ঘটে যেখানে সচেতনতার কিছু নেই।যেই পিতা বা মানুষের মস্তিষ্কে এমন কিট থাকে সেটাকে খুলে এনে বাইরে ফেলে দিলেও এমনি থাকবে। একটা মানুষের উপর বিধাতার কত বড় অভিশাপ থাকলে সেই মানুষটি নিজের সন্তান বা শিশুর শরীরের দিকে নজর দিতে পারে তা কল্পনার বাইরে।
শিশুদের বলে দিতে হবে শরীরের স্পর্শ কাতর স্থান গুলো সম্পর্কে, সেসব জায়গায় কারো স্পর্শতা ঘটলে সেটা যেন সাথে সাথে পিতা মাতাকে এসে বলে দেয়।এটাই সচেতনতা।
শুভ কামনা সব সময়
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
মানবী বলেছেন: এখানে মাতার কথা উল্লেখ করা হয়নি, মায়েরা সচেতন হবেন। নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ঘৃন্য ও নির্মম ব্যাপার, তারপরও কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখলে বাস্তবতাটা অস্বীকার করা যাবেনা। আর যেহেতু বাস্তবে এর অস্তিত্ব আছে, এ সম্পর্কে সকলকে জানতে ও সচেতনা হতে হবে। ১০/১২ দিন আগেই বাংলাদেশের সংবাদে এসে নিজের পিতামহ তার নাতনিকে দিনের পর দিন ধর্ষন করেছে। ৩৫ নং মন্তব্যে উল্লেখ হয়েছে নিজের চাচা দিনের পর দিন ভাতিজী কে ধর্ষন করেছে। পিতারাও ধর্ষক হতে পারে, এই অপ্রিয় সত্যটি সম্পর্কে যদি নির্যাতিতার পরিবার বিশেষ করে পিতা অবগত থাকতো, তাহলে নিজের জন্মদাতা কুলাঙহগার পিতার, নিজের ভাইয়ের অপকর্ম সম্পর্কে অসহায় কন্যার করুণ আকুতি বিশ্বাস করতে দ্বিধা করতোনা, এবং নির্যাতিতা কিশোঋই অনেক আগেই এধরনের নির্মমতা থেকে মুক্তি পেতো।
শুধু প্রাব সব পিতা নন বরং চাচা মামা দাদা নানারা নিজের জীবন বাজি রেখে পরিবারের শিশু কিশোর কিশোরিদের আগলে রাখেন। তবে যে অতি সামান্য নর পশু নিষ্পাপ শিশু কিশোরদের ঘৃন্য লালসার শিকার বানায়, তাদের কারনে সকলের মাঝে সচেতনতা ও সতর্কতার প্রয়োজন। শুধু শিশু আত্মরক্ষা জানলে হবেনা, সন্তান এসে অ্ভিযোগ জানালে তাকে বিশ্বাস করার খাতিরেই মা বাবাকেও জানতে হবে যে কেউ পেডোফাইল হতে পারে।
ধন্যবাদ বাঘ মামা।
অনেক ভালো থাকুন।
৩১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: আমাদের সকলের একটু সচেতনতা আর প্রচেষ্টা রুখে দিতে পারে এধরনের বিকৃত লালসার অধিকারী হায়নাদের।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
মানবী বলেছেন: আসুন সকলে সাধ্যমতো সচেতনতা ছড়িয়ে এই নরপশুদের রুখে দেই।
অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি।
ভালো থাকুন।
৩২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪০
আরজু পনি বলেছেন:
কাছের নারীরাও অনেক সময় শিশু যৌন নির্যাতন কারী যা প্রমাণ করা সম্ভব নয় ।
যে নির্যাতনকারী তাকে এব্যাপারে কিছু বলাও মুশকিল।
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি, যারা কোন ভাবে নিজের শারীরিক চাহিদা পূরণে কোন ভাবে অতৃপ্ত থেকে যায় তাদের মধ্যে এই ধরনের বিকৃতি বেশি ।
আপনি অনেকগুলো বাস্তব উদাহরণ দিয়েছেন। যা পোস্টকে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
শুধু তাত্ত্বিক কথা অনেক সময়ই পড়তে কষ্ট হয়ে যায় ।
...এবং অফলাইনেই পড়া শেষ করেছি।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল, মানবী ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
মানবী বলেছেন: কিছু কুলাঙ্গার নারী ধর্ষক বা পেডোফাইলকে সহায়তা করে এমন বেশ কিছু শুনেছি, নারী সরাসরি যৌন নির্যাতন করেছে এমন উদাহরনও দু একটি শুনেছি।
চাহিদা পূরণ অপূরণ আসলে নয়, এরা বিকৃত মানিসকতার অধিকারী মাত্র। অনেক অনেক পেডোফাইল বিবাহিত, এক বা একাধিক সঙ্গীনি আছে, তারপরও শুধু মনোবিকারগ্রস্থতার কারনে শিশুদের যৌন নির্যাতন করে থাকে।
মনে করে পোস্টটি পড়ে আবার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আরজুপনি।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৩৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
তানসীরুল আলম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আপনার লেখাটি পড়ে অনেক জানা ব্যাপার আবার রিভাইজ দিতে পারলাম। সাথে কয়েকটি নতুন তথ্যও জানলাম।
নিজের কিছু অভিজ্ঞতা অগোছালো লেখায় বলে ফেলার চেষ্টা করছি।
ক্লাস সিক্সে যখন পড়তাম, তখন ক্লাসের শেষ সারির ছাত্রদের সাথে মোটামুটি সখ্যতা ছিল। তারা সাধারণত ছোটখাটো দুষ্টুমি, মারামারি, খুনসুটি এসবেই মেতে থাকত।
কিন্তু যতই তাদের সাথে কথাবার্তা বাড়াতে লাগলাম, ততই খেয়ালে আসতে লাগল যে এরা 'ইঁচড়ে পাকা'র দল। কারণ, এদের আলোচনার বিষয় ছিল নারীদেহ এবং যৌনতা-সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি ব্যাপার।
তখনও বয়সের প্রাপ্তিতে পৌঁছাইনি, তাই এসব আলোচনার অর্থ পুরোপুরি বুঝতে পারতাম না। অর্ধেক জ্ঞান নিয়েই তাদের কথা শুনে যেতাম (নিজে কখনও এসব ব্যাপারে তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নিতাম না)।
যতদূর মনে পড়ে তাদের এই আলোচনার পুরোটাই ছিল বিকৃত যৌন আলোচনা। অথচ তখন তাদের কারো বয়স ছিল ১১ কি ১২'র মধ্যে (কেউ কেউ ১৪-১৫ বছর বয়েসীও ছিল)।
বয়সের প্রাপ্তিতে না পৌঁছেও এসব আলোচনার কারণে আমি নিজের মধ্যে কিছু আপত্তিকর ব্যাপার লক্ষ করেছিলাম। ক্লাস সিক্সের ছাত্র হয়েও (১১ বছর বয়স ছিল তখন) আমি মেয়েদের সৌন্দর্য্যের অংশগুলোর দিকে তাকাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এবং খণ্ডিত জ্ঞান নিয়ে আমি নানান আপত্তিকর বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করতাম।
এখন এসে উপলব্ধি করতে পারছি যে সে সময়টা কতই না ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
আমার এই মন্তব্য আলোচনার প্রসঙ্গের সাথে মিলছে না, তা বুঝতে পারছি।
তবে আমি যা বোঝাতে চাইছি তা হলো, 'চাইল্ড অ্যাবিউস' যেমন প্রতিহত করা জরুরী, তেমনিভাবে শিশুরা (বিশেষত ক্লাস ফাইভ-সিক্স-সেভেনের স্টুডেন্টরা) কোন প্রকৃতির বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশছে, সেদিকটাও খেয়াল রাখা জরুরী।
ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করলে হয়ত অনেক শিশু বয়সের প্রাপ্তিতে পৌঁছানোর আগেই ভয়াবহ অপরাধে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আমার বাবা-মা এসব ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন, কিন্তু তবুও আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন। তবে তারপরেও বর্তমান যুগের প্রেক্ষিতে আমাদের উচিত শিশুদের সকল ব্যাপারে (তাদের কল্যাণার্থেই) নজরদারি করা। ধন্যবাদ মানবী বোন।
(দুঃখিত আগের ভুল মন্তব্যের জন্যে। টাইপিং মিসটেকের কারণে এমনটা হয়েছে।)
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
মানবী বলেছেন: আপনার মন্তব্য আলোচনার সাথে খুব ভালো মিলেছে। ক্লাস সিক্স, ১১/১২ বছরটা বয়ঃপ্রাপ্তির সময়। এসময় কিশোর মনে বিভিন্ন কৌতুহলের জন্ম নেয়াটাই স্বাভাবিক আর তাই মা বাবা সন্তানের সাথে নিয়িত ভাবে একান্তে আলোচনাটা জরুরী। সন্তান যদি জানে মা বাবার কাছে সে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করে জেনে নিবে, তাহলে আর অন্য কারো সাথে আলোচনার প্রয়োজন পরেনা।
আপনার সেই সহপাঠিদের বাড়ির পরিবেশ কেমন ছিলো, তারা কিধরনের অভিজ্ঞতার মাঝ দিয়ে যাচ্ছিলো তা্ আমাদের জানা নেই। পারিবারিক পরিবেশ শিশুদের অনেকটা প্রভাবিত করে।
শিশুদের উপর নজরদারী করা হচ্ছে এমনটা তারা জানলে অনেকটা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই বন্ধুর মতো গল্প করার মতো একান্ত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নেয়াটা বুদ্ধিমানের, সেই সাথে তারা যেখানে পড়তে যায়, এক্সট্রাকারিকুলার এ্যাক্টিভিটজে যায় সেসব স্থানে নিজেদের পৌঁছে দেয়া, নিয়ে আসাটাও অনেক সাহায্য করে।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ তানসীরুল আলম।
ভালো থাকুন সব সময়।
(আগের মন্তব্যটা মুছে দিলাম :-)
৩৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪২
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: অনেক বাবা মা সন্তানের চেয়ে নির্যাতকের প্রতি অধিক আস্থা দেখিয়ে থাকে, ফলে নির্যাতিত শিশু কখনও সাহস করে বাবা মা কে জানালেও তা নিতান্তই শিশুমনের কল্পণা বা মিথ্যা হিসেবে অভিহিত হয়। সেক্ষেত্রে নির্যাতকের হিংস্রতা আর নির্যাতনের মাত্রা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
আবার অনেক সময় শিশু ভয়ে মা বাবাকে ঘটনাটি কখনও জানায়না। আর যদি বাবা মা জানতে পারেন, প্রায় সকল ক্ষেত্রে সামাজিক মর্যাদাহানীর ভয়ে তাঁরা ঘটনা গোপন করে যান ফলে অপরাধী আইনের দন্ডের ধরছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
---------------- আমার জানা একটা সত্যি ঘটনা শেয়ার করছি মানবী । যেটা শোনার পর আমার বিশ্বাস করতে , মেনে নিতে অনেক ক্ষানি বেগ পেতে হয়েছিল । বাট একজন মা তার নিজের সন্তান সম্পর্কে কখনোই এগুলো বলবেন না ।প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা । ভদ্র মহিলার হাসবেন্ড বিদেশ থাকতেন , আর তিনি তার তিন সন্তান নিয়ে শশুর বাড়ি ( দুই মেয়ে এক ছেলে ) বড় মেয়ের বয়স তখন ১০/১২ হবে । মেয়েটি প্রায় কন্নাকাটি করে মাকে বলত দাদা বাড়ি চাচাদের সাথে সে থাকবে না , মা বাবা কে বল আমাদের তার কাছে নিয়ে যেতে। প্রথম দিকে মহিলা বুঝতে পারেনি । কিছু সময় পর আবিস্কার করে তার ছোট মেয়েটি আপন চাচা কর্তৃক নিরযাতিত নির্যাতিত ( আমি বর্ণনা দিচ্ছি না ) তিনি তার উচ্চশিক্ষিত স্বামী কে জানান কিন্তু বিশ্বাস করাতে পারেন নি , উল্টো তার নিজের চরিত্র নিয়ে তির্যক মন্তব্য শুনতে হয়েছিল তাকে , সে চেপে যায় । মহিলার বাবা মা বেচে ছিলেন না ,নিজে সন্তান্দের নিয়ে আলাদা হবার মত স্বাবলম্বী মানসিকতা যোগ্যতা কোন টাই তার ছিল না বিধায় মুখ বুজে সহ্য করে নিয়েছিলেন ( আমি জানিনা মা হয়ে এটা তিনি কি করে সম্ভব করলেন !!) তিনি ভুল করেছেন না ঠিক করেছেন আমি জানিনা ।
সেই মেয়েটি কলাম্বিয়া ইউনিভারসিটি থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে এখন বড় সর জব করছে , একি শহরে ভিন্ন দেশী লাইফ পার্টনার নিয়ে থাকে । মা কে হয়ত কল দেয় মাঝে মধ্যে । ছেলে ও ব্রিলিয়ান্ত ছিল বাট ্রাগ এডিক শনের জন্য মাঝে মধ্যেই রিহ্যাব এ থাকতে হয় । ছোট মেয়ে এখন পড়ালেখা করছে , যতদূর জানি বাবা মা এর সাথে থাকে না । কোন সন্তান ই বাবা কে দেখতে পারে না , সাথে মা কেন এই লোক কে এখন স্বামী হিসেবে মানেন বলে মা কে দায়ী করে ।
এবার আসি গল্পের আসল টুইস্টে , মহিলার দেবর দের তাদের মহান ভাই ইমেগ্রান্ট করে নিয়ে এসেছে , মহিলা তার টু বেড রুমের বাসায় তাদের রান্নাবারা করে হাসি মুখে খাওয়ান !!!!!! আর বাকি সময় বিড়াল পুষেন , বিড়ালের সাথেই তার সকল সুখ দুঃখের গল্প করেন !!! তাকে চিনি প্রায় ১৩/১৪ বছর কোনদিন দেখা হলে হাসিমুখ ছাড়া দেখিনি !!!!! সামার উইন্টার নেই ভাজ তোলা তাতের শাড়ি , মাথায় ঘোমটা । এখন ও যে পরিমান মার্জিত সুন্দর মুখ তার তাতে বুঝতে অসুবিধা হয়না কি পরিমান সুন্দরী সে ছিলেন ।
তাকে প্রশ্ন করেছিলাম কেন ?
উত্তর - মা ওরা যে যেমন আছে নিজের মত করে ভালো ইত আছে , ঠিক বেঠিক হোক নিজের খুশিতে জীবন ধারন করছে । কারও উপর ডিপেন্ড করে নেই । আমি আর কতদিন , সবাইত তার কর্মের বিচার একদিন পাবেই , আমি কে করার !!
কিছু বলার বা যুক্তি খন্ডন করে তাকে বিন্দু পরিমান আঘাত করার শক্তি আমি পাইনি । বড় অদ্ভুত এই পৃথিবী , বড় অদ্ভুত এই মানুষ জাতি !!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
মানবী বলেছেন: এধরনের নরপশুদের কারনেই সকলকে সচেতন হতে হবে। শীশু যৌন নির্যাতন সম্পর্কে আলোচনা ও প্রতিবাদে সরব হতে হবে। প্রান প্রিয় পিতা পূজনীয় তবে ক্ষেত্র বিশেষে কোন কোন পিতারূপী হায়না নরপশু হয়ে উঠে এই সত্যটা সকলের জানা থাকলে মেয়েটিকে হয়তো নির্যাতন এমন ভাবে সয়ে যেতে হতোনা।
"কিছু বলার বা যুক্তি খন্ডন করে তাকে বিন্দু পরিমান আঘাত করার শক্তি আমি পাইনি "
- ভালোই করেছেন। তাঁকে আরো আঘাত করে কিইবা লাভ। মেয়েটির সাথে আলাপ পরিচয় হলে বরং তাঁকে বলা যায়....
আপনার পক্ষে সম্ভব হলে মেয়েটিকে বলুন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে সত্যটা জানাতে। অনেক নারী অধিকার, শিশু অধিকার সংগঠন আছে যারা এগিয়ে আসবে তাঁর সাহায্যে।
প্রথমত চাচা নামের ঐ নরপশুর জানা উচিৎ তার পাপের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। দ্বিতীয়ত আমেরিকায় পেডোফাইলদের তালিকাবদ্ধ করে মনিটর করা হয় কারন পেডোফাইল, রেপিস্টরা কখনও একটি অপরাধ করে ক্ষ্যান্ত দেয়না। এরা প্রথম অপরাধের পর শাস্তি না পেলে(অনেক ক্ষেত্রে শাস্তি পাবার পরও) নতুন নতুন শিকারের খোঁজে থাকে।
মেয়েটির উচিৎ অবিলম্বে কুলাঙ্গারটিকে আইনের হাতে সোপর্দ করা। বাবার সাথে যেহেতু সম্পর্ক নেই সেক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবার কথা নয় আর মা যেহেতু সব জেনেও কিশোরী মেয়েকে ওমন নারকীয় যন্ত্রণার মাঝে রেখেছিলেন তিনিও আশা করি আপত্তি করবেননা।
এই নরপশুদের পরিচয় ফাঁস হওয়া জরুরী, নাহলে দেখা যাবে আমরা না জেনেই কোন সময় হয়তো এদের সাথে হাসি মুখে আলাপ করছি।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সায়েদা সোহেলী।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
৩৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১৬
মাসূদ রানা বলেছেন: হা হা হা হা । সমাজের মূল্যবোধের অবস্থা কত ভয়ংকর রকম নিম্নগামী ! এমনটাই হবার কথা ছিল ইনফ্যাক্ট ।
যৌন নির্যাতন রুখার জন্য এতো কিছু করা নিষ্প্রয়োজন । কেবল নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা রোধই এর প্রতিকার করতে পারবে । ( যদিও এটা একটা ব্যাকডেটেড ধারণা,তথাপি নিজ সন্তান, পরিবারের কথা ভেবে ব্যাক্তিগতভাবে ধারণাটি এপ্লাই করে দেখতে পারেন। ) ধন্যবাদ ।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সহিহ বোঝ দান করুন ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
মানবী বলেছেন: আপনি কি বুঝতে পারেন নিতান্ত বিকৃত মানসিকতার অধিকারী নাহলে কেউ শিশু যৌন নির্যাতনের কথা পড়ে "হা হা হা " হাসতে পারেনা?
পোস্ট আদৌ পড়েছেন বলে মনে হচ্ছেনা.।
সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়টা ঠিক কবে থেকে হবার কারনে শিশু যৌন নির্যাতনের শুরু বলে আপনার ধারনা? ঘোরগ্রস্থ অবস্থায় না থেকে চোখ খুলে বাস্তবটা জানতে চেষ্টা করলে দেখবেন কি ভীঢ়ণ বিভ্রান্তি আর বিকৃতির মাঝে আপনার বিচরন!
আপনার জন্মের পর পরই মনে হয় আপনাকে আপনার মায়ের কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছিলো, শত হলেও আপনি পুরুষ আর তিনি নারী। আপনার বোনদেরও নিশ্চয় জন্মের পর আর আপনার বাবার সামনে আসতে দেয়া হয়নি, তা নাহলে এমন উদ্ভট মনোভাব হবে কেনো!
ব্যকাডেটেড মনে হলেও বলি, আল্লাহকে মানতে চেষ্টা করে, কুরআন ও সুন্নাহ নিজের জীবনে এ্যাপ্লাই করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
মহান আল্লাহ্ আমাদের সকলকে মানসিক বিকৃতি থেকে মুক্তি দান করুন।
৩৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কতগুলি ব্যাপারে বাবা মায়ের বা বাড়ির বড়দের সচেতনতা প্রয়োজন-
১) প্রথমেই বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে- শিশুটিকে বাড়িতে রেখে কর্মক্ষেত্রে, মার্কেটে বা অন্য কোথায় যাবার সময় অবশ্যই তার জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যাবস্থা করতে হবে। নির্ভরযোগ্য ব্যাক্তিকে শিশুর দায়িত্ব দিতে হবে ও খেয়াল রাখতে হবে যতদূর সম্ভব।
২) শিশুকে বুঝিয়ে বলতে হবে। প্রয়োজনে তাকে এই টাইপ নির্যাতন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। শিশুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ন আচরণ গড়ে তুলতে হবে যেন সে কোনো রকম ভয় বা লজ্জায় ব্যাপারগুলো মা বাবা পরিবারের কাছে গোপন না করে।
৩) স্কুল কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোপনীয়তা রক্ষার ভিত্তিতে এই সব সমস্যাগুলো জানানোর ব্যাবস্থা থাকতে হবে।
৪) সামাজিক প্রচারণার ব্যাবস্থা করতে হবে।
৫) যে কোনো ভুক্তভুগীকেই মানষিক ট্রমা কাটিয়ে উঠবার সহযোগীতা করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসা দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে ভুক্তভুগী ও নির্যাতনকারী উভয়ের জন্যই মেন্টাল থেরাপী, কাউন্সেলিং ও চিকিৎসা ব্যাবস্থা নিতে হবে।
সর্বোপরী শিক্ষা, জ্ঞান ও বিবেকের সমন্বয়ে গড়ে উঠুক সুস্থ্য সমাজ। সবাই বাঁচুক আনন্দে, উচ্ছলতায়। আর হ্যাঁ পেডোফিলিয়া বা শিশু যৌন হয়রানী শুধু মেয়ে শিশুদের জন্যই প্রযোজ্য নয়। তুলনামূলকভাবে ছেলেদের চাইতে মেয়ে শিশুরা এর শিকার হয় বেশী বটে তবে ছেলে ও মেয়ে উভয় শিশুই এই হয়রানীর শিকার । মেয়েদের হয়রানীগুলিই মিডিয়ায় প্রাধন্য পায় হেতু মেয়েরাই এর শিকার বলে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আমাদেরকে ছেলে ও মেয়ে উভয় শিশুর ক্ষেত্রেই সচেতন হতে হবে।
ধন্যবাদ মানবী এমন একটি লেখার জন্য। আমিও কোনো এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একই বিষয়ে লিখেছিলাম।
পেডোফিলিয়া ও পেডোফিলিক বা শিশু যৌন নির্যাতন ও নির্যাতনকারী- আর নয়- চাই না
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০
মানবী বলেছেন: আপনি লিখেছিলেন দেখে ভালো লাগলো। এ বিষয়ে আরো অনেক অনেক লেখা ও আলোচনার প্রয়োজন।
ভবিষ্যতে আরো অনেক লেখা আসবে আশা করি।
ধন্যবাদ আমি ময়ূরাক্ষী। অনেক ভালো থাকুন।
৩৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
বহুব্রীহি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার লেখাটির জন্য। আমি অনেক অনেক দিন আগে এসব নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম। ছেড়ে দিয়েছি কারন সবাইই এক কথা দু কথা বলে হা পিত্যেশ করে মানে মানে কেটে পড়ে। আর ব্লগ ক জনা পড়ে কে জানে। তবে বেশ মনে পড়ে বেশ কিছু ঘটনা কেউ পড়তে পারছিলো না এতটা অমানবিক ভয়ংকর। হু এতটাই অস্বাভাবিক ঘটনা এদেশে ঘটে লোকে বিশ্বাস করতে চায় না। ব্লগে ফেসবুকে যখন এরাই ভারতকে রেপিস্ট কান্ট্রী বলে গাল দেয় আর ঘোমটায় নিজের কলংক চেপে রাখে।
প্রতি দশটা ঘটনার নয়টারই কোন আইনী প্রতিকার হয় না এদেশে। ভালো লাগল আপনি ছেলে শিশুদের মোলেশ্তেশনের ব্যাপারটা বিশেষভাবে উল্ল্যেখ করেছেন দেখে। কারন বাংলাদেশে একটি নারী শিশুকে য৩এ ভাবে সুরক্ষা দেয়া হয় ছেলেশিশুকে সেভাবে নয়। ছেলে মাত্রই পুরুষ আর পুরুষ মাত্রই শক্ত হতে হবে কাঁদা যাবে না। তাই অনেক শিশুই বড় হয়ে এসব ঘটনা রিপ্রেসড করে যায়। আর ঠিক এ কারনেই তার রিকভারীর সু্যোগও কমে আসে। শিশু মানে ছেলে ও মেয়েতে যে বিরাট একটা প্রভেদ এদেশে করা হয় এবং পুরুষ নামক খল চরিত্রে অভিনয়ে বাধ্য করা হয় সেই বাল্য কাল হতেই তার শেষ কোথায় জানি না তবে এটুকু বুঝি মানুষ মাত্রেই অনুভূতি আছে। কারো প্রকাশ্য কারোটা নয়।
আমি এই ঘটনাটি ব্লগে আজকেই প্রথম বলছি-
আমি তখন ক্লাস ত্রি ফোর এ পড়ি। পাশের বাসায় খেলতে যেতাম। ঐ বাসার একজনের কাছে অনেক বার রেপড হই। আমি প্রথমে বুঝতেই পারতাম না কি হত। আমার মা জানতে পেরেছিলেন কিন্তু লোকলজ্জা কিংবা অন্য কোন কারনে কোন কিছু করেন নি। কারন আমার আরো বড় দু বোন ছিল যাদের বিয়ে হয় নি তখনো। আর এসব কথা আগুনের মত ছড়াত তখন। বহুদিন পর এস।এসসির সময় এই রিপ্রেসড মেমরী হল্কার মত বের হয়ে এসেছিল। ইউনিতে ওঠার পরো অনেক অনেক রাত পার হয়েছে। ঘুমাতাম না।
আমি এখন অনেক দূরে দেশ ছেড়ে এবং এই ঘটনা গুলো আমার প্রত্যহ জীবনে আর কোন প্রভাব ফেলে না এখন আর। আমি সহজেই বলতে পারি কি হয়েছিল আমার সাথে। কোন লজ্জা ভয় অব্যক্তি কাজ করে না কারন আমি নিজেকে শিখিয়েছি কিভাবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রন আনতে হয়। কিভাবে এই স্মৃতি গুলোর সাথে বসবাস করতে হয়। আমার সঙ্গিনী জানেন এবং তার সাহায্য ছাড়া আসলে নিজে থেকে ওই সময়টা পার করা অসম্ভব ছিল।
আমার মনে হয় ব্লগে এটাই জরুরী। যদি সুযোগ ও সময় পান সেলফ রিকভারী নিয়ে এক প্রস্থ লিখে ফেলুন।
সময় পেলে আমার এ পাতায় একবার পদধূলি দেবেন আশা করি -
চতুরমাত্রিক - অন্ধকারের গান: বাংলাদেশে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা
অন্ধকারের গান-২: বাংলাদেশে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা - নারী শিশু অধ্যায়
সামহয়ারিন - অন্ধকারের গান: বাংলাদেশে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা
অন্ধকারের গান-২: বাংলাদেশে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা - নারী শিশু অধ্যায়
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
মানবী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে কি ভয়ংকর কষ্ট হলো বুঝানো সম্ভব নয়। প্রথমেই মনে হলো,আমাদের ক্ষমা করুন, আপনার মতো যাদের নিরাপদ শৈশব দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাঁদের সকলের কাছে এক ভয়াবহ ন্যায় নীতি বর্জিত দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থি।
ছেলে শিশু মনের অসহায়ত্বটাও সুন্দর ব্যখ্যা করেছেন।
বুঝতে পারছিনা, ঐ নরপশু প্রথম নির্যাতন করার পর ঐ বাসায় আপনি আবার খেলতে যাবার সাহস কিভাবে পেয়েছিলেন।
আপনার মায়ের মনের অবস্থার জন্য আমাদের সমাজের মূল্যবোধহীন মানসিকতা দায়ী।
নিজেদের মূল্যবোধ মনে করে আমরা যখন সেক্চুয়্যাল অফেন্সের ভিক্টিমকে দায়ী মনে করে কোনঠাসা করি, সেখানেই আমাদের মূল্যবোধের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
ঐ নরাধমকে খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে পারলে ভালো হতো, শুধু আপনার স্বার্থে নয়. কে জানে আর কতো নিষ্পাপ অসহায় শিশুদের সে শিকার বানিয়েছে। সেক্স অফেন্ডাররা সাধারনত একটি অ্ররাধ বা একজন শিকার নিয়ে সন্তোষ্ট থাকেনা।
আপনার লজ্জা ভয়ের প্রশ্ন আসবে কেনো? যদি কাউকে লজ্জা ভয় পেতেই হয় সেই নরপশু পাবে(যেহেতু এর মানুষের মতো দেখতে হলেও মানুষ নয়, তাই এদের লজ্জাবোধ নেই)... আপনার পরিবার, আপনার আশেপাশের মানুষ যারা আপনাকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলো তারা পাবে।
সব কষ্ট পিছে ফেলে এখন ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। এখন আপনি ভাগ্যবান এমন একজন সঙ্গিনী পেয়ে যিনি আপনার সমব্যথী।
অবশ্যই সময় করে পোস্টগুলো পড়বো ইনশাহআল্লাহ্। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অনেক অনেক ভালো থাকুন সব সময়।
৩৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
-দীপু বলেছেন: মানুষের সাথে আচার ব্যবহারে লেখিকার আরো সচেতনতা কাম্য । ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন, মানবিক গুনাবলিতে নিজেরও ভালো হওয়া উচিত । ৩৫ নাম্বার কমেন্টের রিপ্লাইয়ের আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩
মানবী বলেছেন: মানুষের সাথে আচার ব্যবহারে সচেতনতা প্রয়োজন নিঃসন্দেহে তবে শিশু যৌননির্যাতনের কথা পড়ে যে "হা হা হা" হাসি হাসতে পারে তার সাথে নয়।
সামহয়্যারইন ব্লগে আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার অর্জন একটি শিক্ষা, তা হলো.... "বিকৃত মানসিকতাধারীদের সাথে ভদ্রতা নয়"!
আপনি বলুন কোন জবাবে মানবিকতার ঘাটতি দেখেছেন, কোন পয়েন্টটা অমানবিক এবং কেনো? নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ না করে বায়বীয় দোষারোপ অন্যায়... তাই না?
৩৫ নং মন্তব্যের কোন অংশটা, কি কারনে বুঝতে অসুবিধা হয়েছে সেটা জানালে ব্যখ্যা সম্ভব ছিলো।
ভালো থাকুন -দীপু
৩৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: ৩৫ নাম্বার মন্তব্যের উত্তরের ব্যপারে দীপুর সাথে সহমত। আপনি দীর্ঘদিন ব্লগিং করছেন জেনে ভালো লাগল, তবে শিক্ষার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বুঝাই যায় ।
এভাবে একটা কমেন্টের অংশবিশেষ পড়ে কাওকে "বিকৃত" বলে পাগলের মত গালমন্দ করা , শুধু শুধু ব্যাক্তি আক্রমণ করা মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ (যদি আপনাদের মধ্যে কোন পূর্বশত্রুতা থেকে থাকে তথলে ভিন্ন ব্যপার )। আর তিনি পাল্টা আক্রমণ না করে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। আপনি যাকে বিকৃত বলছেন, তিনি দীর্ঘদিনযাবৎ ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করে যাচ্ছেন, এবং অনেকদিন ধরে ওনাকে চিনি- সুন্দর মানসিকতার ব্যাক্তিত্ব। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে আপনি লোকটি সম্পর্কে না জেনেই তাকে মিসার করে নিয়েছেন, যা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের লোক করবে না।
হয়তো ইসলামের প্রতি ব্যপক ক্ষোভের কারণেও আপনি এমনটা করে থাকতে পারেন । আশা করব, মানুষের প্রতি আচরণে আপনি আরো সংযত হবেন । শুভকামনা ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
মানবী বলেছেন: অবশ্যই পরিচিত, দল বেঁধে যখন এসেছেন একজন বিকৃতমনার সমর্থনে, পরিচয়ের সুত্র ধরেই এসেছেন। শিক্ষার ঘাটতি আছে জেনে ভালো লাগলো, আলহামদুলিল্লাহ।
আপনাদের মতো (?)শিক্ষিত হওয়া থেকে মহান আল্লাহ্ সকলকে রক্ষা করুন এবং আপনাদের হেদায়েত করুন এই প্রার্থনা।
৪০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মাসূদ রানা বলেছেন: আপনি কি বুঝতে পারেন নিতান্ত বিকৃত মানসিকতার অধিকারী নাহলে কেউ শিশু যৌন নির্যাতনের কথা পড়ে "হা হা হা " হাসতে পারেনা?
খাইছে ! শিশু নির্যাতনের খবর শুইনা হাসছি, এই মহান ইনফরমেশনখানা তোমায় কে দিল রে পাগলী
আমি তো হাসছি শিশু নির্যাতন,নারী নির্যাতন সহ সকল প্রকার যৌন নির্যাতনের পিছনের মৌলিক কারণ বাদ দিয়া সেকেন্ডারী কারণ নিয়া তোমাগ দৌড়াঝাপ দেইখা
ইস্কান্দার ভ্রাতা: আমারা ধারণা মানবী নিকটা সম্ভবত আমুর সেই পাগলী ইসলাম বিদ্বেষী নারী ফুলবানু। তার ইসলাম নিয়া পাগলামীর দুচারটা নমুনা পাবেন এইখানে :
view this link
দোয়া করি বইন,আল্লাহ পাক তোমাকে দ্রুত মানসিক সুস্থতা দান করুন ।
৪১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫
-দীপু বলেছেন: উত্তরটা কনভিনসিং লাগে নি। কেউ হাসলেই তাকে বিকৃত বলা যায় না। আর মাসুদ রানা উপরের কমেন্টে ক্লিয়ারিফাই করেছেন তিনি শিশুদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় হাসেন নি । এখন কি বলবেন ?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
মানবী বলেছেন: আপনার আগেমর মন্তব্যের জবাবের প্রশ্ন কোনটার জবাব না দিয়ে আবারও হাস্যকর প্রশ্ন করছেন তাই আপনার কনভিনসিং মনে হওয়াটা মোটেও জরুরী নয় এখন তা স্পষ্ট!
ইচ্ছে করে জল ঘোলা করতে চাইলে করুন, ইতরামী টা সমর্থন করে নিজের অবস্থানটা্ স্পষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
৪২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
প্রামানিক বলেছেন: এই বিকৃত মানসিকতার লোকদের মাঝে সচেতনতা ফিরে না এলে এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
মানবী বলেছেন: সহমত, ধন্যবাদ প্রামানিক।
সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র!
ভালো থাকুন।
৪৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪
তার আর পর নেই… বলেছেন: এগুলো নিয়ে আরো সচেতনতা দরকার আছে। আমি নিজেই দেখেছি বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষণ, সেই মেয়ে ভয়ে কাউকে বলেনি। আমার বোনকে কসম খাইয়ে বলেছিল, কাউকে যেন না বলে।
এরকম অনেক ঘটনা দেখেছি।
এখানে আরো একটা ব্যাপার ,মেয়ে বাচ্চাদের কখনো পুরুষদের কাছাকাছি যাওয়া ঠিক নয়। আমার কাছে একজন জানতে চেয়েছিল, ক্লাস ফোরে পড়া মেয়েকে (পরিচিত) কোলে নেওয়াতে (গাড়িতে) তার বাজে অনুভূতি হয়েছিল।
প্রত্যেকটা মেয়ের মনে হয় এরকম বাজে অনুভূতি আছে। যেটা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে বোঝাতে পারি।
ভাল লাগা রইলো।
শুভকামনা ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪
মানবী বলেছেন: দুঃকজনক।
কাউ্কে না বলতে পারাটাই এধরনের সমস্যাকে আরো জটীল ও ভয়ংকর করে তুলে। আবার অধিকাংশ বাবারাই যেহেতু দেবতুল্য, আমাদের দেশের মানুষ সহজে কোন মেয়ের এধরনের অ্যিযোগ মানতে চাইবেনা।
এই অন্ধ বিশহবাস ভাঙ্গা সম্ভব নাহলে ধর্ষিতা শিশু কিশোরীদের রক্ষা সম্ভব নয় আর তাই প্রয়োজন এবিষয়ে আরো অনেক অনেক আলোচনা, প্রচার আর সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ তার আর পর নেই...
অনেক ভালো থাকুন।
৪৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: অনেকদিন আপনাকে দেখছিনা।
অবশ্য আমিও মাঝে মাঝে নাই হয়ে যাই- সাময়িক এই হারিয়ে যাওয়ার মধ্যেও একটা আনন্দ আছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪
মানবী বলেছেন: আসলে তেমন কোন আনন্দের খোঁজে নয়, প্রচন্ড ব্যস্ততা আর কঠিন বাস্তবতার কারনেই অনুপস্থিতি। ব্লগিং এর প্রায় শুরু থেকেই আমার এমন নিয়মিত অনুপস্থিতি যদিও এবার অনেকবার ব্লগে আসার কথা ভেবেও সময় হয়ে উঠেনি :-)
আমার মতো বিস্মৃত ব্লগারকে স্মরন করে খোঁজ নিয়েছেন সেজন আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সব সময় অনেক অনেক ভালো থাকুন শামছুল ইসলাম।
৪৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
কালীদাস বলেছেন: জরুরি একটা লেখা। ধন্যবাদ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
মানবী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কালীদাস।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৪৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: অত্যন্ত দরকারি একটি পোস্ট।প্রত্যেকটি অভিভাবকের জন্য পাথেয়। ধন্যবাদ মূল্যবান পোস্টির জন্য।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
মানবী বলেছেন: আপনি ব্লগে জয়েন করেই এই পোস্টটিতে মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ Hafiz Bin Shamsi। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
৪৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
রাজসোহান বলেছেন: কেমন আছেন মানবী আপু?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
মানবী বলেছেন: ওহ! 'পুত্তুম পিলাচ' ভাইয়া!!!!!!!! :-)
আলহামদুলিল্লাহ আ'লা কু'ল্লি হা'ল।
আপনি ভালো ছিলেন, ভালো আছেন আশা করি ভাইয়া।
খোঁজ নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে একটা প্রশ্ন, বাল্যবিবাহ নিয়ে আপনার মতামত কি?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯
মানবী বলেছেন: বর্তমানে একটি অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক এবং অস্বাস্থ্যকর প্রথা যা অবিলম্বে বিলুপ্ত করা জরুরী
৪৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তা হলে সেটা নিয়েও কিছু লেখা লেখি করুন। কারন এখানে। বাকিটা আপনার বিবেচনা!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩
মানবী বলেছেন: আমার লেখালেখির ক্ষমতা তেমন নেই তারপরও সময় করে চেষ্টা করবো ইনশা্হআল্লাহ!
এ বিষয়ে ব্লগে বেশ কিছু পোস্ট এসেছে মনে হয়, দুঃখজনক হলেও সত্য পক্ষে ও বিপক্ষে দুধরনেরই!
এখানের এই প্রথার সমর্থনে এক অদ্ভুত পোস্টে কিছু আলোচনা হয়েছিলো!!!
ভালো থাকুন।
৫০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৯
প্রীতম বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই অতি প্রয়োজনীয় এবং অধিক তথ্যমুলক লেখার জন্য।
আপনার লেখার আগা-গোড়া পরে নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছি, পেরেছি কিছু জানা বিষয়গুলো নতুন করে উপলব্ধি করতে।
আর মনের ভেতর তৈরী হয়েছে কিছু প্রশ্নও।
আমার ১০ এবং ১৪ বছরের দুই ছেলে (৫ম শ্রেণী, ৮ম শ্রেণী)। আমি ছোট ব্যবসা করি, আমার স্ত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমরা দুজনেই সকাল নটায় কাজে বেড়িয়ে যাই আর ফিরি সন্ধ্যায়। ছেলেদের স্কুলের আসা যাবার সময় আমাদের সাথে প্রায় মেলে না। সেক্ষেত্রে তাদের কেউ একজন অথবা দুজনই মাঝে মাঝে বাসায় দীর্ঘ সময় একা থাকে। আমার বাসায় আর কেউ নেই।
এমতাবস্থায় ছেলেদেরকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
আপনি যে সকল সতর্কতার কথা বলেছেন আমার ক্ষেত্রে সেগুলোর পাশাপাশি আরো কিছু পরামর্শের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।
আর আমার মতো পরিবারের সংখ্যা অনেক।
আমাদের মতো পরিবারগুলোর জন্য আপনার/আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
সুন্দর এবং জরুরী লেখার জন্য আবারো খুব খুব ধন্যবাদ আর শ্রদ্ধা জানাই আপনাকে।
ভালো থাকবেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬
মানবী বলেছেন: অত্যন্ত বিনীতভাবে জানাতে চাই আমি এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ কেউ নই তারপরও সামান্য কিছু জানা থেকে যা মনে হয় আপনার ক্ষেত্রে সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আর বিশহবাসের সম্পর্ক গড়ে তোলা সবচেয়ে জরুরী।
ওরা দুজন বা একজন যখন আপনাদের ছাড়া বাসায় থাকে তখন তাদের সাথে আর থাকে তা যেহেতু জানা নেই তাই খুব বেশি কিছু বলতে পারছিনা। সম্পূর্ণ একা(কোন আত্মীয় বা গৃহকর্মী ছাড়া) ১০ বছরের সন্তান একা থাকা মনে হয় সব দিক থেকে অনিরাপদ।
আপনি বিশেষ করে আপনার স্ত্রী যদি তাদের সাথে একান্তে সময় কাটিয়ে আপনাদের ছাড়া সময়টার বর্ণনা প্রতিদিন জেনে নেন তা বেশ কার্যকর মনে হয়। সবচেয়ে জরুরী যে সময়টা আপনাদের ছাড়া ওদের একা থাকার কথা তেমন সময় কর্মক্ষেত্রে কোন ভাবে ম্যানেজ করে হঠাৎ হঠাৎ আপনি বা আপনার স্ত্রী কাউকে না জানিয়ে বাসায় চলে যাওয়া তা সাময়িক ভাবে হলেও।
এতে আপনাদের অবর্তমানে বাসায় কি হয় যেমন জানা সম্ভব তেমনি সন্তানরাও জানবে মা বাবা যেকোন সময় বাসায় আসতে পারে সেক্ষেত্রে তাঁদের অপছন্দের কোন কাজ না করা ভালো।
সবচেয়ে ভালো হয় কোন বিশ্বস্ত আত্মীয়কে এনে রাখা। আমাদের সকলের কম বেশি দরিদ্র অভাবগ্রস্থ আত্মীয় আছেন, তাঁদের কাউকে সন্মানের সাথে কাছে এনে রাখলে উভয়পক্ষ উপকৃত হতে পারেন।
তেমন কোন কার্যকর সমাধান দিতে না পারায় দুঃখিত! আপনার সন্তানদের সুদ্ধ, সুন্দর, উজ্জল নিরাপদ ভবিষ্যতের শুভকামনা রইলো।
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রীতম, অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৫১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২২
arman babu বলেছেন: গরিব হওয়াটা কি দোষ বন্ধুরা?আমি এমন এক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি যে সেখানে ছোট থেকেই শুধু অভাব অনোটন লেগেই আছে। এমন ও দিন গেছে টানা দুই তিন দিন খেয়ে কেটে গেছে। আমাদের এলাকার সবাই একটু ভালো প্রজিশনে তাই তাদের ছেলে মেয়েরা আমাদের সাথে মিশতো না। কষ্ট পেতাম যখন এ গুলো বুঝতাম এখনও কষ্ট পাই। আমরাতো গরিব তাই আমাদের খেলায়ও নেয় না। যারা আমাদের মত ঐ রকম কয়জনের সাথে বসে থাকতাম কারন আমাদের তো আর বল কিনার টাকা নাই। পড়ালেখা করতাম এখনও করি। এখন দুইটা প্রাইভেট পড়াই আর কাজ টাজ করে পড়ালেখার খরচ টা কোনো রকম চলে, কিন্তু আমার যে আরো দুটি ভাই বোন পড়ে তাদের খরচ কে চালাবে কারন তারাও উপরের ক্লাসের বোন inter 1st year final exam দিছে আর ভাই নবম শ্রেনিতে।আমরা ভাত খেতেই কষ্ট গয় তার উপর তিনজনের পড়া। তাই আজ ১৯ এপ্রিল সিন্ধান্ত নিলাম পড়ালেখা ছেড়ে দিবো,,, কাজ করবো ভাই বোনের পড়াটা চালাবো,,,কারন আমাদের মত গরিব কে সাহায্যে করবে????আমরা গরিব এটা আমাদের দোষ না তাই আমাদের ঘৃনা করার আগে একটু ভেবো আমরাও মানুষ। পরে অন্যে পোষ্ট করবো কিন্তু প্রথমেই আমার অবস্থান বুঝালাম।তবে আমার একটা ভালো বন্ধু আছে সে যতটুকু পেরেছে সাহায্যে করেছে,,, এই মোবাইল টা ও তার দেওয়া, ওরা এখন ঢাকাতে। আল্লাহ ওর ভালো করুক.।অবশ্যক আজ থেকে ১ ববছর বা ৭ মমাস আগে কেউ একজন আমায় সাহায্যে করতে চেয়েছে কিন্তু ছোট একটা ভুল এ আর সাহায্যে করে নাই। আসলে ভাগ্য টাই খারাপ। তাহলে কি আর গরিব হতাম। ধন্যবাদ ভাই তোমাকে সে যেই হোক। খুব কষ্টে আছি আমি এবং আমার পরিবার। আল্লাহ একটুদোয়া করো আমাদের
৫২| ০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
রাঙা মীয়া বলেছেন: ইস্কান্দার মীর্যা @ ইসলামের প্রতি লেখকের ক্ষোভটা কোথায় দেখলেন ? আমি তো বলব ভিন্নমতের ব্লগার হওয়ার জন্য আপনি আজাইরা ট্যাগ দিচ্ছেন
৫৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৯
সোহানী বলেছেন: শিশু নির্যাতনের উপর আমি অনেকদিন ধরেই লিখে যাচ্ছি। ভালো লাগলো আপনার লিখা পড়ে, একই সতর্কতা আমি ও বলেছিলাম আমার লিখায়... লিখার লিংক,
আপনার শিশু সন্তানকে কিভাবে বাচাঁবেন নরপশুদের হাত থেকে !!!!!
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩১
মানবী বলেছেন: শিশু নির্যাতনের উপর লিখেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ব্লগে ভীষণভাবে অনিয়মিত হবার কারনে হয়তো আমার চোখ এড়িয়ে গেছে নাহলে এই বিষয়ে সকল লেখায় মন্তব্যের চেষ্টা করি।
এটা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে কোন লেখা যথেষ্ট নয়, নিয়মিত ভাবে এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সকলকে সচেতনা করা জরুরী।
সময় করে অবশ্যই আপনার পোস্টটি পড়বো। মন্তব্যে আর লিংক শেয়ারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সোহানী।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৫৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
শিপন মোল্লা বলেছেন: ধর্ষণের সাজা প্রকাশে কল্লা নামিয়ে দেওয়া হোক কিংবা ধর্ষকের লিঙ্গ কেটে নেওয়া হোক আমি শতভাগ নিশ্চিত ধর্ষণ বলতে আমাদের সমাজে কিছুই থাকবে না।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
মানবী বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি এতো দেরীতে দেখার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!
মন্তব্যের সাথে সহমত। দু একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে অন্তঃত আমাদের দেশে এই অপরাধ নিমেষে প্রায় শুন্য করে আনা সম্ভব।
আন্তরিক ধন্যবাদ শিপন মোল্লা।
অনেক ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
শায়মা বলেছেন: ১. প্রতিটি মা বাবার উচিত নিয়মিত ভাবে সন্তানের কাছে তাদের প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
২. শিশুদের কখনও কোন আত্মীয় বা অনাত্মীয় পুরুষের কাছে একা রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যাওয়া অণুচিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন বাবা মায়ের পক্ষে বিশ্বাস করা সম্ভব নয় যে তার নিজের ভাই, বাবা বা চাচা মামা এমন কাজ করতে পারে; অথচ নির্মম সত্য হলো শিশু নির্যাতনের বড় একটি অংশ ঘটে শিশুর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজনের লালসায়।
৩. শিশুদের মাঝে এই আস্থা গড়ে উঠা জরুরী যে তারা তাদের সকল কথা মা বাবা, বিশেষ করে মা বা নানি, খালা ফুপুর সাথে শেয়ার করতে পারবে। একজন আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিশু নির্যাতন রুখে দিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
৪. মনে রাখা জরুরী, শিশুদের মনে হাজার কল্পণা খেলা করলেও যৌন বিকৃতি শিশুতোষ কল্পণা নয়, তাই কখনও এধরনের কোন ঘটনা এমনকি ইংগিত দিয়ে সন্তান কিছু জানালে তা সিরিয়াসলি নিয়ে প্রতিকার করা উচিৎ!
৫. দেশ জাতি নির্বিশেষে শুধু পেডোফাইল বা শিশু যৌণনির্যাতক নয়, যেকোন যৌন বিকারগ্রস্থ অপরাধীর বসচেয়ে বড় ক্ষমতা থাকে তারা ভিকটিম দের বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়, নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে কেউ বিশ্বাস করবেনা অথবা ভিকটিমের মা বাবা পরিবারকে সে হত্যা করবে। আর তাই মা বাবা, বিশেষ করে মায়ের উচিৎ সন্তানকে জানানো পৃথিবীর সকল কিছুর চেয়ে সে মায়ের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেকেই আছে। এটা জানলে, শিশুরা মা বাবাকে খোলাখুলি অনেক কিছু নির্দ্বিধায় জানাতে পারে।
৬. গোপনীয়তা রক্ষা অত্যন্ত জরুরী। কখনও কোন শিশু বিশ্বাস করে কোন ঘটনা, তা শুধু যৌন নির্যাতন নয় এমনকি মজার কোন ঘটনা জানালে তা নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা বা হাস্যরস করলে অনেক ক্ষেত্রে তা শিশুদের আস্থা নষ্ট করে। কোন মজার ঘটনা শেয়ার করতে চাইলে তা অনুমতি নিয়ে অথবা শিশুর আড়ালে আলোচনা করা যায়।
৭. প্রতিটি মায়ের উচিৎ সন্তান বয়ঃপ্রাপ্ত হবার আগে পর্যন্ত মাঝে মাঝে তার পোশাক পড়িয়ে দেয়া বা গোসল করানো, এতে সন্তানদের শরীরে কোন অস্বাভাবিক ক্ষত চিহ্ন বা ব্যথার স্থান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
৮. বয়ঃপ্রাপ্ত বা পিউবারিটি মানেই সন্তান পেডোফাইল শকুনের থেকে নিরাপদ এমন নয়, আর তাই তাদের সাথে নিয়মিত ভাবে আলোচনা, প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা আন্তরিক ভাবে আলোচনা জরুরী। এধরনের আলোচনা শুধু শিশু যৌন নির্যাতন নয়, মাদকাসক্তি, অসৎ সঙ্গ আর বখে যাওয়া থেকেও সন্তানদের রক্ষা করতে পারে।
৯. শিশু নির্যাতন রুখে দিতে শিশুদের প্রস্তুত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ৪/৫ বছর বয়স থেকে কিছু বিশেষ ব্যাপারে অবগত ও সতর্ক করা জরুরী---
ক) আগন্তুকদের সাথে কথা না বলা বা তাদের সাথে কোথাও না যাওয়া। যেনো সর্বক্ষণ ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে না থাকে সেকারনে কোমলমতি শিশুদের জানানো জরুরী পৃথিবী অত্যন্ত সুন্দর স্থান, এখানে অধিকাংশ মানুষ ভালো। তবে এসব ভালো মানুষদের মাঝে গুটিকয়েক দুষ্ট লোক মিশে আছে বিধায় সাবধান হওয়া জরুরী।
খ) শিশুদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থান সম্পর্কে তাদের অবগত করা উচিৎ। শরীরের প্রাইভেট পার্ট বা স্পর্শকাতর স্থান( বুক, গোপনাঙ্গ, উরু, নিতম্ব) কেউ ছোঁয়ার অধিকার রাখেনা। কেউ কখনও এসব স্থানে তাদের স্পর্শ করলে তা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং তা সাথে সাথে মাকে জানানো জরুরী।
গ) কোন ব্যক্তি তাদের জোড় করে কোলে নিলে বা প্রাইভেট পার্টে স্পর্শ করলে সাথে সাথে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে হবে। জোড় করে কোলে নিতে চাইলে চিৎকার করার সাথে সাথে খামচি, কামড় দিয়ে হাত পা ছুঁড়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ঘ) শিশুদের নিজের স্পর্শকাতর স্থানের সাথে সাথে নির্যাতকের স্পর্শকাতর স্থানটি সম্পর্কেও অবগত করা জরুরী। এমন অগুনিত উদাহরন আছে যেখানে পেডোফাইল শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করা বা জোড় করে তুলে নিতে চাইলে, শিশু তার সর্ব শক্তিদিয়ে পেডোফাইলের গোপনাঙ্গে সজোড়ে আঘাত করে আত্মরক্ষা করেছে।
ঙ) প্রতিটি শিশুকে জানিয়ে দেয়া জরুরী তাদের যেকোন সমস্যার কথা তারা তাদের বাবা মা, বিশেষ করে মাকে নির্দ্বিধায় জানাতে পারে এবং তাদের কথা তাঁরা বিশ্বাস করে।
১০. একজন যৌন নির্যাতকের আদর্শ ভিকটিম সেই শিশু যাদের মা বাবা সন্তানের ব্যাপারে উদাসীন। শিশু যৌন নির্যাতক সাধারনত সময় নিয়ে ভিকটিম নির্ধারন করে, সেসব ক্ষেত্রে তারা দেখে যেসব বাবা মায়েরা সন্তানদের তেমন সময় দেয়না, বাইরে বের হলে সন্তানের দিকে তেমন লক্ষ্য রাখেনা বা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো সন্তানকে যার তার কাছে রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যায়, অথবা ঘরে থেকেও নিজেকে নিয়ে বা টিভি, আড্ডা নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের সন্তানরা আদর্শ ভিকটিম। তাই সন্তানদের সময় দেয়া জরুরী, সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের মনোযোগ ভীষণ ভীযণ গুরুত্বপূর্ণ।
এই কথাগুলিই প্রতিটা বাবা মাকে সব সময় মনে রাখতে হবে ।