![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো। অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায় অনায়াসে সম্মতি দিয়ো না। কেননা সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়, তারা আর কিছুই করে না, তারা আত্মবিনাশের পথ পরিষ্কার করে" - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
শহীদ রুমী স্কোয়াডের অনশনের ৬২ ঘন্টা পার হল । এই ৬২ ঘন্টার মধ্যে আমরা অনেক অনেক বাধার সম্মুখিন হয়েছি ,হচ্ছি। আমাদের নিয়ে চালানো হচ্ছে নানা রকম অপপ্রচার , আমাদের অনশন মুল্যহীন , আমরা নিজেদের দল দার করানোর জন্য এমন অনশন করছি , আমাদের ভেতর রয়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনীর ছেলে ,আমাদের খবর এখনো কোন নিউজে হেডলাইন হয়ে আসে নাই ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আমাদের অনশনকে প্রত্যাহার করার জন্যও বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছে । কিন্তু আমাদের দলের রুমীরা নির্ভিক । তারা সকল বাধাকে উপেক্ষা করে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে ।
অহিংসভাবে সর্বোচ্চ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ১৭ জন রুমী । গত ২৬শে মার্চ ছিল জামায়াত -শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটামের শেষ দিন । ২৫শে মার্চ সকাল বেলাতেই আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখে ছিলাম যদি ২৬ তারিখে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে আশানুরূপ কর্মসূচী না আসে আমরা নিজেরাই নিজেদের মৃত্যু হাতে তুলে নিব ।
মাথার উপরে সূর্যের প্রখর রোদ , ভ্যাপসা গরম , ভলান্টিয়ারের সঙ্কট , তার উপর সাংবাদিক দের সাথে কথা বলা । সবই করছি আমরা নিজেরা ।
দেশের প্রতি যত টুকু ভালোবাসা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করতে গিয়েছিল একাত্তরে ;যার পুরস্কার হিসেবে ছিল কেবল স্বাধীনতা । আজকে আমাদের রুমীরাও দেশের প্রতি সেই তীব্র ভালোবাসা অনুভব করে নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করে , ভার্চুয়াল ভালোবাসাকে পিছনে ফেলে এসে , ভবিষ্যতের চিন্তা না করে , নিতসার্থ ভাবে আমরণ অণশণে বসেছেন ।
দীর্ঘ তিন মাস যাবত গণজাগরন মঞ্চের প্রতিটি ডাকে আমরা এক থেকেছি এখনো আছি । খেয়ে না খেয়ে আমরা গত ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে আমরা সংগ্রাম করে আসছি , শ্লোগান দিয়ে আসছি , বিভিন্ন স্থানে জনমত গড়তে অনেক অনেক ছুটে বেরিয়েছি । তাই আমাদের শরীরের অবস্থা কেমন তা যে কেউ আন্দাজ করতে পারেন । সেই ভেঙ্গে পরা শরীর নিয়েই ২৭ তারিখ রাত সারে ১০ টা থেকে আবার অনশন শুরু করে দেয় রুমী স্কোয়াডের সাত তরুণ যোদ্ধা ।
আমরা ধীরে ধীরে মৃত্যুর দুয়ারে এগিয়ে যাচ্ছি । জানিনা আমাদের দাবী কবে মেনে নিবে সরকার পক্ষের লোকেরা । এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে সরকার পক্ষের কোন প্রতিনিধি আসে নাই দেখা করতে । কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্যে অনড় । আমাদের কাবু করতে পারবে না কোন অশুভ শক্তি । ভেঙ্গে পরা শরীর নিয়ে অনশনে বসে যেতে আমরা পিছপা হইনি । তেমনি ভাবে এখন যেমন আমাদের অনশনকারীরা হাসপাতালের বেডে জায়গা করে নিচ্ছেন তাতেও আমরা ভয় পাচ্ছি না ।
"কোন দেশই জীবিত যোদ্ধা চায় না " শহীদ রুমী'র এই কথা মাথায় রেখেই আমরা এই যুদ্ধে নেমেছি ।
আমাদের ভেতর কয়েকজনের অবস্থা খুব বেগতিক । মানিক সুত্রধর ইতোমধ্যে বার্ডেম হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন । বাকি ছেলে গুলোও ইতিমধ্যে নেতিয়ে পরেছে ।
আমাদের শরীরের শক্তি ধীরে ধীরে কমে আসছে আর মনের শক্তি কেবল বেরেই চলেছে । আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে অনেক অনেক সাধারণ মানুষ আর অনেক অনেক সংগঠন । আজ রাত ১২টা থেকে কাল রাত ১২টা পর্যন্ত ২৮টি সংগঠন একত্রিত ভাবে আমাদের সাথে অনশনে যোগদেবেন বলে কথা দিয়েছেন ।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০০
ইমোশন বলেছেন: আপনাদের প্রতি সহস্র সালাম ।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন: "কোন দেশই জীবিত যোদ্ধা চায় না " শহীদ রুমী'র এই কথা মাথায় রেখেই আমরা এই যুদ্ধে নেমেছি ।
স্যালুট কমরেডস !
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: অন্তর থেকে স্যালুট জানাই আপনাদের .....
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
বেপারিবাজ বলেছেন: আপনারা চালিয়ে যান। শুভ কামনা রইল।
চটী পিয়াল বলল আপনাদের সাথে নাকি বজলুল হুদার ছেলে আছে। অথচ কাল বজলুল হুদার বোন নিজে বললেন এই নামে বজলুল হুদার কোন ছেলেই নাই। এখন বুঝুন গাঞ্জা খেয়ে ওরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আন্দোলনের লাগাম হাত ছুটে যাচ্ছে, তাদের আর্থিক ফায়দার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখেই ওরা অপপ্রচার করতেছে।