নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প নয় সত্যি

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৮



Universtiy-এর গ্র্যাজুয়েশন শেষে বন্ধুরা মিলে চিন্তে করলাম কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরে থেকে বের হয়ে আসি । এই প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সমস্ত প্রস্তুতির মধ্য সব-সময়ই একটা সমস্যা দেখা দেয় এটা আজকের নয় শুধু অনেক আগের । সমস্যা হলো তরলা । তরলার বাবা ঢাকার বাইরে গেছে কাজে ,বাসায় ছোট ভাই আর ওর মা । আমরা সবাই যেয়ে আংটিকে বললাম মানে তরলার মাকে –সেতো রাজি হয় ,হয় না ।
তরলাতো রীতিমত কান্না –কাটি শুরু করে দিল বে-বে করে । আমরা জানি-তরলা একটু অভিনয় বেশিই করে থাকে।ওর মা মেয়ের অশ্রুতে কষ্ট পেয়ে রাজি হয়ে যায় ।
এরপর আমরা যাত্রা শুরু করি বান্দরবন ।আহ অনেকদিন পর শুভ্রকোন পরিবেশে যাবো-এ ভেবেই মনটা ভালো হয়ে যায় । চট্টগ্রাম পযন্ত আমরা ট্রেনে গেলাম তারপর বাসে ।২০জনের অমায়িক একট্রা যাত্রা দিচ্ছিলাম,কবিতা –গান,গল্প, কোন-ফ্রেন্ড আরেক ফ্রেন্ডের গোপন তথ্য প্রকাশ করে দিয়ে বিপদে ফেলে দিচ্ছিলাম। আমরা যেয়ে পৌচ্ছালাম বান্দরবন,-হোটেল ঠিক হলো । প্রথমদিন খুব মজা করে ঘুরলাম।রাতে ড্রিংস করে সবাই মাতাল হয়ে পড়ে থাকে উঠতে উঠতে দুপুর ১২টা বেজে যায় । আমি সকাল বেলাই উঠে রাস্তা-ঘাটে পায়চারি করতে থাকি । রাস্তায় হাটতে যেয়ে এমন একটা বিষয় দেখলাম! যা দেখে আমার মাথা –ঘুরছিল! ওখানে এক বিন্দুও অপেক্ষা করা আমাদের জন্য উচিত হবে না বুঝতে পারলাম।(সে ঘটনায় পরে আসবো ।)

হোটেলে এসে ১০টার মধ্য সবাইকে ডেকে তুললাম এবং বললাম- বান্দরবন আর থাকবো না। আমরা সেন্টমার্টিন যাবো । আমার এই কথায় সবাইতো দেখি আমাকে পেটাতে আসে!আমি কি ওদের চেয়ে বেশি মাতাল হলাম ?। অনেক রিকুয়েষ্টও কাজ হয় না।সবাই বলে তুই না থাকতে চাইলে চলে যা, কেউ বলে এত যখন জোরাজুরি করছিস তুই সব বহন করিস,কেউ বলে মাত্র তো একটিদন হলে এক হপ্তাও তো এই বান্দরবন শেষ হবে না।আমার জেদ-ও জুরাজুরির ফলে ওদের কে নিয়ে সেন্ট –মার্টিন যেতে সক্ষম হলাম। আর ওরা আমাকে সারাক্ষন গালি-গালাজ করেছে ,এখনো করে । পুরো টুর –টাই নাকি আমি মাটি করে দিছিলাম। কিন্তু ওদের কাউকে বলতে পারিনি ওখান থেকে কেন এলাম। সেটা সম্ভব হয়নি তখন । তবে আজ বলবো তার কথা । কেন পালিয়ে আসলাম ওখান থেকে।

গত ১২ই সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে এক দৈনিক নিউজে খবর বের হয়েছিল।মেডিকেলে শিক্ষকের হাতে ছাত্রীর যৌর্ন নিযার্তন। আর সেটা ছিল তরলার বাবা যাকে বান্দরবন দু’জন নারীর সাথে দেখেছি খুব অন্তরঙ্গ মুর্হুতে তার পাশে যেয়ে কিছু বলিনি।ওখানে থাকলে কারো না কারো নজরে আসতো এতে তরলাদের সাংসারটাই হয়তো জ্বলে যেত! আমি ছোট মানুষ অত কিছু ভাবিনি- সবার অপমানের বুঝা গাঢ়ে নিয়ে সবাইকে সেন্টমার্টিন নিয়ে আসলাম মিথ্যা বলে কয়ে । ভেবেছিলাম তরলাতো আর জানতে পারলো না । এখন দেখি একটা অন্যায় দেখে মুখ বুজে রাখলে আরেকটা অন্যায় সৃষ্টি হয় আর এখন তরলাদের যা অবস্থা এটা শুরু হতো দু’বছর আগে ।
আমরা সম্ভবত পালিয়েই –লুকিয়েই ঐ-সব অভিসার গুলো সেরে ফেলি ।প্রকাশ পেলে জিরো আর প্রকাশ না পেলে হিরো ।

( মানুষ আজিজ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.