নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

The band and belle of Marlboro town

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

সেবার ছিল ভাদ্রকাল , রেলট্রেন ৬ ঘন্টা জার্নি করে, দু ঘন্টা পথ হেটেঁ মৌনতাদের বাসায় পৌচ্ছাতে পৌচ্ছাতে প্রায় সন্ধে হয়ে গেল । যখন ওদের উঠনের কাছে আসলাম-,শুনলাম মেহেদী গাছের ভেতর থেকে ঝিঝি ডাকছে । ভাদ্রের শেষ সন্ধেয় ব্যাঙের প্রতিধ্বনি আসতে যেন কোথা থেকে আর আকাশে কালো মেঘের ছড়া,ছড়ি যে কোন সময় বৃষ্টির জল আঘাত হানবে মানবজনীনে ।

বাসায় বাইরে কাউকে খুজেঁ পেলাম না হয়তো মৌনতার মা কারো বাসায় গপ্পো করতে গেছে । মৌনতার ঘরের দরজা খুলাই ছিল, ধীরে ধীরে ওর ঘরের ভেতর ঢুকে ওর খাটের পাশে বসলাম ,তখন বুঝলাম মৌনতাই ঘুমিয়ে আছে কাথাঁ দিয়ে খুব ছোট্ট হয়ে গুটিয়ে । ঘরের দরজা দিয়ে সন্ধের যতটুকু আলো ঢুকছিলো তাদিয়ে শুধু মৌনতার মুখের আকৃতি দেখলাম ।

কিছুক্ষন মৌনতার নিরব মুখশ্রী দেখে ওর পড়ার টেবিলে বসলাম ।মোবাইলে লাইট জ্বেলে টেবিলে -ওর ডাইরীতে লেখা দেখলাম-
"The band and belle of Marlboro town,
are sounding loud on the moring air,
Ringin above the over there "

এমন সময় আলো জ্বালিয়ে মৌনতার মা ঘরে প্রবেশ করলো । টেবিলে আলো রাখতেই হতচকিয়ে উঠলো! আমাকে দিকে তাকিয়ে বললো- কখন এলে তুমি?

এইতো মাএই এলাম । মৌনতা তো ঘুমুচ্ছে ও ঘুমাক । সম্ভবত মৌনতা ঘরে আলোর দেখতে পেয়ে জ্বেগে উঠলো , আমাকে দেখতে পেয়ে মৌনতা বললো কখন এলে তুমি? আসলে তাহলে? আমি বললাম- এলাম, আমি তো আসতামই একটু চাপছিল কাজের তাই ।
মৌনতার মা আলো রেখে চলে গেল । আমি মৌনতার দিকে তাকিয়ে বললুম-আজ,কাল কি বেশি ঘুমুচ্ছো? চোখ মুখ ফুলে উঠেছে যে?
মৌনতা আস্তে আস্তে বললো- ঘুমইতো এখন আমার কাজ এ ছাড়া আর কি । কিছুক্ষন নীরব থেকে মৌনতা বললো- জানো, আজ দুপুরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল, বিদুৎতিক তার ছিড়ে গেছে, আজ নাকি বিদুৎ আসবে না । মৌনতাকে আসস্থ করে বললাম- হুম এখনো আকাশে ছাই রঙ লেগে আছে যে কোন সময় আবার বৃষ্টি নামতে পারে ।

মৌনতা বিছানা থেকে নিচে নামতে চেস্ট্রা করতেছে । আমি বললাম- নেমে না কি লাগবে বলো? আমি এনে দিই । মৌনতা একটু হেসে বললো- আলমারী থেকে একসেট জামা দাও তাহলে , কাপড়টা বদলিয়ে নিই ।

মৌনতাকে কাপড় বের করে দিলাম ,মৌনতা আমার সামনেই কাপড় পরিবর্তন করতেছিল । ওর সংকোচ বোধ করার কোন কারন নেই আমার সামনে । ওর শরীরটা দেখলাম কেমন জানি শুকিয়ে ভাজ পড়ে গেল, শরীরে থুবড়ে থুবড়ে অবস্থা , স্তনটা এতই শুকনো মনে হলো যেন ব্লাউজ না পড়লেই হয় । আমি কাছে যেয়ে বললাম- মৌনতা আমি পড়িয়ে দিই । মৌনতা মিষ্টি হেসে বললো -দাও ।
তারপর মৌনতাকে সাজাতে বসলাম-ওর কাপড় পড়িয়ে দিলাম । মুখে কসমেটির্কস দিলাম, আইব্রো,লিপস্টিক সব দিয়ে ওকে সাজালাম । সব শেষে মৌনতার ঠুটে আলতো করে চুমু ।
ঐ রাত , সারারাত মৌনতার সাথেই ছিলাম । সারা রাত আমি আর মৌনতা অনেক গল্প করলাম , আমার গল্পের পান্ডলিপি ওকে দিলাম । ও আমাকে গল্প শুনালো । পরদিন বিকেলে চলে এলাম মৌনতাকে ছেড়ে, আর ওদের বাড়ি হয়তো আসা হবে না ! ফোনে কথা হবে ওর সাথে । আসার সময় মৌনতা আমাকে একটি লালরুমাল উপহার দিল, আমি রুমালে চুমু খেলাম । মৌনতা শেষ কথাটি বললো- জানো, এতিদিন শুধু বলতাম মৃত্যুটা ঘনিয়ে আসে না কেন? আজ না খুব বাচঁতে মন চাচ্ছে ।
মৌনতাকে বুঝালাম-তুমি যতদিন বেচেঁ আছো আমারই তো । অন্যকারো নও । মৌনতার চোখের নিচে দু'ফুটো জল জমে আছে ।
আমি চলে গেলাম রিকশা করে স্ট্রেশন পযর্ন্ত যতদুর দেখা যায় নীল মৌনতা তাকিয়েই ছিল আমার দিকে । ওর কথা ভাবতে ভাতবেই আমার চোখে জল এসে গেল ।

পুনশ্চ

মৌনতার সাথে আমার পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়েছিল । কিছুদিন পরই ওর ক্যান্স্যার ধরা পরে, ও মানুষিক ভাবে খুব ভেঙ্গে পড়ে । আমার সাথে দেখা করতে চায়, আমি সময় করে ওদের বাড়ি গেলাম । ভালোবাসা তৈরী হতেই ভালোবাসার মৃত্যু , অল্প পরিচয়েই ও এত কাছের হয়ে গেছিল যা কখনো ভুলবো না । সারা রাত ওর পাশে ছিলাম ওর মা-বাবা কিছু্ই বলেনি, ওর অসুস্থ না হলে তো পৃথিবীতে আমারই হতো । ফিরে আসার সময় মৌনতার কাছ থেকে --ভালোবাসা নিয়ে আসলা,গল্প নিয়ে আসলা,কোন মানবীর স্বপ্ন নিয়ে আসলাম,ইচ্ছে নিয়ে আসলাম । মৌনতাকে কোনদিন ভুলতে পারবো না । একরাত্রিতে পুরো একজীবন পেলাম ওর কাছ থেকে ।
ভালো থেকে মৌনতা ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

মানুষ আজিজ১ বলেছেন: প্রামানিক, ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.