নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা বেশ আছি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

নিমা নামের এক মেয়ে আমাদের বাসায় কাজে এসেছিল । ও আমাদের চেয়ে বয়সে বড়ই ছিল, ওকে আমরা নিমাদিই ডাকতাম । আমাদের সমস্ত কাজ ও করেদিত । মা যেন একটু আয়েশ পেল ওকে পেয়ে ।

ওর কাজ কর্মে আমরা এত মুগ্ধ হলাম যে কেউ বাসায় আসলে মনেই হতো না ও অন্যকেউ, সবাই বলতো ও সম্ভবত আমাদের বোন । আমরাও না করতাম না । মা যখন পার্লারে যেত ওকেও নিয়ে যেত, ওকে সাজিয়ে আনতো । আমরা কোথাও দুরে ট্যুরে গেলেও ও বাদ পড়তো না । এভাবে অনেক অনেক সুন্দর দিন চলে যাচ্ছিলো ।

এরই মধ্য আমরা লক্ষ্য করলাম, নিমার আচরনের পরিবর্তন । হঠাৎ করে যেন ওর মেজাজ খিট খিটে হয়ে গেল, কাজের কথা বললে অত গুরুত্বদেয় না বরং চো মাঝে মাঝে এমন ব্যবহার খারাপ করে যে রাগ চটে যায় এভাবে কিছুদিন চললো । একসময় পারিবারিক ভাবেই সিন্ধান্ত হলো- ওকে বিদেয় দিবে । যখন বলা হলো বিদায় দেবার কথা, ও তখন সবার সাথে ঝগড়া শুরু করেদিল । তেজে বললো- আপনারা পারবেন না এটা করতে, আমার আম্মাকে ও আংটি ডাকতো । নিমা বললো- কেন পারবো না?
নিমা: পারবেন না, কারন আপনি যদি আজ বের করেদেন আমি যেয়ে আপনাদের সবার নামে নারী নির্যাতানের মামলা করবো ।
আম্মা তখন করুনস্বরেই বললো: একি বললি নিমা, তুই আমাদের নামে মামলা করবি কেন? আমরা কি কোনদিন তোকে আঘাত করেচি? বল ! আমরা যা খাই -তোকে নাকি দিয়ে খেয়েছি কোনদিন?
নিমা হেসেঁ উত্তর দিল : আপনার সতি স্বামী আর আপনার বড়ছেলে জিজ্ঞাসা করেন গিয়ে ।
ওর কথাশুনে আমাদের সবার ভেতর গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল । পর শুনাগেল , বাবা ও বড়দার সাথে ওর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক ছিল । এরপর নিমা আমাদের বাড়িতে কয়েকদিন ছিল, এরপর মা ওকে বুঝিয়ে শান্তকরে নগদ কিছু টাকা দিয়ে ওকে বিদেয় করলো , যদিও ওর দাবী আরো বেশি ছিল ।
মা আমাদের সবাইকে বলে দিল এ কথা যেন বাইরের কারো সাথে শেয়ার না করি । এরপর থেকে -বাবা, মার সম্পর্কও ভালো যাচ্ছিলো না । বড়দাকে বিয়ে করানো হলো , সে স্ত্রী নিয়ে সুখেই আছে । মাও পুরনো বিষয় ভুলে গেল । আমরা এখন বেশ আছি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.