নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘের কাছে

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

বিকেলে একটু বের হয়েছিলাম । সন্ধ্যার পর বাসার কাছে আসতেই –টয়লেট চাপলো Than দৌড়ে বাসায় আসলাম । ঘরে ডুকতেই পিছন থেকে দু’হাত আমার চোখ চেপে ধরলো ! হয়তো বাসায় গ্রেষ্ট্র এসেছে –তাকে অনুরোধ করলাম, আমাকে Emergency বাথরুমে যেতে হবে ।
তবুও সে ছাড়ে না । অবশেষে তার নরম পাঁ খুজে জোরে পারা দিলুম আর সে ওমা করে চিৎকার করে উঠলো, আমি দৌড়ে টয়লেটে গেলুম তখনো লক্ষ্য করিনি কে আমার চোখ ধরেছিল ।
বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি ‘রঙ্গিণী’ !
রঙ্গিণী আমার প্রতি তেড়ে এসে বলতেছে -এত জোরে পায়েঁ মেরে দিলে কেন?
-আমি কত করে বললুম আমার Emergency যেতে হবে ,শুনলে না তো । আর কিছুক্ষন থাকলেই ওটা পেন্টেই হয়ে যেত।
রঙ্গিণী : বললেই তো হতো আমার হাগু পেয়েছে ! ইংলিশে বললে কেন? ইংলিশে বললে শব্দটার গভীরতা বুঝা যায় না ।
-তাহলে কি আমাকে হাগু বলতে হতো ? ঐ বিদঘুটে শব্দটা ?
রঙ্গিণী : নিজের ভাষার প্রতি মায়া নেই । থাকবেই বা কি করে! যা দিন-কাল পড়েছে ।
-হুম।
রঙ্গিণী : দেখ তুমি আমাকে এমনিই পায়েঁ আঘাত দিয়েছো । দেখ কতটা ফুলে গেছে পাঁ ।
-পায়ে পানরস চিপে দিই, ভালো হয়ে যাবে ।
রঙ্গিণী: তুমি কি কবিরাজী করছো আজকাল? প্রায়ই দেখি ফেসবুকে ঘাস-লতা,পাতা খাচ্ছ ।
-না ,ওগুলো এমনি ।
রঙ্গিণী: তুমি কি পাগল ?! এমনি কি কেউ ঘাস পায় ।
-এই যে আমি খাই ।
রঙ্গিণী : দিদি যে কেমন করে তোমার মত পাগলের সাথে সংসার করে বুঝি না !
-তোর দিদিও পাগল !
রঙ্গিণী : তোমারা পাগল হও ঠিক আছে – দিদির গর্ভে আমার যে সন্তান আসবে ওদের পাগল বানালে খবর আছে ।

এরই মধ্য রমা এসে হাজির-আমার প্রতি ক্ষেপে বলছে:-স্বামী কেমন গো তুমি ? আমার বোনের নরম পায়েঁ জোরে আঘাত করলে ?
-সরি ,সরি ,সরি ।
রমা: তোমরা ডাইনিং রোমে বস আমি কফি নিয়ে আসি , এই বলে রমা চলে গেল ।
এরপর কফি শেষ করে অনেক আড্ডা হলো আমাদের । বিকেলে রমা ও রঙ্গিণীকে নিয়ে বের হলাম নদীর ধারে জল দেখতে । রঙ্গিণী হাটঁতে হাটঁতে নদীর কিনারায় চলে গেল – জল থেকে উত্তাপে উঠা গ্রীষ্মের হাওয়া ওর খোলা-চুল এলোমেলো করেদিল,দুর থেকে মুখ বুঝা যাচ্ছিলো না ।
রমা চিৎকার করে বললো: রঙ্গিণী চলে আয় বোন। নদীর পারে চোরা বালি থাকে ।
রঙ্গিণী বললো: দিদি দেখে যা ,–কত বড় একটা কচ্ছব । অনেকগুলো বাচ্ছাও ফুটেছে ।
আমি বললাম: রঙ্গিণী ওটাকে উঠিয়ে নিয়ে আয় ।ওরনা পেছিয়ে, রাতে রা্ন্না করে খাব ।
রঙ্গিণী: সত্যিই আনবো?
রমা: না, রঙ্গিণী আনিস না , ওরতো অনেকগুলো বাচ্ছা আছে !ওরা মার জন্য কাদঁবে ।
রঙ্গিণী: ঠিক আছে দিদি আনবো না ।
কিছুক্ষন পর রঙ্গিণী চিৎকার করে বললো- ও দিদি একটি সাপ আমার দিগে তেড়ে আসছে ,আমাকে খাবে বলে ।
রমা ক্ষেপে বললো: তোকে বললাম না ,চলে আয় । এই নদীর জলে দুষ আছে । এরপর রঙ্গিণী দৌড়ে চলে আসলো আর হাফিয়ে বললো-ইস ! লাইভ সাপ দেখলুম। কত বড় সাপ ।
আমি রঙ্গিণীকে বললুম: আমাদের এলাকাতে এমন কত সাপ ছিল । গর্তে হাত ঢুকিয়ে ওগুলো কে শাসন করতুম।
রমা হিহিহি করে একপাটি দাতঁ বের করে বললো:-শুনেছিস আমার স্বামী কি বলে । সে নাকি সাপুড়ে ছিল । সাপদের শাসন করতো , এরপর রঙ্গিণীও হেসেঁ উঠলো । রঙ্গিণী বললো: এমন গপ্পো তো আগে শুনাও নি আমাদের ?সাপুড়ে ছিল তুমি ?নাকি আগের মত গল্পের নাম করে গুল মারছো?
-নারে , এটা সত্য কথা । আমার এক বন্ধু ছিল বেদের ছেলে –মানিকরতন , ও সাপ নিয়ে কারবার করতো । ওর সাথে কত কত পাড়া গুরতুম সাপনিয়ে ,ওর বাবা বন জঙ্গল থেকে বড় বড় সাপ ধরে নিয়ে আসতো ,ওর বাবার গলায় অনেক তাবিজ কবজছিল ।
রঙ্গিণী : কি কি সাপ ধরতো সে, বলদিকি ।
-শঙ্খচুড়া ,কালজাতি,দুধরাজ,খরিস,লাউডগা,অজগর,শামুকভাঙ্গা, চন্দ্রবোড়া,মাইডা ।
রঙ্গিণী: সত্যিই তোমার বন্ধু মানিকরতন সাপুড়ে ছিল ।
-হুম, ছিল তো ।
রঙ্গিণী: তোমাদের ওখানে যাব তাহলে ।
-মানিকরতনরা তো বেদের ছেলে ওরা কোথায় না কোথায় চলে গেছে। তবে অন্যরা আছে সেখানে গেলে তুই আরো সাপ দেখতে পাবি ।
রঙ্গিণী : আচ্ছা ওখানেই যাব ।
-ঠিকঁ আছে Next ছুটিতে আসিস নিয়ে যাবক্ষন ।
রঙ্গিণী: আচ্ছা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.