নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমার একদিন

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

রমা কেমন চলছে তোমার বাচ্ছাদের নিয়ে খেলা-ধুলা। খুব মজা পাচ্ছি সাহিত্যর স্টুড্রেন্ট শেষ পর্যন্ত ক্রিয়া শিক্ষক !
রমা: স্বামী মজাতো পাবেই। আমাকে নিয়েই তো তোমার সব-কান্ড কারখানা!
-হুম । রাগ হলে গো আমার কথায়?
রমা: না। আমি সহজে রাগি না! তোমার মত ওমন বদ-অভ্যাস আমি বানাতে পারিনি। ওটা যদি করতে পারতুম তাহলে বিভার মত আমারও বাড়ি ছাড়তে হতো ।
-আমি নিশ্চুপ হয়ে গেছি।উত্তর জানা নেই কি দিব।কিছুক্ষন নির্জনতা।রমার হলো এই –এক কাজ কথা বলতে বলতে হঠাৎ কাচাঁ জায়গায় হাত দিয়ে বসে ।কথা ঘুরানোর জন্যই বললাম-রমা চোখে ঔষধ লাগিয়েছো, চোখ যে লাল হয়ে আছে ?
রমা: না ,লাগাইনি। লাগাবো।
-আমি লাগিয়ে দিই।
রমা: আমিই পারবো, তুমি চোখের ভেতর দিতে পার না –হাত কেপে যায় ।
-বাকি ঔষধ খেয়েছো?
রমা: খেয়েছি।
-চোখের র্জ্বালা কি আগে থেকে কম লাগে?
রমা: না স্বামী । মাত্র তো শুরু করলাম ,এত দ্রুত কি সুস্থ হয় মানুষ ।
-হুম। টেবিলে জুইঁ, চামেলী দেখলাম, কেউ কি দিয়েছে?
রমা: দিয়েছে আমার প্রেমিকরা।
-প্রেমিকরা মানে! আমাকে ঠকাচ্ছো নাতো ?
রমা: ঠকাচ্ছি গো , ঠকাচ্ছি ।
-জানি তুমি আমাকে ঠকাবে না । তুমি তো আমার দেবী ।
রমা: এত যে দেবী দেবী বল, কোনদিন দেবীকে প্রার্থনা করেছো?
-কেন প্রতিরাতে করি না!
রমা: ধাৎ, সেই অসভ্যতা শুরু করলে!
-ঐ অসভ্যতা থেকেই মানুষ সৃষ্টি।
রমা: নাগো স্বামী , আজ দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বো। খুব ঘুম পাচ্ছে। তুমি কি এখন ঘুমাবে?
-না । আমার একটু দেরী হবে।
রমা: এত রাত জেগে জেগে হ্যাংলা হয়ে যাচ্ছ । কি করো সারা-রাত?
-রাতের ভেতর তো অন্ধকারের এক খেলা থাকে।রাত আছে বলেই জাগি।
রমা: যাইহোক, এখন ঘুমুতে আসলে আস। আমি ঘুমালে কিন্তু আর জাগাতে পারবে না ।পর আর ঘুম হয় না ।
-আচ্ছা ঘুমিয়ে যাও , আজ আর বিরক্ত করবো না।
হঠাৎ করে বিদুৎ চলে গেল । রমা বিরক্ত হয়ে বলছে-ইস! তোমার দাদারা না এত বিদুৎ দিয়েছে তবে এই অবস্থা কেন?
-একটু আগুন দেবে।
রমা: মোম সম্ভবত নেই । হেরিকেন ধরিয়ে দিই ।
-দাও।
রমা: অপেক্ষা করো দেখি ওটাতে কেরোসিন আছে কিনা ।
-হেরিকেনে পোকাঁ-মাকড়ঁ চলে আসে।বিরক্ত কর।
রমা: বিদুৎ তো বেশিক্ষন থাকবে না , চলে আসবে ।
-হুম।
রমা চিমনিটা পরিস্কার করে ঝক ঝকে হেরিকেনের আলো এনে দিল ।রমা বললো-আজ বিকেলে ক্ষমাদি ফোন দিয়েছিল, কাকীমা অসুস্থ আমাকে কাল-পরশু যেতে বলছে।তুমি পারবে যেতে?
-তুমি থাকবে কি?ওখানে?
রমা: না । সকাল করে যাব-বিকেলে ফিরে আসবো।
-হুম।তাহলে যাওয়া যায়। সময় ঠিক করে ।
এমন সময় দরজায় টুকার আওয়াজ । আমি বিরক্ত নিয়ে বললাম- এত রাতে কে আবার?।রমা হেসেঁ বললো-পাশের ফ্ল্যাটের মানুর মা মনে হয় ।যাই দেখি-এই বলে রমা দরজা খুলতে গেল ।ঐ মহিলার সাথে কিছু সময় কাটিয়ে রমা এলো।
-মানুর মা এত রাতে কেন ?
রমা: আমার কাছ থেকে দু’টা ডিম ধার নিয়েছিল ।তার স্বামী হয়তো এখন বাজার করে এনেছে তাই দিতে এলো।
-হুম । আমাদের কাছে আবার মানুষ ধারও চাইতে আসে।
রমা: মানুষের কাছে মানুষই আসে ।
হুম।
রমা: আমি ঘুমাতে গেলাম। বেশি রাত হলে জাগিয়ো না কিন্তু ।
-আচ্ছা । ভয় নেই জাগাবো না ।তুমি ঘুমাও ,তুমি ঘুমাও দেবী । প্রভাতে তোমাকেই সবার আগে সু-প্রভাত জানাবো ।
-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.