![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাতহলে প্রায় ইশুনতে পাই আমার বারান্দার পাশে কে যেন কাঁদে পরে বুঝতে পারলাম পাশের বাসার মেয়ে।ওর জানালা,আমার বারান্দা কাছা-কাছি তবে সব । কথাশুনা যায়, দেখা যায় না।ভাবতাম এমনি কাঁদে হয়তো,জীবনতো কতদুঃখ বেদনার।আমার বারান্দায় দাড়ালে ওদের বাসার সবার কথাই শুনা যায়।একদিন ও বাবা –মার কথা শুনচ্ছিলাম ওর বাবা বলচ্ছিলো-গ্রামের কোন গরীব ছেলের কাছে তাদের মেয়ের বিয়ে দিবে।ভাবলাম এরজন্যই হয়তো কাঁদচ্ছে, মেয়েটা।শহরের শিক্ষিত মেয়ে আর বোকা,হাবা গ্রামের ছেলেকে বিয়ে করতে নারাজ তাই হয়তো হয়তো।তারপর বেশকিছুদিন কেটেগেল ওদের কথা আর তেমন শুনিনি। অনেকদিন পর ওর মাকে কে যেন বলচ্ছে এই আপদটাকে বের করে দিতে পারলেই বাচিঁ।তাহলেকি অন্য কিছু হয়েছিল মেয়েটার! ওদের কথা শুনার জন্যপ্রায়ই ওদেরজানালার কাছে কান পেতে থাকতাম।একরাতে মেয়েটা আবার কাদঁছে ফুপিয়ে, ও যখন কান্না করতো তখন আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম, আমার কবিতা শুনলে ও কান্না থামিয়ে দিত, কি জানি আমার কবিতা ওর মনে ধরে ছিল কিনা বা ওর কান্না কাউকে জানতে দিবেনা । তাই হয়তো কান্না থামিয়ে দিত।আমি ওর সাথে কোন দিন কথা বলার চেস্টা করিনি, মেয়েটার হয়তো অনেক দুঃখ তাই এমন করে রাতের নিঃস্তব্ধতায় কাঁদে। বেশকিছু দিন পর মেয়েটির বাবা বলছে ,কত ইচ্ছে ছিল মেয়েটিকে ডাক্তার বানাবো তা আর হলো কই! বান্ধীটা টিচারের সাথে শুয়ে পেট বাঁধিয়ে ফেললো ! তাও আবার প্রতারক-টিচার ।লর্জ্জ্বায় মরে যেতে মন চায় মেয়েটার জন্য। কারো ঘরে যেন এমন কুলাঙ্গার মেয়ে না দেয়। আজ আজ শক্রুবার মেয়েটার বিয়ে।তাই ওদের বাড়িতে,কিছুটা হই,চই তবে মনে হলে এটা আপদ-বিদায়ের বিয়েতে মন ,প্রাণের সাড়ানেই এই বিয়েতে। অনেকদিন আগের একরাতে জানালার পাশে মেয়েটা কাদঁছিলো ওকে বলেছিলাম- কে কাদেঁ ?মেয়েটা কান্না থামিয়ে বলেছিল:- আমার নাম "র্ণিমা' আমার অসুকতাই কাঁদি।কি হয়েছে আপনার? র্ণিমা বললো- আপনারা পুরুষরা বুঝবেন না! সরি! আর আপনার কবিতা বেশ ভালো লাগে, ভালো থাকবেন। তারপর মেয়েটার আর সাড়া পাইনি।আজ র্ণিমার বিয়ে।–শুভ কামনা ওর জন্য।না দেখা –অপরিচিত মেয়ে।
©somewhere in net ltd.