নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় না হওয়া পযন্ত সংগ্রাম করো

মানুষ আজিজ১

মানুষ আজিজ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দু\'জনা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

নীলাদ্রি সাথে আমার বিয়েটা হয়ে গেল । বেশি একটা ঝাক-জমকপূর্ন্য ভাবে বিয়েটা হয়নি । বিয়েটা করতে হবে বলেই করা-বয়সও বেড়ে যাচ্ছে –কাকা জ্যাঠারা ধরেই বিয়েটা করিয়ে দিল । ১৯-২০ বছর বয়সে বিয়ে নিয়ে যতটা আক্ষেপছিল ,২৬ বছর বয়সে এসে এটা কমে গেছে । একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে বিয়েই করবো না । ঢাকা শহরে ছোট এক বাসা নিয়ে আমাদের সংসার , আমাদের উপস্থিতি একেবারেই সাধারন যাইহোক ছোট আনুষ্টানিকতার ভেতরই বিয়েটা হয়ে গেল । রাত হলো নুতন স্ত্রীর কাছে আসলাম , আমার রুম এতটাই আবদ্ধ যে ইলেক্টিকের পাথায়ও কাজ হয় না ,নীলাদ্রি খাটে বসেছিল আমি যেয়ে বালিশ নিয়ে খাটেই ম্যাগাজিনে মুখ করে বসে রইলেম ওর সাথে কোন কথা বললাম না ।
কিছুক্ষন চুপ –চাপ থাকার পর নীলাদ্রিই বললো- ম্যাগাজিন পড়ছো বুঝি?
-হুম। শুনতে সুন্দর একটা আর্টিকেল বের হয়েছে ।
নীলাদ্রি: না থাক ।
কিছুক্ষন আবার নির্জনতা কারো মুখে কোন কথা নাই ।
নীলাদ্রিই বললো- তোমার ঘরে একি অবস্থা করে রেখেছো । এত এলো-মেলো কেন একটুও কি গুছিয়ে রাখতে পার না ।
-আমি ম্যাগাজিন থেকে মুখ সরিয়ে নীলাদ্রির দিগে তাকিয়ে বললাম- তুমি এসেছো এবার গুছিয়ে রেখো ।
নীলাদ্রি পানের Box বের করে একটা পান মুখে দিয়ে চিবুতে চিবুতে বললো: আমার স্বামী ভাগ্য নাকি খুব ভালো ।
-সত্যিই ?
নীলাদ্রি: সাবইতো তাই বললো । তোমাকে একটা পান সেজে দিই ।
-আমি পান খাই না । একটু –আকটু সিগারেট নিই ।
নীলাদ্রি: এমা ! সিগারেট? ওটার গন্ধে আমার বমি আসে । থাকবো কি করে তোমার সাথে ।
-সে দেখা যাবে । এবার বলো- সবাই, কে কে বললো ?
নীলাদ্রি: তোমার জেঠিমা ,কাকিমা সবাই তো বললো ।
-ও ।
নীলাদ্রি: তারা ভুল বলেছে ?
-কি জানি ! দাম্পত্ত জীবন তো অন্য সাধারন জীবনের মত নয় ।
নীলাদ্রি: তা ঠিক বলেছো ।
-হুম ।
নীলাদ্রি : উচু জাতের ,সুন্দরী শিক্ষিতা ছাড়া নাকি বিয়েই করবে না বলেছিলে ?
-কে বললো ।
নীলাদ্রি: শুনলাম ।
-মেয়ে লোকের কাজই এমন –সব ঢোল একসাথে ফাটাতে হবে ।
নীলাদ্রি: রাগ করলে ?
-না,বল ।
নীলাদ্রি: স্বাদ করে তো আর তোমাদের বাড়িতে আসিনি ।
-বাবা, মা ছিল না বলে?
নীলাদ্রি: মামার অনুরোধেই তো –তোমার জ্যাঠার সাথে মামার দুস্তি ছিল ।
-বাবা, মা থাকলে তো আমার চেয়ে ভালো ঘরে তোমার বিয়ে হতো তাই না ?
নীলাদ্রি: হয়তো বা । অনেকেই তো দেখতে এসেছে বাবা-মা নেই তা্ই শুনে চলে গেছে ।
-কষ্ট হতো তোমার ?
নীলাদ্রি: বাবা-মার জন্য অনেক কষ্ট হতো ।
-হুম ।
নীলাদ্রি: আচ্ছা এত যে আমাকে গহনা দিলে,খরচ অনেক হয়েছে বুঝি?
-তা একটু হয়েছে ।
নীলাদ্রি: কত?
-জানি না ।
নীলাদ্রি: সে কি ? হিসেব রাখনি ?
-না ।
নীলাদ্রি: যদি তোমাকে ঠকিয়ে থাকে ।
-কিছু বললাম না ।
নীলাদ্রি: টাকা পয়সার হিসেব আমাকে বুঝিয়ে দিও, আমিই এখন থেকে রাখবো ।
-আচ্ছা ।
নীলাদ্রি: ঠকাবে নাতো আবার?
-ঠকাবো কেন?
নীলাদ্রি: স্বামীরাতো স্ত্রীদের হিসেব বুঝিয়ে দিতে চায় না । তুমি বে –হিসেবি তাই বললুম ।
-আমি দিব ।
নীলাদ্রি: শত হলেও তো আমি পরের ঘরের মেয়ে তোমাদের সাথে পারবো কি করে বল? আবার কাউকে বলতে যেয় না আমি তোমার অর্থের হিসেব রাখবো ,পাছে কে কি আবার বলে ।
-তুমি এখন পরের মেয়ে নও আমা্রও স্ত্রী । যদি না চা্ও কাউকে বলবো না ।

খুব গরম পড়ছে শার্ট-টা টেনে খুলে ফেললাম । ইলেক্টিকের পাখায়ও কাজ হচ্ছে না ।
নীলাদ্রি: হ্যাঁ গরম ভালই পড়েছে ।
-তাহলে তুমিও জামাটা খুলে নাও আমার মত ।
নীলাদ্রি: ইস! কি অসভ্যতা শুরু করলে ?
-অসভ্যতা দেখেছো কি আজ তো অসভ্যতার রাত্রি ।
নীলাদ্রির মুখ লাল হয়ে গেল লর্জ্জ্বায় কোন উত্তর দিল না ,মিটি মিটি হাসলো ।
নীলাদ্রি কিছুক্ষন চুপ করে থেকে আমার শরীরে দিগে তাকিয়ে বললো- তোমার শরীরে কালো কালো এগুলো কিসের দাগ গো ?
-ব্রর্ন উঠেছিল,টিবিয়ে গলাতে গলাতে কালো হয়ে গেছে ।
নীলাদ্রি একটু ছুয়ে বললো: ইস ক্ষত করে ফেলেছো! ডাক্তার দেখাওনি ।
-না ।
নীলাদ্রি: কেন?
-এটা ছোট-খাট বিষয় মনে করেছিলাম ।
নীলাদ্রি: তুমি আমার কাছে লুকাচ্ছো নাতো ?
-কি লুকাবো?
নীলাদ্রি: এটা যদি ছুয়া-ছুয়ি রোগ হয় । তোমার থেকে যদি আমাতে চলে আসে ।
-ভয় নেই আসবে না । তেমন কিছু না ।
নীলাদ্রি: একটু যদি যত্ন নিতে , এক ক্ষত হতো না । শরীরটাকে কি করেছো?
-মায়া হচ্ছে খুব?
নীলাদ্রি: হবে এই শরীরের পাশেই তো প্রতিদিন আমাকে শুতে হবে । এরপর শরীরের কিছু হলে আমাকে বইলো আমিই যত্ন নিব । দেখার মানুষ না থাকলেই এমন হয় ।
-তা হয় বৈকি ।
ইলেক্টিকের পাখায় কাজ করছিলো না , ম্যাগাজিন দিয়ে শরীরে বাতাশ দিতে চেস্টা করলাম ।
নীলাদ্রি আমার শরীরের দিগে আরো গবীর ভাবে চেয়ে থেকে বললো:- একি তোমার বগলের রোম এত বড় কেন, ছি ছি !
-নীলাদ্রি, এত ছি ছি করো নাতো । সময় পাই না কাটার ।
নীলাদ্রি: ব্লেট আছে দাও আমিই কেটে দিই ।
-তাহলে, শুধু বগলের রোম না আরো কিছু কেটে দিতে হবে ।
নীলাদ্রি: কি !
-হুম।
নীলাদ্রি: তুমি কি পিশাচঁ নাকি?
-হাহাহাহ! চল আজ ঘুমিয়ে পড়ি, খুব ঘুম পাচ্ছে ।
নীলাদ্রি: ইস!
-সংকোচ বোধ করার কারন নেই । ওগুলো আমিই কেটে নিব ।
নীলা্দ্রি: ওকে ,চলো ঘুমাই ।
-অনেক অসভ্যতা হবে কিন্তু ।
নীলাদ্রি হেসে বললো: সে দেখা যাবে কে বেশি অসভ্য হতে পারে ।
-দু’জনা ঘুমাতে গেলাম ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.