![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রমা জান অনেক আগে তোমার বোনের সাথে ঝগড়া হয়েছিল।
রমা: ঝগড়া করেছিলে কেন দিদির সাথে।
-তোমার দিদি বলেছিল ,তোমাকে ভুলে যেতে।
রমা: আমাকেও বলেছিল ।কেন যে ,দিদির কথা শুনলাম না।
-জীবনে অনেক ভুল করে ফেলেছো বুজি,আমাকে গ্রহন করে।
রমা: কী জানি! লাভজনক কিছু -তো দেখি না।
-ও।কি করবে,তাহলে?
রমা: জানি না।
আচ্ছা দিদি ঔদিন কি বলছিলো?
বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছিলো তখন।আমরাও খেলতাম বিকেলে, শট ক্সিজে বীরত্ব দেখাতে যেয়ে জোরে মারলুম,বলটা উড়ে যেয়ে তোমাদের বারান্দায় ঢুকে গেল!কেউ সাহস করলো না সুতরাং আমাকেই যেতে হলো বলটা আনতে ।দরজা নক করতেই তোমার বোন ক্ষমা দরজা খোললো।দিদি আমাদের বলটা আপনাদের বারান্দা বলতেই ক্ষমা ক্ষেপে বললো-এই ছেলে তোমার সাহস-তো কম নয়! আমাদের দরজা পযন্ত এসে পড়েছো!তোমার মুখ প্রতিদিন কেন দেখি? আগুনে জ্বলতে পারো না!।দিদি আমি,পুরে মরলে খুশি হবেন?! ।ক্ষমাদিদি,হবোই তো।রমার পিছনে এত লেগে থাক কেন?জগতে কি আর মেয়ে নেই।দিদি আমি রমাকে ভালোবাসি ওকে ছাড়া আমি বাচবো না, রমা বলেছে ও আমার সন্তানের মা হবে।ন্যাকামো করো না,আমাকেও সুলেমান কত পটিয়ে-টটিয়ে প্রতারণা করলো ,তুমি যে তা হবে না তার গ্যারান্টি কি?ছেলেরা সব এক।না,না দিদি আমি তেমন ছেলে না।ক্ষমা: না তুমি চলে যাও,বল দিতে পারবো না, রমাকেও দিতে পারবো না! আমরা রমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছি এই বসন্তেই ওর বিয়ে।তারপর মন খারাপ করে চলে এসেছিলুম ঔদিন।
রমা: দিদির কথা যে কেন শুনলাম না।
-তুমি আমাকে ভালোবাস না আর?
রমা : আর ভালোবাসা!
-এটা কি রমা?
রমা: না ,কিছু না। কোন দিন কিছু ছিল না।
-রমা'দু একটা অপ্রত্যাশিত আচরন দিয়ে জটিল চিন্তা করা উচিত নয়।
রমা: এখন থেকে জটিলই হবো ,দেখি কে আমাকে ভাঙ্গতে আসে?
এই বলে রমা উঠে চলে গেল।
আজ সারাদিন ও আমার ওপর ক্ষেপে আছে। মেয়ে মানুষ একবার ক্ষেপলে ,উত্তাপ ছড়াতে থাকে।
কিছুক্ষন পর ,রমার কাছে যেয়ে বললাম-সকাল থেকে তো কিছু মুখে দাওনি খেয়ে নাও। ভাত মেখে ওর মুখে নিলাম।
রমা: আমি আজ উপোস আছি।খাব না।
-প্লিজ খাও।না,হলে শরীর খারাপ করবে?
রমা: তাতে তোমার কী?শরীর তো আমার,আমি বুঝবো।
-শরীর শুধুই তোমার নয়,এতে আমার অধীকার আছে।প্রতিদিন যে এত যত্ন করে রাখি এমনি এমনি?
রমা: ঢং !
-খেয়ে নাও।
রমা: স্বামী।তুমি এত ভালো কেন।
-এখন স্বামী ভালো?
রমা: ভালোই-তো।
-ঢং।
রমা হুহু করে হেসে উঠলো।
©somewhere in net ltd.