নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেফ উমরের ব্লগ :)

"সকল বস্তু তার বিপরীত বস্তুর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠে"

উমর

হে আল্লাহ! তুমি আমায় হক রাস্তা দেখাও, হকের অনুসরণ করারও প্রতি মদদ কর, বাতিলকে বাতিলরুপে দেখাও এবং বাতিল হতে বেঁচে থাকার প্রতি সাহায্য কর। আর হকের হক রুপে দেখাও এবং তার অনুসরণ করার জন্য এমনভাবে মদদ কর যেন হক বা সত্য কথা আমার জন্য উহ্য না থাকে। হে আমার রব! তুমি জিবরাঈল, মিকাঈল, ইসরাফিল-এর পরওয়ারদিগার, আসমান-যমীনের একমাত্র সৃজনকারী, তুমি প্রকাশ ও অপ্রকাশ সবকথা ও কাজ সম্পর্কে অবগত আছ, তোমার বান্দাহগণ আপোষে যে মতভেদ করে তার মধ্যে মূল সত্য ও আসল হকের ফায়সালা তুমিই করতে সক্ষম। তুমি আমায় ঐ সমস্ত মতভেদের মদ্যে যা খাঁটি সত্য, আসল হক তাই আমায় হিদায়াত করতে থাক। একমাত্র তুমিই তোমার বান্দাহকে সঠিক পথের হিদায়াত করতে পার। আমীন।

উমর › বিস্তারিত পোস্টঃ

***দৃষ্টি আকর্ষণ: আল-ওহ্হাব অর্থ: সব কিছুর দাতা অর্থাৎ যিনি সব কিছু দান করে থাকেন*** (উৎসর্গঃ তুষারপাত)

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

আল-ওহ্হাব (الْوَهَّابُ) অর্থ: সব কিছুর দাতা অর্থাৎ যিনি সব কিছু দান করে থাকেন

মহান আল্লাহ তাআলার যে ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি একটি। আল্লাহর গুণবাচক নামগুলো শুধু আল্লাহর জন্যই, কারণ এইগুণগুলো শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলারই রয়েছে



إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ (ইন্নাকা আনতাল ওহ্হাব)

অর্থ: তুমিই সব কিছুর দাতা। (সূরা আল ইমরান : ৮)



رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ ( রাব্বানা লা তুজ্বিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়াহাব লানা মিল্লা জুনকা রহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওহ্হাব)

অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। (সূরা আল ইমরান: ৮)



কেউ যদি আল্লাহর গুণবাচক নাম রাখতে চায় তাহলে সে সরাসরি সেই নাম রাখতে পারবে না কারণ আল্লাহর গুণবাচক নামগুলো শুধু আল্লাহর জন্যই, এইগুণগুলো শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলারই রয়েছে, অন্যকারো নেই।

তবে আল্লাহর গুণবাচক নামের আগে “আবদ” (عبد) যার অর্থ হচ্ছে বান্দাহ বা দাস, যুক্ত করে সে নামটি রাখতে পারবে। যেমন: আর-রহমান অর্থ পরম করুণাময়, এখন কেউ যদি শুধু রহমান নামটি রাখতে চায় তাহলে রহমান শব্দটির আগে “আবদ” শব্দটি যোগ করতে হবে; আব্দুর রহমান যার অর্থ হলো পরম করুণাময়ের বান্দাহ বা দাস। আবার, আব্দুল্লাহ যার অর্থ হলো, আল্লাহর বান্দাহ বা দাস



একইভাবে কেউ যদি ওহ্হাব নামটি রাখে তখন হবে আব্দুল ওহ্হাব অর্থাৎ সব কিছুর দাতা’র বান্দাহ বা দাস



ব্লগের একজন জ্ঞানী লেখক তার অনেক লেখাগুলোতেই ‘ওহাবী’ বলে সউদি সরকারকে গালাগালি করে থাকেন এবং সেই সাথে আমাদের দেশেও অনেক মানুষকে এই নামটা বলে গালাগাল করা হয়। এইভাবে “ওহাবী” বলে কাউকে গালাগাল করাটা মোটেই ঠিক না কারণ এইটা আল্লাহ একটি গুণবাচক নামকে বিকৃত করে তৈরী করা হয়েছে।



কিভাবে এই নামের সূত্রপাত হলো সে সম্পর্কে একটু তথ্য দিই:

মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহ্হাব হিজরী দ্বাদশ শতকের একজন অন্যতম আলেম ছিলেন। তিনি ১১১৫ হিজরী মোতাবেক ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে সউদি আরবের নাজদ এলাকায় এক ধর্মপ্রাণ ও সম্মানিত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। উনার পিতা ছিলেন একজন খ্যাতনামা আলেম এবং তার নাম ছিল আব্দুল ওহ্হাব



আরবী লোকদের নাম রাখার স্টাইল হলো, তাদের নাম থাকে একটা আর এরপর তারা তাদের নামের সাথে তাদের বাবা’র নাম, দাদার নাম যোগ করে রাখে।

যেমন: আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু) যার অর্থ হলো, উমরের পুত্র আব্দুল্লাহ। আবার আনাস বিন মালিক যার অর্থ মালিকের পুত্র আনাস। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে, আসমা বিনতে আবু বকর অর্থ আবু বকরের মেয়ে আসমা



অর্থাৎ ইবনে এবং বিন শব্দটির অর্থ হচ্ছে ছেলে আর বিনতে শব্দটির অর্থ হচ্ছে মেয়ে। আপনারা হয়তো অনেক সময় খেয়াল করে থাকবেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনেক সময় মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ বলা হয়ে থাকে যার মানে হলো, আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ, কারণ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ



এখন মূল ঘটনায় আসি, মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহ্হাব যার অর্থ হলো আব্দুল ওহ্হাবের পুত্র মুহাম্মদ। মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহ্হাব শিরকের বিরদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং ইসলামকে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী পালন করার জন্য আহবান জানান। কিন্তু বিরুদ্ধবাদীদের তথা ইসলামের শত্রুদের এই বিষয়টি পছন্দ হলো না, তাই তারা মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহ্হাব এর শিরকের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ভিন্নখাতে প্রাবাহিত করার জন্য নানা ধরণের প্ররোচনা চালায় আর এ জন্য তারা একটা যুতসই উপাধি খুজছিল। যেহেতু উনার আসল নাম হচ্ছে মুহাম্মদ যা আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি নাম, তাই মুহাম্মদী বা মুহাম্মদী ইসলাম বলে যদি প্ররোচনা চালানো যায় তাহলে লাভ হবে না বরং হিতে বিপরীত হবে। তাই তারা “মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহ্হাব” নামটি থেকে ওহ্হাব নামটি নিল আর তাকে উপাধি দিল ‘ওহাবী’ বলে। কেউ শিরক বিরুধী কোন কথা বললে, বিদআত বিরুধী কোন কথা বল্লে এবং সহীহ হাদিসের অনুসরণ করলে তাদের “ওহাবী” এবং সউদি সরকারের দালাল বলে গালিগালাজ করা হয়ে থাকে আমাদের দেশে। যা মোটেই ঠিক নয়, কারণ আমি লেখার শুরুতেই বলেছি আবারও বলছি, “ওহ্হাব” নামটি হচ্ছে আল্লাহর একটা গুণবাচক নাম আর এই নামের বিকৃত করে উপস্থাপন কারা মোটেই ঠিক নয়। আপনাদের যদি তাদের ভাল নাই লাগে তখন চুপ থাকুন আর যদি গালিগালাজ করতেই হয় তাহলে অন্যকোন নাম বেছে নিন, দয়াকরে “ওহাবী” বলে গালিগালাজ করবেন না।



ব্লগের এই জ্ঞানী ব্লগার এত কিছু জানেন অথচ তিনি এই বিষয়টি কেন জানেন না তা আমার বোধগম্য হলো না। কারণ, উনার লেখা দেখলেই বুঝা যায় উনি অনেক পড়াশুনা করেছেন তবুও তিনি কেন এই গালিগালাজটি ব্যবহার করে ইসলাম বিরুধীদের সাথে তাল মেলান তা আমি বুঝতে পারলাম না। উনার নিকট আমার অনুরোধ রইল, গালিগালাজ যদি করতেই হয় অন্যকোন নাম ব্যবহার করুন, দয়াকরে “ওহাবী” নামটি ব্যবহার করবেন না।



মহান আল্লাহ আমাদের শয়তান ও তার অনুসারীদের, বিভ্রান্তকারীদের, বিদআতীদের এবং শিরকপূর্ণ কথা, কাজ ও চিন্তা থেকে হিফাজত করুন। আমীন।





মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৯/-৩

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৪

আবু আব্দুল্লাহ মামুন বলেছেন: চমৎকার জবাব দিয়েছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
আর ফারুক ৫৫ কেও উপযুক্ত জবাব দিবেন আশা রাখি।

২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০৬

উমর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই,

ফারুক ৫৫ নিয়ে আমি পূর্বের পোস্টে লিখেছি।

হাদীস অর্থ কি? (উৎসর্গঃ ফারুক ৫৫)

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৩০

সবুজ সাথী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪১

তুষারপাত বলেছেন: ওহাবী ফ্বিরকাহটি ১০টি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিতঃ
১) আল্লাহ পাক একজন দৈহিক সত্ত্বা। তাঁর হাত, মুখ ও দিক আছে। [এটি খৃষ্টান ধর্মমতের সাথে সাদৃশ্যযুক্ত [পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা]
২) তারা তাদের নিজস্ব উপলদ্ধি দ্বারা কুরআনুল কারীম-এর ব্যাখ্যা করে
৩) তারা হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমদের ইজমাকে অস্বীকার করে
৪) তারা আলিমদের ক্বিয়াসকে অস্বীকার করে
৫) তারা বলে, যে ব্যক্তি চার মাযহাবের যে কোনটি অনুসরণ করবে সে কাফির
৬) তারা বলে ওহাবীরা ছাড়া সবাই কাফির
৭) তারা বলে, যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণকে ওসীলা হিসাবে গ্রহন করবে তারা প্রত্যেকে কাফির হয়ে যাবে
৮) তারা বলে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজা মুবারক এবং আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মাযার শরীফ জিয়ারত করা হারাম
৯) তারা বলে, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করবে সে নাস্তিক হয়ে যাবে
১০) তারা বলে, আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য কারো জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান করলে কিংবা আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের মাযার শরীফে পশু জবাই করলে সে নাস্তিক হয়ে যাবে।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩০

উমর বলেছেন: @তুষারপাত,

আপনি যে ১০টি অভিযোগ করেছেন তার সবগুলো মিথ্যা, কারণ এখানে সত্য বিকৃত করা হয়েছে। আর আপনি কোন জোশের বশবর্তী হয়ে বারে বারে 'ওহাবী' নামটি ব্যবহার করে চলছেন তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না, আল্লাহ মাফ করুন।

১. আপনার ১নং অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিকৃত করা হয়েছে। আপনি যোশের বশবর্তী হয়ে লিখেছেন।

২. ২নং অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, কুরআনের ব্যাখ্যায় তারা সহীহ হাদীস অনুসরণ করে। নিজস্ব কোন ব্যাখ্যা তারা দেয় না। তাদের ভিত্তি হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি সহীহ হাদীস, যার সারমর্ম হলো, "আমার প্রজন্ম হচ্ছে সর্বোত্তম(নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহবীগণ এই প্রজন্মের অন্তর্ভূক্ত) , এরপর যারা আসবে তারা(তাবেঈনগণ এই প্রজন্মের অন্তর্ভূক্ত) এবং তারপর যারা আসবে তারা(তাবে-তাবেঈনগণ এই প্রজন্মের অন্তর্ভূক্ত)। এই তিন জেনারেশন হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম জেনারেশন এই তিন জেনারেশনকে যারা অনুসরণ করবে তারাই আহলে সুন্নাহ ওয়া জামাতের অন্তর্ভূক্ত হবে। এই তিনি জেনারেশনকেই তারা অনুসরণ করে।

৩. সাহবাদের ইজমাকে তারা অস্বীকার করে না, আগেই বলেছি, তাদের ভিত্তি হলো কুরআন এবং সহীহ হাদীস।

৪. আলিমদের কিয়াসকে ঢালাওভাবে অস্বীকার করে না, যদি তা কুরআন এবং সহীহ সুন্নাহ এর বাইরে যায় তাহলে সে যেই আলেমই হোক তা মানা কারো জন্যই উচিত নয়।

৫. আপনার ৫নং অভিযোগটি সর্বৈব মিথ্যা। কাফের বলার অধিকার কারো নেই, যদি না কেউ নিজে থেকে ঘোষণা করে যে আমি কাফির বা আমি ইসলাম ত্যাগ করলাম, তার আগে কাউকেই কাফির বলা যায় না, আর কেউ যদি বলেই তাহলে সেই নিজেই সেই অভিযোগে অভিযুক্ত হবে। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যখন দু'জনের মধ্যে একজন আরেকজনকে কাফির বলে তখন তাদের দুজনের মধ্যে একজন অবশ্যই কাফির"। তারা এই সহীহ হাদীসের কঠোর অনুসরণ করে।

৬. ৬নং অভিযোগটি সর্বৈব মিথ্যা, কারণ তারা তাদের কস্মিনকালেও "ওহাবী" বলে পরিচয় দেয় না, এটা ইসলাম বিরুধী তথা বিদ্বেষপোষণকারী লোকদের বানানো কথা। আর কাফির বলা তো দূরের কথা।

৭. ৭নং অভিযোগটি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কেউ যদি মনে করে যে অমুকের অছিলায় আমি জান্নাতে যাব তাহলে সে শিরক করবে। কারণ, কেউ কাউকে জান্নাতে যাওয়ার গ্যারান্টি দিতে পারে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বংশের লোক এবং তাঁর মেয়ে ফাতিমাকে বলেছেন, জাহান্নামের আগুণকে ভয় কর আমি তোমাদের বাঁচাতে পারবো না।
‍"এটা সেই দিন, যেদিন কারোও জন্য কিছু করার সাধ্য কারো থাকবে না। সেই দিন ফয়সালার চূড়ান্ত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর এখতিয়ারে থাকবে।" (সূরা আল ইনফিতার:১৯)

অছিলা ধরার তিনটি বৈধ মাধ্যম আছে:
ক. আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলির মাধ্যম।
খ. সৎ কর্মের মাধ্যমে
গ. জীবত সৎ ব্যক্তিদের দুআর মাধ্যমে

আল্লাহ তাআলা বলেন:
"আল্লাহর জন্য রয়েছে, সুন্দর সুন্দর নাম, অতএব তোমরা তাঁকে সেই সব নামেই ডাকবে"। (সূরা আল আরাফ:১৮০)

"হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় অন্বেষণ কর"। (সূরা আল মায়িদা:৩৫)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “(হে আল্লাহ !)
আমি তোমার নিকট ঐ সমস্ত নামের (অসীলায়) মাধ্যমে প্রার্থনা
করি যে সমস্ত নামে তুমি নিজের নামকরন করেছ।”
(মুসনাদে আহমদ)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং অলীদের প্রতি আল্লাহর ভালবাসার ওসীলা এবং রাসূল ও অলীদের প্রতি আমাদের ভালবাসার ওসীলা গ্রহণ জায়েয।
কেননা তাদের ভালবাসাও সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, আমরা এভাবে বলতে পারি : (হে আল্লাহ! তোমার রাসূল
ও অলীদের প্রতি ভালবাসার ওসীলায় আমাদেরকে সাহায্য কর এবং তোমার রাসূল ও অলীদের প্রতি তোমার ভালবাসার অসীলায়
আমাদের রোগ মুক্ত কর।)”
লক্ষ্যণীয় বিষয় এখানে আল্লাহর ভালভাসাকে অছিলা ধরা হয়েছে, ব্যক্তি বিশেষকে অছিলা ধরা হয়নি।

ইমাম আবু হানীফা বলেন : “আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের মাধ্যমে
প্রার্থনা করা মাকরূহ মনে করি।” (দুররে মুখতার)

৮. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবর তথা অন্য যেকোন কবর জিয়ারত করায় দোষের কিছু নেই কিন্তু কেউ যদি মনে করে কবরে শায়িত ব্যক্তির কাছে দোয়া করার মাধ্যমে বা তাদের উছিলায় কোন আশা পূর্ণ হবে বা তাদের উছিলায় জান্নাতে যাব তাহলে সে শিরক করবে। তারা এই কথাটিই বলেছে, হারাম ঘোষণা করে নি।

"তুমি আল্লাহ ছাড়া কারোর কাছে দোয়া করবে না, যারা না তোমার উপকার করতে পারে আর না পারে ক্ষতি করতে। যদি তুমি তা কর তাহলে তুমি যালেমদের মধ্যে গণ্য হবে।" (সূরা ইউনূসঃ ১০৬)

তবে জীবিত ব্যক্তিদের কাছে দোয়া চাওয়া যাবেঃ
"আপনি নিজের গুণাহ এবং মুমিন পুরুষ ও নারীদের গুণাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান" (সূরা মুহাম্মদঃ১৯)

৯. আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করা জায়েয নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
قُلْ بَلَى وَرَبِّيْ لَتُبْعَثُنَّ
“বল, নিশ্চয় আমার রবের শপথ ! তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত
হবে।”
(সূরা তাগাবুন : ৭)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে আল্লাহ
ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করল সে অবশ্যই শিরক করল।”

(মুসনাদে আহমদ)

তিনি আরো বলেন : “কারো যদি শপথ করার প্রয়োজন হয় সে
যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে।”


কিন্তু কেউ যদি কোন ওলীর ব্যাপারে এ বিশ্বাস পোষণ করে শপথ
করে যে, তার ক্ষতি করার ক্ষমতা রয়েছে তবে তা বড় শিরকের
অন্তুর্ভুক্ত। কারণ এতে প্রতিয়মান হয়, সে উক্ত ওলীর নামে মিথ্যা
শপথে ভয় পায়, তাই সে তার নামে শপথ করছে।

এই কথাটিই তারা বলে থাকে। নিজেদের মনগড়া কোন কথা তারা বলে নি।

১০. ১০নং অভিযোগে আপনি লিখেছেন তা ভুল। ইবাদত একমাত্র আল্রাহর জন্যই। একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যেই জ্বীন ও মানব জাতির সৃষ্টি।

"আমি জ্বীন ও মানব জাতিকে আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি" (সূরা আয যারিয়াতঃ৫৬)

অন্যকারো নামে কোন ইবাদত হয় না তাই ধর্মীয় অনুষ্টানও হয় না।

পশু জবাই করার ক্ষেত্রে কেউ যদি উক্ত মাযারভুক্ত ব্যক্তির নামে মানত করে তাহলে সে শিরক করবে। কেননা, পশুর কুরবানী একমাত্র আল্লাহর জন্য, অন্য কারোর জন্য নয়।

আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে মানত করা জায়েয নয়। আল্লাহ তাআলা ইমরানের স্ত্রীর কথা বর্ণনা করে বলেন :
رَبِّ إِنِّيْ نَذَرْتُ لَكَ مَا فِيْ بَطْنِيْ محَُرَّراً
“হে আমার প্রতিপালক ! আমার গর্ভে যা আছে তা একান্ত তোমার
জন্য আমি উৎসর্গ করলাম।”
সূরা আলে-ইমরান : ৩৫

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : “যে ব্যক্তি
আল্লাহর আনুগত্যের মানত করল সে যেন তাঁর আনুগত্য করে,
আর যে আল্লাহর অবাধ্যতার মানড়বত করল সে যেন তাঁর অবাধ্যতা
না করে।” (সহীহ বুখারী)

“তুমি (একান্ত বিনয়ের সাথে) বলো, অবশ্যই আমার নামায, আমার (আনুষ্ঠানিক) কাজকর্ম, আমার জীবন, আমার মৃত্যু- সবকিছুই সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তাআলার জন্য”।
(সূরা আল আনআমঃ১৬২)

‍"অতএব, তুমি স্বীয় রব্ব এর জন্যই নামায আদায় কর এবং কুরবানী দাও" (সূরা আল কাওসারঃ২)

আমি যে অভিযোগগুলো জবাব দিলাম তার মাধ্যমে ইনশাল্লাহ আপনার ভুল ভেঙ্গে যাবে। তবে আপনি মেনে নিন বা না মেনে নিন যা সত্য তাই থাকবে। বিরুদ্ধবাদীদের প্ররোচনায় কান দিবেন না। আপনি তাদের প্ররোচনায় কিসের যোশো আল্লাহর গুণবাচক নামটি দিয়ে এখন পর্যন্তও গালাগাল বলে চলেছেন তা আমার বোধগম্য হলো না। আল্লাহকে ভয় করুন, আপনার ব্লগে ঐ নামটি যতবার গালাগাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন তার মুছে ফেলুন, তওবা করুন এই নাম গালাগাল হিসেবে ব্যবহার করা থেকে নিজে বিরত হোন এবং সেই সাথে অন্যকেও সতর্ক করুন।

মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আল্লাহ যেন আপনাকে তথা আমাদের সবাইকে বিরুদ্ধবাদীদের চক্রান্ত থেকে রক্ষা করেন।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক এবং তাঁর পরিবার ও সাহাদের এবং তাদের যারা অনুসরণ করে তাদেরও উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বষিত হোক। আমীন।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৭

উমর বলেছেন: @তুষারপাত,

আপনি আপনার অতি দীর্ঘ মন্তব্যে সেই একই বুলি আওড়ে চলেছেন, আপনি আল্লাহর গুণবাচক নামটিকে আবারো একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে চলেছেন, তাই আমি মন্তব্যটি মুছে দিতে বাধ্য হলাম।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৮

ম্যাকানিক বলেছেন: দাত ভাঙ্গা জবাব উমর ভাই
পাশাপাশি আরেকটা তথ্য দেই অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন
মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব রাহিমুহুল্লাহ যখন উনার কাজ শুরু করেন সেই সময় জেদ্দার আরবদের অন্যতম পেশা ছিল হজ্ব কাফেলা লুট করা।
তখন আল্লাহর মেহমান হাজীদের খেদমত ত দূরের কথা তাদেরকে গুলি করলে কেউ মারা না গেলে বলতো ইসরে গুলিটা লস হয়ে গেলো।
বাংলাদেশে যেমন মাজার আছে পুরা সউদি আরব তখন এর মাজার এ ভরা ছিলো।
রিয়াদের পাশে আল-খারজ এ এইরকম এক ম্মাজারের ঘটনা শুনছি।
আর মদিনা মুনওয়ারাতে এখন মসজিদে আলি মসজিদে মসজিদে ফাতেমা এবং খন্দকের যুদ্ধ (নাম ভুলে গেছি যায়গাটার) যেখানে হইছিলো সেখানে ছিলো পাশাপাশি পাচটা মাজার ।
যেটা বলছিলাম শায়খ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব আরবদের কে তথা মুসলমানদেরকে সেই মাজার পুজা সহ আরো নানারকম আকাম কুকাম থেকে টেনে তুলছে।
বিষয় হইলো তারা সেই অবস্থা থেকে উঠে দাড়াইতে পারছে আর আমরা যেই তিমিরে ছিলাম সেই তিমিরেই আছি।

তথ্য সূত্রঃ শেখ আমানুল্লাহ এর লেকচার মারকাজ আল জালিয়াহ রিয়াদ

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৬

তুষারপাত বলেছেন: যেহেতু আল্লাহ পাকের একটি গুণবাচক নাম “ওয়াহাব”। তাই এই বাতিল ও কুফরী ফিরক্বাহটিকে “ওহাবী” বলে সম্বোধন করা আল্লাহ পাকের গুণবাচক নামকে বিকৃত করার শামিল। এই ভ্রান্ত বক্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, আল্লাহ পাক কুরআন শরীফের সূরা বাক্বারা-এর ১০৭ ও ১২০তম আয়াত শরীফে নিজেকে (نَصِيرٍ) “নাছির” (অর্থাৎ সাহায্যকারী) বলে সম্বোধন করেছেন। যেমন-
أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّهَ لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ
অর্থঃ আপনি কি জানেন না যে, আল্লাহ পাকের জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ পাক ব্যতীত তাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই। (সূরা বাক্বারা ১০৭)
وَلَن تَرْضَى عَنكَ الْيَهُودُ وَلاَ النَّصَارَى حَتَّى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ قُلْ إِنَّ هُدَى اللّهِ هُوَ الْهُدَى وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءهُم بَعْدَ الَّذِي جَاءكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللّهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ نَصِيرٍ
অর্থঃ ইহুদী ও খৃষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, আল্লাহ পাক প্রদর্শন করেন যে পথ তাই সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই। (সূরা বাক্বারা ১২০)

অথচ আল্লাহ পাক কুরআন শরীফের সূরা বাক্বারা-এর ১২০তম আয়াত শরীফসহ বিভিন্ন আয়াত শরীফে খৃষ্টান সম্প্রদায়কে (نَصَارَ)“নাছারা” বলে সম্বোধন করেছেন। তাহলে আল্লাহ পাক কি নিজের গুণবাচক নাম “নাছির”কে নিজেই বিকৃত করে “নাছার” বলে সম্বোধন করলেন? (নাউযুবিল্লাহ)

একই ভাবে, আল্লাহ পাক কুরআন শরীফের সূরা বাক্বারা-এর ২৭১তম আয়াত শরীফে নিজেকে (كَفِّرُ) “কাফ্‌ফির” (অর্থাৎ মুসলমানদের দোষত্রুটি গোপনকারী, দূরীভূতকারী, অস্বীকারকারী) বলে সম্বোধন করেছেন।
إِن تُبْدُواْ الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِن تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاء فَهُوَ خَيْرٌ لُّكُمْ وَيُكَفِّرُ عَنكُم مِّن سَيِّئَاتِكُمْ وَاللّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
অর্থঃ যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতইনা উত্তম। আর যদি খয়রাত গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তদের দিয়ে দাও, তবে তা তোমাদের জন্যে আরও উত্তম। আল্লাহ পাক তোমাদের কিছু গুনাহ দূর করে দিবেন। আল্লাহ পাক তোমাদের কাজ কর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিজ্ঞাত। (সূরা বাক্বারা ২৭১)

অথচ আল্লাহ পাক কুরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত শরীফে ইসলাম অস্বীকারকারীদেরকে (كَفِرُ) “কাফির” বলে সম্বোধন করেছেন। যেমন-
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُواْ سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ
অর্থঃ নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। (সূরা বাক্বারা ৬)
তাহলে আল্লাহ পাক কি নিজের গুণবাচক নাম “কাফ্‌ফির”কে নিজেই বিকৃত করে “কাফির” বলে সম্বোধন করলেন? (নাউযুবিল্লাহ)

আবার আল্লাহ পাকের নবী হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম-এর আরেক নাম ইয়াহূদ। অথচ আল্লাহ পাক ইয়াহূদী (ইহুদী) বলে কুরআন শরীফের সূরা বাক্বারা-এর ১২০তম আয়াত শরীফসহ বিভিন্ন আয়াত শরীফে যে সম্প্রদায়কে সম্বোধন করেছেন তারা ইসলাম অস্বীকারকারী তথা কাফির। তাহলে এ ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক কি হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম-এর নাম বিকৃত করেছেন? (নাউযুবিল্লাহ)

০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২

উমর বলেছেন: আপনি যে যুক্তি এখানে ব্যবহার করেছেন তা মোটেই ঠিক হয় নি। ব্যাপারটা কুরআন এর অনুবাদ বিকৃতকারী রাশাদ খলিফা তথা রিচার্ড কালিফের মত হয়ে গেল। যার উদ্দেশ্যই ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহকে ধ্বংস করা, আর সে ঠিক আপনার মত যুক্তি ব্যবহার করেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতো।

কুরআনের আয়াতের অর্থ শাব্দিক হিসেবে ব্যবহার করলে অনেক কিছুই বুঝানো যাবে আর এই শাব্দিক অর্থটাই ব্যবহার করে বিধর্মী তথা ইসলামের শত্রুরা। আপনিও সেই একই পন্থা গ্রহণ করেছেন।

নামের বিকৃত অর্থাৎ যে নাম তাকে বিকৃত করে ফেলা হয় এবং এর পিছনে কাউকে হেয় করার উদ্দেশ্য থাকে।

নাসির শব্দটির মূল শব্দ থেকে এসেছে তা হল "নাসারা" যার অর্থই হচ্ছে "সাহায্যকারী" বা "সে(পুরুষ) সাহায্য করেছিল"।

আর খ্রিস্টানদের বুঝানোর জন্য যে "নাসারা" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে একটি জাতির নাম, এখানে সাহায্যকারী রুপে বুঝায়নি। শব্দ দুটো লেখার মধ্যেও তো পার্থক্য রয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা কি সহজ তাই না?

আল্লাহ তাআলা এক একটা শব্দ ব্যবহার করেছেন আর তার পিছনে উদ্দেশ্য রয়েছে। অনেক শব্দের উচ্চারন অনেক সময় হয়তো একই শোনা যাবে কিন্তু অর্থ বা সেই শব্দ সে জায়গায় ব্যবহার করার উদ্দেশ্য ভিন্ন।

আল-ওহহাব নামটি প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম।
এখন আপনার মত বিজ্ঞ লোকেরা যখন নামটি ব্যবহার করবে তখন তাদের উদ্দেশ্য থাকবে নামটিকে বিকৃত করে একটি গোষ্ঠিকে হেয় প্রতিপন্ন করা। অথচ এই নামটি তারা নিজেরা দেয়নি, ইসলামের শত্রুদের কর্তৃক প্রনীত।

মহান আল্লাহ নাম বিকৃত করে খ্রিস্টান, কাফির তথা ইহুদীদের বুঝাননি পুরো শব্দটিই পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং সেই শব্দ ব্যবহারেরও একটা উদ্দেশ্য রয়েছে।

এখন ধরুন আমার নামটি যদি কেউ বলে, কি হে উমইররা। তখন কি দাড়াল? তখন বুঝা গেল সে আমার নামটি পরিবর্তন করেছে, আমাকে হেয় করার জন্য তার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিকৃত করা। এখানে বিষয়টি এমন নয় যে কেউ আমাকে উমইররা বললে আমি খুশি হব আপনার দেখানো যুক্তি অনুযায়ী।

আপানার কি সুন্দর যুক্তি। আপনি যদি আল্লাহর নাম বিকৃত করে মজা পান এবং এই বিকৃত করে বেহেশতে যেতে চান, আপনি যান ভাই, আমাকে মাফ করে দিন, আমি এই নাম কখনো বিকৃত করে ব্যবহার করতে পারব না।

আল্লাহ তাআলা আমাদের ক্ষমা করে দিন। আমীন।





৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪০

তুষারপাত বলেছেন: --// আর খ্রিস্টানদের বুঝানোর জন্য যে "নাসারা" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে একটি জাতির নাম, এখানে সাহায্যকারী রুপে বুঝায়নি। শব্দ দুটো লেখার মধ্যেও তো পার্থক্য রয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা কি সহজ তাই না?--//

আপনি আপনার মন্তব্যের মধ্যেই আমার স্বপক্ষে উত্তর দিয়েছেন। আপনি বলেছেন, " আর খ্রিস্টানদের বুঝানোর জন্য যে "নাসারা" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে একটি জাতির নাম, এখানে সাহায্যকারী রুপে বুঝায়নি।" । ঠিক একই ভাবে "ওহাবী" শব্দ দ্বারা একটি বাতিল ও কুফরী ফিরক্বাহকে বুঝানো হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর "ওয়াহাব" নামকে বিকৃত বা বুঝানো হয়নি। তাছাড়া আপনি আরো বলেছেন, " শব্দ দুটো লেখার মধ্যেও তো পার্থক্য রয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা কি সহজ তাই না?"। এর জবাবে বলতে হয় যে, নাছির ও নাছারা শব্দ দুটি আরবীতে লিখতে একই রকম হরফ ব্যবহৃত হয়। যথাঃ নুন, ছোয়াদ ও র।

--//আল্লাহ তাআলা এক একটা শব্দ ব্যবহার করেছেন আর তার পিছনে উদ্দেশ্য রয়েছে। অনেক শব্দের উচ্চারন অনেক সময় হয়তো একই শোনা যাবে কিন্তু অর্থ বা সেই শব্দ সে জায়গায় ব্যবহার করার উদ্দেশ্য ভিন্ন।--//

আপনার এই মন্তব্যের উত্তর আমার যে মন্তব্যটি মুছে ফেলে বিজয়ের হাসি হেসেছেন সেখানেই আছে।

--//আল-ওহহাব নামটি প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম।
এখন আপনার মত বিজ্ঞ লোকেরা যখন নামটি ব্যবহার করবে তখন তাদের উদ্দেশ্য থাকবে নামটিকে বিকৃত করে একটি গোষ্ঠিকে হেয় প্রতিপন্ন করা। অথচ এই নামটি তারা নিজেরা দেয়নি, ইসলামের শত্রুদের কর্তৃক প্রনীত।--//

আপনি নিজেকে বিজ্ঞ লোক (???) মনে করে বিধায় এই মন্তব্যটি করেছেন। কারণ কাফির ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী স্বয়ং নিজে মনগড়া কুফরী মূলক মতবাদ সম্বলিত আন্দোলনকে ওহাবীবাদ দিয়ে প্রচার করে।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪১

তুষারপাত বলেছেন: --// আর খ্রিস্টানদের বুঝানোর জন্য যে "নাসারা" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে একটি জাতির নাম, এখানে সাহায্যকারী রুপে বুঝায়নি। শব্দ দুটো লেখার মধ্যেও তো পার্থক্য রয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা কি সহজ তাই না?--//

আপনি আপনার মন্তব্যের মধ্যেই আমার স্বপক্ষে উত্তর দিয়েছেন। আপনি বলেছেন, " আর খ্রিস্টানদের বুঝানোর জন্য যে "নাসারা" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে একটি জাতির নাম, এখানে সাহায্যকারী রুপে বুঝায়নি।" । ঠিক একই ভাবে "ওহাবী" শব্দ দ্বারা একটি বাতিল ও কুফরী ফিরক্বাহকে বুঝানো হয়েছে, আল্লাহ পাক-এর "ওয়াহাব" নামকে বিকৃত বা বুঝানো হয়নি। তাছাড়া আপনি আরো বলেছেন, " শব্দ দুটো লেখার মধ্যেও তো পার্থক্য রয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করা কি সহজ তাই না?"। এর জবাবে বলতে হয় যে, নাছির ও নাছারা শব্দ দুটি আরবীতে লিখতে একই রকম হরফ ব্যবহৃত হয়। যথাঃ নুন, ছোয়াদ ও র।

--//আল্লাহ তাআলা এক একটা শব্দ ব্যবহার করেছেন আর তার পিছনে উদ্দেশ্য রয়েছে। অনেক শব্দের উচ্চারন অনেক সময় হয়তো একই শোনা যাবে কিন্তু অর্থ বা সেই শব্দ সে জায়গায় ব্যবহার করার উদ্দেশ্য ভিন্ন।--//

আপনার এই মন্তব্যের উত্তর আমার যে মন্তব্যটি মুছে ফেলে বিজয়ের হাসি হেসেছেন সেখানেই আছে।

--//আল-ওহহাব নামটি প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম।
এখন আপনার মত বিজ্ঞ লোকেরা যখন নামটি ব্যবহার করবে তখন তাদের উদ্দেশ্য থাকবে নামটিকে বিকৃত করে একটি গোষ্ঠিকে হেয় প্রতিপন্ন করা। অথচ এই নামটি তারা নিজেরা দেয়নি, ইসলামের শত্রুদের কর্তৃক প্রনীত।--//

আপনি নিজেকে বিজ্ঞ লোক (???) মনে করে বিধায় এই মন্তব্যটি করেছেন। কারণ কাফির ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী স্বয়ং নিজে মনগড়া কুফরী মূলক মতবাদ সম্বলিত আন্দোলনকে ওহাবীবাদ নাম দিয়ে প্রচার করে।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৮

উমর বলেছেন: আমি বলেই দিয়েছি, আপনি নামটি ব্যবহার করে বেহেশতে যেতে চান যান, আমাকে মাফ করে দেন ভাই, আমি ব্যবহার করতে পারবো না।

যে নামটি আপনি বারবার ব্যবহার করছেন তা ইসলাম শত্রুদের কর্তৃক প্রণীত। আল্লাহ মাফ করুন।






১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪

তুষারপাত বলেছেন: এখন পরাজিত হয়ে এরকম কথা বলছেন।
যে নামটি আপনি বারবার ব্যবহার করছেন তা ইসলামের শত্রুদের কর্তৃক প্রণীত। আর সেই ইসলামের শত্রুদের পা-চাটা গোলাম হল কাফির ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮

তুষারপাত বলেছেন: আমার ব্লগে বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা শিরোনামে যে ধারাবাহিকটি প্রকাশিত হচ্ছে তা মনযোগ দিয়ে পড়ুন। সেখানে উল্লেখিত নজদের মুহম্মদই কুফরী ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা কাফির ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.