নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
তিন মহাজ্ঞানী(!!) এক বৈঠকে বসেছেন। তিনজনই বিখ্যাত(!!) সাহিত্যিক।
মহিলার কয়েকটা বই বাজারে বেরিয়েছে। বহুবার পড়তে চেষ্টা করেও পুরোপুরি পড়া হয়নি।
বই পড়ার ব্যপারে আমার ভীষণ খুঁতখুঁতে স্বভাব আছে। সুপাঠ্য না হলে আমি পড়তে পারিনা। মহিলার লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল ক্লাস ফাইভ সিক্সের কোন কিশোর/কিশোরী যখন সাহিত্যিক হবার বাসনায় প্রথম কলম ধরে স্কুল ম্যাগাজিনের জন্য লেখা জমা দেয়, অনেকটা সেরকম। তার বই পড়ে নষ্ট করার মত সময় আমার নেই। তারাশংকর রচনাবলী এখনও পড়া হয়নি। দস্তয়ভস্কির সব লেখা পড়া হয়নি। আরও অনেক অনেক ভাল লেখকের লেখা বাকি রয়ে গেছে। জীবনে সময়ের বড়ই অভাব।
মহিলার লেখার একটি বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। ইচ্ছে করেই তিনি এমনসব বিষয় টেনে আনছিলেন, যেন সেটা নিয়ে বিতর্ক উঠে। লেখায় সেক্সকেও এমনভাবে ব্যবহার করছিলেন, বোঝাই যাচ্ছিল শস্তায় জনপ্রিয় হবার চেষ্টা করছেন।
আহারে বেচারী!
যেহেতু তার কোন বই আমি পুরোপুরি পড়িনি, কাজেই তার লেখালেখি বা বিশ্বাস নিয়ে কোন মন্তব্যই করতে চাচ্ছি না। তবে এই মহিলাই একবার বলেছিলেন, "হুমায়ূন আহমেদের পাঠক বেশিরভাগই অশিক্ষিত। এই কারনেই তিনি পশ্চিম বাংলায় জনপ্রিয় হতে পারেননি।"
মহিলার কথা মেনে নিলে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হবেন সবচেয়ে অশিক্ষিত মূর্খ। কারণ হুমায়ূনের লেখা তাঁর খুব ভাল লাগতো। এবং তিনি একটি লেখায় লিখেছিলেন, "যে 'দেশ পত্রিকার' শারদীয় সংখ্যায় লেখা ছাপানোর জন্য আমাদের লেখকদের চুল পাকা অব্দি অপেক্ষা করতে হয়, সেই শারদীয় সংখ্যায় পরপর সাত বছর হুমায়ূনের লেখা ছাপা হয়েছিল। এমন সৌভাগ্য আমাদের কারও ভাগ্যে জুটেনি।"
মহিলার "সাহিত্য জ্ঞানের" দৌড় কতটুকু, সেটা তার নিজের মন্তব্যেই প্রমাণিত হয়ে যায়।
বাকি দুই যুবকের একটি বইও বাজারে এসেছে কিনা জানা নেই। তবুও তারা নিজেদের 'সাহিত্যিক' পরিচয় দেন। আজকাল ব্লগ লিখলেই সবাই সাহিত্যিক হয়ে যান!
নভজোৎ সিং সিধুর সেই কুখ্যাত বাণী মনে পড়ে গেল, "পাখিরা উড়ে, তেলাপোকাও উড়ে। কিন্তু তেলাপোকাকে পাখি বলা চলে না।"
সামনে চায়ের কাপ রাখা। যেহেতু অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ধরে নেয়া যেতে পারে কাপের পানীয়টি কফি।
মহিলা কথাবার্তা শুরু করলেন।
মাঝের যুবক সেই কথা শোনাশুনিতে নেই। তার সমস্ত চিন্তা চেতনা, ধ্যান জ্ঞান কফির মগে। যেন জিন্দেগিতেও কফি খান নাই। তিনি কফি বানানোতে ব্যস্ত।
একটা কথা ভাল লাগলো, ঢাকা শহরে একটি মেয়ে কেন একা থাকতে পারবে না। পুরুষদের মানসিকতার সমস্যা। আমার কথা, আসলে পুরুষদের চরিত্রেও সমস্যা। কোন মেয়ে একা থাকলেই সেই মেয়ের দরজায় রাতে পুরুষেরা কড়া নাড়ে। এই নিয়ে পরে কথাবার্তা বলা যাবে।
আজকে অন্য বিষয়ে কিছু বলতে চাই।
"বাংলাদেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের প্রধাণ পদক্ষেপ হবে লিভিং টুগেদার প্রথার প্রচলন।"
মহিলা বলছেন, "চেনা নেই জানা নেই একজন লোকের সাথে শুয়ে যেতে হচ্ছে, এর চেয়ে ভয়ংকর আর কি হতে পারে!"
সাথে দুই যুবক তাল দিতে শুরু করলেন, "অবশ্যই! অনেকটা লটারির মতন। যদি ক্লিক করে তাহলে ভাল, নাহলে দুইজনেরই জীবন নষ্ট।"
উত্তম প্রস্তাব! আমার শুনে খুবই ভাল লাগলো।
আসেন ভাই। আপনাদের নিজেদের মায়েদের নিয়েই শুরু করি। আপনাদের মায়েদের বলুন তাঁদের ইচ্ছে মতন কোন ভদ্রলোকের সাথে গিয়ে থাকা শুরু করতে। যদি ভাল লাগে লাগলো। বিয়ে করবে। নাহলে বাবার কাছে ফিরে আসবে। সমস্যা কোথায়?
আপনাদের বোনেদের বিয়ে হয়ে গেছে? তাদেরকেও পাঠিয়ে দিন সিরিজ লিভিং টুগেদারে। চার পাঁচজন ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব আসবে। বলবেন প্রত্যেককেই যাচাই বাছাই করে দেখতে। নতুন কাপড় কেনার আগে আমরা ট্রায়াল দেই না? সেরকম আর কি! তারপর যাকে ভাল লাগবে, তাকে ইচ্ছে হলে বিয়ে করবে, নাহলে করবে না। সিম্পল!
আপনাদের বউ আছে?
নিজেদের ক্ষেত্রে আপনারা বলেন আপনারা ফ্রি সেক্সে বিশ্বাসী। তাহলে ভাবিরা অন্তঃপুরবাসিনী হয়ে থাকবেন কেন? তাঁদেরকেও পাঠিয়ে দিন ফূর্তি করতে। চোখ টিপে বলুন, "এঞ্জয়!"
ক্লজেট থেকে বেরুতে হবেনা?
লিভিং টুগেদার যেসব দেশে চালু আছে, সেসব দেশে এটা কিন্তু খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ছেলে মাকে মায়ের বয়ফ্রেন্ডের বাসায় ড্রপ করে আসে, ডিভোর্সড বাবা তখন হয়তো আরেক মেয়ের সাথে একই ছাদের নিচে বাস করছে। আমাদের মানসিকতা কি এর জন্য প্রস্তুত? আমার ধারনা এখনও প্রস্তুত নয়।
আমাদের দেশের একশ্রেণীর পারভার্ট পোলাপানের কাছে 'লিভিং টুগেদার' জিভে জল এনে দেয়ার মত কনসেপ্ট। তাদের বিশ্বাস ছেলে মেয়ে বিয়ে না করে একসাথে থাকলে বুঝি দারুন মজা! তাদের চিন্তা চেতনা জুড়ে যে কেবলই সেক্স!
অ্যামেরিকায় এটি খুবই পরিচিত একটি ব্যপার। আমাদের পরিচিতদের অনেকেই লিভিং টুগেদার করেছেন। তাঁদের কাছে, বিশেষ করে মেয়েদের কাছে, বিয়ে অনেক বড় ব্যপার।
এখানে একটি ছেলে যখন একটি মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেয়েটি আনন্দে কেঁদে ফেলে। সে তখন নিজেকে ধন্য মনে করে। কারন, একটি ছেলে তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে!
এই দেশের যুবতী মেয়েদের দিনের একটা বড় সময় নষ্ট হয় কেবল এটি ভেবে ভেবেই যে কি করে নিজের বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজেকে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে গড়ে তুলতে পারবে। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয় ফিগার ধরে রাখতে। সার্জারী করে বুকের পরিধি আরও বৃদ্ধি করে। নিতম্বে সার্জারী করে। ঠোঁটে সার্জারী করে। নিজের সবকিছু বদলে ফেলেও একটি ছেলেকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। এতে নিজেকে কতখানি ছোট বানিয়ে ফেলে তারা নিজেরাও টের পায়না।
"ব্যাচেলরেট" নামে একটা টিভি রিয়েলিটি শো হয়। ওটা দেখলেই বুঝতে পারবেন মেয়েরা কতটুকু ডেস্পারেট হতে পারে।
তারপরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাবে সেই ছেলে হয় মেয়েটিরই বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে উঠেছে, অথবা অন্য কোন মেয়ের হাত ধরে ফেলেছে।
তখন এরা নিভৃতে কাঁদতে কাঁদতে ভাবে, "What did I do wrong!"
"Wrong" কি করেছে তা বলার আগে বাংলাদেশের একটা ঘটনা বলি।
আমার বোনের ইউনিভার্সিটির একটি জুনিয়র মেয়ে আমার বোনের কাছে কয়েকদিন পরপর এসে কান্না জুড়ে দিত।
"আপুউউউউউউ! আদিল আমার কাছে কি ফেরত আসবে না?"
আপু খুবই বিরক্ত হয়ে বলতো, "না আসলে না আসবে, তোমার কি? তুমি পড়ালেখা কর। অন্য ছেলে পাবে!"
"আমার আদিলকেই লাগবেএএএ! ও কেন আমার সাথে এমন করলো! ওর জন্য আমি কি করিনাই?"
আপু ভুরু কুঁচকে জানতে চাইলো, "কি করেছো?"
"সওওওব! উ উ উ (কান্না)"
আপু খুবই বিরক্ত হয়ে বলল, "সব বলতে কি বুঝাচ্ছো? সব?"
মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতেই হ্যা সূচক মাথা নাড়ে। আপু খুবই বিরক্ত হয়।
আমাদের দেশের মেয়েদেরও এখন প্রেমের কনসেপ্ট বদলে গেছে। একটি ছেলেকে ভাল লাগলো, "লিটনের ফ্ল্যাটে" যেতে সে কোনই আপত্তি করলো না। সে স্মার্ট!
আরে বেকুব, যে কারনে ছেলেটি তোর কাছে এসেছে, তুই এত শস্তায় সেটা ছেড়ে দিবি কেন? ওটা পেয়ে গেলে তোর কোন মূল্য থাকবে তার কাছে?
বাঙ্গালি মেয়েটিও বলে, "আমি কি ভুল করেছিলাম?"
Well, তুমি গল্পের 'ট্যুইস্ট' প্রথম পৃষ্ঠাতেই রিভিল করে দিয়েছো। এটাই তোমার সবচেয়ে বড় ভুল।
যেই গাড়ি আরামসে যতখুশি টেস্ট ড্রাইভ করা যায়, কোন পাগলে সেই গাড়ি কিনতে চায়?
আমাদের দেশের মেয়েদের দিকে তাকান। বিয়ের পর ইচ্ছা মত খাওয়া দাওয়া করে। মোটা হচ্ছে না হচ্ছে কুছ পরোয়া নেহি। কিসের সার্জারী? ঐসব ফালতু সার্জারী ফার্জারির কোনই দরকার নেই। শুধু শুধু পয়সা নষ্ট। তাঁরা জানেন, তাঁদের স্বামীরা তাঁদের ছেড়ে যাবেন না। তাঁদের স্বামীদের কাছে তাঁদের 'মূল্য' আছে।
একই কারনে দেখা যায় সাদা মেয়েরা আমাদের দেশের ছেলেদের (অবশ্যই ভদ্র এবং যাদের কিছুটা হলেও values আছে) সাথে মেশার কয়েকদিনের মাথায় প্রেমে পড়ে যায়। কারন একটাই, আমরা টেস্ট ড্রাইভের চেয়ে গাড়ি কেনায় বেশি আগ্রহী থাকি।
সুখের কথা, এখনও অ্যামেরিকায় সবাই এমন নন। এখনও 'প্ল্যাটোনিক লাভ' টিকে আছে। এখনও প্রি মেরিটাল সেক্স অনেকেই avoid করেন। আমি সাদা চামড়ার অ্যামেরিকানদের কথাই বলছি। আমাদের ইউনিভার্সিটিতেই এমন বেশ কিছু ছেলে মেয়ে পড়তো।
মাঝে দিয়ে কিছু পারভার্ট ফালাফালি শুরু করেছে লিভিং টুগেদার করার জন্য। আপনাদের ইচ্ছা হলে করেন, কেউতো না করছেনা। আপনাদের বাসার লোকজনদের দিয়েই বিসমিল্লাহ করেন। যেন এই আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে বলতে পারেন, "আমার মা'ই তো আমাদের আগের ভিডিওতে ইন্সপায়ারড হয়ে আমাদের পাশের বাড়ির রহমত আঙ্কেলের সাথে চার দিন কাটিয়ে এলেন। আমার স্ত্রী যেমন আমাদের ড্রাইভার সালামের সাথে কক্সবাজারে ভ্যাকেশন কাটিয়ে এলো। আমরা ক্লজেট থেকে বেরোতে পেরেছি। এভাবে সবাইকেই বেরোতে হবে।"
আপনাদের কথাবার্তা শুনেই আপনাদের চরিত্র ও রুচীর পরিচয় পাওয়া যায়।
'নারী মুক্তির' দাবীতে বরং আপনারা এইভাবে বলতে পারতেন, "যেসব মেয়েদের অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হচ্ছে, এবং তারপর তারা দেখছে যে তাদের ভাগ্য খারাপ, স্বামী চরিত্রহীন লম্পট; তখন যেন তারা সেইসব স্বামীদের তালাক দিয়ে বেরিয়ে আসার সাহসটা পায়। সমাজ যেন তাঁদের সেই সাহায্যটুকু করে। সেই সাথে, আমাদের ছেলেদেরও মানসিকতা এমন হতে হবে যেন তালাকপ্রাপ্তা মেয়েদেরও বিয়ে করতে তাদের মনে কোন দ্বিধা না জন্মে। আমাদের দেশে এখনও বিধবা মেয়েদেরই মানুষ বিয়ে করতে চায়না, তালাকপ্রাপ্তাদেরতো তার চেয়েও নেগেটিভ চোখে দেখে। কোন মেয়ে ডিভোর্সী শুনলে প্রথমেই মনে আসে, 'নিশ্চই মেয়েটারই দোষ।' ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যখন বিধবা বিবাহ আইনের জন্য লড়াই করছিলেন, তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রের বিয়ে একজন বিধবার সাথেই দিয়েছিলেন। আপনারা কি তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপনের সাহস রাখেন?
ধর্ষিতার যেন ভাল জায়গায় বিয়ে হয় সেই বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একজন মেয়ের জীবনে এমন একটি দূর্ঘটনা ঘটে গেল যেখানে তাঁর কোন দোষ নেই, সেখানে কেন সে ভুক্তভোগী হবে?
একটি মেয়ের বিয়ে হয়না কারন তাঁর গায়ের রং কালো! কেন? গায়ের রংয়ের সাথে তাঁর চরিত্রের কি সম্পর্ক?
একটি মেয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে, তাকে বিয়ে করতেই হবে। নাহলে লোকে কানাঘুষা শুরু করে দেয়। এসব থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কি?
এসব না করে আপনারা লিভিং টুগেদারের গীত গাইতে শুরু করলেন।
সমাজকে এগিয়ে নেয়ার অর্থ এই না যে অন্যের আজেবাজে জিনিস নিজে অ্যাডপ্ট করে ফেলা। বরং নিজের যা ভাল কিছু আছে, সেটাই ঘষে মেজে আরও বেশি ভাল কি করে করা যায় সেটাই চিন্তা করা উচিৎ।
এবারে একটা ক্যুইজ, "নিজেদের লালসা পূরণে উৎসাহী মানবাতিদের" - এক কথায় প্রকাশ করলে কি হয়?
উত্তর: তসলিমাসিরিফ (তসলিমা + আসিফ + আরিফ!)
যুক্তি তর্কের অনুষ্ঠান দেখতে আমার খুব ভাল লাগে। কেউ যদি সঠিক যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারেন যে গুয়ের সাথে ক্যারামেল মেশালে খেতে দারুন হয়, আমি হয়তো সেটাও ট্রাই করে দেখবো।
আপনারা যদি ঠিকমত যুক্তিতর্কের ভিডিও বানাতেন, তাহলে আমার কোন সমস্যা ছিল না।
আপনারা করলেন কি কোরআন শরিফ সামনে রেখে, 'দ্য কোরআন' লেখা অংশটি ইচ্ছে করেই ক্যামেরার লেন্সের দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে তার উপর কফির কাপ রেখে আলোচনা করলেন।
নিজের 'কমফোর্ট জোনে' কাপ রাখতে চাইলে কিন্তু সেটা কোরআনের উপর রাখতে হতো না। একটু সামনে এগিয়ে এসে রাখতে হলো। ব্যপারটা ইচ্ছাকৃত, এবং উস্কানিমূলক। এখনকার যুগে অ্যাটেনশন পাবার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, ধর্মকে আক্রমন করো। মুসলিমগুলিকে খোঁচালে তারা খুব রিঅ্যাক্ট করে, তাই তাঁদের খুঁচিয়েও খুব মজা! কাজটা না করলে অ্যাটেনশন পাবেন কি করে?
যুক্তিতর্কের অনুষ্ঠান একটি, আর ফাজলামি একটি। আপনারা তিনজনই বিরাট ফাজিল।
নিজেদের যুক্তির উপর আপনাদের এতই অনাস্থা যে এই কাজটি করতেই হলো?
আপনারা নিজেদের মুক্ত চিন্তার মানুষ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং প্রগতিশীল দাবী করেন। আপনাদের লেখা পড়তে গিয়ে দেখি গালাগালি ছাড়া আর কিছুই নেই। বস্তির মানুষের মুখও এত খারাপ হয় কিনা সন্দেহ।
নেতৃত্বের প্রথম শর্তই হলো মানুষের সম্মান অর্জন।
সেটাইতো আপনারা পাচ্ছেন না। এইরকম ভাষার ব্যবহার করলে জীবনেও পাবেন বলেওতো মনে হয়না।
আরেকটা ব্যপার। আপনারা নাস্তিক, এবং সেটা খুবই ভাল কথা। আমার বেশির ভাগ অ্যামেরিকান বন্ধুই নাস্তিক। কিন্তু তাই বলে তারা কখনই ধর্মবিশ্বাসীদের আক্রমণ করেনা। এতটুকু রূচিবোধ তাঁদের আছে।
আপনারা দেব-দেবী, কুরআন-আল্লাহ-নবীজিকে (সঃ) সরাসরি আক্রমণ করে বসেন। এতে আপনাদের কথাবার্তা বা যুক্তি সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। আপনারা নাকি সামনা সামনি কোন মানুষের সাথে কখনই খারাপ আচরণ করেননা (জেলে গেলে বা চিপায় পড়লে আপনাদের আত্মীয়স্বজনেরা অন্তত এই দাবীই করেন) কিন্তু যারা লেখার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের মনে আঘাত করে, তারা সামনা সামনি এক দুইজনের সাথে ভাল আচরণ করে, এই হাস্যকর যুক্তি কী করে বিশ্বাস করি বলেন?
অতিরিক্ত মৌলবাদি এবং আপনারা - দুই ধরনের লোকই শান্তির জন্য খারাপ। দুই পক্ষই একে অপরকে উষ্কে ঝামেলা পাকান।
Anyways, আপনাদের আমি কখনই গালগালি করবো না। আমি আপনাদের শ্রেণীর নই বলে খুব গর্বিত বোধ করছি। সবার ভাগ্যে ভদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ থাকেনা কিনা।
তাছাড়া যেই লোকটি আপনাদের আক্রমনের সবচেয়ে বেশি শিকার, সেই নবীজিও (সঃ) এ ব্যপারে নিষেধ করেছেন। তিনি উল্টো বলেছেন, প্রতিটা অবিশ্বাসীকে সম্ভাব্য মুসলিম হিসেবে দেখতে।
আমাদের হযরত উমর (রাঃ) তলোয়ার হাতে নবীজিকে (সঃ) মারতে গিয়েছিলেন। আপনারাতো কেবল গালাগালিই করছেন।
করেন। যতখুশি গালাগালি করেন। আপনাদের জাতটাও অবশ্য খুবই চেনা আছে।
এখন অনেক চিল্লাফাল্লা করবেন। বিপদে পড়লেই তখন আবার 'আল্লাহ আল্লাহ' ডাকতে শুরু করবেন। নিজে না খেয়ে কয়টা রোজাদারকে খাইয়েছেন, সেটা অ্যাডভার্টাইজ করে বেড়াবেন।
তারপর মারা যাবার পর জানাজার নামাজ পড়ানোর দাবীতে আন্দোলন করবেন।
আমি একবার লিখেছিলাম, যারা নাস্তিক, যারা ঈশ্বর বিশ্বাস করেননা, তারা যদি তাদের মৃতদেহ হাসপাতালে দান করে যান, তাহলে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ উপকার হতো! কবরস্থান থেকে মৃতদেহ চুরি হওয়ার হার যেখানে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দলছুটের সঞ্জীব দা যেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তাছাড়া আপনার কিডনি, চোখ ইত্যাদি যদি আরেকজনের উপকারে আসে, ক্ষতি কি?
কিন্তু না। মারা যাবার পরেই আপনারা হঠাৎ করে মহা আস্তিক বনে যান! গোসল করিয়ে, আতর ছিটিয়ে, একেবারে সহিহ ইসলামী তরিকা মতে কবর না হলে আপনাদের তখন চলেই না। তখন এই নিয়ে কিছু বলতে গেলে গালাগালিও শুনতে হয়।
ইংরেজিতে ইহাদিগকেই 'হিপোক্রেট' বলা হইয়া থাকে।
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৩৭
মেলবোর্ন বলেছেন: যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।
যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত এবং আল্লাহ দয়ালু, মেহেরবান না হতেন, তবে কত কিছুই হয়ে যেত।
হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন।
--- সুরা নুর সুরা নং ২৪ আয়াত ১৯-২১
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আরে বেকুব, যে কারনে ছেলেটি তোর কাছে এসেছে, তুই এত শস্তায় সেটা ছেড়ে দিবি কেন? ওটা পেয়ে গেলে তোর মূল্য থাকবে তার কাছে-এটাই মূল কথা।। বাকী সব ফওতা, অন্ততঃ আমার দৃষ্টিতে।।