নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
মনে খুব উত্তেজনা, অ্যামেরিকায় প্রথম নববর্ষের অনুষ্ঠান দেখবো! আমাদের দেশে যেমন পহেলা বৈশাখ, এদের কাছেও তেমনি থার্টি ফার্স্ট নাইট।
এরা পয়সাওয়ালা জাতি। কাজেই ফায়ার ওয়ার্কস, লাইট ওয়ার্কস, কনসার্ট ইত্যাদিতে প্রচুর টাকা খরচ করে।
ডালাস আপ টাউনে অ্যামেরিকান এয়ারলাইনস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে পুরাতন বছরকে বিদায় দেবার কাউন্ট ডাউন। পারলে পুরো ডালাস শহর সেখানে গিয়ে হাজির হয়েছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সবাই নাচানাচি করছে, হুল্লোড় করছে, আনন্দ করছে। ওদের কাছে জীবন মানে একটাই। আজকে, এই মুহূর্তে যত পারো উপভোগ করে নাও! There is no tomorrow.
এসমস্ত ভিড়ের অনুষ্ঠানে ট্রেনে যাওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আমাদের বুদ্ধি কম। আমরা নিজেদের গাড়িতে রওনা হলাম। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম থাকায় পৌছুতে দেরী করলাম। মূল অনুষ্ঠান দেখা হলোনা, রাস্তা থেকেই দূরের আতশবাজি উপভোগ করলাম। বাতাসে কনসার্টের সুর ভাসছে। সেই সাথে লাখো মানুষের হর্ষধ্বনি।
এদের জীবন কত রঙ্গীন!
ফিরতি পথে হাইওয়েতে অ্যামেরিকান জীবনের অন্ধকার অংশটুকুও চোখে পড়লো। কিছুক্ষণ পরপর রাস্তা ব্লক। পুলিশের গাড়ি, এম্বুলেন্স, ফায়ার ট্রাক সাইরেন বাজিয়ে ছুটে চলেছে।
একটার পর একটা এক্সিডেন্ট পার করে আমরা এগুচ্ছি। দুমড়ে মুচড়ে পরে আছে দামী দামী সব গাড়ি। ফায়ার রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট গাড়ি কেটে লোক উদ্ধারে ব্যস্ত। এম্বুলেন্সের লোক প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে দিতে হাসপাতালের দিকে ছুটছে। পুলিশ রাস্তায় মানব এবং ফসফরাস (অন্য কোন কেমিক্যালও হতে পারে, আগুনের মত জ্বলতে থাকে জিনিষটা) ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
জনতার একটা বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলাম। আমাদের দেশে সামান্য ঠোকাঠুকিতেই যেখানে রাস্তায় 'উৎসুক জনতার' ভিড় জমে যায়, সেখানে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনাতেও এখানকার মানুষরা দিব্বি পাশ কাটিয়ে চলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই মনে বোধ জাগতে পারে যে এদের অন্তরে বুঝিবা কোন মায়া দয়া নাই।
কিন্তু একটু ভাবলেই বোঝা যায়, যুক্তিবাদী অ্যামেরিকানরা এক্ষেত্রেও আমাদের তুলনায় সঠিক। শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থেকে ভিড় বাড়িয়ে কিই বা সাহায্য করতে পারবে? বরং সরে গিয়ে যারা এক্সপার্ট তাদের কাজের সুবিধা করে দেয়াটাই আসল 'উপকার' করা।
আমাদের দেশে কোন ভবনে আগুন লাগলে উৎসুক জনতার ভিড়ের কারনেই ফায়ার ব্রিগেড আসতে পারেনা। বসুন্ধরা সিটিতে যখন আগুন লেগেছিল, মনে আছে? টিভি স্ক্রিনে দেখছিলাম, ভিড়ের জন্য ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এগুতেই পারছিল না। যদি ফায়ার ব্রিগেড ভলান্টিয়ার চায়, তখনই কেবল সামনে এগিয়ে আসা উচিৎ। নাহলে যাদের ট্রেনিং আছে, তাদের কাজের সুবিধার জন্য আমাদের ভিড় না বাড়ানোই ভাল।
একই ব্যপার সড়ক দূর্ঘটনার বেলায়ও ঘটে। যদি কোন গাড়ি হিট করে থাকে, রাস্তার জনতার প্রাথমিক লক্ষ্যই থাকে সেই গাড়ি ভাংচুর। যদি দোষী গাড়ি পালিয়ে যায়, তাহলে এর পেছনে যত গাড়ি আছে, ভাঙ্গো। ভিকটিমকে হাসপাতালে পরে নিলেও চলবে। যদি এখানেই মারা যায়, তাহলেতো কথাই নাই। সড়ক অবরোধ করা যাবে।
আমি মোটেও বাড়িয়ে বলছি না। আমার এক বন্ধু মোটর সাইকেল এক্সিডেন্ট করেছিল। সে আফসোস করে বলছিল, কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু তাকে হিট করা সিএনজি পুড়িয়ে দিয়েছিল। বেচারাকে একা একা উঠে তার ভাঙ্গা মোটর সাইকেল ঠেলে রাস্তার পাশে সরাতে হয়েছিল। এবং রিকশা করে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
যাই হোক। রাস্তায় একের পর এক দূর্ঘটনা দেখতে দেখতে একটা জায়গায় দেখলাম একটা ডেড বডি পড়ে আছে। কাপড়ে ঢাকা শরীরের কেবল একটি হাত বেরিয়ে আছে। হাতের সাইজ এবং লোম দেখে মনে হলো কোন মধ্যবয়সী পুরুষের হাত। মানুষ হিসেবেই স্বাভাবিকভাবে বুক থেকে একটা নিঃশ্বাস বেরোলো, 'আহারে!'
এই কিছুক্ষণ আগেই হয়তো বা বেচারা বন্ধু বান্ধবদের সাথে নিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় জানাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরেই নিজের জীবনকেও বিদায় দিতে হলো।
আমাকে একবার স্পিডিংয়ের জন্য পুলিশ ধরেছিল। পয়ত্রিশ মাইলের(৫৬কিমি) লিমিটে আমি ষাঠে(১০০ কিমি) চালাচ্ছিলাম। পুলিশের লাল নীল বাতি জ্বালানো দেখে গাড়ি থামালাম। অফিসার জিজ্ঞেস করলেন, "এত স্পীডে চালানোর কারণ কী?"
বললাম "অনেক রাত হয়ে গেছে। বাসায় ফেরার তাড়া।"
অফিসার বিড়বিড় করে বললেন, "আমাদের সবারই বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে। কিন্তু সেজন্য স্পিডিং করে টুকরো টুকরো অংশে বাড়ি ফেরার কোন মানে হয়না।"
সাধারণত লিমিটের চেয়ে বিশ মাইল বেশি স্পীডে চালালে পুলিশ অ্যারেস্ট করতে পারে। তিনি আমাকে অ্যারেস্ট করলেন না। একটা টিকিট ধরিয়ে দিলেন। কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিয়ে জরিমানা ভরতে হবে। সাড়ে তিনশো ডলারের জরিমানা। একজন ব্যাচেলর মানুষের একমাসের গ্রোসারীর খরচ দিব্যি চলে যায়!
জরিমানার সাথে আমাকে বাধ্যতামূলকভাবে ডিফেন্সিভ ড্রাইভিংয়ের একটা ক্লাসও করতে হয়েছে। ছয় ঘন্টার সেই ক্লাসের "ড্রিংকিং এন্ড ড্রাইভিংয়ের" উপর একটি অধ্যায়ের শুরুতে অনলাইন কোর্স ইন্সট্রাকটর কিছু ভূমিকা টেনে নির্বিকার গলায় বলল, "এই চ্যাপ্টার তুমি যতক্ষণে শেষ করবে, ততক্ষণে শুধুই টেক্সাস রাজ্যে তিনজন মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যাবেন। এবং যার প্রত্যক্ষ্য কারণ হবে শুধুই এলকোহল।"
এইধরনের কথা শুনতেও খারাপ লাগে। মনে পড়ে গেল নিউইয়ারের রাতে হাইওয়ে সেভেন্টি ফাইভের উপর পড়ে থাকা লাশটির কথা। থার্টি ফার্স্ট নাইটে মদ খায় না এমন অ্যামেরিকান কী খুঁজে পাওয়া সম্ভব? মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে লোকটির কীই বা লাভ হয়েছিল? শুধু শুধুই কী নিজের জীবনটা খুইয়ে বসলো না?
সেই লোকটিই যে মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল এমনটাই বা নিশ্চিত হচ্ছি কেন? যারা মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে এক্সিডেন্ট করে, শুধুই তাদের মৃত্যু হলেও একটা কথা ছিল। সবক্ষেত্রেতো এমনটা ঘটে না।
গত বছর ডালাসের পাশের শহর আর্লিংটনে একটা পুরো পরিবার শেষ হয়ে গিয়েছিল সড়ক দূর্ঘটনায়। বাবা মা, এবং দুইটা বাচ্চা - সবাই শেষ। তারা মসজিদ থেকে তারাবিহর নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দূর্ঘটনা ঘটে। একটি বিশালাকৃতির ফোর্ড ট্রাক (বাংলাদেশে 'পিকআপ' বলে) বেপরোয়া গতিতে তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। যে ফোর্ড চালাচ্ছিল, পুলিশ তার রক্তে অ্যালকোহল পায়। ছেলেটা এর আগেও মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর জন্য শাস্তি ভোগ করেছিল। বোঝাই যাচ্ছে শাস্তিতে কাজ হয়নি। এইবার সরাসরিই একটি পরিবারকে পৃথিবী থেকে মুছে দিল। এইবার তার কী হবে আল্লাহই জানেন।
আমি কিছুদিন আগে এই টপিকে "খুনী" নামের একটা ছোট গল্প লিখেছিলাম। ব্লগ পাঠকগণ গল্প পড়তে তেমন বোধহয় পছন্দ করেন না। তাই অনেকেরই চোখে পড়েনি।
আজকে আবার একই বিষয় নিয়ে লিখলাম, কারন আজকে আমার অফিসের পাশের ডেস্কে বসা মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বলল যে গতকাল রাতে তাঁর কলেজ জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবীটি সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে। যে তার গাড়িকে মেরেছে, সে মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল।
আহারে। শুনেই চোখে ভেসে উঠলো বাইশ তেইশ বছরের একটি ঝকঝকে তরুণীর মুখ। ফুল ফোটার আগেই যেসব কলি ঝরে যায়, তাদের জন্য কার না মনে কষ্ট হয়?
যারা মদ খান, তারা মনে করেন তাদের বুঝিবা গাড়ি চালালে কোন সমস্যাই হবেনা। একদুইবার হয়তোবা তাঁরা লাকি যে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু কতবার ভাগ্য সহায় হবে? আপনি মরতে চান, স্বানন্দে মরুন, অন্যের জীবন কেন কেড়ে নিবেন?
বিদেশীদের অনুকরণে বাঙ্গালিরা মদ খেয়ে বিমলানন্দ লাভ করে। হুইস্কি বা ভদকার পেয়ালায় চুমুক দিয়েই মনে করে 'সাদা চামড়ার বিদেশী' হয়ে গেছে! বাঙ্গালির মদ খাওয়ার আরেকটা ফালতু মেন্টালিটি হলো, "আমি যদি মদ খেয়ে টালই না হলাম, তাহলে সেই মদ খেয়ে লাভ কী?"
তাদের ইনফরমেশনের জন্য বলছি, মদ খাওয়াকে বিদেশীরা অপছন্দ না করলেও মাতালকে এরা রীতিমত ঘৃনা করে। আমি ঘৃনা শব্দটা ইচ্ছে করেই বাছাই করেছি। কারন আসলেই তারা মাতালদের কীট পতঙ্গের (তেলাপোকা, ইঁদুর) মতই ঘৃনা করে। কাজেই মাতাল হওয়াতে কোনই স্মার্টনেস নেই। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনাদের আশেপাশের সাদা চামড়ার কোন ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করে ভ্যারিফাই করতে পারেন।
একটি চমৎকার ম্যাসেজ দিয়ে ইতি টানা যাক। অ্যামেরিকার অনেক সিগনালেই লেখা থাকে, "ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। যে জীবনটি আপনি রক্ষা করতে যাচ্ছেন, হতে পারে সেটা আপনারই নিজের।"
আপনার একটি ছোট ভুল, একটি পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে যথেষ্ট।
আপনি যদি বন্ধুদের পিড়াপিড়িতে মদ খেয়েই ফেলেন, তাহলেও বাড়ি ফেরার সময়ে ফোন করে একটি ট্যাক্সি ডাকুন। মিটারে কতই বা ভাড়া যাবে? কারও জীবনের তুলনায় কী সেটা খুব বেশি পড়বে?https://www.facebook.com/groups/canvasbd/
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৫৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
কাজী রায়হান বলেছেন: চমৎকার লেখা । আসলে এটা আমাদের দেশেও ক্ষেত্রেও চলে । তবে এখানকার ট্রাক ড্রাইভার রা বেশী নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকে বলে আমার ধারনা
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৫
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লাগল। খুনী গল্প টা সময় পেলে পড়ব।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++++++
খুবই ভালো পোস্ট ভ্রাতা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: থ্যাংক ইউ!
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার নির্মম বাস্তবিক লেখা ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮
বেপরোয়া বেদুঈন বলেছেন: আপনার বর্ণিত অভিজ্ঞতায় মার্কিনীদের যে মূল্যবোধ ফুটে উঠল, তা মোটেও ইতিবাচক । অতিরিক্ত ভোগের আকাঙ্ক্ষা ও ব্যক্তিবাদই এদের অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বী, যেকোন কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়।
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
আবু শাকিল বলেছেন: লেখা ভাল লাগলো ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন। কখন হয়ত শুধু পরিবার নয় বৃহৎ একটা জনগোষ্ঠীর ও অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।