নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি বাংলিশে ইস্পিক করি, আমি এস্মার্ট।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২২

"Usually আমি বিকালে বাইরে নাস্তা করতে যাই। তাই আম্মু আমাকে সন্ধ্যায় এসে টাকা দিয়ে বলল, "বাইরে যা তুই, নাস্তা করে আয়।"

আমি আম্মুকে রিপ্লাই দিলাম যে, "তুমি যাও, একটু পরে যাচ্ছি।"

আজানের দুই থেকে তিন মিনিট পরে আমার রুমে আগরবাতি বা এই টাইপের একটা 'স্মেল' ঘুরতে লাগলো। আমি প্রথমে নরমালি নিলাম। কিন্তু পাঁচ মিনিট পরে রুমের আগরবাতির স্মেলটা এত বেশি বারলো যে নিঃশ্বাস নেয়াটাই টাফ হয়ে গেল।

এরমধ্যে ইলেকট্রিসিটি চলে গেল, আমি পিসি শাট ডাউন করে পাশের রুমে গেলাম ফ্রেশ হবার জন্য। কিন্তু আমি যখন পাশের রুমে যাই, গিয়ে দেখি যে আগরবাতির কোন স্মেল নেই, বাট আমি যে রুমে ছিলাম, সেই রুমে আগরবাতি বা এই টাইপের কিছুর ভরা একটা 'এস্মেল' ছিল।

সো আমি ফ্রেশ হবার জন্য ওয়াশ রুমে ঢুকলাম, যেহেতু ইলেকট্রিসিটি নাই, ওয়াশরুমটা পুরা অন্ধকারই ছিল। ওয়াশরুমে ঢুকার পর আমার জাস্ট ফীল হতে থাকে যে একটু ভয় ভয় লাগছে। বাট এইটা ফিল হবার কোন কারন নেই, কারন আমি বাসায় অনেকদিন যাবৎ আছি।

ফ্রেশ টেস হয়ে বাইরে যাবার জন্য একটা প্রিপারেশন নিলাম।

যেই টাইমে আমি আমার বাসার গেইটটা ক্লোজ করে বেরোচ্ছি, সিড়িতে অন্ধকার ছিল, ইলেকট্রিসিটি ছিল না, এই সময়ে আমি আমার মোবাইলের লাইটটা 'ওপেন' করে নামা শুরু করলাম। একবার যখন গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে হেঁটে হেঁটে হোটেলে রিচ করলাম, এরপর খাওয়া দাওয়া পরে যখন বিল টিল দিয়ে বাসায় ব্যাক করবো....আমার বাসায় ব্যাক করার দুইটা রাস্তা আছে, লেফ্ট সাইডে একটা, রাইট সাইডে একটা, তখন আমি ফিল করলাম একজন কেউ আমাকে পিছন থেকে ডাকলো।.........

বড় ভাইকে ask করতে তার কাছে রিচ করে ব্যাক হয়ে দেখি লোকটা নাই।"



এই হচ্ছে বিখ্যাত রেডিও অনুষ্ঠান ভূত এফ এমে গল্প শোনাতে আসা এক তরুনের কথাবার্তার কিছু অংশ।

বেচারার গল্প শুনে ভয় পাব কী, ইচ্ছে হলো কষ্ট করে প্লেনের ইমার্জেন্সি টিকিট কেটে বাংলাদেশ চলে যাই। রেডিও স্টেশনে গিয়ে তার ঠিকানা নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে হাজির হই। এবং সেখানে গিয়ে নিজের পায়ের থেকে স্যান্ডেল খুলে তার পশ্চাৎদেশ লাল বানিয়ে দেই।

ফাজিলের মতন কথাবার্তা! আগে ঠিক কর বাংলায় কথা বলবি, নাকি ইংলিশে। যখন যেটা বলবি, সেটা যেন শুদ্ধ হয়।

"আগরবাতির এস্মেল" "মোবাইল ফোনের লাইট ওপেন" "ব্যাক হয়ে দেখি" এইসব কী ধরনের ফাইজলামি? গাধার বাচ্চা রাম ছাগল কোথাকার!



বেশ অনেকদিন ধরেই দেশের পোলাপানদের মধ্যে 'বাংলিশে' কথা বলা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন ভাব যেন ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে, দিন রাত ইংলিশে কথা বলে, তাই বাংলায় কথা বলা ভুলেই গেছে। খুবই গর্বের সাথে বলে, "ও মাই গড, আমি না বাংলায় ফেল করেছি!"

আরে আহাম্মক, বাংলা মিডিয়ামের পোলাপান কিন্তু ইংলিশ পরীক্ষায় ফেল করেনা। আরবিতেও না। মাতৃভাষায় ফেল করার মধ্যে গর্বের কিছু নেইরে ছাগল। ওটা আসলেই তোর failure.

মজার ব্যপার হচ্ছে আমার যতগুলা ইংলিশ মিডিয়ামের বন্ধু ছিল, যাদের পড়াশোনা স্কলাস্টিকা, গ্রীন হেরাল্ড, আগা খান কিংবা মাস্টার মাইন্ডের মতন বাঘা বাঘা স্কুলে, তাদের একজনকেও আমি এই বিচিত্র ভাষায় কথা বলতে শুনি নাই। উল্টা তাদের বাংলা ছিল যথেষ্টই 'চলিত,' আইছি, বইছি, খাইছি, গেছি ধরনের। দাদা বাবুরা যাকে 'বাঙ্গাল' বলে চেনেন আর কি!

ঢাকায় থাকতে একবার এক ছেলে আমাকে বলেছিল, "আমি অনেক জোরে 'রান' করেও ওর কাছে 'রিচ' করতে পারি নাই। 'ডিলে' হয়ে গেছিল। তাই ওকে টাকা 'গিভ' করতে পারলাম না।"

ব্যাকগ্রাউন্ড খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম পোলা হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের একজন ছাত্র, কোন এক ছোট জেলার এক অখ্যাত বাংলা মিডিয়াম স্কুল থেকে পাশ করে ঢাকায় পড়তে এসে 'স্মার্ট' হয়ে গেছে।



এদেশে এমন অনেক ইমিগ্র্যান্ট বাবা মাকেই দেখেছি যারা বাচ্চাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলেন। ফলে বাচ্চারাও এক বর্ণও বাংলা শিখে না। সমস্যা বাঁধে যখন বাচ্চার নানী দাদী তাদের সাথে কথা বলতে যান।

বেশিরভাগ নানী দাদীই ইংরেজি পারেননা। কাজেই বাচ্চারাও তাঁদের কাছে গিয়ে আনন্দ পায়না। ভাষা না বুঝলে কতটুকুই বা আদর বুঝবে?

তখন দেখি মা বাবা চোখ পাকিয়ে বলেন, "দাদির কাছে যাও! নানির কাছে যাও! এরকম বেয়াদবি করছো কেন?"

ভাইজানেরা, তাদের এই অবস্থার জন্যতো আপনারাই দায়ী! আপনারা ওদের স্পোকেন বাংলা কোর্স করালে আপনার বাচ্চা 'বেয়াদব' হতো না।

নানী-দাদির কাছে রূপকথার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমানোর কী সুখ সেটা এরা কখনই বুঝতে পারেনা।



উল্টো দৃশ্যও দেখা যায়। এক দাওয়াতে এখানে জন্মানো এক বাচ্চা তার বাবার কাছে গিয়ে ইংলিশে কিছু একটা আবদার করছিল। বাবা মেয়েকে ধমক দিয়ে বললেন, বাংলায় কথা বলতে। না বললে তিনি কোন কথাই শুনবেন না।

মেয়েটি বাধ্য হয়ে বাংলায় কথা বলল।

বাবার যুক্তি হচ্ছে, এরা ইংলিশে কথাবার্তা এমনিতেই শিখে। সারাদিন স্কুল থাকে, স্কুলের বন্ধুবান্ধব থাকে। এখন যদি বাসায়ও বাংলায় কথা না বলা হয়, তাহলে এরা মাতৃভাষা শিখবে কিভাবে?

তাঁর মতন পিতাদের সালাম!



যাই হোক, আজকাল বাংলিশে কথা বলাটাই স্মার্টনেসের একমাত্র লক্ষণ। বাংলায় কথা বলা ক্ষ্যাত। আমি দেশে থাকতেও ক্ষ্যাত ছিলাম, এখনও ক্ষ্যাতই রয়ে গেছি।

অ্যামেরিকায় আসার কিছুদিনের মধ্যে এক ছেলের সাথে কথা হয়েছিল যে আমার সাথে ধুমায়া ইংলিশে কথা বলছিল। আমি তখন একদম নতুন এসেছি। ইংরেজি গুছিয়ে বলতে গিয়ে প্যাচিয়ে ফেলি। এদিকে ওদিকে শব্দের জন্য হাতড়ে ফিরি আর কি। তবু কথাবার্তা চালিয়ে গেলাম।

পরে ছেলেটা যখন বলল যে সে দুই বছর আগে অ্যামেরিকায় এসেছে। এখন বাংলা ভাষা প্রায় ভুলতেই বসেছে - তখন বিরবির করে এমন একটা গালি দিলাম যাহাকে বইয়ের ভাষায় লিখতে গেলে লিখতে হবে "ছাপার অযোগ্য।"

আমি ভাইজানকে জিজ্ঞেস করলাম দেশে থাকতে কোন স্কুলে পড়েছিল। সে জানালো, মতিঝিল মডেল।

এইবার গালিটা দ্বিতীয়বার দিয়ে মনে মনে বললাম, ফাজিলের আওলাদ! তুমি এতক্ষণ আমার সাথে ভাব নিচ্ছিলা!

এরপর থেকে 'ব্রাউন চামড়ার' কারও সাথে কথা বলার সময়ে, সে এই দেশে জন্মাক অথবা বহু বছর আগে এদেশে আসুক, আমি বাংলায় কথা চালিয়ে যাই।

সহজ যুক্তি, তোমার যদি বাংলায় কথা বলতে সমস্যা হয়ে থাকে, তবে অতি গর্বের সাথে বলছি, আমারও ইংরেজিতে কথা বলতে একই সমস্যা হয়।

আমার সুবিধার জন্য তুমি যেমন বাংলায় কথা বলতে রাজি নও, তাহলে আমি কেন কষ্ট করে আমার সব কথাকে ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করবো

https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮

ভিটামিন সি বলেছেন: আমি গেরাইম্মা পোলা। কিছু লেখলেও গেরাইম্মা ভাষা আহে, কইলেও আহে, কমেন্ট করলেও আহে। কিতা করতাম - ছোডু বেলাথন এই ভাষায় কথা হুনছি আশেপাশের মানুষের কাছে। তাই ভালাও লাগে।
যারা বাংলার ভিত্রে উল্টা-পাল্টা ইংরাজি শব্দ হান্দায়া দেয় তাদের জন্য বঙ্গবাণী - আব্দুল হাকিম প্রযোজ্য। কিলিয়ার কইরা কইলে, "যেসব বঙ্গেত জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী, সেসব তাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি"।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++

আপনি চমতকাড় লিখেন ভ্রাতা । আপনাড় লেখা সবসময়ই ভালো হয় । সামুতে এখন পাঠকেড় খড়া আছে , তাই হতাশ হবেনা । লিখতে থাকুন ।

দিয়ে কেন লিখলাম জানেন । কে বলা এখন আরেক শ্রেণীর উজবুক তথাকথিত বাঙালীর স্টাইল হয়ে দেখা দিয়েছে ।

ভালো থাকবেন খুব :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহা, ধন্যবাদ! :)

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

জানা বলেছেন:
খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জার হলেও সত্য যে অনেক শিক্ষিত পরিবার থেকে শুরু করে খুব সাধারণ পরিবারেও একটা বিচিত্র প্রবণতা আছে। যে কোনভাবেই হোক একবার বিদেশে গিয়ে কিছুদিন বাস করতে পারলেই 'বিদেশী' হয়ে যায়। 'বাংলাটা টেমন আসে না আমাড়'/'বাংলা বলথে পাড়িনা' এই রোগ প্রকট হয়ে ওঠে মা-বাবা বা পরিবারের অমূলক আগ্রহে বা অন্যায় প্রশ্রয়ে। আর মার্মান্তিভাবে মা-বাবারাও অনেকটা গর্ববোধ করেন যে তাঁদের সন্তানেরা আর 'বাঙালী' নয়, কেমন গড়গড় করে ইংরেজী বলে। কিন্ত বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা মাতৃভাষা বাংলাও যেমন হারিয়ে ফেলেছে, ইংরেজী বা অন্যভাষাটাও শুদ্ধ করে রপ্ত করতে পারেনি। না 'ঘাটের না ঘরের' অবস্থা! এদের একটি খুব সাধারণ বিষয়ে দু'কলম বাংলা এবং ইংরেজী লিখতে বললে বাংলায় অরুচী এবং ইংরেজীতে ত্রাহী অবস্থা! আমি দেশে এবং বিদেশে অনেকসময়ই লক্ষ্য করে কষ্ট পাই যে, অনেক বাঙালী ছেলেমেয়েই এখন দেশি ফুল-ফল, দেশী গাছ, দেশী মাছ, দেশী সব্জি ইত্যাদি চেনে না, নাম জানে না! ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর এর মত একেবারেই গোড়ার দিককার জাতীয় দিবসগুলোর কিছুই জানে না। বছরের ১২টি মাস এবং ৬টি ঋতুর নাম বলতে পারেনা। বরং মা-বাবার গর্বিত এই নিয়ে যে 'আমার ছেলে/মেয়ে বাংলা বলতেই পারে না।' তাঁরা নিজেরাও ভুল-শুদ্ধ যাই হোক, ঐভাবেই মাতৃভাষাকে দূরে ঠেলে ইংরেজী, হিন্দিতেই পরিতৃপ্ত।

দেশে প্রচলিত নানান মাধ্যমেও, বিশেষ করে রেডিওগুলোতে বাংলা শুনে সত্যই আমার হৃদরোগ হবার উপক্রম হয়। কেউ জোরেসোরে প্রতিবাদ করে না। এটাকে একটা ট্রেন্ড/স্টাইল/স্মার্টনেস হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা দুঃখজনকভাবে অনেকটা সফলও করা গেছে!

আমি আশাবাদী এবং ইতিবাচক সাধারণ মানুষ। তাই আমি বিশ্বাস করি এখনও সময় পেরিয়ে যায়নি এই ভয়াবহ 'রোগ'টি প্রতিরোধ করার। এই দেখুন, এখানেই কতগুলো মানুষ এই 'রোগ' এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আজকে এই ইন্টারনেট নির্ভর 'সামাজিক মাধ্যম' এর যুগে মাতৃভাষার চর্চা, প্রচার প্রসারের আরও অনেক গুণ বিস্তার সম্ভব। দরকার কেবল সম্মিলিত দায়িত্বশীলতা এবং সচতনতাবোধ।

ভাল লাগলো মাতৃভাষার অপব্যবহার নিয়ে আপনার পোস্ট। ভাল থাকেবন।
ধন্যবাদ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ! :)

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: কথা বলার সময় বাংলিশ ব্যবহার করি না কখনোই। কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহার হয় কিন্তু অবশ্যই উদ্ভট ধরনের নয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বিদেশি শব্দ ব্যবহার হবেই, কিন্তু "আস্ক করতে তার কাছে রিচ করলাম" শুনলে মেজাজ ঠিক রাখা কষ্টকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.