নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন "রোমিও এন্ড জুলিয়েট" একটি জঘন্য রচনা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

একটা সময়ে "রোমিও এন্ড জুলিয়েট" আমার খুব প্রিয় নাটক ছিল। জীবনে কতবার যে পড়েছি!
কী অসাধারণ সব কালজয়ী ডায়লগ! "নামে কিই বা আসে যায়" (What's in a name? That which we call a rose, By any other word would smell as sweet) বিখ্যাত উক্তিটি জুলিয়েটের মুখ দিয়েই শেক্সপিয়ার বলিয়েছিলেন।
অথবা রোমিওর সেই বিখ্যাত রোমান্টিক উক্তি, যা প্রেমিকদের মনের একদম গভীরের কথা বলে, "See how she leans her cheek upon her hand! O that I were a glove upon that hand, That I might touch that cheek!"
অনেক 'চিজি' শোনালেও অস্বীকার করবো না, এই ডায়লগ পড়ার পর উপলব্ধি হয়েছে যে আমার নিজেরও বহুবার মেয়েদের মাথার চিরুনী থেকে শুরু করে লিপস্টিক পর্যন্ত কত কিছু যে হতে ইচ্ছে হয়েছে!
কিন্তু এখন মনে হয় রোমিও এন্ড জুলিয়েট খুবই জঘন্য একটি রচনা ছিল। পরাজিত মানুষের গল্প কিছুতেই এপিক হতে পারে না। আত্মহত্যা কখনই প্রেমকে বিজয়ীকে করতে পারে না, কিছুতেই না।
নাটক শেষে নায়ক-নায়িকা দুজনই নিজেদের জীবন কেড়ে নেয়। টিনেজ বয়সের অন্ধ প্রেমে যা হয় আর কি। এই নাটক বা গল্প পড়েই অনেকের মাথা খারাপ হয়ে যায়। আত্মহত্যাকে ফ্যান্টাসি হিসেবে মনে করতে থাকে। জীবনের প্রতি অভিমান করে দড়িতে ঝুলে পড়ে।
ইদানিং সংবাদপত্রে একটা শিরোনাম খুবই চোখে পড়ে, "প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা।"
পড়তে গেলেই দেখবেন মারা যাবার আগে তাঁরা জাতীর উদ্দেশ্যে একখানা পত্র লিখে গিয়েছেন। তাহাদের মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নহে। ইহকালে এক হইতে না পারিয়া পরকালে মিলিত হইবার অভিপ্রায়ে তাহারা একসাথে আত্মহত্যা করিয়াছেন। তাহাদের শেষ অনুরোধ, তাহাদের যেন একসাথে কবর দেয়া হয়!
খুবই জঘন্য আবেগের বহিঃপ্রকাশ। আত্মহত্যা কোনকিছুরই সমাধান হতে পারে না। তোরা একসাথে ফাঁসীতে ঝুলে যাবার সুযোগ পেলি, তাহলে একসাথে পালিয়ে গেলি না কেন? অভাবে থাকতি, কষ্ট করতি, কিন্তু বেঁচেতো থাকতি! সেটা তোদের প্রেমের আসল 'জয়' না হলেও 'পরাজয়' অন্তত হতো না।
রোমিও হতে হয়, নিজের মনের ইচ্ছেকে ঐ জুলিয়েটের হাতের দস্তানা হওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখরে ছাগল, বিশ খাবার দরকার কী?
শেক্সপিয়ার থেকে শরৎচন্দ্র, এমনকি হুমায়ূন আহমেদ পর্যন্ত সবাই ট্রাজেডি লিখে গেছেন। নায়িকাকে না পেয়ে নায়ক নিজের জীবন কেড়ে নিচ্ছেন। অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে উল্টা। মতি মিয়াকে না পেয়ে কুসুম যেমন বিষ খেয়েছিল। প্রেমে ব্যর্থ হলে মেয়েরাও সুইসাইড করে। বেকুব মেয়েটা জানতেই চাইলো না যে সুরুজও তাকে ভালবাসতো। সেও তাকে সুখে রাখতো। 'আমার আছে জলেও' তেমনি বিলু অভিমান করে পুকুরে ঝাঁপিয়ে পরেছিল।
প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, প্রেমিক পকেটের টাকা খরচ করে বার থেকে শস্তায় মদের বোতল কিনে এনে রুমের দরজা লাগিয়ে গ্লাসের পর গ্লাস শেষ করে দিচ্ছে। বিরাট দেবদাস হয়ে গেছেন! আরে আহাম্মক, কিছুক্ষণ পর বমি করার মাধ্যমে তোর যখন দেবদাসগিরি বেরুবে, তখন ঐদিকে তোর নায়িকা আরেকজনের সাথে বাসর রাত করবে! ফ্যাক্ট! স্বীকার করে নে, তুই একটা লুজার!
আমার লুজারদের নিয়ে গল্প লিখতে ভাল লাগেনা। আমার গল্পে যৌতুকের বুরুদ্ধে মেয়েরা রুখে দাঁড়ায়, এর প্রতিবাদে এমনকি বিয়ের পিড়ি থেকে পর্যন্ত উঠে যায়। স্বামীর মার খেতে থাকা মেয়ে উল্টা স্বামীকেই পেটাতে শুরু করে। বাড়ির লোকজন যদি প্রেমকে মেনে না নেয়, তারপরেও তারা লড়াই চালিয়ে যায়। আত্মহত্যা করে না।
আমার গল্পের নায়ক-নায়িকারা "উন্নত মম শির।"
পাঠক কাঁদিয়ে জনপ্রিয় হবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই। কাঁদার জন্য কয়েকশো বছরের সাহিত্য আছে, আপনারা সেগুলো পড়ুন। আমার গল্প পড়ে যেন মানুষ লড়াই করার সাহসটা পায়।
যৌতুক নিয়ে আমার লেখা একটি গল্প পড়ে একজন পাঠক আমাকে জানিয়েছিলেন, দুই বছর আগে যদি লেখাটা লিখতাম, তাহলে তাঁর জীবন আজকে অনেকখানিই বদলে যেত।
সেই একটা ইমেইল পড়েই মনে হলো ক্যানভাসে লেখালেখি স্বার্থক! একজন পাঠককে অন্তত ছুঁতে পেরেছি!
সেক্সুয়াল হেরাসমেন্ট নিয়ে লেখা প্রবন্ধটি পড়ে আরেকজন তাঁর জীবনের সাথে আশ্চর্য্য মিল খুঁজে পেয়েছেন। তিনিও প্রস্তুতি নিচ্ছেন লড়াই করার। ধন্যবাদ দিয়েছেন আমাকে।
আত্মহত্যা নিয়ে লেখা একটি প্রবন্ধ পড়ে একজন স্যাডিস্ট ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন তিনি জীবনকে এখন ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করেছেন।
এইসব রিয়েকশন দেখলেও ভাল লাগে। এইসব রিয়েকশন ইনবক্সে না হয়ে যত পাবলিকলি হবে, তত ভাল। তত মানুষ জানতে পারবে যে তাঁর আশেপাশেই হাজার হাজার মানুষ আছে তাঁর মত। সে একা নয়। এটাই তাঁর সমস্যার অর্ধেক সমাধান করে দিবে।
আমরা কেউ লাইক পাবার আশায় লিখতে বসিনি। আমরা সমাজ বদলাতে এসেছি। একজন দুইজনকে দিয়েই হচ্ছে, তাতে সমস্যা নেই। অন্তত শুরুটাতো হচ্ছে!
শামারুখ মেহজাবিন নামের একজন ডাক্তার মারা গেছেন; শ্বশুরবাড়ি দাবী করছে, আত্মহত্যা, বাপের বাড়ি দাবী করছে খুন!
চলুন দেখা যাক আসলে খুনটা কে করেছে।
একজন পাগলও বুঝতে পারছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সরাসরিই এই খুনের জন্য দায়ী। একটি মেয়ে তাঁর সারা পৃথিবীকে পেছনে ফেলে কেবল একজন মানুষের ভরসায় একটি নতুন পৃথিবীতে পা রাখে, সেই মানুষটিই যদি তাঁর বিশ্বাস ভাঙ্গে, তাঁর গায়ে হাত তুলে, তাহলে তাঁর কী করার থাকে? ডুবতে থাকা স্ত্রীর পাশে যদি খড়কুটো হয়েও তাঁর স্বামী না দাঁড়ায়, তাহলে সেতো ডুবে মরবেই।
অনেকেই তাঁর বাবাকে দোষ দিচ্ছেন।
তিনি কেন সবকিছু জানার পরেও তাঁর মেয়েকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সংসার চালিয়ে যেতে বললেন? কিছুটা দোষ যে বাবার আছে, তাতো অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই। ছেলেমেয়েদের কাছে শেষ আশ্রয় স্থল হচ্ছে মা বাবার ঘর। যদি বাবা মা বলেন, যাই ঘটুক না কেন, তোমার জন্য এ বাড়ির দরজা সবসময়েই খোলা, তাহলে সেই সন্তানকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনা।
মেয়েটি হয়তো দেখেছে তাঁর বাবাই যেখানে বলছেন কোন রকমে কষ্ট করে হলেও নরকে থেকে যেতে, সেখানে আত্মহত্যা করা ছাড়া নরক থেকে মুক্তি পেতে তাঁর আর কিই বা করার ছিল?
আমাদের সব বাবা মায়ের জন্য এটি একটি পরম শিক্ষা। যদি দেখেন আপনার মেয়েকে তাঁর স্বামী মারধর করছে, তাহলে ইমিডিয়েটলি নিজের মেয়ের পাশে দাঁড়ান। সমাজ কী বলবে সেটা নিয়ে ভাবতে বসবেন না যেন। সমাজের কাজই হচ্ছে বলাবলি করা। হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) নিয়েও সমাজ 'বলতে' ছাড়েনি, আপনি কোন ছাড়?
তৃতীয়ত, মেয়েটি যদি আত্মহত্যা করেই থাকে, তাহলে তাঁকেই বা দোষ দিবেন কিভাবে?
আমি নিশ্চিত, এই পরিস্থিতিতে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে মেয়েটি কখনই কিছু শুনেনি। মেয়েটিকে যখন তাঁর স্বামী মারধর করলো, বাবা বলল মার খেয়ে হলেও সংসারে টিকে থাকতে, তখন যদি কেউ একজন তাঁকে এসে বলতো স্বামী বাবা মা ছাড়াও একা বেঁচে থাকা সম্ভব; কোথাও যদি কারও লেখা সে পড়তো যেখানে নায়িকা একা সমাজের বিরুদ্ধ স্রোতে সাঁতরে টিকে আছে - তাহলে নিশ্চই সে সাহসটা পেত। মানুষ পতিতালয় থেকে বেরিয়েও সমাজে টিকে থাকতে পারে, এই মেয়েটিতো একজন ডাক্তার ছিল। ইশ! কেউ যদি তাঁকে একটু আশার গল্প শোনাতো!
এই ফাঁকে আমার পাঠিকাদের উদ্দেশ্যে একটা ম্যাসেজ দিয়ে দেই।
বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে চান, খুবই ভাল কথা। তবে বিয়ের আগে ভাল মত বাজিয়ে দেখুন। সে যৌতুক লোভি কিনা, সে মারধর করে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
অবশ্যই আপনি যদি সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, "তুমি কী বিয়েতে যৌতুক চাও?" - তাহলে সে উত্তরে বলবে "না।"
বরং ঘুরিয়ে এইভাবে বলতে পারেন, "বাবা বলেছে আমার বিয়েতে এক পয়সাও খরচ করতে পারবে না। একবস্ত্রে বিদায় দিবে। আমিও মুখের উপর বলে দিয়েছি ঠিক আছে। তোমার কী মত?"
ছেলে যদি বলে "আলহামদুলিল্লাহ!" তাহলেও অন্যভাবে টেস্ট করুন। আর যদি ছেলে সামান্য ইঙ্গিতেও বুঝায় যে বিয়েতে 'উপহার' না পেলে বিয়ে হবে কিভাবে, তাহলে সেই ছেলের সঙ্গ 'অবশ্য পরিত্যাজ্য।'
I hope, আমি বুঝাতে পেরেছি। এখন আপনিই ঠিক করুন কিভাবে পরীক্ষা করবেন। এবং পরীক্ষার প্রশ্ন সহ রেজাল্ট যদি আমাদের সবার সাথে শেয়ার করেন, তাহলে খুবই খুশি হবো। অন্তত অন্য মেয়েদের সাহায্য হবে।
ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের উপর এক গল্পে লিখেছিলাম, "কুকুর পাগল হয়ে গেলে যেমন সেটাকে সাথে সাথে মেরে ফেলতে হয়, তেমনি স্বামী মারধর শুরু করলেও তাকে সাথে সাথে ত্যাগ করতে হয়।" কথাটি এখনও বিশ্বাস করি। আপনি মাটি কামড়ে সংসারে পড়ে থাকলে সে লাই পেয়ে মাথায় উঠবে। আপনি তখন শুধু মারই খেতে থাকবেন।
এখন বলা যাক, শামারুখ মেহ্জাবিনের আসল খুনী কে! সেটা হচ্ছি আমরা। মানে সমাজ।
একটা মেয়ে ডিভোর্স নিয়ে বেরিয়ে এলেই আমরা তখন নানাভাবে তাঁকে উত্যক্ত করতে শুরু করি। পুরুষেরা নানান ইশারা ইঙ্গিততো দেইই, মেয়েরা পর্যন্ত এমনসব কথা বলতে থাকে যা শুনলে শরীরে আগুন ধরে যায়।
"নিশ্চই এমন কিছু করেছে যে জামাই ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে।"
কেন আপা? ছেলেটির কোন দোষ থাকতে পারেনা?
একজন ডিভোর্সী মেয়ের সহজে বিয়ে হয়না 'বাঙ্গালি' সমাজে। মেয়ের সাথে বাচ্চা থাকলেতো কথাই নেই। তোমরা তাঁকে একাও থাকতে দিবে না, বিয়েও করতে দিবে না, মেয়েটি তাহলে যাবে কোথায়?
কেউ আবার গলা নামিয়ে বলে, "নিশ্চই কারও সাথে লাইন ছিল।"
লাইন থাকলে ছিল, আপনার তাতে কী? আপনার নিজেরও কী জীবনেও কারও সাথে 'লাইন' ছিল না? লাইন না থাকলেও কাউকে না কাউকে আপনার নিশ্চই মনে মনে ভাল লেগেছিল। যদি বলেন বিয়ের আগে আপনি কোন ছেলের দিকেই চোখ তুলে তাকাননি, এমনকি সিনেমার নায়কদের পর্যন্ত নয়, তাহলে বলবো এমন চাপাবাজি বন্ধ করেন!
"আমরা বাবা এক স্বামীর সাথেই জীবন কাটিয়ে দিতে শিখেছি। চার পাঁচটা ব্যাটার সাথে শোয়ার ইচ্ছা আমাদের নাই।"
এই সমস্ত কথা শোনার চেয়ে কী বাথরুমের গ্রীলে ওরনা প্যাঁচিয়ে ঝুলে যাওয়াটা অনেক সহজ নয়? মেয়েটি তাই করেছে।
এখন মানব বন্ধন ফন্ধন করে মেয়েটি হত্যার বিচার হয়তো সম্ভব হবে, কিন্তু মেয়েটি কি আর ফিরে আসবে?
আমাদের অভ্যাস না বদলালে এইরকম আরও কত মেয়ে যে তাঁর পথ ধরবে সেটা যিনি ভবিষ্যত লিখেন, তিনিই জানেন।
https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: শেক্সপিয়ারের কোন কাহিনীই আমার কাছে কখনও মানসম্মত মনে হয়নি। সবচেয়ে ফালতু লেগেছে 'মারচেন্ট অব ভেনিস'।
দেনা পরিশোধ করতে না পারলে বুকের মাংস কেটে দিতে হবে - এরকম গাঁজাখুরি শর্ত তো গুহামানবদের আইনেও মনে হয় পারমিট করতনা। এটা কি লিখল?

নারী জাতির প্রতি চরম অবমাননাকর রচনা হচ্ছে 'টেমিং অব দি শ্রু'।

স্বাভাবিক পারিবারিক বন্ধন, মা-সন্তানের সম্পর্ক নিয়ে ছেলেখেলা করার রচনা 'হ্যামলেট'।
নিহত ব্যক্তির আত্মা এসেই যদি বলে দেয় খুনী কে, তবে আইন-আদালত আছে কি করতে?

স্বামী-স্ত্রী অবিশ্বাসের বীজ ঢুকিয়ে দেয় 'ওথেলো' আর 'ম্যকবেথ'।

এসব অরুচিকর রচনা সামগ্রী দিয়েই শেক্সপিয়ার একজন গ্লোবাল সাহিত্যিক হয়ে উঠেছেন যেখানে সমসাময়িক সমাজ-বাস্তবতা নিয়ে লিখেও ভিক্টর হুগো বা অলিভার হেনরিরা তার ধারে কাছেই যেতে পারেনি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। শেক্সপিয়ার ডায়লগ ভাল লিখতেন এই ব্যপারে কোনই সন্দেহ নেই। গল্পের নাটকীয়তাও ভাল ছিল, তবে বাস্তব থেকে অনেক দূরে সেগুলোর অবস্থান ছিল। মানুষ বোধয় আজীবনই রহস্যময়, ভূত, প্রেত, আত্মাওয়ালা গল্পই বেশি পছন্দ করে। বাস্তব দেখতে পছন্দ করেনা।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার লেখা ।+++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! :)

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভ্রাতা +

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.