নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
দেশ থেকে কেউ আসার সময়ে যদি আমার কাছে “কী উপহার আনতে হবে” জানতে চায়, আমি প্রথমেই বলি, "এক কেজি মিষ্টি!"
"ডলার দিয়ে সব কেনা গেলেও দেশের মিষ্টির স্বাদ কেনা যায় না" - এই চৌধুরী সাহেব কথাটা ভালই জানেন।
তাই বাঙ্গালি দাওয়াতে গেলে পোলাও কোর্মা বাদ দিয়ে আমি বেশি বেশি করে ঘরে তৈরী মিষ্টি খাই।
তেমনি গতমাসের শেষের দিকে এক নৈশভোজের দাওয়াতে সুইট কর্নারে মিষ্টির জন্য ভিখারীর মতন থালা হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। চোখের সামনে শোভা পাচ্ছে ঘরে তৈরী দৈ, কালোজাম এবং কাঁচা গোল্লার মতন দেখতে আরেকটা মিষ্টি। কোনটা কয়টা করে নিব মনে মনে হিসাব কষছি, তখন পেছন থেকে ফরহাদ ভাই এসে বললেন, "তোমার PK দেখা উচিৎ!"
ফরহাদ ভাই হচ্ছেন ডালাস প্রবাসী বাঙ্গালি নাট্যকার। আমরা হচ্ছি তাঁর 'আপনার লোক।' নতুন কোন প্রজেক্ট হাতে নিলেই তিনি আমাদের ডাক দেন। আজকে দেখা হওয়ায় না কোন হাই, না কোন হ্যালো, প্রথমেই তিনি বললেন PK'র কথা।
আমি বললাম, "আমিও অপেক্ষায় আছি দেখার। কেমন লাগলো আপনার?"
ফরহাদ ভাই বললেন, "প্রতিটা সীন দেখেছি, আর তোমার কথা মনে করেছি। এই সিনেমাটা তোমার ইমিডিয়েটলি দেখা উচিৎ! ধরে নাও আগামী একমাসের জন্য লেখালেখির ম্যাটেরিয়াল তুমি এই এক মুভিতেই পেয়ে যাবা!"
কথাটা শুনে ধন্য হলাম।
যাক, কিছু মানুষ তাহলে আছেন যাঁরা সত্য কথনকে appreciate করতে জানেন। এঁদের জন্যই লিখতে ভাল লাগে।
আমরা জানি রাজকুমার হিরানী একটা করে সামাজিক ইস্যু বেছে নেন, এবং সেই থিমেই সিনেমা বানান।
তিন্নি ছিল পাশেই। সে জানতে চাইলো, "এইবারের মুভির থীম কী?"
ফরহাদ ভাইর চেহারা দেখে মনে হলো, তিনি বলতে চাইছেন না। বলে দিলেইতো মুভির মজা শেষ হয়ে যায়! একজনের ডিরেক্টর হিসেবে এই কাজ তিনি কিভাবে করবেন?
তারপরেও বলে দিলেন।
"ধর্ম ব্যবসা।"
আমার জিভে জল চলে এলো। আমার সবচেয়ে প্রিয় টপিক!
"ধর্ম ব্যবসায়ীদের একেবারে বাঁশ মেরে দিয়েছে!"
সাথে সাথে তিন্নির দিকে ফিরে ঘোষণা দিলাম, "ক্রিসমাসের পরের সপ্তাহেই আমরা PK দেখতে যাব। টপিক ইজ ওভার!"
যথাসময়ে PK দেখেও ফেললাম।
সত্যি বলতে "সিনেমা" হিসেবে PK আমার কাছে আউট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড মনে হয়নি। স্ক্রিপ্টে কোথাও যেন কিছু একটার কমতি মনে হয়েছে। থ্রী ইডিয়টস এবং রং দে বাসান্তি এরচেয়েও ভাল লেগেছিল, কারণ স্ক্রিপ্ট ছিল একদম পরিপূর্ণ!
তবে এইটা ঠিক, এই সিনেমার ম্যাসেজ অন্য যেকোন সিনেমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। সিনেমা দেখে তাই মনে হয়েছে, দলটি আসলে কাহিনী বলার চাইতেও ম্যাসেজ ডেলিভারীকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
কেবল যদি "কন্টেন্ট" তুলনা করি, তবে নিঃসন্দেহে এইটিই আমির খানের সেরা সিনেমা! এবং এই ধরণের সিনেমা বলিউডে আরও বেশিবেশি করে বানানো উচিৎ। হ্যাপী নিউ ইয়ার, কিক বা ব্যাংব্যাং টাইপ ননসেন্সতো অনেক হলো।
শুধু ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও এই এটেম্পট নেয়া উচিৎ। আমাদের দেশেও সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ের নাম "ধর্ম" কিনা!
হিন্দু মৌলবাদীরা এর বিপরীতে কট্টর অবস্থান নিয়েছে। আমি হিন্দু ধর্ম নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। সেটা আবার অন্য ইস্যু হয়ে যাবে।
তবে আমি যেহেতু মুসলিম, কাজেই আমি মুসলিম ধর্ম ব্যবসায়ীদের "প্রোডাক্ট" নিয়ে কিছু বলার অধিকার রাখি বলেই দুয়েকটা কথা বলতে চাই।
PK একটা কথা চমৎকার বলেছে, "তোমরা বল ভগবান একজন। কিন্তু আমি বলি ভগবান আসলে দুইজন। এক যিনি আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন - এবং দুই, যাঁকে তোমরা সৃষ্টি করেছ।"
অতি অতি গুরুত্বপূর্ন ডায়লগ!
আমরা মুসলিমরা যতই "এক আল্লাহতে বিশ্বাস করি" বলে ফালাফালি করিনা কেন, আমরা আসলে নিজেদের মতই আরেক "আল্লাহ" সৃষ্টি করে ফেলেছি। যেই আল্লাহর সাথে কোরআনের আল্লাহর কোনই সম্পর্ক নেই।
নাহলে যেই আল্লাহ কোরআন শরীফের মাধ্যমে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলেন, নামাজের মাধ্যমে আমাদের সাথে সাক্ষাত করেন, তাঁর কথা আমরা মানিনা কেন?
তিনি কখনও কী বলেছেন "আমার কাছে কিছু চাইতে হইলে হযরত শাহজালালের(রঃ) মাজারে এসে চেয়ো, নাহলে আমি দোয়া কবুল করবো না।"
অথবা, "অমুক বাবা মোনাজাতে হাত না তুললে আমি তোমার দোয়া কবুল করবো না!"
আল্লাহ এবং নবীজি (সঃ) সরাসরিই বলেছেন, প্রতিটা মানুষ আল্লাহর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ন। কারও কিছু চাইতে হইলে সে নিজেই চাইতে পারে, এবং সেটা নামাজের মাধ্যমে চাওয়াটাই সর্বোত্তম!
কিন্তু আর সবকিছুর মতই, আমাদের শর্টকাট পছন্দ। নিজের উপর আস্থা নেই, "সাজেশন" পেয়ে পাশে বিশ্বাসী।
"পীরের মাজার" হচ্ছে ধর্মব্যবসায়ীদের সবচেয়ে চালু প্রোডাক্ট, মাল্টি বিলিয়ন ডলার বিজনেস। একটা সফল "মাজার" একটা শহরের ইকোনমি বদলে দিতে পারে। বিশ্বাস না হলে আজমীর গিয়ে দেখতে পারেন।
আমাদের দেশেও কম কিসের?
আমরা পীরের মাজারকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিচ্ছি। কেন ভাই? মৃত পীরের কী কবরের ভিতর ঠান্ডা লাগে যে শরীরে চাদর না দিলে সর্দি লেগে যাবে?
সেই চাদর আবার গোলাপ জলে ভিজিয়ে চুপচুপে করে দিচ্ছি।
আগরবাতির ধোঁয়ায় সেখানে চোখ খুলে রাখা দায়, কিছু আহাম্মক আবার সেই ধোঁয়ায় হাত সেকে মুখে ঘষে - কোন আল্লাহর ইবাদত করে তারা?
মাজারের দেয়ালে স্পষ্ট লেখা আছে, "সিজদাহ দেয়া হারাম।"
তারপরেও বেকুবের দল ভক্তির সাথে সিজদাহ দিচ্ছে। কোরআনের আল্লাহ যে বারবার বলেছেন "আমি ছাড়া আর কারও কাছেই মাথা নত করবে না (মহানবীর (সঃ) সামনেও না)" - কথাটির গুরুত্বটা তাহলে থাকে কোথায়?
মাজারে বাতি জ্বালানো হারাম - লেখা থাকে স্পষ্ট করে। তারপরেও আমরা কয়েক লক্ষ টাকার মোমবাতি সেখানে পুড়িয়ে ফেলি!
এছাড়াও ইসলামে মদ গাঁজা সহ সবধরনের নেশা জাতীয় পণ্য সেবন হারাম থাকলেও কিছু মাজারে ঢুকা যায়না "ভক্তদের" গঞ্জিকা সেবনের দুর্গন্ধে।
কোন আল্লাহর ইবাদত করে তারা?
শাহজালাল দরগায় আমার দাদীর কবর, আমার বাবার কবর। দেশে গেলে সেখানে অবশ্যই যাওয়া হয়, প্রতিদিন আসরের নামাজ সেখানেই জামাতে পড়া হয়।
সেখানে একদিন এক লোককে দেখি দোয়া করছেন, "বাবা, তুমি আমার সাথে হাত ওঠাও বাবা! আমার মনের ইচ্ছা তুমি সব জানো, তুমি পূরণ করো!"
কয় কি! বাবা ইন্তেকাল করেছেন কয়েকশো বছর হয়ে গেছে, তিনি আপনার সাথে হাত তুলবেন কিভাবে? একজন মরা মানুষই বা একজন জীবিত মানুষের মনের কথা জানবেন কিভাবে? ধর্মান্ধ নাকি নিজের চোখে কিছু দেখতে পারেননা, এরা দেখি "ধর্মাহম্মক!" নিজের ব্রেইন দিয়ে কিছুই চিন্তা করতে পারেননা!
আল্লাহ এদের বুদ্ধি দিক!
একেকটা মাজার, পীরের আস্তানা ইত্যাদি জায়গায় গেলে তাজ্জব হয়ে ভাবি, কে বলেছে বাংলাদেশের মানুষ গরিব? সফল ব্যবসায়ীরা মানত করেন অমুক প্রজেক্টে সফল হলে বাবার দরবারে অত টাকা দিব।
ফেলটুস ব্যবসায়ীরা মানত করেন, "বাবার দরবারে এত টাকা দিলাম, আল্লাহ আমার ব্যবসা সফল করো!"
দুই ক্ষেত্রেই বাবার "ব্যবসা" রমরমা!
ইসলাম কী এই কথা বলে?
ইসলামের সম্রাট, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কারও দান গ্রহণ করতেন? তিনি কিভাবে জীবন যাপন করতেন? খেজুর পাতার বিছানায় ঘুমাতেন। তাঁর বানানো মসজিদ কেমন ছিল? খেজুর পাতার ছাদ ছিল।
সেইদিক দিয়ে আমাদের পীরদের অফিস দেখেছেন কেউ? দেড় দুইটনের এসি ফিট করা থাকে। ভক্তদের উপহার! গ্রীষ্মকালেও সোয়েটার না পড়ে গেলে নির্ঘাত নিউমোনিয়া হয়ে যাবে। পীরের হাদিয়ার কথা না হয় নাই বললাম।
হেফাজতে ইসলাম নাস্তিক নিধনে মতিঝিল ঘেরাও করেছিল। আরে বেকুবের দল, নাস্তিকদের চেয়েও এইসব পীর ফকির, মাজারগুলি ইসলামের ক্ষতি করছে বেশি। পারিস না একটা মুভমেন্ট করে দেশের সবক'টা মাজার একসাথে ভেঙ্গে দিতে?
বাংলাদেশের "সুপারকপ" মাশরুফ হোসেন ক্যানভাসে আমার লেখা পড়েন। তাঁর কাছে আমার প্রশ্ন, একজন ছিনতাইকারী, চোর বা ডাকাত যে অপরাধ করে, একজন পীর কী সেই একই অপরাধে দুষ্ট না? তাহলে আইনের কোন ধারায় এদের দোষী দেখিয়ে গ্রেফতার করা যায়?
এদের গ্রেফতার করলেও সমস্যা, বেকুব আহাম্মক মুরিদের দল থানা আক্রমণ করে বসতে পারে। দেশে রায়ট লাগিয়ে দিতে পারে। নিরীহ মানুষের গাড়ি পুড়িয়ে দিতে পারে।
"আমাদের বাবার উপর 'নাস্তিকদের' আঘাত! বাবাকে অসম্মান! জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙ্গ!"
বেকুবেরা বুঝতেই পারছে না এই বাবাই তাদের ঠকিয়ে তাদেরই বেশি ক্ষতি করছে।
অবশ্য এদের থেকে আর কিই বা আশা করা যেতে পারে? ইন্ডিয়াতেতো এইটিই ঘটছে।
এক বন্ধু কিছুদিন আগে দেশ থেকে ফিরেছে।
তার আত্মীয়ার সাথে বিরাট ঝগড়া বাঁধিয়ে এসেছে। আত্মীয়া তাকে বারবার কনভিন্স করার চেষ্টা করেছে একজন পীরের ক্ষমতার ব্যপারে। আমার বন্ধু প্রতিবার উড়িয়ে দিয়েছে।
"বাবার দোয়াতেই কাজটা হয়েছে।"
"শুধু বাবাই দোয়া করেছিল, তোমরা কেউ করোনি?"
"আমরাও করেছি, কিন্তু বাবার দোয়া পাওয়ারফুল বেশি। তাছাড়া বাবা ফিউচার প্রেডিক্ট করতে পারে।"
"তাই নাকি! ভালইতো, বাবাকে এনএফএলের ফিকচার দিয়ে দেব, তিনি প্রেডিক্ট করে বলবেন কোন কোন দল প্লে অফে যাবে, এই বছর সুপার বল কে জিতবে - তাহলে আমি বেট ধরে পয়সা জিতে যাব!"
আত্মীয়া একটা রাগী দৃষ্টি দিয়ে তাকালেন।
জ্বী না, আমার বন্ধু নাস্তিক না। সে সঠিক কথাই বলেছে। "অতিরিক্ত আস্তিক" আত্মীয়াই উল্টো ইসলাম থেকে বহুদূর সরে গেছেন।
বুঝতে পারছেন না, "রং নম্বরে কেউ তাঁর সাথে ফির্কি নিচ্ছে।"
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাইরে, দেশের বাইরে আইসা দেখেন, দেশী মিষ্টির জন্যে কাঙ্গালের মতন তাকায়া থাকবেন। সুগার হাই-লো কেয়ার করবেন না।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০১
উড়োজাহাজ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। পরে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
খেলাঘর বলেছেন:
হেফাজতিরা গুহা মানব, জামাতীরা পাকিস্তানী।
পিকে হাউকাউ; আপনি ভলো লেখক নন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু আপনি ভাল পাঠক।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: ঠুনকো, পটকাবাজদের জন্য ইসলামের এই দূরবস্থা। দেওয়ানবাগীদেরকেও যুক্ত করতে পারতেন।আরেকটা বিষয় হচ্ছে, এই সকল ব্যবসায়ীরা কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের আশ্রমে আছে। বিশ্বাস না হলে একটু নজর দিয়ে দেখুন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দেওয়ানবাগীরে নিয়ে পরে লিখবো ইনশাআল্লাহ, পুরোটাই তাকে নিয়ে লিখবো।
আমি জানি তাদের দৌড় কত ডিপ, তাইতো কেউ ওদের ছুঁতেও পারেনা।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১১
ভিটামিন সি বলেছেন: মাজার এবং মাজার ব্যবসায়ীদের আমিও দুই চক্ষে দেখতে পারি না। আপনার লেখা ভালো হয়েছে কিন্তু কেন যেন মনে হলো একটু বেশী বলে ফেলেছেন। কারণ মাজার পুজারীরা এতোটা শক্তিশালী নয় যে তারা গাড়ি ভাংচুর করবেন, অগ্নি সংযোগ করবেন। সামান্য কিছু মুর্খ লোক মাজার পুজারী। বাকিরা ইসলামের পথেই আছেন। আমি আমার এলাকায় যা দেখেছি তাই বললাম।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মাজারে যাওয়াটাই হারাম। কেবলমাত্র মৃতের জন্য দোয়া করতে যাওয়া যেতে পারে, নিজের জন্য নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ জানেনা এই নিয়মটি।
মাজারকে ঘিরেই শিরক, বেদআত ইত্যাদি অপকর্ম ঘটছে। মাজার ভাঙ্গা তাই জরুরী।
কিন্তু আপনি মাজারে হাত দেয়া দূর, একটু কথা বলে দেখুন - ওরা কী ভয়াবহ হবে ধারণা করতে পারবেন না।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৪
In2the Dark বলেছেন: আমি অনেক আগেই বুঝে গেছি, আর পিকে মুভিতেও দেখলাম "মানুষের বিশ্বাসে আঘাত"।
এইটা করতে গেলে মানুষের বিশ্বাসে আঘাত লাগবে।
আগে যখনি দেখতাম এসব সবাইকে ফ্রিতে লেকচার দেয়া শুরু করতাম, কিন্তু বোঝানো যায় তাদের যাদের বোঝার খ্যামতা আছে, আমি বাপু অফ দিছি।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: চেষ্টা চালিয়ে যান। হয়তো এক উপায়ে হয়নি, অন্য উপায় বের করুন। "রং নম্বরের" মতন।
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৪
নীল অভ্র বলেছেন: আমিও দেখেছি পিকে ছবিটা। সত্যিই ধর্মকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর লোক কী রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে।
আপনি কি সিলেটি?
যাই হোক, আমি সিলেটি, শাহজালালের মাজারে ৩-৪ বছরে একবার যাই কি না সন্দেহ, একমাত্র কোনো আত্মিয় স্বজন বা বন্ধু প্রতিবেশীর জানাজ হলে যাওয়া হয়,
তখন দেখি মানুষ কী অস্থির হয়ে মাজারে ভক্তি নিবেদন করছে।
এবং মাজার ভক্তদের একটা লজিক হলো বাবার আশীর্বাদ হলে সব হবে না হলে নাও।
শুক্রবারে অন্যান্য জেলা থেকে প্রচুর মহিলা পুরুষ আসেন মাজার দর্শন করতে, কিন্তু এদের বেশির ভাগ জুম'আ পড়েন না, পিকনিক স্টাইলে মিরের ময়দানে গাড়ী পার্ক করে আনন্দ হুল্লোড় করেন।
মাজারে পিঠ দেখিয়ে প্রস্থান করে না, বাবার সাথে বেয়াদবি হয়ে যাবে!!
এরকম আরো নানান ধরনের আজগুবি সব সংস্কার আছে এইসব মাজার পূজা নিয়ে।
তবে আমার সব চেয়ে মজার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো,
যখনই সিলেটের বাইরে যাই, কেউ জিগ্যেস করে জানতে পারে আমার বাসা মাজার থেকে কাছে,
তখনই অস্থির হয়ে জিগ্যেস করে প্রতিদিন মাজারে যাই কি না,
মাজার জিয়ারত করি কি না, আমি সহাস্যে না বলি,
ওরা শুনে মাথায় হাত দেয়, অত বড় কামেল মানুষ কাছে পেয়েও যাই না কেনো।
উনি যা করে গেছে সেটা উনার কাজে আসবে আমার না, আমি উনার পা চেটে খেলেও এক বিন্দু পরিমাণ
উপকার পাবো না, শুনে ওরা মূর্চ্ছা যায় প্রায়।
কিন্তু, বুঝতে চায় না, কী বলি বা কী বুঝাতে চাই।
হায় আফসোস!!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক কথা, উনি না আসলে আমাদের এলাকায় এতবেশি মুসলমান হতো না। কথা হচ্ছে আমি যদি তাঁর ভক্ত হিসেবে মুসলিম হই, তাহলে আমারই গুনাহ হবে, আমাকে মুসলিম হতে হবে আল্লাহ এবং নবীজিকে(সঃ) ভালবেসে। অন্য কাউকে অতি ভক্তি করলে সেটা উল্টো গুনাহ হবে।
৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৭
মন্জুরুল আলম বলেছেন: সিলেট এবং চিটাগাং এই মনে হয় এই রং নাম্বারধারীরা প্রচুর বিজনেস করছে।আমি শাহজালাল (র.) এর মাজারে ওরসের সময় একবার দেখলাম ১৬২টা গরু (২০০৬/৭ সাল) জবাই হইছে....সবই ভক্তদের দান। আর টিউশনী করতাম এক খাদেম ফ্যামিলিতে, তাই কিছুটা হলেও দেখেছি তাদের মাজার কেন্দ্রিক বিশাল আয় রোজগার.....
৯| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১২
নির্বাসিত আমি বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। ডঃ বিলাল ফিলিপ্সের দ্যা ফান্ডামেনটাল অফ তাওহীদ বইটা পড়ে ইসলাম সম্পর্কে আমার কনসেপ্ট এখন অনেক ক্লিয়ার আলহামদুলিল্লাহ্ । এখন চিন্তা করি আমাদের দেশে ধর্মের নামে কত রকম ভণ্ডামি চলে।
১০| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১৫
নতুন বলেছেন: সব মাজার/পীরই ব্যবসা কেন্দ্র....
এইটা মুরিদেরা দেখে না...
আরো ৫০ বছর লাগবে আমাদের দেশথেকে এই ব্যবসার প্রসার কমতে..
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০১
ভাইস্তা বলেছেন: কাকু বেশি মিষ্টি খাওয়া ঠিকনা। সুগার হাই হতে সময় লাগে কৈ?