নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

Happy Quran Reading to all!

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০২

"Proclaim, Hero,
proclaim: I raise my head high!
Before me bows down the Himalayan peaks!"

এই কবিতাটা পড়তে খুব কী আহামরি কিছু মনে হচ্ছে? অথচ যদি মূল কবিতাটা পড়ি,
"বল বীর,
বল উন্নত মম শির।
শির নেহারি আমারি, নত শির ওই শিখর হিমাদ্রির।"
রক্তে আগুন ধরে যায়না? "হিমাদ্রি" শব্দটিতে যে ঝংকার আছে Himalayan peaks শব্দটিতে তার ছিটেফোটাও কী আছে? ইংরেজি তর্জমা পড়ে কে বলবে বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা এটি?
ট্রান্সলেশনের এটাই প্রবলেম। একটি ধারনা দিতে পারে শুধু, এর বেশি কিছু নয়।
তেমনি আরবিতে কুরআন পড়ে যখন আমরা বাংলা কিংবা ইংরেজি ট্রান্সলেশন দেখি, তখন আমরা এর অর্থ সম্পর্কে একটা "ধারনা" পেতে পারি শুধু, সেই ধারনার উপর ভিত্তি করে কোন মতবাদে পৌছানো বিরাট ভুল।
উদাহরণ হতে পারে, সুরা নিসায় "বউ পিটানো" জায়েজ করা আয়াতটা(চৌত্রিশতম আয়াত)। অথচ সেখানে কিন্তু আদৌ বউ "পিটাতে" বলা হয়নি। "তায়াম্মুম" কাকে বলে জানেন? ঐযে, পানি না থাকলে আমরা যে পরিষ্কার মাটিতে হাত ঘষে অজু করি। এখন মাটিতে হাত লাগিয়ে তায়াম্মুম করতে বলা হয়েছে। এই 'মাটিতে হাত লাগানোর' বর্ণনায় কী Verb ব্যবহার করা হয়েছে? 'দারাবা।' সুরাহ নিসার ঐ আয়াতেও ঐ একই verb, ‘ওয়াদরিবুহুন্না।’ যার আক্ষরিক অনুবাদ করলে হবে 'তাদের প্রহার কর' বা ইংলিশে বললে 'strike them.' এর কোনটাই কিন্তু ঠিকমতন ফিট করেনা। কারণ এটা যদি ফিট করে তাহলে বলতে হবে তায়াম্মুমের সময়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাটিকে পেটাতে। এই লজিকেই বলা হয়েছে সুরাহ নিসার আয়াটিতে বউ পিটানোর কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি, বরং বলা হয়েছে কেবল তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে! সহজ লজিক হচ্ছে একেক ভাষায় একেকভাবে ভাব প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
এই আয়াতটি পড়ে বাংলার বীর পুরুষেরা যদি বউ পেটানো শুরু করেন, তাহলে তাহাদের আহাম্মক ব্যতিরেকে আর কিই বা বলা যাইবে?
আমাদের দেখতে হবে, নবীজি (সঃ) কী কখনও বউ পিটিয়েছেন? তিনি হজরত হাফসাকে (রাঃ) তিন তালাকের প্রথম তালাক পর্যন্ত দিয়েছিলেন, কিন্তু কখনও গায়ে হাত তুলেননি।
বা হজরত আয়েশাকে (রাঃ) নিয়ে মুনাফিকদের তোলা অপবাদেও তিনি স্ত্রীকে আঘাত করেননি। আমাদের দেশে বিজ্ঞ পন্ডিতদের কানে এমন অপবাদ গেলে প্রথমেই বেত হাতে বউ পিটানো শুরু করে দিত। সত্য মিথ্যা যাচাই পরের ঘটনা।
কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রে নাজেল হওয়া আয়াত পড়ে যদি তলোয়ার হাতে কাফির নিধনে বেরিয়ে যাই, তাহলেই বা কেমনে চলবে?
আরবি আমাদের মাতৃভাষা নয়। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি যেভাবে শেখা হয়, আরবি সেভাবে হয়না। বয়স বাড়ার পর আরবি শেখা তাই হয়ে উঠে না। কাজেই কুরআন ট্রান্সলেশন পড়েই কোন সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ না। এমন অনেক আয়াত আছে, যা পড়লে স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন উঠবে। এইসব নোট্ করে রেখে যাঁরা এই ব্যপারে এক্সপার্ট, তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করে বুঝে নেয়া ভাল।
Happy Quran Reading to all!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১১

রুমি৯৯ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ

০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এর সুন্দর উপকারী একটা লেখার জন্য।ইসলামের ভূল বিশ্লেষণ ভাংানোর মত এমন লেখা আরো চাই

০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! আরও লেখা আছে, পড়ে ফেলুন।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এর সুন্দর উপকারী একটা লেখার জন্য।ইসলামের ভূল বিশ্লেষণ ভাংানোর মত এমন লেখা আরো চাই

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকুন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.