নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ডারউইন সাহেবের "থিওরি অফ ইভোলিউশন" নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে একটি মতবাদ প্রচলিত আছে যে "এটি শুধুই একটি থিওরি, কোন প্রমাণিত সত্য (Law) নয়।"
মতবাদটি এই কারণেই জনপ্রিয় কারন বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার জাকির নায়েক তাঁর বহু লেকচারে একথাই বলেছেন। তিনি সাথে যুক্ত করে দিয়েছেন, তিনি ডাক্তার, তিনি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র - তাই তাঁকে যেন কেউ বিজ্ঞান নিয়ে ভুলভাল না বুঝাতে আসে।
আমি বুঝতে পারছি ড. জাকির নায়েক কেন এই কথা বলছেন। কারন, এটিই একমাত্র থিওরি যা কুরআনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক (আসলেই কি তাই?)। কুরআনে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি আদমকে (আঃ) সৃষ্টি করেছেন, কোন বাবা মা ছাড়াই। থিওরি অফ ইভোলিউশন সত্য হলে আদমের সৃষ্টি আপনাতেই হওয়া সম্ভব না। আবার, আল্লাহ কুরআনে "ভুল" বলেছেন বললে সে আর মুসলিম থাকবে না, কাফের (যার মানে অবিশ্বাসী) হয়ে যাবে। ইসলাম ধর্মের প্রধান শর্ত হচ্ছে, আল্লাহকে কখনই কোন অবস্থাতেই অবিশ্বাস করা যাবেনা। এবং রাসূল (সঃ) যা বলেছেন, যা নির্দেশ করেছেন, সেটাও পালন করতে হবে। এর বেশিও করা যাবেনা, কম করলে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিজ্ঞানের প্রমাণিত সত্য বিশ্বাস করবো? নাকি ধর্মের বিশ্বাস?
তাই ড. জাকির নায়েক ধর্মের প্রতি বায়াসড হয়ে থিওরি অফ ইভোলিউশনকে উড়িয়ে দিয়েছেন। (এতে অবশ্য আপনার জীবন উল্টেপাল্টে যাবেনা। ইভোলিউশন থিওরি অবিশ্বাস করলেও আপনি দুনিয়ায় টিকে থাকবেন, কিন্তু কুরআনে আল্লাহ মিথ্যা বলেছেন ভাবলে আপনার পরকাল খতম।)
প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেই কী এটি স্রেফ একটি থিওরি?
না। অনেকেই হয়তো শুনলে অবাক হবেন, কিন্তু এটি ল অফ গ্র্যাভিটির মতন প্রমাণিত সত্য। একে অবিশ্বাস করার কোনই উপায় নেই। লাখ লাখ বছর আগের মানুষের (ও অন্যান্য প্রাণীর) হাড়, কংকাল, গুহা চিত্রকর্ম ইত্যাদি থেকে অনায়াসে বয়স বলা সম্ভব। "এমিবা সৃষ্টির সময়ে কি ডারউইন ছিল?" বা "ও ছিল মদখোর, মাতাল অবস্থায় যা তা লিখেছে আর পাবলিক ওটাই মেনে নিয়েছে" এমন কথা খুবই ঠুনকো, কারন বিজ্ঞান বেহুদাই থিওরি পেশ করেনা। ডিএনএ, জেনেটিক কোডিং, ফসিল স্টাডি ইত্যাদি নানান তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে এবং প্রমানের সাপেক্ষেই এইসব থিওরি প্রতিষ্ঠিত হয়। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হলো "আজকে দুনিয়ার সব ধার্মিকদের ধর্ম বিশ্বাসকে ভুল প্রমান করতে থিওরি অফ ইভোলিউশন পয়দা করি" আর পয়দা হয়ে গেল, ঘটনা এমন না।
"বাইবেল বা তাওরাতের ছয় হাজার বছর বয়ষ্ক পৃথিবী থিওরি" এখানেই মাত খায়। বাইবেল ও তাওরাত অনুযায়ী পৃথিবীর বয়স ছয় হাজার বছর। অথচ আমরা জানি ডায়নোসর ছিল কয়েক কোটি বছর আগে। বিভিন্ন প্রাণী, এমনকি মানুষেরও অবশিষ্টাংশ আমরা পাই হাজার হাজার বছর পুরানো। কাজেই, বাইবেল ও তাওরাতে বিশ্বাসীরা মহা বিপদে পড়েন।
কুরআনে অবশ্য কোন টাইমফ্রেম নির্দিষ্ট নেই। পৃথিবীর বয়স কত বিলিয়ন বছর, তা নিয়ে কুরআনে আলোচনা হয়নি। কারন, ইসলামের আকিদার জন্য ওটার প্রয়োজন নেই। এ থেকে সহজেই প্রমাণিত হয় ঐশ্বরিক গ্রন্থে কেন মানুষের হস্তক্ষেপ করা উচিত না। তাওরাত-বাইবেলে ওসব তথ্য মানুষ সংযোজন করেছে, এবং এখন ওদের ফলোয়ারদের বিপদে ফেলেছে।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, কুরআন কী ইভোলিউশন থিওরি অস্বীকার করে?
না, করেনা। এটিও অনেকে শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চই। সূরা আম্বিয়ার তিরিশ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম।"
খুলেন, পড়েন, ভাবেন।
কথা হচ্ছে, ইসলামের কোথাওই বলা হয়নি এক প্রাণী অন্য প্রাণী থেকে ইভল্ভড হতে হতে সৃষ্টি হয়নি। উল্টো স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে পানির থেকেই "সব" প্রাণীর সৃষ্টি। থিওরি অফ ইভোলিউশনও একই কথাই বলছে। পানি নাই, তো প্রাণও নাই। পানিতে জন্মে তারপরে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হতে হতে ডাঙায় এসে পৃথিবীতে ছড়িয়েছে।
তাহলে আদম (আঃ)?
হ্যা, শুধুমাত্র এক্সেপশন আদম (আঃ)। কুরআনে বহুবার আল্লাহ বলেছেন আদমের (আঃ) সৃষ্টি কিভাবে হয়েছে। কোন বাবা মা ছাড়াই।
এখন আদম (আঃ) সৃষ্টির ঘটনা সম্পর্কে কুরআন কী বলে? একটু জানা যাক।
শুরুতেই, সূরা বাকারার তিরিশ নম্বর আয়াতটি ভাল করে পড়া যাক।
যখন আল্লাহ ফেরেশতাদের জানালেন, তিনি পৃথিবীতে একজন "খলিফা" পাঠাতে যাচ্ছেন, তখন ফেরেশতারা বলল, তাঁর ইবাদতের জন্য তাঁরাইতো যথেষ্ট। শুধু শুধু মানুষের কী প্রয়োজন? যারা পৃথিবীতে "দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে!"
প্রথমেই "খলিফা" শব্দটা লক্ষ্য করুন।
"খলিফা" এসেছে "খালাফা" থেকে, যার মানে একজনের পরিবর্তে অন্যজনের স্থান গ্রহণ করা। যেমন নবীজি (সঃ) চলে যাবার পরে তাঁর অবস্থানে নেতৃত্বে দিয়েছেন "খলিফা" আবু বকর(রাঃ), উমর(রাঃ), উসমান(রাঃ), আলী (রাঃ)। এর মানে দাঁড়ায়, মানুষ এমন কোন প্রাণীর স্থান দখল করতে চলেছে যার অবস্থান আগে থেকেই দুনিয়ায় ছিল। নাহলে "খলিফা" শব্দটা ব্যবহারের কোনই যুক্তি নেই।
এখন সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট বলি। বহু পুরানো ক্লাসিক্যাল মুসলিম হিস্টোরিয়ানের মতে, পৃথিবীতে অন্যান্য প্রাণী ছিল, যারা খুনাখুনি করতো, আল হিন, আল বিন, তিম, রিম, যাদের স্থান দখল করবে "মানুষ।" ইবনে আদ দাওয়াদিরি (Ibn al-Dawādārī), (মৃত্যু ৭৩৬ হিঃ মানে ১৩০০ শতকের মানুষ), তিনি লিখেন, কানযুদ্বোয়ারা (Kanz al-durar wa-jāmiʿ al-ghurar), আল্লাহ আদমকে (আঃ) সৃষ্টির আগে ওরা (হিন, বিন, তিম, রিম ইত্যাদি প্রাণী) দাপট দেখাতো, রক্তপাত ঘটাতো, এবং ওদের রেফারেন্সই ফেরেশতারা দিয়েছেন। লজিক্যাল, কারন, জ্বিন স্পিরিচ্যুয়াল প্রাণী, ওরা "রক্তপাত" কিভাবে ঘটাবে? ওরাতো রক্তমাংসের প্রাণীই না।
এইটা বায়োলজিক্যাল ফ্যাক্ট যে হোমো ইরেক্টাস, নিয়ান্ডারথাল, ইত্যাদি ছিল। মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে ওদের অবস্থান ছিল। এই যে হিন, বিন, তিম, রিম ইত্যাদির বর্ণনা করা হচ্ছে, এরাই কি ওরা? শুধু নামের পার্থক্য, এছাড়াতো কোন অমিল নেই। বনি আদম (আঃ), ওদেরই পরিবর্তে পৃথিবীতে আসেনিতো? কারন আসলেইতো তাই ঘটেছে। মানুষই খাদ্য শৃঙ্খলের সবচেয়ে উপরের প্রাণী, মানুষের দখলেই এখন গোটা পৃথিবী।
ঘটনা এমন না যে আদম (আঃ) এলেন এবং অন্যান্য প্রাণী, যারা মানুষের কাছাকাছি ছিল, ওরা গায়েব হয়ে গেছে। হয়তো ইনিশিয়ালি ছিল, ধীরে ধীরে ওরা লুপ্ত হয়েছে, এবং মানুষ, যে এলিয়েন, সে টিকে রয়েছে।
কিছু মানুষের ধারণা মুসলিমদের বিশ্বাস পৃথিবীর প্রথম প্রাণীই আদম (আঃ)। এরপরে সব প্রাণীকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। কোন মূর্খে এদের বুঝিয়েছে আল্লাহ মালুম, কারন ইসলাম এমন ফাউল কথা বলেনা।
অনেকের ধারণা আদমের (আঃ) উচ্চতা ষাট হাত ছিল। ওটাও বাইবেলের তথ্য, যা ইসলামে ঢুকেছে। কুরআনে এমন কোনই আয়াত নেই। এবং যার বর্ণনায় হাদিসে এসেছে, সেই তথ্যের বিশুদ্ধতা নিয়েও অনেক স্কলারের দ্বিমত আছে। ফ্যাক্ট হচ্ছে, আমরা আজ পর্যন্ত এমন কোন মানুষের কংকাল আবিষ্কার করিনি যার উচ্চতা ৬০ হাত বা কাছাকাছি। এবং বায়োলোজিক্যালিও যা অসম্ভব। কাজেই, ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক, দুই ক্ষেত্রেই আদমের (আঃ) উচ্চতা ষাট হাত হবার কোন সুযোগ নেই।
সেইসব ভিন্ন আলোচনা। আমাদের বিষয়ে ফেরা যাক। খলিফা শব্দের বিশ্লেষণে।
আরেক দলের মতে, "খলিফা" মানে হচ্ছে এমন এক প্রাণী সৃষ্টি করবেন, যে নিজেই নিজের স্থান দখল করে এগিয়ে যাবে। যেমন ফেরেস্তাদের কোন সন্তান জন্ম হয়না, ওদের একবারেই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, এবং কেয়ামতের আগে আগে সবাইকে একেবারেই খতম করবেন। কিন্তু মানুষ এমন প্রাণী যারা নিজেরা সন্তান জন্ম দেয়, পরিবার বাড়ায়, এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর, ধরা যাক একশো বছর পরপর পুরানো সব মানুষ মরে যায়, যাদের স্থান বুঝে নেয় তাঁদেরই বংশধর, নতুন মানুষ, এবং এইভাবেই মানুষ এগিয়ে চলেছে। এইটাও ইন্টারপ্রিটেশন, কোন সুস্পষ্ট হাদিস, কুরআনের আয়াত নেই।
এবং সত্য হলো, দুইটা থিওরিই একটি অপরটির সাথে কন্ট্রাডিক্ট করেনা, দুই অর্থেই এপ্লিকেবল। প্রথম জেনারেশন নিয়ানডার্থাল বা অন্যান্য প্রাণীর স্থান দখল করেছে, এবং এরপরে নিজেই নিজের অবস্থান দখল করে করে এগিয়ে এসেছে। এই পর্যন্ত ক্লিয়ার?
এখন ঐ আয়াতের শেষের অংশটা ক্লিয়ার করা জরুরি। ওটাতেও মহা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে।
ফেরেশতারা স্পষ্ট বাঁধা দিচ্ছেন, মানুষ পৃথিবীতে গিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা রক্তপাত ঘটাবে। এই কনফিডেন্স তাঁরা পাচ্ছে কিভাবে? তাঁরাতো ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নয়। যদি একেবারেই নতুন সৃষ্টি হয়ে থাকে, তাহলে "মানুষ" কী সেটাই তাঁদের জানার কথা নয়। তার মানে তাঁদের সামনে স্পষ্ট উদাহরণ আছে যারা এই কাজ করে, যাদের কর্মকান্ডে তাঁরা ভালভাবেই অবগত। তাই তাঁরা আল্লাহর সবচেয়ে অনুগত প্রাণী হওয়া সত্বেও মানুষ তৈরির সময়ে আপত্তি জানালো। ইবলিসও কিন্তু তখন পর্যন্ত নীরব।
ইসলামের অনেক বড় বড় স্কলার বলে থাকেন, এইটা (রক্তপাত ঘটানো প্রাণী) আসলে ফেরেশতারা জ্বিনদের রেফার করছেন। তাঁদের থিওরি, মানুষের আগে পৃথিবীতে জ্বিন জাতি বাস করতো, তারা দাঙ্গা হাঙ্গামা করতো, তাই ওদের দেখেই ফেরেস্তারা ধারণা করছেন মানুষও তেমনই হবে।
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, থিওরিটা কিন্তু আল্লাহ বা রাসূল (সঃ) থেকে আসেনি। এসেছে "স্কলারদের" থেকে। এবং এই কথা আমাদের ধর্মের জন্য সত্য যে সাহাবীদের মতের সাথেও ১০০% মতের মিল না থাকলে চলবে। যদি কথাটা আল্লাহ বা নবী (সঃ) বলতেন, তাহলে কথা এখানেই শেষ হয়ে যেত।
তাছাড়া এই থিওরিটা একই সূরার ৩৬ নম্বর আয়াতে গিয়েই ধাক্কা খায় যেখানে আল্লাহ আদম, হাওয়া এবং ইবলিশ সবাইকেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন এবং বলেন, "তোমরা নেমে যাও। তোমরা পরস্পর একে অপরের শক্র হবে এবং তোমাদেরকে সেখানে কিছুকাল অবস্থান করতে হবে ও লাভ সংগ্রহ করতে হবে।"
মানে মানুষ এবং জ্বিন একই সময়েই পৃথিবীতে এসেছেন।
এবং তারচেয়ে বড় কথা, ইসলাম অনুযায়ী, জ্বিন ও ফেরেশতা স্পিরিচ্যুয়াল প্রাণী, ওদের আমাদের মতন রক্তমাংসের শরীর নেই, যে "রক্তপাত" ঘটাবে। ফেরেশতারা সুস্পষ্টভাবে এই শব্দটাই ব্যবহার করেছে।
তারমানে মানুষের মতন বা কাছাকাছি কোন প্রাণীর তখন পৃথিবীতে বিচরণ ছিল। যারা দাঙ্গা করতো, রক্তপাত ঘটাতো। ব্যাপারটা কী make sense করে?
যাই হোক - কথা হচ্ছিল থিওরি অফ ইভোল্যুশন নিয়ে।
ইভোল্যুশন থিওরি অনুযায়ী নানান প্রাণী সময়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়। বিষয়টা খুবই সূক্ষ্ম। এমন না যে একটা প্রাণী কালকে বানর ছিল, আজকে মানুষ হয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা মশা মাছির বিবর্তনও স্টাডি করেন, যেহেতু সেগুলো কয়েক দিনেই জন্মে মরেও যায়। ওরা লক্ষ্য করে জেনারেশনভেদে খুবই সূক্ষ্মভাবে ওদের পাখায়, পায়ের, চেহারার গঠনে পরিবর্তন হতে হতে ভিন্ন জাতের মশা মাছির জন্ম হয়ে যায়।
যাই হোক, থিওরি বলে হোমো হাবিলিস, ইরেক্টাস এবং নিয়ান্ডারথাল হয়ে তারপরে সেপিয়েন্স পর্যায়ে মানুষ পৌঁছেছে। এর আগে ফুড চেইনের নিচের দিকে অবস্থান করতো মানুষের পূর্বপুরুষ। আগুনের আবিষ্কার এবং নিয়ন্ত্রণ মানুষকে অসীম ক্ষমতা দান করে। এবং হঠাৎ করেই সেপিয়েন্সদের বুদ্ধিবৃত্তিতে বৈপ্লাবিক পরিবর্তন আসায় তাঁরা রাতারাতি ফুড চেইনের উপরে চলে আসেন। এখনও গবেষণা চলছে, হঠাৎ এই বুদ্ধিবিপ্লবের কারন কী ছিল। এখনও আধুনিক বিজ্ঞান জানেনা কিভাবে মানুষ হঠাৎ করেই এত বুদ্ধিমান হলো।
যাই হোক, থিওরি বলে মানুষ এরপরই শুরু করে ধ্বংস যজ্ঞ। মাইলের পর মাইল বনাঞ্চল পুড়িয়ে দিতে থাকে, ইচ্ছেমতন পশু শিকার করতে থাকে। যা আমরা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। বিজ্ঞানীদের মতবাদ অনুযায়ী, বাঘ সিংহ বা অন্যান্য প্রাণীরা লাখ লাখ বছর ধরে ইভল্ভড হতে হতে খাদ্য শৃঙ্খলের উপরে যাওয়ায় তারা এই ধ্বংস যজ্ঞ চালায় নি। মানুষ করেছে, কারন এই ক্ষমতা সে "হঠাৎ করেই" পেয়েছে। নতুন পয়সার লোকের ফুটানি যেমন বেশি, ব্যাপারটা তাই। মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।
কুরআনের ইন্টারেস্টিং আয়াত হচ্ছে, আদমকে (আঃ) বিভিন্ন বস্তুর নাম শেখানো হয়েছিল, যা ফেরেস্তারা বা ইবলিস জানতো না। অতঃপর ফেরেস্তারা তাঁর জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে আল্লাহর নির্দেশে সিজদাহ দেয়। বিষয়টা মাথায় রাখুন, "আদমের জ্ঞান।" এইবার মেলান, হঠাৎ করেই সেপিয়েন্সদের বুদ্ধিমান হয়ে ওঠা। খাদ্য শৃঙ্খলের তলানি থেকে একদম উপরে উঠে আসা। পুরো পৃথিবীকে নিজের করে নেয়া।
যোগসূত্র আছে? আমার কাছেতো মনে হয় আছে। আপনি নাস্তিক হলে বলবেন না নেই। কারন আমি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমান দেইনি। জাকির নায়েকের মতন বলবেন, "Its just a theory brother." আর আপনি যদি বিজ্ঞানমনষ্ক হন, তবে অবশ্যই এই বিষয়টা নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করবেন। উড়িয়ে দিতে পারবেন না। বিজ্ঞানে শেষ বলে কিছু নেই। নিত্যনতুন গবেষণা হতেই থাকে। এবং আমিও এইটাই চাইছি। গবেষণা করতে থাকুন। বেশি বেশি করে পড়ুন, জানুন, আবিষ্কার করুন কেন মানুষই একমাত্র প্রাণী যে "সভ্য।" আমাদের আশেপাশের বুদ্ধির একটা প্রাণীকেও দেখবেন না পাতা/গাছের বাকল দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকছে। কোটি কোটি বছরেও সৃষ্টি জগতে মানুষ ছাড়া কোন প্রাণীই নেই যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে জানে। একটা প্রাণীরও ভোকাবুলারি মানুষের ধারেকাছেও নেই। কেন? গবেষণা করুন, জানুন, আরও গবেষণা করুন।
কেউ কেউ আমাকে ইনবক্সে জিজ্ঞেস করেন, ভাই থিওরি অফ ইভোলিউশন নিয়ে আপনার ধারণা কী?
তাঁরা ভাল করেই জানেন আমি আস্তিক। এবং এখানে একটা প্যাঁচে ফেলার মতন সিচ্যুয়েশন তৈরী আছে। উনারাও কনফিউজড।
উত্তরে বলি, বিজ্ঞান যা প্রমান করেছে - অস্বীকার করবো কিভাবে? তবে কুরআনেও যা বলা হয়েছে - সেটাওতো অস্বীকার করার প্রশ্নই উঠেনা।
তাহলে একজন মুসলিমকে কী করতে হবে? "It is just a theory brother" বলে উড়িয়ে না দিয়ে বরং আরও গভীরভাবে পড়াশোনা করতে হবে। আরও বিস্তারিত গবেষণা করতে হবে। আপনাকে প্রমান করতেই হবে যে পৃথিবীর সব প্রাণী ইভল্ভড হয়েছে, কেবল ব্যতিক্রম আমরা, মানুষ। তাঁর সৃষ্টি আদম (আঃ) থেকে এবং তারপর আমরাও বিবর্তিত হয়েছি। ঠিক এই কারণেই আফ্রিকান ভাইয়ের সাথে আমার চেহারার এত অমিল। আমেরিকান ভাইয়ের ত্বকের সাথে চীনা ভাইয়ের এত অমিল। হঠাৎ করেই সাদা বাপ মায়ের ঘরে কালো বাচ্চা জন্মায় না।
মুসলিম হলে, পড়াশোনা করুন। কারন সেটাই আপনাকে আপনার পালনকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন। "পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। ....পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।" সূরা আলাকের এই আয়াতগুলো জানেনা এমন কোন মুসলিম নেই। কিন্তু এই আয়াতগুলো মেনে চলে, এমন মুসলিম পাওয়া কঠিন।
আল্লাহ বলেছেন, যা আমরা জানিনা, তা নিয়ে কথা যেন না বলি।" নিশ্চিত না হয়ে আন্দাজে কথা বলার নির্দেশ ইসলামে নেই। মূর্খতার কোনই স্থান নেই এখানে। আপনি আলেম, বিজ্ঞান সম্পর্কে আপনার জ্ঞান শূন্য। আপনি ফতোয়া দিয়ে দিলেন সব ফাউল। না, এই অনুমতি ইসলাম আপনাকে দেয়নি। ও যা বলছে, কেন বলছে, সেটা না জেনে বলতে পারবেন না সেটা ফাউল। আপনি আলেম, একজন ক্যানসার রোগীর চিকিৎসার অধিকার ও যোগ্যতা আপনার নেই। সেজন্য ওকে ডাক্তারের কাছেই আপনি পাঠাবেন। তাবিজ, পানিপড়া দিয়ে রোগী সারানোর ধান্দা করলে আপনার জেল হওয়া উচিত।
এবং আরেকটা মহাগুরুত্বপূর্ণ সত্য হচ্ছে, একজন বিজ্ঞানী যেমন কোন ধার্মিককে বলতে পারবে না কি বিশ্বাস করতে হবে কি না, তেমনই কোন আলেমও কোন বিজ্ঞানীকে নির্দেশ দিতে পারবে না কি নিয়ে গবেষণা করতে হবে বা না। ওর মাঠে ও কি নিয়ে খেলবে সে অধিকার ওর। আপনার কনফিডেন্স যদি থাকে কুরআনের উপর, তাহলে এত ভয়ের কি কারন সেটাইতো বুঝতে পারছি না।
মধ্যযুগে চার্চ এই কাজটা করতো, মাতবরি করতো, বিজ্ঞানীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিত, মানুষকে পুড়িয়ে মারতো, ফলে মানুষকে নাস্তিক/সেক্যুলার বানিয়ে ছেড়েছে। ইসলাম এই কাজ কখনই করেনি, ফলে মধ্যযুগে ইসলামী বিজ্ঞানীদের এত এত অবদান ছিল। আজকালকার বাংলাদেশী আলেমরা একেকজন বিজ্ঞানী হবার চেষ্টা করছেন, ওদেরও একই ফল ভোগ করতে হবে। প্রচুর মানুষ বেহুদা কারনে নাস্তিক হবে, এবং এর দায় কিছুটা হলেও উনাদের উপরে পড়বে। বরং আলেমদের উচিত, নিজের যে ফিল্ড, মানে হাদিস কুরআন, সেটার আলোকেই বক্তব্য দেয়া এবং বাকিটা এক্সপার্টদের হাতে ছেড়ে দেয়া। উনাদের যদি কেউ এই বিষয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরা যেন উত্তরে বলে "আমিতো এই বিষয়ে গবেষণা করিনাই, তাই কিছু বলতে পারছি না। তবে ইতিহাস বলে, ভুল ধরিয়ে দিলে বিজ্ঞান নিজের থিওরি পাল্টায়, এখন এই দায়িত্ব আপনাদের যে আপনারা ইসলামের সাথে যায়, এমন তত্ব প্রতিষ্ঠিত করবেন।"
মনে রাখবেন, ইসলামের সাথে বিজ্ঞানের কোনই দ্বন্দ্ব নেই। শুধু শুধু এককে অপরের শত্রু বানিয়ে বিজ্ঞান চর্চা থেকে বিরত হবেন না। তাহলে নিজেরই ক্ষতি হবে বেশি।
কুরআন কোন বিজ্ঞান গ্রন্থ নয়, বিজ্ঞানের বিরোধী বইও নয়। ইসলাম আপনাকে শেখাচ্ছে আপনি বিজ্ঞান শিখে কী করবেন সেটা। আনবিক শক্তির কোন ফর্মুলা কুরআনে সন্ধান করা মূর্খামি, কিন্তু সেই শক্তির জ্ঞান লাভ করে সেটা কি মানব কল্যানে ব্যয় করবেন, নাকি বোমা তৈরিতে, সেটা কুরআন আপনাকে নির্দেশ দিবে। বুঝতে পারছেন? তাই শেল্ফ থেকে কুরআন নামিয়ে চুমা দিয়ে আবার শেল্ফে তুলে না রেখে আল্লাহর ওয়াস্তে একটু খুলে পড়ুন। প্রতিটা শব্দে এক্সট্রা এটেনশন দিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। আপনার রব বেহুদা কারনে তেইশ বছর ধরে এই মহা গ্রন্থ নাজেল করেননি।
আর অন্য কারোর কোন কিছু আবিষ্কারের পরে "কুরআন হাদিসে আছে" বলে প্রাইড নেয়ার আগে আফসোস করুন, নিজে কেন সেটা আগে খুঁজে পাননি।
তাহলে, আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কথা বলি, আমি মানি থিওরি অফ ইভোলিউশন সত্য, পৃথিবীর সব প্রাণীই এক কমন প্রাণ থেকে সৃষ্ট এবং মানুষই একমাত্র ব্যতিক্রম, জেনেটিক্যালি অনেক মিল থাকলেও আমরা যারা আদম (আঃ) সন্তান, আমরা এই বিবর্তিত ধারার বাইরে আলাদা সৃষ্টি। দুই নৌকায় পা দিয়েছি? না। আমি ইসলামের নৌকায় পা দিয়েছি। এইটা বুঝাতেই উপরে এত কথা বললাম।
এইটা আমার নিজের বিশ্বাস। কোন প্রমান নেই, কেবলই বিশ্বাস। মানলে মানুন, না মানলে নেই। আমি বায়োলজি মেজর না, আমার বিদ্যার দৌড় এসএসসি ও এইচএসসিতে বায়োলজি পড়া পর্যন্ত। যদি মাস্টার্স/পিএইচডি লেভেলে জ্ঞান থাকতো, আরও সুন্দর সুন্দর টার্ম বলে হয়তোবা লেখাকে আরও ভারী করতে পারতাম। কিন্তু মূল কথা এইটাই থাকতো।
আমি ইসলামিক স্কলারও না। বিদ্যার দৌড় শুধু অথেন্টিক (কুরআন এবং বিশুদ্ধ হাদিস) তথ্য বাদে বাকি সব রিজেক্ট করা পাবলিক আমি। যদি আরও বড় পন্ডিত হতাম, তাহলে আরও শক্তিশালী দালিলিক প্রমান দিয়ে, আরবি লিখে অনেক দীর্ঘ রচনা লিখতে পারতাম। আবারও বলি, এন্ড স্টোরি এইটাই হতো।
আমি আর দশ বারোজনের মতোই অতি সাধারণ মানুষ, সাধারণ ও সহজ ভাষায় লিখেছি। একটু দীর্ঘ হয়েছে, কিন্তু এই সময়ে এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা না থাকাটা বিরাট ক্ষতির কারন হবে।
কুরআনের যে রেফারেন্স দিলাম, সেটা ১৪০০ বছর ধরেই অপরিবর্তিত আছে। এমন না যে একেকটা থিওরি আসে, আর আমরা কুরআন পাল্টে ফেলি। কুরআনের এটাই আসল সৌন্দর্য্য ও শক্তি। ১৪০০ বছর পরেও তা একই থাকবে। এবং এই কারণেই আল্লাহ এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) নির্দেশ দিয়েছেন, একটি শব্দও অদল বদল করা যাবেনা।
আর হ্যা, থিওরি অফ ইভোলিউশনে যদি আপনি প্রমান করতে পারেন যে মানুষ ব্যতিক্রম, তবে বিজ্ঞান মনষ্ক ব্যক্তি অবশ্যই আপনার থিওরি গ্রহণ করবেন। তিনি কিন্তু আপনাকে just a theory বলে উড়িয়ে দিবেন না। কিছু মূর্খ যদিও জেদের বসেই বাপ্পা রাজের মতন বলবে "এ আমি বিশ্বাস করিনা।"
কাজেই, আপনারও এই থিওরি উড়িয়ে দেয়া উচিৎ না।
না জানা থাকলে চুপ থাকুন, পড়াশোনা করুন, চিন্তা ভাবনা করুন। তবু উল্টাপাল্টা কিছু বলবেন না। নাহলে না বুঝেই অনেকে আপনার ধর্ম নিয়ে হাসি মজাক করবে। ওরা ইসলামকে নিয়ে তামাশা করার আগে তিরিশ পারা কুরআনের একটা পৃষ্ঠাও কিন্তু উল্টে দেখেনা। এই সুযোগটা আপনিই ওদের দিচ্ছেন।
ক্লাস সিক্স, সেভেনের বাচ্চাদের থিওরি অফ ইভোলিউশন পড়ানো হচ্ছে বলে আমি ভীত নই। বই থেকে থিওরি সরিয়ে নিলেও যে পড়ার সে ঠিকই ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনে নিবে। বর্তমান যুগে ধামাচাপা দিয়ে জ্ঞানকে আটকে রাখতে পারবেন না। আমাদের দায়িত্ব আমাদের কুরআন কি বলে, কি বলেনা ইত্যাদি জানা। তারপরে বাচ্চাদের শেখানো। তাহলে ওরাই বুঝবে ওদের কি কাজটা করতে হবে। আপনি নিজের বিশ্বাস, নিজের জ্ঞান থেকে সত্যটা ওদের বুঝালে, আমার মনে হয় না আতঙ্কিত হবার মতন কিছু আছে। আপনি নিজে জানেনতো?
সবশেষে সূরা ইয়াসিনের সেই ব্যক্তির মতন বলি, "আহারে, আমার সম্প্রদায়! যদি তাঁরা জানতো!"
এবং সূরা ত্বাহার অতি প্রিয় লাইন, যা ছোটবেলা থেকে এখনও প্রতিদিন আমি আওড়াই, "রাব্বি জিদনি ইলমা - হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।"
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: জাকির নায়েক ডাকতর।আপনি আরো এক ডিগ্রি উপরে।তাই সুন্দর করে লিখেছেন।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: বিবর্তনের এই থিওরী সম্পর্কে আমাদের জানার মধ্যেই ভুল আছে বলেই আমরা এইসব তর্কে জড়াই। আমাদের বেশীরভাগের-ই ধারণা ডারউইন বলেছে বান্দর থেকে মানুষ আসছে। ডারউইন এই কথা কোন জায়গায় বলছে ভাই???
আচ্ছা এবার ধর্মের কথায় আসি। আগের যুগের মানুষ নাকি অনেকদিন বাচত। হাজার বছর। আর তারা সাইজে ও নাকি অনেক বড় ছিল। হযরত আদম (আ নাকি ৬০ হাত লম্বা ছিলেন। তাহলে সেখান থেকে আমরা এই পর্যায়ে এলাম কীভাবে? বিবর্তনের মাধ্যমে।
ভাল পোস্ট দিয়েছেন।
শুভকামনা রইল।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৯
কিশোর মাইনু বলেছেন: বিবর্তনের এই থিওরী সম্পর্কে আমাদের জানার মধ্যেই ভুল আছে বলেই আমরা এইসব তর্কে জড়াই। আমাদের বেশীরভাগের-ই ধারণা ডারউইন বলেছে বান্দর থেকে মানুষ আসছে। ডারউইন এই কথা কোন জায়গায় বলছে ভাই???
আচ্ছা এবার ধর্মের কথায় আসি। আগের যুগের মানুষ নাকি অনেকদিন বাচত। হাজার বছর। আর তারা সাইজে ও নাকি অনেক বড় ছিল। হযরত আদম (আ নাকি ৬০ হাত লম্বা ছিলেন। তাহলে সেখান থেকে আমরা এই পর্যায়ে এলাম কীভাবে? বিবর্তনের মাধ্যমে।
ভাল পোস্ট দিয়েছেন।
শুভকামনা রইল।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩২
সোনাগাজী বলেছেন:
ধর্মীয় গ্রন্হ যারা লিখেছেন ও যে সময় লিখেছেন, তখন মানুষ আজকের তুলনায় খুবি খুবই কম জানতেন। এখন যদি কেহ ধর্মগ্রন্হ লিখেন, উহা এপেলো-১১'এর ঘটনাও থাকবে।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: অপ্রমানিত আল্লার কেরামতে বিশ্বাসীরা যখন বিজ্ঞান বুঝতে চায় তখন আপনার মতই অবস্থা হয়। বিজ্ঞান বুঝে আপনি কি করবেন? আপনার ত প্রমান বা যাচাই বাছাই করার কোনো প্রয়োজনই নেই। যাচাই বাছাই করা না শিখলে বিজ্ঞান শেখা যায় না, আবার যাচাই বাছাই করা শিখে গেলে ইমান নিয়ে টানা টানি পড়ে যায়। আসলে আমার মনে হয় আপনাদের ইমান আকিদার সমস্যা আছে, তাই কোরানেও বিজ্ঞানের প্রমান খুজে বেড়াচ্ছেন।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
সোনাগাজী বলেছেন:ধর্মীয় গ্রন্হ যারা লিখেছেন ও যে সময় লিখেছেন, তখন মানুষ আজকের তুলনায় খুবি খুবই কম জানতেন। এখন যদি কেহ ধর্মগ্রন্হ লিখেন, উহা এপেলো-১১'এর ঘটনাও থাকবে।
বিজ্ঞানী সাব এ্যাপোলী ১১ চাঁদে একবারই গেলো কেনো?
আর যাওয়ার ক্ষমতা হলো না কেনো?
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
বিটপি বলেছেন: মানুষের মধ্যেও তো বিবর্তন এসেছে। ধরে নেই আদম (আ) হালকা শ্যামলা ধরণের মানুষ ছিলেন, ৬০ ফুট লম্বা ছিলেন। এখন পৃথিবীর গ্র্যাভিটেশনের সাথে এডজাস্ট করার জন্য তার সন্তানাদি যারা ছিল, তারা আকৃতিতে খাটো হতে হতে ৬ ফুটে নেমে গেল। তাদের সন্তানদের মধ্যে যারা আফ্রিকায় গেল, ভূমির উচ্চতা এবং রোদের তীব্রতার জন্য তাদের চামড়া মোটা হয়ে গেলো এবং মেলানিনের আধিক্যের কারণে কালো হয়ে গেল। যারা ইউরোপে গেল, তাদের চুল সোনালী হয়ে গেল এবং গায়ের চামড়া ফ্যাকাশে হয়ে গেল। যারা চীন-জাপানে গেল, বহুদূরে দৃষ্টি দেবার কারণে তাদের চোখ ছোট হয়ে গেল - এটা কি বিবর্তন নয়? বিবর্তনের জন্য লেহ খসে যেতে হবে কেন?
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: কুরআনে প্রথমেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে বলা হয়েছে- এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত। সুবাহান্নাল্লা।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯
রানার ব্লগ বলেছেন: সামিউল ইসলাম বাবু @ বই খুলে বা বিভিন্ন জার্নাল খুলে পড়াশুনাটা করুন। ইউটিউবে পড়ে আপনি বিনদিত হবেন জ্ঞ্যান লাভ সম্ভব না । আর একদম কিছু না জেনে প্রশ্ন করাকে মুর্খামি বলে ।
বিটপি বলেছেন: মানুষের মধ্যেও তো বিবর্তন এসেছে। ধরে নেই আদম (আ) হালকা শ্যামলা ধরণের মানুষ ছিলেন, ৬০ ফুট লম্বা ছিলেন।
এই ব্যাপারে আমার একটা প্রশ্ন আছে। এত্ত ফসিল পাওয়া যায় কিন্তু ৬০ ফুট লম্বা মানুষের ফসিল গুলা গেলো কোথায় ?
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬
নতুন বলেছেন: @ বিটপি বলেছেন: মানুষের মধ্যেও তো বিবর্তন এসেছে। ধরে নেই আদম (আ) হালকা শ্যামলা ধরণের মানুষ ছিলেন, ৬০ ফুট লম্বা ছিলেন। এখন পৃথিবীর গ্র্যাভিটেশনের সাথে এডজাস্ট করার জন্য তার সন্তানাদি যারা ছিল, তারা আকৃতিতে খাটো হতে হতে ৬ ফুটে নেমে গেল।
৬০ ফিট লম্বা মানুষ অসম্ভব। কোন কেরামতিতেই ৬০ ফিট লম্বা মানুষ বেচে থাকতে পারেনা। সেটা যদি বিশ্বাস করতে চান তবে সেটা অন্ধবিশ্বাস।
@মন্জুর ভাই:- আপনি বেশ ভালো ব্যক্ষা করেছেন। এটাই বেশ যৌক্তিক এবং আগামীতে বেশির ভাগ মুসলমানই এই ধারনাতেই এসে দাড়াবে। কারন বিবর্তন অস্বীকার করার মতন আহাম্মক তারা হতে চাইবেনা।
তাহলে এলিয়ানরা এই পৃথিবিতে কিছু মানুষকে বনবাসে পাঠিয়েছিলো যারা ফুড চেইনের উপরে বসে দুনিয়ার নিয়ন্ত্রন নিয়েছিলো।
আর যদি তাই হয় তাহলে ঐ এলিয়ান সভ্যতাই আমাদের সৃস্টিকতার কাহিনি সৃস্টির অনুপ্ররনা মাত্র।
ভাই এই মহাবিশ্বের আকারের কথা একটু চোখ বুঝে চিন্তা করুন।
বিশ্বের বেশির ভাগ ধর্মের কাহিনিতেই সৃস্টিকতার সাথে কোন মানুষের সরাসরি যোগাযোগের ঘটনা নাই। আব্রাহামিক ধর্মে মাত্র ২ জনের কথা আছে যারা সৃস্টিকতার কাছে গিয়েছিলো কিন্তু তাও সরাসরি চোখের দেখা হয় নি।
পুরু ধর্মের বিষয়টা দাড়িয়ে আছে ভয়ের উপরে ভিক্তি করে। যে হয়তো কেউ আছে যার কথা না সুনলে হয়তো ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হবে।
এই মহাবিশ্ব যেমন কোন কিছু ছাড়া সুস্টি হউওয়া জটিল একটা ভাবনা তেমনি একজন সৃস্টিকতা শুধুই মানুষকে পরিক্ষার জন্য এতো বিশাল মহাবিশ্ব সৃস্টিকরেছে সেটা ভাবাও এক রকমের বোকামী বলে আমার মনে হয়।
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: যারা একটু শিক্ষা দিক্ষা পায় তারা নিজের নৈতিক মূল্যবোধ হীন চিন্তা চেতনা এবং পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কুশিক্ষা/ অকার্যকর শিক্ষার কারনে পেশাগত জীবনে চরম ভাবে ব্যার্থ হয়। তখন তারা নিজের ডিপ্রেশন দৈন্যতা ঠেকাতে জন্ম সুত্রে পাওয়া ধর্মের আশ্রয় নেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিজ্ঞান ও বিবর্তন লেখাপড়ায় ব্যাবহার করে বিশ্বাস করে পরে তাওবা করে নিলেই হয়।
তাওবা করলে সাত খুন মাফ।