নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাড়ির ভিতরে এক বাঙালি বাচ্চর মৃত্যু

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

অস্ট্রেলিয়ায় এক বাঙালি বাচ্চা গাড়ির ভিতরে গরমে মারা গেছে।
ব্যাপারটা দুঃখজনক, তবে নতুন না। বিদেশে প্রায়ই এমনটা ঘটে। বাচ্চা, কুকুর বা এমনকি প্রাপ্তবয়ষ্করাও নিয়মিতই গাড়ির ভিতরে গরমে হিট স্ট্রোক করে। টেক্সাসের উদাহরণ দিতে গেলে, গরমের দিনে (অগাস্টের দিকে) আমাদের এখানে মাঝে মঝে একশো ডিগ্রি ফারেনহাইট (সাড়ে সাত্রিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস) মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এসি গাড়ির ভিতর সেটা অনুভব করা যায়না। চালক যখন গাড়ি থেকে বের হয়, তখনই সে লু হাওয়া টের পায়।
এসির পাশাপাশি গাড়ির দরজা জানালা বন্ধ থাকলে বাইরের তাপমাত্রার (৮০-১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে) সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রা ১৩০-১৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে (৭৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে) পৌঁছে যায়। এই সময়ে গাড়ির ভিতরে কোন বডিস্প্রের ক্যান থাকলে সেটা বার্স্ট করতে পারে। কোন পেপসির ক্যান অবশ্যই বার্স্ট করবে। আমার নিজের গাড়িতেই করেছিল।
তাই এই ভয়াবহ তাপমাত্রায় কেউই বাঁচার কথা না।
কিছু গাড়িতে (যেমন টেসলা) এখন এই অপশন থাকে যে আপনি বাইরে বেরিয়ে গেলেও গাড়ির ভিতরটা সে একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় স্থির রাখবে। বেশিরভাগ গাড়িতেই এই অপশন নেই। কাজেই, এই ভয়াবহ তাপমাত্রা এড়াতে লোকে গাড়ির কাঁচের কিছু অংশ খুলে রাখেন, যাতে বাইরের বাতাস ভিতরে যাওয়া আসা করতে পারে।
আবার অনেকেই অনেকে কারণেই গাড়ির কাঁচ নামান না, যেমন হঠাৎ বৃষ্টি আসতে পারে, কোন চোর সেই ফাঁকের সুযোগ নিয়ে গাড়ির দরজা খুলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে ইত্যাদি।
এখন অনেকেই এমন ভুলোমনা আছেন যারা ভুলে যান যে গাড়িতে বাচ্চা আছে। যেমন একটা কেস স্টাডিতে পড়েছিলাম এক বাবা নিয়মিত বাচ্চাকে ডে কেয়ারে ড্রপ করেন না। তিনি গাড়ি নিয়ে সরাসরি অফিসেই যান।
একদিন কোন বিশেষ প্রয়োজনে তাঁর দায়িত্ব ছিল বাচ্চাকে ডে কেয়ারে ড্রপ করবেন। গাড়িতে বাচ্চাকে তোলাও হয়েছিল। কিন্তু অফিসের ঝামেলায় তাঁর মন এতটাই আচ্ছন্ন ছিল যে গাড়ি চালু করতেই তিনি ভুলে যান গাড়ির পেছনে বাচ্চা আছে। বাচ্চাও ঘুমিয়ে ছিল, কোন আওয়াজ করেনি।
ভদ্রলোক ডেকেয়ারে না গিয়ে অফিসে চলে যান। গাড়ি পার্ক করে তিনি নিয়মিত অফিস করতে থাকেন। যতদূর জানি লাঞ্চের আগেও তাঁর মনে পড়েনি কি ভয়াবহ ভুল তিনি করে ফেলেছেন।
যত্তক্ষনে তাঁর খেয়াল হলো সব শেষ।
এটাতো অনেক সময়ের ব্যাপার বললাম।
অনেক মাই থাকেন যারা দেখেন সন্তান ঘুমাচ্ছে, কাজেই ঝট করে গ্রোসারি শপিং সেরে আসতে বাচ্চাকে গাড়িতে রেখেই দোকানে ঢুকে যান। ফিরে এসে দেখেন বাচ্চা শেষ।
অনেকের ক্ষেত্রে এমনটাও ঘটেছে যে তাঁরা ভাল করেই জানেন বাচ্চা গাড়িতে আছে, এবং গাড়িতে এভাবে ফেলে রাখলে কি পরিণতি হতে পারে, তারপরেও পার্ক করার মুহূর্তেই তাঁদের মোবাইল ফোন বেজে উঠে, তাঁরা কথাবার্তায় ব্যস্ত হয়ে যায়, এবং সেই ফাঁকে বাচ্চার কথা ভুলে গিয়ে গাড়ি লক করে চলে যায়।
কারন যেটাই হোক, এটি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা, যে কারোর সাথে ঘটতে পারে, এ নিয়ে কোনই সন্দেহ নেই। আমাদের যাদের বাচ্চা আছে, তাঁদের শুধু সাবধান থাকতে হবে এই ব্যাপারে। ফোনে কথা বলা যাবেনা। এবং বাচ্চার সাথে কথাবার্তা বলতে হবে যাতে কিছুই মন ভুলে না যায় যে আমাদের বাচ্চা গাড়িতেই আছে।
যে বাবা মা বাচ্চা হারিয়েছে, তাঁদের জন্য সমবেদনা। সান্তনার কোন ভাষাই থাকেনা।
বিদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এগুলি ঘটনাকে শুধু একটা দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখে না, child endangerment (নেগলিজেন্সের কারনে) হিসেবে ধরা হয়। এর ফল ভয়াবহ। স্টেট সেই বাবা মায়ের অন্যান্য বাচ্চাদেরও সরিয়ে নিবে। ধরেই নিবে অন্যান্য বাচ্চাদেরও জীবন সংকটময়। সাবধানতার কোনই মার নাই।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিষয়টা খুবই দুঃখ জনক!! আমি অবাক হয়ে যাই, নিজের বাচ্চাকে মানুষ কিভাবে ভুলে যায়!! এটা কিন্তু নিজের জ্বলজ্যান্ত বাচ্চা, কোন গিফ্ট বক্স নয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভুলে গেলে কিই বা করতে পারবেন? মানুষের ব্রেন খুবই জটিল একটি মেশিন।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "বাঙালি" এতটুকু পড়াই যথেষ্ট। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না, ঘটনা বাঙালিদের মধ্যে কমন না।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৬

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: মঞ্জুর ভাই, গতকাল থেকে চাকরিঘটিত ব্যাপার নিয়ে মনটা চিন্তায় আচ্ছন্ন। এটা সেটা ভুলে টুলে যাচ্ছি এমন অবস্থা। তার মাঝে এই খবর আর এখন আপনার এমন চুলচেরা বিশ্লেষন পড়ে মনে হচ্ছে, যাদের বাচ্চা কাচ্চা আছে, তাদের আনমনা হওয়াটা রীতিমত বোকামি। চাকরি গেলে চাকরি আবার জুটবে, কিন্তু পরিবারের ক্ষতি হলে সেটা আর পূরণ হবার না।
ভাল থাকবেন। আপনার লেখাটা খুব প্রাসঙ্গিক আর জরুরী।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সমস্যা টা অনেকেরই হছে। তবে কালো পরিবারে বেশি। তবে বাংগালী পরিবারে খুবই রেয়ার।

আমার মতে সামনের সিটে বাচ্চা রাখলে এই সমস্যা হত না। কিন্তু স্টেট আইনে সামনের সিটে বাচ্চা রাখলে ৫০০ ডলার জরিমানা।
সেটা এয়ার ব্যাগ ডেপলয় জনিত নিরাপত্তার জন্যেই।
কিন্তু আমার কাছে অমুলোক মনে হয়। কারন আমেরিকায় পেছনের সিটের এয়ার ব্যাগ দুর্বল। যাত্রীদের মৃত্যুর হার সামনের সিটের চেয়ে পেছনের যাত্রি মরে বহুগুন বেশী।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, পেছনে থাকলে নজর না যাওয়াটা স্বাভাবিক।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:০০

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: অপরাধ অংশটুকু বাদ দিলে, মানসিক চাপ মূলে রয়েছে। ছোটখাটো ভুল হয় যেমন বাসার সামনের দরজা লক করতে ভুলে যাওয়া।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: খুব কঠিন সময় পার করছি আমরা ,বাস্তবতা হচ্ছে এখন সময় খারাপ সামনের দিন গুলো আরো কঠিন হবে। মূল্যস্ফীতি , যুদ্ধ সহ নানা দুর্যোগে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের অর্থনীতি এখন নিম্নমুখী। খুব স্বাভাবিক আপনার জীবন যাত্রার মান আগের মতো থাকবে না। এটা মেনে নিতে হবে ,না মেনে নিতে পারলে নানা রকম মানসিক অশান্তির সম্মুখীন হবেন এই ভদ্র লোকের বেলায় ও হয়তো সেই রকমই হয়েছে। মানসিক চাপে বাচ্চার কথাই ভুলে গেছে। এখান থেকে কি শিক্ষা নিলেন সেটাই মূল বিষয় প্রথমত নিজের চাহিদায় লাগাম টানুন খালি চাই চাই ভাব পরিহার করুন ,এটা টিকে থাকার বছর নতুন গাড়ি বাড়ি কিনার সময় এটা না ,গত বছর থেকে এই বছর আরো কঠিন হবে সেইকথা মাথায় রেখে নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করুন। দ্বিতীয় বিষয় যেহেতু কঠিন সময় খারাপ সময় পার করছেন চেষ্টা করুন অতিরিক্ত মানসিক চাপ না নেবার প্রয়োজন পরে কাছের বন্ধু আত্মীয় যাদের ভালো লাগে তাদের সাথে কথা বলে মন হালকা করার ভালো লাগার কাজ গুলো বেশি করে করুন সেটা হয়তো বেয়াম ,মাছ ধরা ,নতুন জায়গায় ভ্রমণ ,নতুন বই পড়া কিংবা নতুন সিনেমা নতুন নাটক দেখা ইত্যাদি প্রয়োজন পরে সাইকোলজিস্ট এর সাথে কথা বলুন পারলে মেডিটেশন করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.