নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ঘটনা বাংলাদেশের।
এক ছেলে বিয়ে করতে পারছে না।
বেচারার শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, মোটামুটি একটা ভাল চাকরিও করে, পরিবার ভাল, স্বভাব চরিত্র ভাল - একটাই সমস্যা, ছেলে তোতলায়। স্পষ্ট উচ্চারনে কথা বলতে পারে না।
ছেলের জায়গায় মেয়ে হলেতো কথাই নাই।
বাংলাদেশের বিয়ের বাজারে পাত্র পাত্রী হচ্ছে কুরবানীর বাজারের পশুর মতন। সব দিক দিয়ে নিখুঁত হতে হবে। নাহলে বাতিল।
স্বভাব চরিত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিষ্টাচার, জীবনাচরণ ইত্যাদির চাইতেও বেশি প্রাধান্য পায় উচ্চতা, গায়ের রং, কণ্ঠস্বর ইত্যাদি।
এখন তাহলে বলি, ইসলাম এই ব্যাপারে কি বলে।
ইসলাম ধর্মে নবীদের মধ্যে মুসা (আঃ) নবীর স্থান যে কোথায় সেটা নিশ্চই ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। তারপরেও ধারণা দিতে শুধু এইটুকু বলি যে মুহাম্মদ (সঃ) এবং ইব্রাহিম (আঃ) নবীর পরেই উনার সম্মান। মানে কোটি কোটি মানুষ পৃথিবীতে এসেছেন এবং আরও কোটি কোটি মানুষ ভবিষ্যতেও আসবেন। কিন্তু কেয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির ইতিহাসে মুসা (আঃ) এর সমকক্ষ একজনও আসবেন না।
সেই মুসা (আঃ) স্পষ্ট উচ্চারনে কথা বলতে পারতেন না। কুরআনই বলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলেন যাতে তাঁর জিহ্বার জড়তা কেটে যায়। সাথে সঙ্গী হিসেবে ভাইকেও চাইলেন, কারন ভাইয়ের কথাবার্তা স্পষ্ট।
আবার আরেক স্থানে ফেরাউনও বলে যে, যে স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না, সে কিভাবে আল্লাহর রাসূল হতে পারে?
কথিত আছে শৈশবে তাঁর জিহ্বা জ্বলন্ত কয়লায় পুড়ে গিয়েছিল। তিনি জ্বলন্ত কয়লাকে ফল মনে করে মুখে দিয়েছিলেন। যদিও জ্বলন্ত কয়লা হাত দিয়ে ধরার সাথে সাথেই টের পাওয়ার কথা ওটা কতটা গরম। অবশ্য ভেজা হাত থাকলে ভিন্ন কথা। জন্মগতও lisp থাকতে পারে। যেহেতু ১০০% সত্য জানিনা, কাজেই বলতে পারছিনা তাঁর জিহ্বার জড়তার কারন।
জিহ্বায় জড়তা ছিল আমাদের নবীজির (সঃ) প্রিয় নাতি হজরত হোসেনেরও (রাঃ)। তিনি যখন একটা কথা বলতে যেতেন, জিহ্বার জড়তার কারনে শব্দগুলো উচ্চারণ করতে তাঁর সময় লাগতো। আমাদের নবীজি (সঃ) প্রানপ্রিয় দৌহিত্রের দিকে ভুবন ভোলানো মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন, এবং একবার বলেও ছিলেন যে "ও হজরত মুসার (আঃ) কাছ থেকে এটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।"
তাহলে দেখা যাচ্ছে, বাঙালি বিয়ের বাজারে পাত্র হিসেবে নবী মুসা (আঃ) এবং আমাদের নবীজির (সঃ) নয়নমনি হজরত হোসেন (রাঃ) তেমন যোগ্যতা রাখেন না। :/
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল তো লোকজনের বিব্যেই টিকছে না। তালাক হয়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫০
জটিল ভাই বলেছেন:
মনে হচ্ছে জীবন থেকে নেয়া.....