নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা প্রাণ রক্ষা

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

শিশুদের কাজ হচ্ছে সারাদিন ঘরময় ছোটাছুটি করা। মায়ের মেকাপ, লিপস্টিক নষ্ট করা, বাপের শেভিং জেল গালে ঘষে টুথব্রাশ দিয়ে শেভ করা। রান্নাঘরে গুঁড়া দুধের ডিব্বা থেকে চামচে ভরে দুধ খাওয়া, আটা ময়দা চিনি দিয়ে বিচিত্র কিছু রেসিপি বানানোর চেষ্টায় ওসব নোংরা করা।
শিশুদের কাজ হচ্ছে দেয়াল জুড়ে ছবি আঁকা, আদর্শলিপি চর্চা করা। ভাইয়ে ভাইয়ে, ভাইয়ে বোনে অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারামারি করা।
যা শিশুদের কাজ না তা হচ্ছে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা।
বিষন্নতা বড়দের বিষয়, বড়রা শিশুদের থেকে শিখবে কিভাবে আনন্দিত থাকতে হয়। কিভাবে অতি অল্পে পৃথিবী জয়ের আনন্দ পেতে হয়।
কিন্ত বাস্তব পৃথিবীর অতি নিষ্ঠুরতম সত্য হচ্ছে, এই অতি আধুনিক পৃথিবীতেও শিশুদের অসুস্থ হতে হয়, টাকার অভাবে অনেকের চিকিৎসা হয় না, অনেককেই অকালে চোখ বুজতে হয়।
গতকালকে একটা ভিডিও দেখলাম অনলাইনে গান গেয়ে ভাইরাল হওয়া এক বাংলাদেশী শিশু মারা গেছে। গ্রামের পরিবেশে বেড়ে ওঠা ছেলেটা শৈশবে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছিল, বাবা মায়ের পয়সা নাই, তাই "উন্নত" চিকিৎসা করাতে পারেনি। সেটারই ফলে হয়তো ছেলেটা হঠাৎ স্ট্রোক (কে জানে আসলেই স্ট্রোক কিনা) করে মারা গেছে।
আমাদের দেশের অনেকেরই অনেক টাকা। বিশ হাজার টাকার জিলাপি বিক্রি হয় আমাদের দেশে, দশ হাজার টাকার ইফতার প্ল্যাটার - আমাদের পয়সার অভাব নেই সত্য। এবং এও সত্য, অনেকেই সেই টাকার কিছুটা অংশ নিয়ে হলেও মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে চান। হয়তো মৃত বাবা মায়ের স্মরণে, কিংবা, নিজের নামেই কিছু একটা করতে চান সমাজের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। এদিকে অনলাইন, অফলাইনে বাটপারে সয়লাব। কাউকে ভরসা করতে পারছেন না। উপায় কি?
সহজ একটি বুদ্ধি হচ্ছে, কোন শিশু হাসপাতালে চলে যান। দেখবেন সেখানে অসংখ্য শিশু আছে পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। কারোর হয়তো জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র, কারোর হয়তো ক্যানসারের চিকিৎসার টাকা নেই। শিশুদের ক্যানসার বড়দের মতন নয়। সঠিক চিকিৎসায় ৮০% শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু টাকার অভাবে সেই চিকিৎসাটাই হয় না।
আপনার জেনুইনলি মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছা করে? একটা শিশুর হসপিটাল বিল নিজ দায়িত্বে পরিশোধ করুক।
আপনার একার দ্বারা সম্ভব না? বন্ধু বান্ধব মিলে সেটা সম্ভব, কেননা কয়েকজন মিলে ওদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেই? একটা প্রাণ রক্ষা মানে ওর ভবিষ্যৎ জীবনে ওর দ্বারা যত মানুষের কল্যাণ হবে সবগুলোতে আপনার প্রত্যক্ষ অবদান থাকবে। ওর সন্তান, ওর বংশধরদের দ্বারাও যা কিছু ভাল হবে, সবকিছুতেই আপনার ক্রেডিট জমবে। চক্রবৃদ্ধি ইনভেস্টমেন্ট যাকে বলে।
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য আমেরিকায় সেইন্ট জুড হসপিটাল আছে। আমাদের দেশে নেই, সমস্যা নাই। আমি আমরা সবাই মিলে এগিয়ে আসলেতো আলাদা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন নেই।
জন্মগতভাবে ঠোঁট কাটা শিশুদের অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ করা হচ্ছে দেশে। সেটা করলেওতো একটি শিশু ও তাঁর পরিবারের ঠোঁটে আজীবন হাসি ফোটানো সম্ভব। খুব কঠিন কিছুতো নয়। কি বলেন?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: সমাজের এক শ্রেণি টাকা নষ্ট করেও টাকা শেষ করতে পারেনা আবার আর এক শ্রেণি ন্যূনতম প্রয়োজন মিটাতেও খরচ করার জন্য টাকা পান না!
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোষ্টের জন্য।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: শিশুরা হচ্ছে ঘরের আনন্দ।

গতকাল আমার কন্যা টয়লেটে আটকা পড়েছিলো। শেষে তাকে দরজা ভেঙ্গে বের করতে হয়েছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.