নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র - অভিভাবকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১৩

মোঘল ইন্ডিয়া ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ। পৃথিবীর মোট জিডিপির এক চতুর্থাংশ ছিল তখনকার ভারতে। বর্তমান আমেরিকা যা, তখনকার ইন্ডিয়া ছিল ঠিক তাই। আমাদের গোলা ভরা ধান ছিল, পুকুর ভরা মাছ। আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের লোকজন অন্নের সন্ধানে আসতেন। বিভিন্ন আরব সুফী, সাধুরাও এদেশে তখনই এসেছিলেন। আমাদের চেয়ে ধনী পৃথিবীতে তখন আর কোন দেশ ছিল না।

রুটি ছিটালে যেমন ইঁদুর আসে। সম্পদের লোভে বণিকের ছদ্মবেশে ব্রিটিশরা ইন্ডিয়ায় এলো। ব্যবসা করার অনুমতি চাইলো, কিন্তু লোভটা ছিল রাজগদির দিকে। সামান্য এক কোম্পানি থেকে ওরা আস্ত দেশ দখল করে ফেলল। এ এক আজব সময়! একটা কোম্পানি একটা দেশ চালাচ্ছে, কোম্পানির নিজস্ব সেনাবাহিনী, নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা।
কোম্পানি মাত্রই মুনাফা দেখে। ওরাও সেটাই দেখতো। কোটি কোটি টাকা পাচার হতে শুরু করে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া থেকে।
একশো বছর পরে ইংরেজ সরকার কোম্পানি থেকে ক্ষমতা বুঝে নেয়। কিন্তু সম্পদের লুট ঠিকই চলতে থাকে।
যে দেশে একসময়ে খাবার খেতে বিদেশ থেকে মানুষ আসতো, সেই দেশ খাদ্য সংকটে ভুগলো। লাখে লাখে মানুষ অনাহারে মারা গেল।
আমাদেরকে বুঝানো হলো ব্রিটিশরা বিদেশী শক্তি, ওদের তাড়ালে আমাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ ফেরত আসবে।

স্বদেশী আন্দোলন জোরদার হয়। মানুষ নিজের জীবনের পরোয়া না করে ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাসিমুখে প্রাণ দিতে থাকে তরুণেরা। বুড়োরা সত্যাগ্রহ বেছে নেয়। ব্রিটিশরা যখন বুঝতে পারে আর ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব না, ওরা পালিয়ে যায়।

জন্ম হয় ভারত ও পাকিস্তানের।

আমরা তখন পাকিস্তানের অংশ, পূর্ব পাকিস্তান।
শিক্ষিত জাত হিসেবে বাঙালির কদর সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্বে ছিল এই বাঙালিরাই। অথচ স্বাধীন হওয়ার পরে রাজধানী, ক্ষমতা সবই ছিল ঐ মাথামোটা পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতে। ওরাও আমাদের প্রতি তেমনই আচরণ করলো যা ব্রিটিশরা করতো। আমাদের সম্পদ বিদেশে বিক্রি করে আমাদের না দিয়ে তা ব্যয় হতো পশ্চিম পাকিস্তানে। শুধু বাঙালি হওয়ার অপরাধে নিজের দেশেই আমরা ছিলাম সেকেন্ডক্লাস সিটিজেন।

আবার আমাদের বুঝানো হলো, "পাকিস্তানিরা বিদেশী শক্তি। ওরা আমাদের লুটে নিয়ে যাচ্ছে। ওদের খেদাও!"

আমরা ওদের ঝেটিয়ে বিদায় করলাম। রক্তক্ষরণ হলো বটে, তবু আশায় বুক বাঁধলাম, এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের দেশ চালাবো! আমরা স্বাধীন!
আমাদের চোখে স্বপ্ন ছিল। একদম শূন্য থেকে শুরু হবে জাতি গঠন। শিক্ষা, প্রগতি, সাহিত্য সবদিক দিয়ে আমরা বিশ্বের তামাম দেশের চোখ কপালে তুলে দিব। আমরা হবো "বাংলাদেশ" - বিশ্ব অবাক তাকিয়ে দেখবে আমরা কি করে দেখাতে পারি!
যে মা সন্তান হারালো, যে নারী স্বামী, বা যে পুরুষটি যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখে ওর কিছুই অবশিষ্ট নেই - সেও বুকের ভিতর থেকে উল্লাস করে বলল, "জয় বাংলা!"
স্বাধীনতা রক্ত চায়, আমরা রক্ত দিয়েছি। এবার সব শোধের পালা।

কিন্তু শুরুতেই আমরা ধাক্কা খেলাম।
শুরুতেই সবাই বেইমানি শুরু করলো। শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বললেন "লোকে পায় সোনার খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি।"
কাকে বিশ্বাস করবেন তখন? মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে সবাই, যেই আসছে, সেই লুটে খাচ্ছে। যে সাধু সাজছে, সে সুযোগের অভাবে চুরি করতে পারছে না বলেই সাধুগিরি ফলাচ্ছে। এগুলি আমার বানানো কথা না, তখনকার দিনের ফ্যাক্ট।
এদিকে ক্ষমতায়তো ব্রিটিশও নেই, পাকিস্তানীও নেই - এখন কার উপর লুটের দায় চাপানো যাবে? এখনতো সব নিজের লোকেরাই লুটছে!
স্বাধীন বাংলাদেশের সম্পদ সেই ৭১ এর পর থেকেই লুট হচ্ছে। নিজের দেশি ভাই ব্রাদাররাই লুটছেন। লোকজন নির্লজ্জের মতন চোখ টিপে দাঁত কেলিয়ে বলছেন "সরকারি চাকরিতে যাই, তারপরে সব পুষিয়ে দেব।"

হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসাব দিতে না পেরে বলেছিলেন "এক প্লেট ভাত খেলে যেমন দুয়েকটা ভাত এদিকে ওদিকে ছিটিয়ে যায়, তেমনই কয়েকশো কোটি টাকার প্রজেক্টে কিছু টাকা এদিকে সেদিকে পড়তেই পারে।"
টাকার পরিমান ছিল মাত্র কয়েক কোটি। ওর চেয়ে বেশি টাকা লুটেছে বিসিএসের প্রশ্ন বিক্রি করা একটা ড্রাইভার। বাকি রাঘব বোয়ালরা তাহলে কি তান্ডব চালিয়েছে বুঝে নেন।
এরশাদ বোকা, মুখে স্বীকার করে ফেলেছে। ওকে জেল খাটতে হয়েছে। ভোটের রাজনীতির কারনে আওয়ামীলীগই ওকে পাশে রাখে বাকিটা জীবন ক্ষমতা ধরে রেখেছে। কিসের স্বৈরাচারী আন্দোলন আর কিসের কি? যারা এরশাদ পতনের আন্দোলনে রক্ত দিয়েছিল, ওদের আবেগের, ত্যাগের বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে এই এরশাদের সাথেই হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামীলীগ। আর ৭১ এ যারা বাংলাদেশেরই বিরোধিতা করেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামীর সাথে হাতে হাত রেখে বিএনপি হেঁটেছে।
আর আমরা? আমরা দুর্নীতির খবরে এতটাই পাথর হয়ে গেছি যে এসব সামনে এলে এসব নিয়ে ট্রল করি। আমাদের বোধে আসেনা, এই যে অসুস্থ হলে আমাদের বিদেশে ছুটতে হয়, দুর্নীতি না হলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা হতো থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতন।
উচ্চশিক্ষার জন্য এই যে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে যাই, দুর্নীতি আর ছাত্র রাজনীতি না থাকলে বিদেশীরাই আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসতো। আমাদের স্থান হতো বিশ্বের সেরা একশো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়।
যে বাণিজ্যের টানে ব্রিটিশরা আমাদের দেশে এসেছিল, আমরাই বিদেশিদের বাড়িতে ডেকে এনে চাকরি দিতাম। কষ্ট করে প্রবাসী হতে হতো না।
আজকে সিঙ্গাপুর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। সেখানে রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে যেকোন কিছুই আকাশচুম্বী। আমেরিকানরা গিয়েও মাথায় হাত দিয়ে বলে, "একটা সাধারণ বার্গারের দাম পঞ্চাশ ইউএস ডলার! ওখানে লোকজন বাঁচে কিভাবে?" কারন ওদের আয়ও তেমন। আমাদের ঢাকা, চিটাগং, সিলেট ইত্যাদি শহরগুলোও তেমনই হবার কথা ছিল। লোকজনকে মিথ্যা অভিযোগের সুরে বলতাম "এসব শহরে এখন আর থাকা যাবে না, এত এক্সপেন্সিভ হয়ে গেছে!" কিন্তু মনে মনে ঠিকই একটা গর্বের হাসি হাসতাম।
অথচ আমাদের দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি দেখে লাভিশ্বাস উঠে। কারন আয়তো বাড়ে না।

কত স্বপ্ন যে ছিল! এসবের কিছুই হয়নি। সব চোর নিজের সম্পদ বৃদ্ধিতে পরিশ্রম করেছে।

আগে দেশের সম্পদ লুট করে দেশের ব্যাংকেই থাকতো। চোরেরা দেশেই জমি বাড়ি ইত্যাদি কিনতো।
এখন চোরেরা বিদেশেও ব্রাঞ্চ খুলেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। দেশি ব্যাংকগুলো লিকুইডিটি সংকটে ভুগছে। দেশে ডলার কেনা যায়না, রিজার্ভে ডলার কমে গেছে। ৮৫ টাকা ডলারের দাম এক লাফে কয়েক মাসের ব্যবধানে ১১৭তে গিয়ে ঠেকেছে। কি অবিশ্বাস্য ঘটনা! লুটের খবর প্রচার হওয়ার সাথে সাথে চোরেরা বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। সরকার ওদের ধরবে কি? সরকারতো ওদেরই আপনা লোক।

এদিকে সাধারণ পাবলিকের অবস্থা যা ছিল তাই রয়ে গেছে।

আমরা কষ্ট করে টাকা উপার্জন করি। ট্যাক্স দেই। ট্যাক্সের টাকা আমাদেরই কল্যানে ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু ট্যাক্সের কর্মকর্তা সেই টাকায় মাল্টিপল সংসার করে, ওর পোলা লাখ টাকার পশু কোরবান দেয়, কোটি টাকার গাড়ি চরে। কন্যা বিদেশে বিলাসবহুল জীবন কাটায়। সেগুলো কিন্তু আমাদেরই টাকা। আমার আপনার টাকা লুটে নিয়ে এই আয়েশি জীবন কাটাচ্ছে ওরা।
যেকোন কাজ করাতে হলে আমাদের ঘুষ দিতে হয়। অথচ ট্যাক্সের টাকায় অলরেডি সে বেতন পাচ্ছে। আমার পকেট থেকে দ্বিগুন টাকা বেরুচ্ছে। কিছুই করার নাই।
কিছু বলতে যাবেন, আপনাকে ট্যাগ দিয়ে দিবে "স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি।"
অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষের শক্তি যে দেশ লুটে ফেলছে, তাতে কোন বিকার নেই।

৫২এর ভাষা আন্দোলনে কয়টা স্টুডেন্ট মারা গিয়েছিল? সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউর। কারফিউ ভেঙ্গে রাজপথে নামার পরেও মাত্র পাঁচজন। ধরলাম আরও কয়েকজনের মিসিং গেছে। সেফটির জন্য ধরে নিলাম ১০। আমাদের বাচ্চারা কি কারফিউ ভেঙেছিল?
৬৯এর গণঅভ্যুত্থানে কয়জন নিহত হয়েছেন? সেটা এশিয়ার লৌহ মানব হিসেবে কুখ্যাত আইয়ুব খানের আমল - মিলিটারি শাসন। সেখানেও আমরা মনে করতে পারি কেবল আসাদ, মতিউর রহমান, ড. শামসুজ্জোহা ও সার্জেন্ট জহুরুল হকের নাম। বাকি আরও অনেকেই নিহত হয়েছিলেন হয়তো, সেফটির জন্য কত ধরে নিবেন? ২০?
আজকে শুধু প্রথম আলোর হিসাবেই নিহত ছাত্রের সংখ্যা ১৯ - ফেসবুকে বিভিন্ন সোর্স বলছে আসলে মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। ওরা কেউ কারফিউ ভাঙেনি, ওরা কেউ মিলিটারি শাসকের বিরুদ্ধে গিয়ে রাস্তায় নামেনি। ওরা ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে পথে নেমেছিল।
"স্বাধীন বাংলাদেশে" "গণতান্ত্রিক" সরকারের সময়ে এতগুলো বাচ্চাকে মেরে ফেলা হলো - ফাজলামির কথা?
এখনকি আর ব্রিটিশ/পাকিস্তানী/বিদেশী মোয়া গেলানো যাবে?
"তুই বাংলাদেশী, চাকরি দিবি না ভাল কথা, তুই আমার বাচ্চাকে মারলি ক্যান?"
রাষ্ট্র - অভিভাবকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো যারা স্বধীনতা চায়নি তারা যখন রাজনীতি করার অধিকার পেলো।

১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যারা স্বাধীনতা চেয়েছে, ওরাই বা কি কম লুটেছে? এখনতো মনে হচ্ছে ওরা স্বাধীনতা চেয়েছিল যাতে ক্ষমতায় যেতে পারে লুটতে পারে। মানুষের জীবনের উন্নয়ন ইত্যাদি সবই ধাপ্পাবাজি।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১৪

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: স্বাধীনতা দেবার নাম করে করে লুটে পুটে খাবার-আশ্রয়-ইজ্জত-আব্রু সব নিয়ে চলে গেছে। আমরা রা করিনি। এখন আমাদের জানটাও ওদের লাগবে!
মতিউর আর ওর পরিবার, বেনজীর আর ওর পরিবারকে তো একটা গুলি করতে পারল না এই জানোয়ারেরা। জানোয়ারে তো জানোয়ার খাবে না, খাবে মানুষ।
অসভ্য, ইতর আর জানোয়ার পলিটিশিয়ান আর তাদের চামচার দল।

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:০৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :( :(

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৩

রবিন_২০২০ বলেছেন: টিভি তে দেখলাম, পুলিশ এর মাঝে থেকে ছাত্রলীগ যুবলীগের লোকজন বিক্ষভকারীদের উপর গুলি করছে। এ কেমন পুলিশ, এ কেমন প্রশাসন? এদের কি পরিবার পরিজন নাই? গোটা প্রশাসনে কি সবাই নতলিঙ্গ?

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:০৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বিচি থাকতে হয়। সেটাই নাই।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৫৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: বিএনপি, জামাতকে আইন করে নিষিদ্ধ করে দিতে কেউ তো না করে নাই! কেউ যদি গদির প্রয়োজনে এদেরকে life support দিয়ে reverse রাজনৈতিক চাল দেয়। তাতে পাকি পন্থীদের একার দোষ হবে কেন? সাপুড়ে ও সাপ উভয়ই দায়ী।
ভদ্রতার খাতিরে কিছু বললাম না। বঙ্গবন্ধু থাকলে এদেরকে.... দিয়ে আওয়ামী থেকে বের করে দিতেন। বঙ্গবন্ধু আর যাই হোক এখনকার অবস্থাকে support করতেন না।

মানুষকে শ্রেণি বিভেদে ফেলে দিয়েছে। বাবা/মা মুক্তিযোদ্ধা না হলে বাকি সব রাজাকার! আমার মামা মুক্তিযোদ্ধা, চাচা মুক্তিযোদ্ধা। তার মানে আমি half blood মুক্তিযোদ্ধা নয়তো রাজাকার এর দাবীদার হয়ে গেলাম! এরা কি স্বাভাবিক আছে? তারা ভুল করলে কিছু বলা যাবে তবে দোষ দেওয়া যাবে না! কারণ তারা মত প্রকাশের মাধ্যমকে স্বাধীন রেখেছে! ব্যাপার ভোটের মত না,যে আমি ভোট দিতে পারব কিন্তু কাকে বা কাদেরকে দিতে পারি, তা তারাই ঠিক করে রাখল!
আর!!! চিহ্ন দিতে পারব না। বিরক্তিকর হয়ে গিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.