নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মানুযায়ী আল্লাহকে করা সর্বোচ্চ অপমান

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২

ইসলাম ধর্মানুযায়ী আল্লাহকে করা সর্বোচ্চ অপমান হচ্ছে তাঁকে মানুষের আকৃতিতে কল্পনা করা, তাঁর ছেলে/মেয়ে ইত্যাদি আছে জ্ঞান করা, তাঁর সাথে কাউকে তুলনা করা ইত্যাদি।
তাঁর রাসূলকে (সঃ) করা সর্বোচ্চ অপমান হচ্ছে তাঁকে মিথ্যাবাদী মনে করা, তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা ইত্যাদি।
এখন ইসলাম ছাড়া যেকোন ধর্মই সেই কাজটাই করে। আপনি যদি আমাদের মুসলিমদের চাচাতো ভাই খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীদের দেখেন, তাহলে ওরা ঈসাকে (আঃ) আল্লাহর "পুত্র" ধরে নিয়ে ধর্মপালন করে।
খ্রিষ্টানদের সাথে আমাদের আরেক চাচাতো ভাই ইহুদি ধর্মের লোকেরা আমাদের আল্লাহকে আল্লাহ মানলেও নবী মুহাম্মদ (সঃ) এবং ঈসাদের (আঃ) অস্বীকার করে। ওদের দাবি অনুযায়ী উনারা (সঃ) মিথ্যা বলেছেন, তাঁরা মোটেই আল্লাহর প্রেরিত নবী নন। ওদের বিশ্বাস আমরা সবাই একজন ভন্ড নবীর (আল্লাহ এই কথা লেখার জন্যও আমাকে মাফ করুন, আমি শুধু ওরা যা ধারণা করে সেটাই লিখলাম) অনুসারী। ওরা যদি আমাদের নবীকে সত্য নবী হিসেবে মানেই, তাহলেতো ওরা মুসলিমই থাকতো, নাকি?
আমরাও ওদের ধর্মীয় বিশ্বাসে সরাসরি আঘাত করি। খ্রিষ্টানদের ধর্ম বিশ্বাসের মূল ভিত্তিই হচ্ছে যীশু আল্লাহর পুত্র - আর আমাদের ধর্মের মূল ভিত্তি হচ্ছে আল্লাহর কোন স্ত্রী/সন্তান/পরিবার নেই, সেটার প্রয়োজনও নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, সৃষ্টি জগতের সবাই আল্লাহর গোলাম/দাস।
কিন্তু সেই ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের আল্লাহ কুরআনে "আহলে কিতাব" হিসেবে সম্বোধন করেছেন, ওদের সাথে খাওয়া দাওয়া (Kosher meat) ওদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি সবই হালাল করেছেন।
আল্লাহ নিজেই কুরআনে বর্ণনা করেছেন যে তিনি চাইলেই পৃথিবীর সবাই মুসলিম হয়ে যেত (সূরা নাহল, আয়াত ৯৩), কিন্তু তিনি এই বৈচিত্র রেখেছেন, কারন এটিই তাঁর পরিকল্পনার এক অংশ। আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের কর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
কাজেই একজন ধার্মিক কখনই অন্যের ধর্মচর্চা নিয়ে মাথা ঘামায় না - ওর টেনশন থাকে নিজেকে নিয়েই, "ইয়া নফসি!"
হ্যা, কেউ যদি আমার আল্লাহ, আমার নবীজিকে (সঃ) বা অন্যান্য যেকোন নবী রাসূল নিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু বলে, তখন আমার রক্ত টগবগ করে ফুটবে। রক্তে যদি আগুন না জ্বলে তাহলে আমি মুসলিমই না, মুনাফেক। ঈমানের সবচেয়ে বড় চিহ্নই হচ্ছে এই ক্রোধ। যার রাগ উঠবে না, তার কোন ঈমান নেই। এই বিষয়ে যে ইনবিন করতে আসবে, ধরেই নিবেন সে মুনাফেক।
তবে এদের রেস্পন্সেরও একটা তরিকা আছে। এক নম্বর হচ্ছে ডিসিপ্লিন্ড থাকা। কোন অবস্থাতেই সীমাতিক্রম করা যাবেনা। আল্লাহ এবং রাসূলের প্রতি ভালবাসার কারণেই ওঠা ক্রোধকে আল্লাহ এবং রাসূলের বলা তরিকাতেই দমিয়ে রাখার চাইতে বড় ঈমান আর কিছুই হতে পারেনা। সেটা না পারলে গালির বদলে গালি, মারের বদলে মার। কিন্তু কেউ মারে নাই, আমি গিয়ে মেরে চলে আসলাম, তাহলে সেটা জুলুম হয়ে যাবে, এবং ন্যায় বিচারকের দরবারে আমি দোষী সাব্যস্ত হবো।
কেয়ামতের আদালতে আমি বলতে পারি, "ও নবীকে (সঃ) গালি দিয়েছে তাই মেরেছি।"
জবাবে আল্লাহ যদি বলেন "কিন্তু ও তো বলছে তোমরা আগে ওর জাতকে বলেছো "ওরা গরুর গোবর খায়।" কুরআনে কি বলা নেই ওদের দেবদেবী নিয়ে কটূক্তি না করতে, তাহলে ওরাও অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহ এবং রাসূলকে নিয়ে কটূক্তি করবে? এত স্পষ্ট নির্দেশের পরেও কেন সীমালঙ্ঘন করলে?"
আছে কোন জবাব? আপনি বলতে পারেন, "মাফ করে দেন। মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আবেগ দিয়ে চিন্তা করেছি।"
কিন্তু আবেগ বিবেক ইত্যাদি যা দিয়েই কাজ করেন না কেন, মৃত ব্যক্তিকে কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন? ওর সংসারে যে ক্ষতি হলো, সেটার ক্ষতিপূরণ?
অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করলে ওর পরিবারকে রক্তপণ দিতে হয়, একশো উটের সমান অর্থ, বর্তমান বিশ্ব বাজারে কয়েক মিলিওন ডলার। খুলনাবাসী মুসলিমরা কি ওর পরিবারকে সেই ক্ষতিপূরণ দিয়েছে?
মানুষ খুন করা এতই সহজ?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:








জনৈক ব্যক্তি এক বালকের গালে চপেটাঘাত করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে এভাবে গালে চপেটাঘাত করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, خَلَقَ اللهُ آدَمَ عَلَى صُوْرَتِهِ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আদমকে স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৮৪৬)

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: মুশরিকরা যেটাকে গালি মনে করে রাসুলুল্লাহ (সা.)- কে বললেন, 'আপনি আমাদের প্রতিমাদের গালিগালাজ করা থেকে বিরত না হলে আমরা আপনার আল্লাহকেও গালিগালাজ করব। ' এ পরিপ্রেক্ষিতে সুরা আনআমের ১০৮ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। আল্লাহ বলেন, 'তোমরা মুশরিকদের প্রতিমাকে ও আল্লাহকে ছেড়ে তারা যাদের উপাসনা করে, তাদের মন্দ বলো না।

বর্তমান সমন্বয়ক যুগ চলছে । এই রক্তপিপাসুদের তৃষ্ঞা না মেটা পর্যনত দেশের মানুষের শান্তি নেই। এই এক চোখা দানবেরা আল্লাহর আইণও বোঝে না। বা বুঝেও বিকৃত করে।
এই একচোখা দানবকে রুখতেই হবে। নতুবা কারো নিস্তার নেই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: রুখতেতো হবেই, কিন্তু তার অর্থ এই না যে রক্তচোষা বিএনপি-আওয়ামীলীগকে ফিরায় আনা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.