![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
১. একবার এক অপ্রকৃতস্থ মহিলা আমাদের নবীর (সঃ) কাছে এসে বলেন যে তিনি নবীর (সঃ) সাথে কিছুক্ষন কথা বলতে চান।
নবীজি (সঃ) তখন রাষ্ট্রপ্রধান। চারিদিকে শত্রু ওঁৎ পেতে থাকে। সমাজের ভিতরে আছে মুনাফেকের দল। নানান দুশ্চিন্তায়, ভাবনায় তাঁর হাতে তখন এক মুহূর্ত সময় পাওয়াটাও কঠিন। কেন তিনি এক পাগলের প্রলাপ শুনে সময় নষ্ট করবেন?
কিন্তু তিনি তাঁর স্বভাব সুলভ অতি বিনয়ের সঙ্গে বলেন, "আমার মা! বলো তুমি কি বলতে চাও।"
মহিলা প্রলাপ বকলেন। নবীজি (সঃ) হাসিমুখে অতি গুরুত্বের সঙ্গে সেই প্রলাপ শুনলেন। তবু দুর্ব্যবহার করলেন না।
আরেকটা ঘটনা আমরা সবাই জানি।
মসজিদে নব্বই ঝাড়ু দিতেন এক মহিলা। একদিন নবী (সঃ) দেখেন সেই মহিলা নেই। তিনি খোঁজ নিলে জানতে পারেন মহিলা মারা গেছেন এবং তাঁকে জানাজা পড়িয়ে দাফনও করা হয়ে গেছে।
নবীজি (সঃ) প্রচন্ড মর্মাহত হয়ে বললেন, কেন তাঁকে জানানো হলো না। তিনি তাহলে অবশ্যই জানাজায় শরিক হতেন।
তিনি তখনই সেই মহিলার কবর জিয়ারতে ছুটলেন। দোয়া করলেন তাঁর জন্য।
এমন অসংখ্য ঘটনার বর্ণনা আমরা পাই। আমরা পাই কিভাবে মসজিদে নববীতে মহিলারা ভিড় করতেন রাসূলুল্লাহর (সঃ) কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার সমাধান শোনার জন্য।
আর বাস্তবে দেখি বাংলাদেশের এক মাওলানা, উনার ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত মহিলাদের লাত্থি দিয়ে খেদাতে বলছে। মহিলারা নাকি উনার মাহফিলের পবিত্রতা নষ্ট করে ফেলেছে। হুজুরের মাহফিল রাসূলুল্লাহর (সঃ) মসজিদের চেয়েও পবিত্র।
সমস্যা হচ্ছে, উপস্থিত জনতা "ঠিক ঠিক" বলে এই মোল্লার কথাকে স্বীকৃতি প্রদান করলো। কিছুদিন আগেই একটা ভিডিওতে দেখেছিলাম চলন্ত ট্রেনে উঠতে চাওয়া এক মহিলাকে লাথি দিয়ে ওর স্বামী ফেলে দিয়েছিল। মহিলা ছিল ওর প্রথম স্ত্রী, এখন দ্বিতীয় বিয়ে করেছে, এই মহিলার আর কোন মূল্য নেই।
কিছুতো বলার নেই।
এদের হাতেই লোকে মাইক তুলে দেয়। এদের বয়ান শুনে। এরাতো এমন মুসলমানই হবে।
২. আরেকটা ভিডিওতে দেখলাম, মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে যে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার্থে শহরের সব হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে। হোটেল মালিকরা এই ঘোষণা দেইনি, দিয়েছে কিছু ছোটলোকের জাত। যাদের সংসার হোটেলের আয়ে চলে, যাদের উপর রোজা ফরজ না, ওদের কি হবে ইত্যাদি ব্যাপারে কোন আলাপ নাই। গালে দাড়ি, শরীরে পাঞ্জাবি, মাথায় টুপি - ব্যস এই গরুরা নিজেদের মুসলিম ভেবে বসে আছে। একটা মুসলিমের মাথায় যে মগজ থাকতে হয়, এবং সেই মগজের ব্যবহার করতে হয়, সেটা বেমালুম ভুলে গেছে।
এই অসভ্য ইতরগুলির কারনে আমাদের মুসলিমদের যে বদনামটা হয়, সেটা হাজারটা নাস্তিক/অমুসলিম মিলেও ঘটাতে পারেনা।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৩২
অপলক বলেছেন: ঐ পিচ্চি হুজুর এরকমই ঘাড় তেড়া। অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী বলে কথা। আমি তার চ্যানেল ব্লগ মেরে রাখছি। আমার ছোট্ট জীবনে আবালদের কথা বর্তা শোনার টাইম নাই। তারপরেও রিল থেকে দেখেছি। আটো চলে আসছিল।
যে মহিলাদের ওপর চেতছিল পিচ্চি হুজুর, তারা বোরকা পরে যথেষ্ট পর্দানশীল হয়ে গিয়েছিল। জ্ঞান কম হলেও পিচ্চি হুজুরের ঠ্যাং লম্বা। আর পাকস্থলির সাইজ বড়। যে হারে খাবার গেলে, দেখে মাথাই নষ্ট।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
সহমত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৯
সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত । অনেকের কাছে উসমান (রা)ও সহীহ মুসলিম ছিলেন না, কেননা দুদিন হলো ইরাকের নব্য মুসলমানেরা তখন রাসূলুল্লাহ (স) এর শুরুর দিককার সাহাবাদের থেকে বেশি বুঝে। অনেকে ইসলামী আইন বুঝে, কিন্তু স্পিরিট বোঝে না। খুবই বিপজ্জনক। আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার প্রসার ঘটানোর তাওফীক দান করুন।