![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
অনেক আগে ছোটবেলায় আমার মনে আছে, মাঝে মাঝে মাঝরাতে আমার বাবা এসে আমাদের তিন ভাইবোনের কপালে চুমু খেতেন। উনার মোচের খোঁচায় আমাদের ঘুম ভাঙতো।
ফজরের নামাজ শেষে আমরা যে তসবিহ পড়ি, আব্বুর রুটিন ছিল সেই জিকির/তসবিহ পড়া শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠ করে আমাদের তিনজনের মুখে ফুঁ দিয়ে চুমু খাওয়া, এবং এতেই আমাদের ঘুম ভাঙতো। আমরা স্কুলের জন্য রেডি হতাম।
আমরা কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে উঠার পরেও আব্বুর এই অভ্যাস যায়নি। ঢাকা থেকে আমি যখন সিলেট যেতাম, বা আব্বু ঢাকায় আসতো, এমনকি আমেরিকাতেও আমার আব্বু আমাদের জড়িয়ে ধরে চুমু খেতেন যেন আমরা এখনও বাচ্চা রয়ে গেছি।
বাচ্চারা কি কখনও বাবা মায়ের কাছে বড় হয়?
অভ্যাসটা আমারও আছে। অফিস থেকে বাসায় ফিরলে প্রথম কাজ যেটা করি তা হচ্ছে আমার দুই ছেলেকে কচলে ধরি। ওদের স্কুলেও একই কাজ করি।
আপনারা প্রায়ই দেখবেন আমি আমার বাচ্চাদের ঘুমন্ত ছবি শেয়ার করি। আমিও মাঝরাতে ওদের রুমে যাই। বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি। কত দ্রুত ছেলেগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে! কতদিন ওদেরকে কাছে পাব? যত পারি আদর করে নেই!
আমার বৌয়ের সাথে ওর বাবা মায়ের সম্পর্কও বন্ধুর মতন। দুনিয়ার এমন কোন কথা নাই যা সে নিজের মায়ের সাথে শেয়ার করেনা। আমি চাই আমার ছেলেদের সাথেও আমার সম্পর্ক তেমন হোক। ওরা যদি ওদের বন্ধুদের উপর আমার চেয়ে বেশি ভরসা করে, তাহলে খুব বড় একটা সুযোগ আছে ওরা বিপথে যাবে। আমি কি ভুল বলেছি?
সেদিন রিলসে দেখি আমাদের দেশের মডেল লেজেন্ড মৌ ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। প্রশ্নকর্তা তাঁকে তাঁর ছেলের সাথে প্রকাশ হওয়া একটা ছবি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, উত্তর দিতে গিয়ে মৌয়ের গলা ধরে এলো।
মৌ তাঁর ছেলের সাথে ছবি প্রকাশ করেছিলেন। ছবিতে ছেলে মায়ের গালে চুমু দিচ্ছে। সুন্দর একটি ছবি। বিদেশে এমন ছবি দেখলে সবাই পজিটিভলি হিংসা করতো, মাতাপুত্রের এমন মধুর সম্পর্ক!
কিন্তু আমাদের বাঙ্গালদের কাহিনী এত সহজ সরল হলেতো কথাই ছিল না। বিশ্রী, কুরুচিশীল, অশ্লীল, পার্ভার্টেড কমেন্টে পোস্ট ভরে গেল।
কমেন্টগুলো পড়ে ছেলেটা এতটাই ট্রমাটাইজড হয়েছিল যে সে বাথরুম থেকেই বেরুচ্ছিল না।
ওর মাকে নিয়ে কমেন্ট করা হয়েছে। বুঝতে পারছেন?
কতটা অসভ্য, কতটা নির্বোধ, কতটা বিবেকহীন অশালীন মানুষ হতে পারে!
এরা কতটা সেক্সুয়ালি পার্ভার্টেড আর হর্নি হলে সবকিছুতেই সেক্সের সন্ধান পায় আল্লাহ মালুম! সকাল বিকাল সন্ধ্যায় "কামবৃক্ষের রসালো শেকড়" বা বাংলায় ডবল ডোজের ভায়াগ্রা না খেলে এমন হর্নি হবারতো কথা নয়। দিনরাত শুধু সেক্স সেক্স আর সেক্স! সবকিছুতেই সেক্স!
এরা কারা? এদের নিজেদের সন্তানদের সাথে সহজ সুন্দর সম্পর্ক নাই সেটা ওদের দুর্ভাগ্য। অন্যের ব্যাপারে এদের এত পেরেশানি কেন? এরা কেন বেঁচে থাকে? এদের জীবনের লক্ষ্য কি শুধু এটাই যে অন্য মানুষকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কমেন্ট করে বিকৃত সুখ লাভ?
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২১
মাথা পাগলা বলেছেন: @আহমেদ জী এস
কথাটা এক পাক্ষিক হয়ে গেল। দেশের মানুষ এখন দুইবেলা ভাত খেতে পারে, টাকা না থাকলে ফেবু চালায় কিভাবে? ধনী সমাজেও যৌন অসংযম, পর্ন আসক্তি বা বিকৃতি দেখা যায়। তাই এটাকে কেবল দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করা ভুল হবে।
যৌন মনোভাব শিক্ষা, সংস্কৃতি, পারিবারিক পরিবেশ, মিডিয়া ও বিনোদনে বিকৃত উপস্থাপন আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ফল।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: @ মাথা পাগলা
আপনি দারিদ্রতার ছবিটি শত বছর পিছিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকেই অপুষ্ট মগজের শুরু। বিজ্ঞান বলে, দারিদ্রতাই মস্তিস্কের স্বাভাবিক গঠনে বাঁধা দেয়। দরিদ্র পূর্বপুরুষের সেই অপুষ্ট মগজের অবিবেচক, অসংবেদনশীল, অসংযমী, হিংস্র, উন্মত্ত চিন্তা চেতণা প্রজন্মের পর প্রজন্ম হয়ে বর্তমান প্রজন্মেও প্রবাহিত । (বিস্তারিত হয়তো কোনও পোস্টে লিখতে পারি।) বর্তমানের ধনীরাও কিন্তু সেই যুগ যুগ পুরোনো দারিদ্রতারই উত্তরসুরী। এদের পকেটে পয়সা থাকলেও মগজ কিন্তু দরিদ্রই।
দেশের মানুষ দুইবেলা ভাত খেতে পারে, টাকা আছে বলেই ফেবু চালায় । হতে পারে। কিন্তু উত্তারাধিকার সূত্রে যে দরিদ্র মগজ তারা পেয়েছে তা থেকে নিস্কৃতি মিলেছে কি? মেলেনি বলেই এই পোস্টের মতোই হাযারো পোস্ট দেখা যায়।
আশা করি, এখন আমার আগের মন্তব্যটিকে ঠিক একপেশে বলার সুযোগ রইলোনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মঞ্জুর চৌধুরী,
শত শত বছর ধরে দারিদ্রতা আর অপুষ্টির কারনে জীবণের শুরু থেকেই এই জাতির মস্তিষ্ক অপুষ্ট হয়েই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে গড়িয়েছে। জন্ম নিয়েছে অপুষ্ট মস্তিস্ক নিয়ে একটি আত্মনিয়ন্ত্রহীন-অস্থির-অসংযমী ব্যক্তি-সমাজ- জনগোষ্ঠী!
যেহেতু দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীই গরীব বা দরিদ্র সেহেতু অবিবেচক, অসংবেদনশীল, অসংযমী, হিংস্র, উন্মত্ত চরিত্রের একটি প্রজন্ম যাদের আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগ ক্ষমতা শোচনীয়ভাবে দূর্বল তাদেরকেই আমরা দেখি।
একদঙ্গল অপুষ্টিতে ভোগা, অনুর্বর মস্তিষ্কওয়ালা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট হ'তে সুচিন্তক, যৌক্তিক, আত্মনিয়ন্ত্রক কোনও কিছু আশা করার জায়গাটা আমাদের কোথায়ও থাকার কথা কি?