নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরা কতটা সেক্সুয়ালি পার্ভার্টেড আর হর্নি হলে সবকিছুতেই সেক্সের সন্ধান পায়!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১২

অনেক আগে ছোটবেলায় আমার মনে আছে, মাঝে মাঝে মাঝরাতে আমার বাবা এসে আমাদের তিন ভাইবোনের কপালে চুমু খেতেন। উনার মোচের খোঁচায় আমাদের ঘুম ভাঙতো।
ফজরের নামাজ শেষে আমরা যে তসবিহ পড়ি, আব্বুর রুটিন ছিল সেই জিকির/তসবিহ পড়া শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠ করে আমাদের তিনজনের মুখে ফুঁ দিয়ে চুমু খাওয়া, এবং এতেই আমাদের ঘুম ভাঙতো। আমরা স্কুলের জন্য রেডি হতাম।
আমরা কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে উঠার পরেও আব্বুর এই অভ্যাস যায়নি। ঢাকা থেকে আমি যখন সিলেট যেতাম, বা আব্বু ঢাকায় আসতো, এমনকি আমেরিকাতেও আমার আব্বু আমাদের জড়িয়ে ধরে চুমু খেতেন যেন আমরা এখনও বাচ্চা রয়ে গেছি।
বাচ্চারা কি কখনও বাবা মায়ের কাছে বড় হয়?
অভ্যাসটা আমারও আছে। অফিস থেকে বাসায় ফিরলে প্রথম কাজ যেটা করি তা হচ্ছে আমার দুই ছেলেকে কচলে ধরি। ওদের স্কুলেও একই কাজ করি।
আপনারা প্রায়ই দেখবেন আমি আমার বাচ্চাদের ঘুমন্ত ছবি শেয়ার করি। আমিও মাঝরাতে ওদের রুমে যাই। বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি। কত দ্রুত ছেলেগুলো বড় হয়ে যাচ্ছে! কতদিন ওদেরকে কাছে পাব? যত পারি আদর করে নেই!

আমার বৌয়ের সাথে ওর বাবা মায়ের সম্পর্কও বন্ধুর মতন। দুনিয়ার এমন কোন কথা নাই যা সে নিজের মায়ের সাথে শেয়ার করেনা। আমি চাই আমার ছেলেদের সাথেও আমার সম্পর্ক তেমন হোক। ওরা যদি ওদের বন্ধুদের উপর আমার চেয়ে বেশি ভরসা করে, তাহলে খুব বড় একটা সুযোগ আছে ওরা বিপথে যাবে। আমি কি ভুল বলেছি?

সেদিন রিলসে দেখি আমাদের দেশের মডেল লেজেন্ড মৌ ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। প্রশ্নকর্তা তাঁকে তাঁর ছেলের সাথে প্রকাশ হওয়া একটা ছবি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, উত্তর দিতে গিয়ে মৌয়ের গলা ধরে এলো।

মৌ তাঁর ছেলের সাথে ছবি প্রকাশ করেছিলেন। ছবিতে ছেলে মায়ের গালে চুমু দিচ্ছে। সুন্দর একটি ছবি। বিদেশে এমন ছবি দেখলে সবাই পজিটিভলি হিংসা করতো, মাতাপুত্রের এমন মধুর সম্পর্ক!
কিন্তু আমাদের বাঙ্গালদের কাহিনী এত সহজ সরল হলেতো কথাই ছিল না। বিশ্রী, কুরুচিশীল, অশ্লীল, পার্ভার্টেড কমেন্টে পোস্ট ভরে গেল।
কমেন্টগুলো পড়ে ছেলেটা এতটাই ট্রমাটাইজড হয়েছিল যে সে বাথরুম থেকেই বেরুচ্ছিল না।
ওর মাকে নিয়ে কমেন্ট করা হয়েছে। বুঝতে পারছেন?
কতটা অসভ্য, কতটা নির্বোধ, কতটা বিবেকহীন অশালীন মানুষ হতে পারে!
এরা কতটা সেক্সুয়ালি পার্ভার্টেড আর হর্নি হলে সবকিছুতেই সেক্সের সন্ধান পায় আল্লাহ মালুম! সকাল বিকাল সন্ধ্যায় "কামবৃক্ষের রসালো শেকড়" বা বাংলায় ডবল ডোজের ভায়াগ্রা না খেলে এমন হর্নি হবারতো কথা নয়। দিনরাত শুধু সেক্স সেক্স আর সেক্স! সবকিছুতেই সেক্স!
এরা কারা? এদের নিজেদের সন্তানদের সাথে সহজ সুন্দর সম্পর্ক নাই সেটা ওদের দুর্ভাগ্য। অন্যের ব্যাপারে এদের এত পেরেশানি কেন? এরা কেন বেঁচে থাকে? এদের জীবনের লক্ষ্য কি শুধু এটাই যে অন্য মানুষকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কমেন্ট করে বিকৃত সুখ লাভ?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মঞ্জুর চৌধুরী,



শত শত বছর ধরে দারিদ্রতা আর অপুষ্টির কারনে জীবণের শুরু থেকেই এই জাতির মস্তিষ্ক অপুষ্ট হয়েই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে গড়িয়েছে। জন্ম নিয়েছে অপুষ্ট মস্তিস্ক নিয়ে একটি আত্মনিয়ন্ত্রহীন-অস্থির-অসংযমী ব্যক্তি-সমাজ- জনগোষ্ঠী!

যেহেতু দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীই গরীব বা দরিদ্র সেহেতু অবিবেচক, অসংবেদনশীল, অসংযমী, হিংস্র, উন্মত্ত চরিত্রের একটি প্রজন্ম যাদের আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগ ক্ষমতা শোচনীয়ভাবে দূর্বল তাদেরকেই আমরা দেখি।

একদঙ্গল অপুষ্টিতে ভোগা, অনুর্বর মস্তিষ্কওয়ালা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট হ'তে সুচিন্তক, যৌক্তিক, আত্মনিয়ন্ত্রক কোনও কিছু আশা করার জায়গাটা আমাদের কোথায়ও থাকার কথা কি?

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২১

মাথা পাগলা বলেছেন: @আহমেদ জী এস
কথাটা এক পাক্ষিক হয়ে গেল। দেশের মানুষ এখন দুইবেলা ভাত খেতে পারে, টাকা না থাকলে ফেবু চালায় কিভাবে? ধনী সমাজেও যৌন অসংযম, পর্ন আসক্তি বা বিকৃতি দেখা যায়। তাই এটাকে কেবল দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত করা ভুল হবে।

যৌন মনোভাব শিক্ষা, সংস্কৃতি, পারিবারিক পরিবেশ, মিডিয়া ও বিনোদনে বিকৃত উপস্থাপন আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ফল।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: @ মাথা পাগলা



আপনি দারিদ্রতার ছবিটি শত বছর পিছিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকেই অপুষ্ট মগজের শুরু। বিজ্ঞান বলে, দারিদ্রতাই মস্তিস্কের স্বাভাবিক গঠনে বাঁধা দেয়। দরিদ্র পূর্বপুরুষের সেই অপুষ্ট মগজের অবিবেচক, অসংবেদনশীল, অসংযমী, হিংস্র, উন্মত্ত চিন্তা চেতণা প্রজন্মের পর প্রজন্ম হয়ে বর্তমান প্রজন্মেও প্রবাহিত । (বিস্তারিত হয়তো কোনও পোস্টে লিখতে পারি।) বর্তমানের ধনীরাও কিন্তু সেই যুগ যুগ পুরোনো দারিদ্রতারই উত্তরসুরী। এদের পকেটে পয়সা থাকলেও মগজ কিন্তু দরিদ্রই।
দেশের মানুষ দুইবেলা ভাত খেতে পারে, টাকা আছে বলেই ফেবু চালায় । হতে পারে। কিন্তু উত্তারাধিকার সূত্রে যে দরিদ্র মগজ তারা পেয়েছে তা থেকে নিস্কৃতি মিলেছে কি? মেলেনি বলেই এই পোস্টের মতোই হাযারো পোস্ট দেখা যায়।

আশা করি, এখন আমার আগের মন্তব্যটিকে ঠিক একপেশে বলার সুযোগ রইলোনা।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২২

ক্লোন রাফা বলেছেন: অনেক পুর্বে একটা কথা কোন একজন সেলিব্রেটি। কিংবা কোনো শিক্ষিত সচেতন নাগরিক বলেছিলেন। ঠিক মনে নেই। বাংলাদেশে রাস্তায় কিংবা মার্কেটে স্ত্রী কিংবা সন্তানদের ধমক দিয়ে কথা বলা। এমনকি প্রহার করা স্বাভাবিক হলেও। স্ত্রী কিংবা ভালোবাসার মানুষ’কে চুম্বন কিংবা আদর করা অবশ্যই অপরাধ হিসেবে দেখে সবাই ‼️

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৪

অগ্নিবাবা বলেছেন: হাদিস দিমু??

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০৯

মাথা পাগলা বলেছেন: @আহমেদ জী এস

দারিদ্র্যের প্রভাব মানতে হবে, কিন্তু মানুষ শুধু উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মগজে আটকে থাকে না। শিক্ষা, সুযোগ আর সংস্কৃতি মানুষকে বদলায়। আজকের বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, শিল্পীরা যদি কেবল অপুষ্ট মগজের উত্তরসুরী হতো, তাহলে এরা উঠে আসত কিভাবে? আপনি ছোট বাচ্চাকে যেভাবে শিক্ষা দেবেন সে, সেভাবেই বড় হবে।

মানুষ কেবল উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া দারিদ্র্য মগজে বন্দি নয় - আশেপাশের পরিবেশ, শিক্ষা আর সুযোগই নতুন প্রজন্মকে বদলায়।

এই বইটা পড়ে দেখতে পারেন
Rewire: Change Your Brain to Break Bad Habits, Overcome Addictions, Conquer Self-Destructive Behavior
Book by Richard O'Connor

আপনার অপুষ্ট মগজের কথা শুনে ভেবে দেখলাম বাংলাদেশে কাজিনদের বিয়ে প্রথা, পর্যালোচনা করলে আজ ৪০~৫০ বছর বাদে মোটামোটি সবাই ভাই-বোন এবং দূর্বল জিন নিয়ে আছে যদি কাজিনদের মধ্যে বিয়ে হলে বৈজ্ঞানিক প্রবলেমগুলো সত্য হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু অপুষ্ট মগজ দারিদ্র্যতার জন্য হয়, মানতে পারলাম না বরং পরিবেশ, পরিবারের শিক্ষা থেকে হয়। ভার্সিটিতে উঠে, মাদ্রাসার অনেক ছেলেপুলের চিন্তা-ভাবনার চেঞ্জ হবার উদাহরন আছে শুধুমাত্র নতুন পরিবেশে আসার জন্য।

আপনি সময় পেলে বিস্তারিত লিখুন, ভালো হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসব টপিক নিয়ে বেশি বেশি লেখালেখি দরকার।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০১

বিজন রয় বলেছেন: আপনি আমেরিকায় থাকেন কেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৪০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: থাকতে মজা লাগে, তাই থাকি। :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৪০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: থাকতে মজা লাগে, তাই থাকি। :)

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: আপনি ভালভাবে উত্তর দেন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.