![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আগে তাবুক অভিযানের ঘটনা বলি। তারপরে মূল বিষয়ে আসছি।
নবী (সঃ) হঠাৎ করেই তাবুক অভিযানের ঘোষণা দিলেন। সাহাবীরা চমকে উঠলেন। যে মৌসুমে এই ঘোষণা এসেছে, সেটা ফসল কাটার মৌসুম। এখন অভিযানে যাওয়া মানে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় পড়া।
তার সাথে যোগ করেন তাবুক অভিযানে শক্তিশালী রোমান বাহিনীর মুখোমুখি হতে হবে। তখনকার বিশ্বের পরাশক্তি।
তবুও রাসূলাল্লাহ (সঃ) যেহেতু বলেছেন, যেতেই হবে। সাহাবীরা যা কিছু আছে তা নিয়েই তৈরী হয়ে গেলেন।
কিছু সাহাবী টালবাহানা শুরু করলেন। একটু পরে যাব, আরেকটু সময় হাতে আছে, এই কাজ শেষেই রওনা হবো ইত্যাদি করতে করতে অভিযান মিস করেন। তারপরে অনুশোচনা, কান্নাকাটি, অনেক লম্বা কাহিনী।
আর মুনাফেকরা? ওদের কথাবার্তা শুরু হয় এইভাবে "আমি চলে গেলে আমার বাড়িতে লোকজন একা হয়ে যাবে।"
"রোমান মেয়েরা অনেক সেক্সি। ওদের দেখলেই আমার নিয়্যত খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমার ইয়াথরিবে (মুনাফেকরা মদিনাকে "ইয়াথরিব" বলতো) থাকাই ভাল।"
এখন বর্তমানে আসা যাক।
বাংলাদেশে কিছু অতি জনপ্রিয় হুজুর আছে।
এরা তরুণপ্রজন্মকে জিহাদি জোশে উদ্বুদ্ধ করে। জালিমদের (মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইজরায়েল) পতন চায়, দেশে খিলাফা প্রতিষ্ঠা চায়, আল্লাহর রাস্তায় তরুণ প্রজন্মকে শহীদ হতে বলে। ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের জন্য কষ্টে বুক ফাটে।
হুজুরদের বয়ান শুনলে মনে হবে এখনই অস্ত্র হাতে জিহাদে নেমে পড়ি। ওয়াজ মাহফিল গরম করে তামা তামা করে ফেলে।
হুজুরকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় উনি নিজে কেন জিহাদে যান না, তখন হিন্দি চুল এবং সেটার সাথে ছন্দে মিলে একটা শব্দ টাইপ বাহানা দিতে শুরু করে। শুনলে তখন তাবুক অভিযানের ঐ মুনাফেকদের ঘটনা মনে পড়ে।
কথা হচ্ছে, কাজের বেলায় এইসব হুজুরদের দেখা পাওয়া যায়না।
এই যে ফ্লোটিলা গেল, বিশ্বের ৪৪টি দেশ থেকে জাহাজ ভরে এত এত মানবতাকর্মী গেল, এইসব হুজুরদের বা ওদের মুরিদদের একটাকেও দেখলাম না। এদের দৌড় কোন বেডি ওড়না কোথায় পড়েছে, কার দাড়ি আছে কি নাই, থাকলেও সেটা কতটা সুন্নতি কতটা বেদাতি, কোন ব্যাটার প্যান্ট টাখনুর নিচে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আচ্ছা, ঠিক আছে। সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয়না। শুধু এইসব ধান্দাবাজগুলি যখন জিহাদের ডাক দিবে, আর বলবে "জালেমের পতন না হওয়া পর্যন্ত, খিলাফা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের জিহাদ চলতেই থাকবে। প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করে ফেলবো, তবু আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে ছাড়বো ইন শা আল্লাহ" - তখন শুধু একটু খেয়াল রাখবেন। আপনি হয়তো এদের কথায় ঘর পরিবার ইত্যাদি ছেড়ে জিহাদে নেমে শহীদ হয়ে যাবেন, এদিকে আপনার নেতা বিশ্রাম নিতে কোন রিজোর্টে যাবেন।
তবে আরেক লেভেলের ইতর আছে, যেগুলি নিজেরাতো যায়ই নাই, উল্টা যে গেছে, ওকে সমকামীদের এজেন্ট, ফ্রী মিক্সিংয়ের দূত, নারীবাদী, নাস্তিক ইত্যাদি ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে ছোট করার চেষ্টা করছে। এগুলির মুরিদেরও অভাব নাই। "ঠিক বলেছেন ভাই" "একদম মনের কথা বলেছেন" ইত্যাদি ইত্যাদি কমেন্টে ঐসব বিষ্ঠাপ্রসবকারী পোস্ট ভরপুর।
আমি বুঝিনা, এরা কি আসলেই কোন মানুষের ঘরে জন্মেছে? গরুও যদি কথা বলতে পারতো, তাহলে গরুর বুদ্ধিশুদ্ধিও এদের চেয়ে বেশি হতো আমি নিশ্চিত।
এইযে এতগুলি মানুষ গেল, যাদের বেশিরভাগই অমুসলিম, আমাদেরই মুসলিম ভাইবোনদের সাহায্যার্থে, আমাদেরতো শরমেই মরে যাওয়ার কথা! আমরা কি করলাম ওদের জন্য? কোথায় আমরা সেই গ্লানি ঢাকতে উল্টো এদের পাশে এসে দাঁড়াবো, তা না, এদেরকেই ছোট করার চেষ্টা করছি? এদের ঈমান আমলের হিসাব নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা করছি? এই ইতরগুলি নিজেদের "মুসলিম" দাবি করে কিভাবে? আমরা কি আমাদের রবের কাছে আমাদের অপরাধের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি? আমাদের মুনাফেকির জন্য মাফ চাইছি? কেয়ামতের দিন আমাদের খবর আছে। সত্যি বলছি, আমাদের খবর আছে।
"ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে মুনাফেক বানায়ো না! জীবনে যদি আমাদের করা একটা পুন্যও তোমার পছন্দ হয়ে থাকে, সেটার দোহাই, তুমি আমাদেরকে মুনাফেকদের দলভুক্ত করো না!"
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধর্মের নাম নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের আসল চেহারা খুব সহজেই ধরা পড়ে। জামাত ইসলামকে ঢাল বানিয়ে ভণ্ডামি, ধোঁকাবাজি আর মিথ্যাচারের বাজার সাজিয়েছে বহুদিন ধরেই। মুখে ধর্মের বুলি, কিন্তু কাজে অন্যায়-অবিচার, ক্ষমতার লোভ আর রক্তের দাগ- এটাই তাদের প্রকৃত পরিচয়। ধর্মকে ব্যবহার করে জনগণকে প্রতারিত করার চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে? মানুষের ঈমান নিয়ে যারা ব্যবসা করে, তারা শুধু সমাজকেই নয়, ইসলামকেও কলঙ্কিত করে। কাজেই এখনো সময় আছে- ইসলামের নামে জামাত শিবিরের রাজনীতি প্রতিহত করার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনারা নবীর নামে প্রতিদিন কিছু মিথ্যা যোগ করেন।