নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবু ত্বহা আদনানের বৌয়ের ইন্টারভিউ শুনলাম।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৪:৫২

আবু ত্বহা আদনানের বৌয়ের ইন্টারভিউ শুনলাম।

শুরুতে ভদ্রমহিলা জানালেন এই অমানুষ (ইতরটার নাম নিতেও এখন রুচিতে বাঁধছে) একসময়ে ফকির মিসকিন ছিল, দ্বিতীয় বিয়ে করেছে পয়সার লোভে। এই সমস্ত মানুষের মন মানসিকতা ছোট হয়ে থাকে। যেটার প্রমান পেয়েছি ইন্টারভিউর পরের পয়েন্টগুলোতে।
মহিলা নিজের প্রথম বিয়ে ও স্বামীর কথাও বলেছেন। ২০১৬-১৭ সালেই ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। আমার কথা হচ্ছে এই মোল্লার মুরিদরা কোন পর্যায়ের ইতর যারা এই মহিলাকে বদনাম করতে বানোয়াট ইতিহাস তৈরী করে দাবি করে বেড়াচ্ছে মহিলা বিবাহিতা অবস্থায় মোল্লার সাথে পালিয়ে এসেছিল। এতে যে ওদের পীরেরও বদনাম হচ্ছে, এই বোধ শক্তিটাই এই আহাম্মকদের নেই।
মহিলা একটি ব্যপার ক্লিয়ার করেছে যে ভন্ড মোল্লাকে ডিজিএফআই তুলে নিয়েছিল। এক হুমকিতেই মোল্লা তখন থেকে সিধা হয়ে গেছে। অথচ জিহাদ জিহাদ করে কত জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে বেড়াতো! এতেই ওর ভণ্ডামি প্রকাশ পায়। ও গর্তে থাকা ইঁদুর, হুমকি ধামকি দিবে ঠিকই, কিন্তু কাজের সময়ে গর্তেই গিয়ে লুকাবে।
সে নিয়মিতই বৌ পেটাতো। পেটানো মানে একেবারে চড় থাপ্পড়, লাত্থি ঘুষি সব। বিছানায় ফেলে, মেঝেতে ফেলে, একদম জানোয়ারের মতন। শরীরে দাগ ফেলে দিত। এমনকি বটি হাতে জবাইয়ের হুমকিও দিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তারের সামনে নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় না দিয়ে বলেছিল "কাজিন।" একবার মহিলাকে গভীর রাতে অচেনা শহরের পথে একা ফেলে বাইক নিয়ে চলে গিয়েছিল।
বৌ ভাল রান্না পারেনা, তাই ঘরে মেজাজ দেখায়। কথায় কথায় তেজ, কথায় কথায় মারধর। ঐ যে ছোটলোকি মানসিকতার কথা শুরুতে বলেছিলাম? এইটা উদাহরণ।
আরও অনেককিছুই হয়তো আছে, পুরাটা শেষ করতে পারিনাই।

মুরিদরা মহিলার কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। মহিলা কসম খাচ্ছে। তবে তিনি অতি সহজেই সেটা প্রমান করতে পারেন। বদটার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করে আদালতে প্রমান করে দিলেই হয়। মহিলা পুলিশ, মহিলা ডাক্তার তাঁর শরীরের আঘাত ও ক্ষত চিহ্নগুলো পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিলেই মোল্লার ঠিকানা জেলখানায় গিয়ে স্থায়ী হবে।

মুরিদরা চাইছে ভদ্রমহিলা মোল্লার সংসার টিকিয়ে রাখুক। এক ছাগলতো দাবি করেছে, মহিলার উচিত নিজের বুকে পাথর চাপা দিয়ে ধৈর্য্য ধরে মোল্লাকে তৃতীয় বিয়ে করার অনুমতি দিয়ে চক্ষু শীতলের ব্যবস্থা করতে।
সবার আগে সেই ছাগলটাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে চিকন বেত থেরাপি দেয়া উচিত। এমন ইতরগুলির জন্য আমাদের মুসলিমদের বদনাম হয়। এইসব মূর্খ সেক্স এডিক্ট জানোয়ারদের কারনে যুব সমাজ বিপথে যায়, এবং বিবাহিত সংসারে আগুন লাগে।

এখন বলি ভদ্রমহিলার সবচেয়ে বড় দোষটা কি ছিল।

যেদিন সে প্রথম হাত তুলেছিল, সেই দিনই ওর উচিত ছিল বঁটি হাতে রক্তচক্ষু পাকিয়ে বলা যে "খবরদার! আর এক পা সামনে এগুলে কেটে ফালাফালা করে দিব!"
এইসমস্ত স্যাডিস্ট সাইকোপ্যাথরা ভীতু হয়ে থাকে। এক ধমকেই ওর অন্ডকোষ শুকিয়ে কিশমিশ হয়ে যাওয়ার কথা। ঐ যে ডিজিএফআইয়ের হুমকির ক্ষেত্রে দেখেননি? এক্ষেত্রেও তাই হতো।
আর তারপরেও যদি গায়ে হাত তুলতো, তাহলে পুলিশ, RAB, আর্মি, আদালত ইত্যাদি আছে কি কারনে? সকালে গিয়ে থানায় জিডি করলেই কাহিনী খতম।
ভদ্রমহিলা একটি দারুন কাজ করেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। এর ফলে গোটা দেশের নজরে এসেছে। নাহলে এইসব ক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা নিজেদের লিংকের অপব্যবহার করে আইন প্রশাসনকে প্রভাবিত করে। ভাইরাল হওয়ায় এখন না চাইলেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরেকটি ব্যাপারে মহিলার সাহসের প্রশংসা করতেই হয়। এই ইতরের লাখে লাখে ফলোয়ার আছে। মালিকের বিপক্ষে কিছু বললে এরা ঘেউ ঘেউ করে কামড়াতে আসবে জেনেও মহিলা দুঃসাহসিক কাজ করেছেন। এই সাহসের অর্ধেকও লোকটার নেই।

আমার নিজস্ব মতামত? মহিলার জন্য আমার জেনুইনলি কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ উনাকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিন। এই জীবনেই। জালিমের পতন ঘটুক।

আপনি মুসলিম রমণী? সেই সূত্রে আমি আপনাদের ভাই। তাই কিছু কথা বলবো, দয়া করে আমার কথা মন দিয়ে পড়েন।
আমার নিজের আপন বোনকেও আমি একই পরামর্শ দেই। আমার মেয়ে হলেও একই পরামর্শই দিতাম। এবং নিজের ছেলেদেরও এই ফিলোসফিতেই বড় করছি।
আপনার দায়িত্ব হচ্ছে এইসমস্ত জানোয়ারের বিরুদ্ধে "জিহাদ" করা। আপনার সাহায্যে আইন আছে, পুলিশ, আদালত, মিডিয়া ইত্যাদি সবাই আছে। শুরুতে হয়তো কিছু লোকে ঘেউ ঘেউ করবে, কিন্তু যত সময় যাবে, এবং আপনি সত্য বলে প্রমাণিত হতে থাকবেন, ততই আপনার পাশে লোকজন এসে জড়ো হতে থাকবে। আপনাকে সবসময়েই মনে রাখতে হবে, আল্লাহ আপনার পাশে আছেন, এবং আপনার জন্য সেটাই যথেষ্ট।
আপনি আজকে চুপ থাকলে একটা জালিম জুলুম করার সুযোগ পাবে। আজকে আপনাকে পেটাচ্ছে, কালকে আরেক বিয়ে করে অন্য মেয়েকে পিটাবে। আপনারা মুখ না খুললে সমাজ জানবেও না। সমাজ ভেবে নেয় মোল্লারাতো ৩-৪টা বিয়ে করেই। আপনার মতন বৌয়েরা মার খেয়ে মরে গেলেও সমাজ সন্দেহ করবে না। মুসলিম নারীর পর্দার লঙ্ঘন হবে, তাই আপনার লাশকে পোস্ট মর্টেম করতেও দিবে না। দেশে কত মেয়ে মারা যায়, আপনি মরলে কার কি যাবে আসবে?
এই যে মহিলাটি মুখ খুলেছে, বড্ড দেরি করে ফেলেছে না? আরও আগে খুললে এই লোকটা পুলিশের ধোলাই খেয়ে শুধরে যেত। না শুধরালেও কোন নারীর গায়ে হাত তোলার আগে দশবার চিন্তা করতো।
কিন্তু মহিলা চুপ ছিলেন বলেই সে ওয়াজে বলে বেড়াবার সাহস করে "আমার স্ত্রীকে আমি এসব করতে দিব না। ওর ক্ষমতা আছে করবে? করলে ওকে আমি তালাক দিয়ে রেখে দিব। শেষ। (ভক্ত-শ্রোতারা তখন চিৎকার করে বলে ওঠে "ঠিক!")" মোল্লা উৎসাহিত হয়ে কথা চালিয়ে যায়, "সোজা কথা। আমরা এভাবেই কথা বলি বাসায়। এক কথায় চলবা - এক কথায় উঠবা, এক কথায় বসবা। দ্বিতীয় কথা যেন বলতে না হয়।"
এর ওয়াজ শুনে এর মুরিদরা বাড়িতে গিয়ে বৌ পেটালে, পিটিয়ে মেরে ফেললে, অবাক হবেন? সবগুলো নারীর জন্য হলেও এমন জানোয়ারদের বিরুদ্ধে শুরুতেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

একই টপিকে বিশ্ববিখ্যাত আলেম মুফতি মেংক বলেন, "আমার বৌ যদি এখন ফোন করে আমাকে বলে বামে সরো, আমি সাথে সাথে বামে সরে যাব। যদি বামে জায়গা নাও থাকে, তবুও। শুধু ওর প্রতি ভালবাসার কারণেই এটি করবো। তো কি হবে? যদি এতে সে খুশি হয়, তাহলে তাই হোক। এ কারনে হয়তো লোকে আমাকে মুরগি (ভীতু) ডাকবে। ডাকুক। আমি পরোয়া করিনা। প্রয়োজনে আমি ওর জন্য মুরগির মতন "কুক্কুরুক্কু" বলে ডাকও দিব (উপস্থিত জনতা হেসে উঠে, কিন্তু মুফতি সিরিয়াস), যতক্ষন পর্যন্ত আমার স্ত্রী খুশি থাকে। মাশা আল্লাহ! হ্যা, এটি যদি তোমার সংসার টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন হয়, তাহলে এটাই করো।"

মুফতি মেংক বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একজন আলেম। উনার লেকচারগুলো শুনবেন। অসাধারণ। একটুও নেগেটিভিটি নেই। জীবনের ছোট বড় সব বিষয়েই তাঁর অত্যন্ত পজিটিভ চিন্তাভাবনা। একবার তিনি বলেছিলেন রান্নার সময়ে তাঁর স্ত্রী যখন রুটি পুড়িয়ে ফেলেন, তিনি তখন স্ত্রীর মন রক্ষার জন্য বলেন, "আমার পোড়া রুটিই ভাল লাগে।" এবং তিনি বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে ফেলেন।
কেন? কারন এই মহিলা ইচ্ছা করে রুটি পোড়ায়নি। এই মহিলা আপনার জন্য কষ্ট করে রান্না করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই মহিলা আপনার প্রতি আপনার রবের উপহার। এর কদর করতে শিখুন।
এখন বলেন, এই মুফতির লেকচার শুনে কেউ বাড়িতে গিয়ে বৌ পেটাবে?
শেষ করি আমার নবীর (সঃ) জীবনের ঘটনা দিয়ে। একবার একদল মহিলা এসে নবীজির (সঃ) কাছে বিচার দিলেন। তাঁদের স্বামীরা তাঁদের গায়ে হাত তোলেন। তখন তিনি সবাইকে ডেকে এনে বলে দিলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে নিজের পরিবারের প্রতি সর্বোত্তম আচরণ করে। আর আমি তোমাদের মধ্যে পরিবারের প্রতি সর্বোত্তম আচরণকারী।” (তিরমিদি শরীফের হাদীস (৩৮৯৫))

এখন দ্বীন শিখতে কাকে ফলো করবেন সেটা আপনাদের সিদ্ধান্ত। তবে কিভাবে ভন্ড চিনবেন সেই টেকনিক একটু শিখিয়ে দেই। Rule of thumb হচ্ছে, "অতি মিষ্টি মানেই ধরে নিবেন ডায়েবেটিস।"
মাত্রাতিরিক্ত কিছু দেখলেই সাবধান হয়ে যাবেন। যদি জেনুইন হয়, তাহলেতো সমস্যা নেই। আর ভন্ড হলে আপনি সাবধান ছিলেন বলেই আপনার ক্ষতি হবেনা।
দেশের মফস্বলে বেড়ে ওঠা জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করা কেউ যদি কথায় কথায় আরবি-ফার্সি শব্দ জুড়ে দেয়, আরবি উচ্চারনের মধ্যে "আইনের" অতিমাত্রায় প্রয়োগ করে, কথায় কথায় "ওয়াল্লাহি, যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ....." ইত্যাদি জাতীয় কাব্যিক বাক্য উচ্চারণ (খোদ আরবরাই এখন এইভাবে কসম খায়না, এটি সাহাবীদের যুগের বাক্য) ইত্যাদি বলাটাই ভণ্ডামির লক্ষণ। চেনা বামুনের যেমন পৈতে লাগেনা, তেমনই জেনুইন আলেমের এমন ভণ্ডামির প্রয়োজন হয়না। ইয়াসির কাদি, মুফতি মেংক, নোমান আলী খান, ওমর সুলাইমান, জাকির নায়েক, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, আহমাদুল্লাহ, সাইফুল্লাহ....উনাদের দেখেন, এই ভণ্ডামি দেখবেন না।
আর যদি আপনি একটু স্মার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে একটু পড়াশোনা করবেন। এবং দেখবেন যে লোক মিথ্যা বলে, মিথ্যা/জাল/বাতিল হাদিস রেফার করে, ভাইরাল হওয়ার ধান্দায় থাকে....তাহলে ধরেই নিবেন এ বাটপার।
আল্লাহ আমাদের সবার হেফাজত করুন।
আল্লাহ আমাদের সবার ভাল করুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৭:০৬

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: ত্বোহারে আমার সব সময়ই বেয়াদপ টাইপ মনে হইতো, কোথায় যেন এক্টা অহংকfর অহংকার ভাব।এখন ওর নাম শুনলে গালি আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.