| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মঞ্জুর চৌধুরী
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে এক মহিলা নিয়োগ পেয়েছেন।
মহিলা সুন্দরী, এবং শুধুমাত্র এই কারণেই এক ঝাঁক পার্ভার্ট ফেসবুককে পাবলিক টয়লেট বানিয়ে ফেলেছে।
ওদের কথা হচ্ছে মহিলা নাকি শুয়ে শুয়ে এই পোস্ট পেয়ে গেছে।
এই সমস্ত ইতর মানসিকতার লোকজন বহু দেখেছি। স্কুলে কোন মেয়ে ভাল রেজাল্ট করলে বলে বেড়ায় "ওর চেহারা সুন্দরতো, তাই স্যাররা ইচ্ছা করেই মার্ক্স্ বেশি দেয়।"
অফিসে এই মেয়েরা প্রমোশন পেলে বলে বেড়ায়, "বসের সাথে শুয়েছে বলেই প্রমোশন পেয়েছে।"
কিছু ভ্যালিড প্রশ্ন উঠতে পারে,
১. মহিলার কোয়ালিফিকেশন কী?
২. সে কি প্রফেশনাল লাইফে আগে কখনও সফল হয়েছিল?
৩. এই পদের জন্য যোগ্য? নাকি হিন্দি সিরিয়ালের কোন গৃহবধূর মতন "যে কিচেন সামলাতে পারে, সে কর্পোরেট দুনিয়াও সামলাতে পারে" যুক্তি দিয়ে অর্ধশিক্ষিতা কোন রমণী কোন এক্সপিরিয়েন্স ছাড়াই ডুবতে থাকা একটি কোম্পানিকে কয়েক সপ্তাহেই মাল্টিবিলিওন ডলার কোম্পানিতে পাল্টে দেয়ার মতন গঞ্জিকা সেবির ফ্যান্টাসি গেলায়?
জানতে পারলাম যে একাডেমিক্যালি ও প্রফেশনালি ভদ্রমহিলা বেশ কোয়ালিফাইড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ, এমবিএ অর্জন করে গ্রামীণ ফোন, এয়ারটেল, Oracle ইত্যাদিতে উচ্চপদে চাকরি করেছে। মহিলার ট্র্যাক রেকর্ড সেটাই বলে।
কিন্তু এতে কিছুই আসে যায় না। সবাই আটকে আছে সেই নারীর চেহারাতেই। যেন সুন্দরী মেয়েদের কোন কোয়ালিফিকেশন থাকতে নেই। পুরুষগুলি এমনসব কথাবার্তা বলছে, আমি চিন্তা করে পাইনা এরা কি জীবনেও স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেনি? ওদের কি কোন মহিলা টিচার/ম্যাডাম ছিলেন না? তাঁদের দিকে এরা কোন চোখে তাকাতো?
এরা কি জীবনেও কোন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করেনি? মহিলা সহকর্মীদের প্রতি এদের দৃষ্টিভঙ্গি কি এমনই লালসার? অফিসে এমন লোক থাকাটাতো শুধু নারী কর্মীদের জন্যই নয়, গোটা প্রতিষ্ঠানের জন্যই খুব ভয়ংকর! আমেরিকায় বড় বড় কোম্পানিগুলোতে কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষনের জন্য কর্মী নিয়োগ থাকে। আপনার কোন কুমন্তব্য আপনার চাকরি হারানোর জন্য যথেষ্ট। এদের মতন ইতরশ্রেণীর প্রাণীরা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে, সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা বা কোন প্রকার লেনদেনে অনেকেই যেতে চাইবে না।
এরা যে সমাজ থেকে উঠে এসেছে, সেখানে কি মহিলাদের ফাংশন কি? ওরা কি মহিলাদের সম্মানের চোখে দেখা শিখে নাই? ওদের সমাজের মেয়েরা কি পড়ালেখা বা এমন কিছু করে নাই যাতে লোকে একটু সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে?
গেল পুরুষদের কথা।
মেয়েরাও কেন এই নোংরামিতে যুক্ত হচ্ছে? আমি যদি দেখি কোন একটি পুরুষকে বেহুদা কারনে একঝাঁক নারী হেনস্থা করার চেষ্টা করছে, আমিতো সেই পুরুষটির পক্ষে দাঁড়াবো। এদের সমস্যা কী? ওরা যদি কোথাও সাকসেস পায়, তাহলে কি ওরা পছন্দ করবে যে পুরুষেরা বলবে "নিচের তলা ভাড়া দিয়ে সাকসেসফুল হইছে?" তাহলে এরা নিজেরা কেন এমন করছে?
বহু ক্ষেত্রে দেখি একটা মহিলা যদি সুন্দরী হয়, তাহলে ওকে কোন মেয়েই সহ্য করতে পারেনা। এ কেমন কথা ভাই? ও ওর মতন নিজেকে মেইনটেইন করে ক্লাস বজায় রেখেছে, আপনি নিজেও চেষ্টা করেন। সমস্যাতো নাই। ওতো কয়েকটা লাইক বেশি পাওয়ার আশায় ন্যাংটা হয়ে ভিডিও পোস্ট করছে না। ওর পিছনে কুকথা বলে নিজেকে কেন নামান? 
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৩৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা এখনও অসভ্য জাতির তকমা ফেলতে পারি নাই !
..................................................................................
কর্পোরেট লেভেলে যারা বিচরন করেন ,
তারা সবাই জানেন,রুবাবা দৌলা মতিন এর কর্মজীবনের ব্যাক গ্রাউন্ড কি ???
হ্যাঁ উনার পারিবারিক সাপোর্ট যথেষ্ট ভালো এবং উনার একাডেমিক ও
বাস্তব অভিজ্ঞতা যথেষ্ট সম্মানজনক ।
পাছে লোকে কিছু বলে এটা ছাড়তে হবে
নাহলে বাঙাল খাসলত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবনা ।