| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মারস্ শীতল
কিছু বলার নাই,নিয়মিত ব্লগার হবারও কোন ইচ্ছা নাই। মাঝে মাঝে ... কিছু কথা যা মনকে উতলা করে প্রকাশ করতে!
পাতা নং - ০১ :
পারিপার্শিক বিভিন্ন অবস্থার দিক থেকে বিবেচনা করলে প্রতিটা জড় ও জীবের জন্ম, যৌবন ও মৃত্যু এক। একমত হবেন না বেশিরভাগ মানুষই। তাদের চিন্তায়, পত্রিকার জন্ম, যৌবন আর মৃত্যু কখনই একইভাবে এবং জীবের সাথে মিলবার নয়! কিন্তু সার্বিকভাবে দেখতে গেলে একজন মানুষের জীবনীর সাথে একটা পত্রিকার আয়ুকালকে হুবহু মিলিয়ে দেয়া যায়।
যখন একটি শিশু জন্ম নেয়, তখন তাকে যথাসম্ভব আদরের অভাব দেয়া হয় না। এমনকি তার ভূমিষ্ঠ হবার পূর্ব থেকেই তার জন্মদানকারিনীর প্রতিও যতটা সম্ভব ভাল আচরণ, খাবার, পোশাক দেয়ার চেষ্টা রাখা হয়। যদিও পুরুষতান্ত্রিক মধ্যবিত্ত সমাজে এ চিন্তা করাও বৃথা তবুও কোন শিশুর জন্ম আস্তাকুড়ে হোক তা কেউ চায় না। -- এদিক থেকেই একটি পত্রিকার জন্মকে ব্যাখ্যা করা যায়। পত্রিকা বের হবার পূর্বে এর বাজার নির্বাচন, অঙ্গভঙ্গি, খবর সমূহ, স্লোগান দিয়ে একে যথেষ্ট পরিমাণে আশেপাশের সকলের মনের কেন্দ্রে রাখার সুব্যবস্থা করা হয়।
শিশুর জন্মকে নিয়ে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের মাঝে আনন্দের সীমা থাকে না -- ঠিক একইভাবে একটি পত্রিকার প্রথম সংখ্যাটি নিয়ে বা প্রথম নিউজগুলোকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। কাগজী হলে সৌজন্য সংখ্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এখানে যায়, ওখানে যায়, অতিরিক্ত অংশ গলধঃকরণ করা সম্ভব না হলেও তা জোরপূর্বক শরীরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা বলবৎ রাখা হয়। অনলাইন হলে একটু ভিন্নতা থাকে। থাকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে লেখালেখি, সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা ইত্যাদি।
শিশুর প্রতি তার খুব কাছের আত্মীয়দের মাঝে একরকম ব্যস্ততা দেখা যায়। আর প্রথম সন্তান হলে তো কথাই নেই -- পত্রিকার ক্ষেত্রে কর্মীদের মাঝে এসময় ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে, বয়সে যারা একটু কাঁচা তাদের মধ্যে এই ব্যস্ততার সাথে সাথে উত্তেজনাকেও বাড়তে দেখা যায়। তখন হোক আবেগের বশে না হোক ভালবাসার টানে তারা এই পত্রিকার সাথে সকাল সন্ধ্যা ব্যায় করে।
.............. (চলমান পাতা - ০২)
©somewhere in net ltd.