প্রশ্ন ?

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩১

আমি বলতে পারি না ওনারা গৃহযুদ্ধ চান কিনা। গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্র কোথায় বিদ্যমান আছে এ আমি জানতে চাইছি না। আমি শুধু জানতে চাই দেশকে আর কতট‍া নিচে নামতে হবে?
.
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর অ্যাপস গুলো বন্ধ করার একটা উদ্দেশ্যে অবশ্যই আছে। যে উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য হোক, আর যে কটা দিনের জন্যই হোক না কেন, তাতে ১,০০,০০০ জনের মধ্যে একজন হলেও বিদেশী ডেভলপারও বলে উঠবেন, হুয়াই? আর সেক্ষেত্রে এই সকল অ্যাপ কর্তৃপক্ষের কি মনোভাব হতে পারে তাও ছেড়ে চিন্তার বিষয় নয়। একান ওকান হয়ে তা যে মিডিয়ায় ‍আসবে না তা কি নিশ্চিত করে বলা যায়?
.
আমি ব্যক্তিগত ভাবে অ্যাপ ‍গুলো ব্যবহার করতাম। বর্তমান স্পেসের ‍কারণে ব্যবহার না করলেও সামাজিক জীবনে যে এর গুরুত্ব আছে তা বুঝি। দেশের মানুষগুলো আর যা চিন্তা করুক আমি অন্তত মনে করি এতে কিছুটা হলেও দেশের ভাবমূর্তি হারাবে। আর এ যে রাজনৈতিক ইস্যু, যদি তা নাও হয় তারপরও তবুও এটা ঢালাওভাবে প্রকাশ পাবে। ‍সারা পৃথিবীর সবকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের +880 ডিজিটটিও কিন্তু বহাল। আর দুঃখজনক হলেও সত্য, সোশ্যাল অ্যাপগুলোতে সবার প্রথম ঢুকতে হলে বাংলাদেশের নম্বরকে ভেরিফাই করেই ঢুকতে হয়।
.
এই ইস্যু গুলো আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ করে অ্যাপ কর্তৃপক্ষের মুখশ্রীতে যে কিছুটা হলেও বিকৃত রুপ ধারণ করাবে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। কেনই বা এই নিরাপত্তা বেষ্টন, কেনই বা এই দুর্নামের ভাগ নিজ কাঁধে নেয়া? আমাকে উত্তর দিন, কেন আমাকে ভিপিএন জাতীয় ঝামেলা চুকিয়ে অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে হবে? আমাকে কেন অন্য দেশের আইপি ব্যবহার করতে হবে? দুদিন পরে এই ঝামেলা ঠিক হবে জানি কিন্তু কাটা ঘা যে শুকিয়ে গেলেও চিহ্ন রেখে যায় তা কারও অজানা নয়। এর মানে কি আমরা গণতান্ত্রিক দেশের বাসিন্দা (একে রাজনৈতিক ইস্যু ভাববেন না, আমি রাজনীতি করিনা, পছন্দও নয়)।
.
আমরা হয়ত মারামারি কাটাকাটির রাজনীতি করি ঠিক, কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক যে কতটুকু বুদ্ধি ধারণ করে আছে তা আসলেই প্রশ্নজনক! কই আম‍াদের দেশের এতগুলা ট্যালেন্ট আছেন, তো তাদেরকে নিয়ে সম্মিলিত ভাবে একটি সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ তৈরী করুন আর সেই অ্যাপটি দরকারে বন্ধ করুন আবার দরকারে চালু করুন। এতে অন্তত দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না। আর বাইরের দেশ গুলো আমাদের ব্যাপারে যে মনোভাব পোষণ করে তা অন্তত লোপ পাবে।

০ টি +০/-০