![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শৈশব [/sb
আজ একা একা বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ শৈশবের কথা খুব মনে পরছিল। একা থাকি তো কাউকে বলার মতো খুঁজছিলাম। কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না পাশে। লিখতে বসলাম। আমার আবার সমস্যা হোল আমি গুছিয়ে কোন কথা বলতে বা লিখতে পারিনা। তার পরেও চেষ্টা করতে ক্ষতি কি। তার একটু প্রয়াসে এই আমি সেই আমি শিরোনামে লিখা শুরু করলাম।
তখন অনেক ছোট প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিন থেকে শুরু করা যায়। আমি তখন দিনাজপুরে আমাদের গ্রাম শঙ্করপুরে থাকি। দস্যি ছিলাম প্রচুর। এই গাছ থেকে সেই গাছ লাফিয়ে বেড়ানো, নানির গাছ থেকে পেয়ারাটা, কুল টা, জাম্বুরাটা, জলপাইটা পেড়ে খাওয়ায় অস্তাদ ছিলাম। আমার সাগরেদ ছিল আমার বড় মামার মেয়ে জিনিয়া। আর আমাদের গুরু হোল রতন ভাইয়া। আমার সেঝ মামার ছেলে। দৌরে আমরা বিলে চলে যেতাম। শাপলা ফুল তুলা আমাদের একটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছিলো। শাপলা দিয়ে মালা তৈরি করে গলায় ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াতাম।
যেহেতু আমি আর জিনিয়া ছোট ছিলাম তাই আমরা অনেক কিছুই পারতাম না। রতন ভাইয়া আমাদের থেকে ৭ বৎসরের বড়, তাই সে যাই করুক না কেন আমাদের তা মাথা পেতে নিতে হবে। সে যাই হোক, এখন মুল কথায় আসা যাক।
আমার স্কুলের প্রথম দিন দিয়ে শুরু করার কথা থাকলেও অপ্রাসঙ্গিক কথায় চলে গেলাম। যেদিন প্রথম স্কুলে ভর্তি হবো বলে ঠিক করা হোল, রাতে আমার ঘুম আসে না। অনেক রাত হোল ঘুমাতে। অনেক রাত মানে ১১ টা। গ্রামে তখন বিদ্যুৎ আসেনি। তাই রাত ১১ টা মানেই গভীর রাত। আমাদের বাড়ির নিয়ম ৭ টা বাজার সাথে সাথে ঘুমিয়েপরা। রাতে ঘুম আসেনা উত্তেজনায় না ভয়ে। কারন আমি যে স্কুলে ভর্তি হতে জাচ্ছি ওখানে আমার ছোট ভাইয়া রুবেলও পড়েছিল। ও দুপুরে খাবার সময় বলল যে একটা স্যার নাকি আছে খুব মারে। আমি আমার আব্বা-আম্মার এক মাত্র মেয়ে। আমার বড় দুই ভাই আছে। সবার আদরে আদরে থাকি তাই মার নামক বস্তুর সাথে আমার তেমন সম্পর্ক নেই তাই মার কে খুব ভয় পাই। ভয়ে রাতের ঘুম হারাম হবার দশা।
জানুয়ারি মাসের শুরু। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা দিনাজপুরে। তারপরেও পরদিন সকালে উঠেই আমি আর জিনিয়া চলে গেলাম চাম্পুকুরিয়া (আমার এক নানার পুকুর)। সেখানে পুকুরের উঁচু পারে অনেক গাছ আছে তার মাঝের একটা ছোট লিচু গাছের ডাল ধরে দুলে দুলে উপরে উঠে যাই। আমাদের দুইজনের উদ্দেশ্য স্কুলে ভর্তি হবোনা। কি হয় না পড়লে? পাশের লালুয়া পাড়ায় আমাদের বয়সী খালেদা এখনো ধেং ধেং করে খালি পায়ে, খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায়। আমরা করলে দোষ। আব্বা আম্মার উপরে রাগ জমতে থাকে।
আমার শৈশবের চরম শত্রু ছিল আমার ছোট ভাইয়া। আমাদের দুইজন কে চাম্পুকুরিয়া থেকে ধরে নিয়ে আসলো। আমি মুখ গোঁজ করে বসে আছি। আব্বা আমাকে বলল স্কুলে ভর্তি হয়ে ফিরার সময় আমাকে বাজারের বরফ কল থেকে পেপসি খাওয়াবে। আর বড় মিষ্টি দিয়ে ডালপুরি। সব আমার প্রিয় খাবার। রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু শর্ত একটাই, আমার ভালো না লাগলে আমি আর পড়ব না। শর্ত মানা হলো।
আমার জীবনের প্রথম স্কুল হোল সান-মুন কিন্ডারগার্টেন স্কুল। যেটা বিরল গার্লস স্কুলের একটা অংশ। আমি আর জিনিয়া শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হলাম। শিশু মানে যে আসলেই শিশু সেটা বুঝতে বেশি সময় লাগলো না। দেখা গেলো আমি আর জিনিয়া ছাড়া আর কেউ অ আ লিখতে এমন কি বলতেও পারে না। নিমিষের মাঝে আমরা দুইজন হয়ে গেলাম স্যারএর প্রিয় ছাত্রি। আর সবাই কে ছোট দেখানোর একটা জায়গা পেলাম বলে স্কুলটা ভালো লাগতে লাগলো।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
তানি তানিশা বলেছেন: thnx..... asha kori aro likhbo...
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
মহসিন৭১ বলেছেন: লেখা ভাল লাগছে। আরো লিখলে আরো পড়বো। কিন্তু প্রশ্ন হলো এত ছোট বেলার কথা আপনার এখনো মনে আছে কিভাবে। নাকি অনেক বড় বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ব্যাপারটা একটু কেমন যেন লাগছে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
তানি তানিশা বলেছেন: ami 4 year 3 month boyose school e vorti hoechi..... amar mone ache shob. sriti shokti khub valo.
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভালৈ লাগসে পড়ে, কন্টিনিউ করতে থাকেন।
স্বাগতম ব্লগে, শুভকামনা ॥