নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন

তানি তানিশা

তানি তানিশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেমোক্রেসি নাকি হিপক্রেসি

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

আমার মনের এই প্রশ্ন গুলো আসে প্রায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বা বর্তমান সরকার আসলে কি সেটা আমি বুঝে উঠতে পারিনা। আমাদের নাকি বিরোধী দলকে ভোট দেয়ার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ কে ভোট যে দিবো তারই বা উপায় কি? আমি সাভার থেকে ভোটার হলাম। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে যে আমাকে আর কষ্ট করে ভোট দিতে জেতে হবে না। কারন ডঃ এনাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গেছেন।

জাক সে কথা। আমরা সাধারণ মানুষ এখন আর কিছুই না। আমাদের কোন মূল্য নেই। এখন যাদের মূল্য তারা যা ইচ্ছা করছে। আমাদের একটাই অধিকার ছিল গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে। সেটা হল ভোটাধিকার। কিন্তু সেটাও আর নাই। না আমরা আসলে ডেমোক্রেটিক না আমরা এখন হিপক্রেটিক হয়ে গেছি। ঠিক আছে করেন যা ইচ্ছা। আমরা কিছু বলতে গেলে এখন জামাত বা শিবিরের কর্মী হবো।

শুধু জামাত-শিবির রাই কি সহিংসতা করে? আজকে সুপ্রিম কোর্টে যারা প্রধান ফটকের বেষ্টনী ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে এতো এতো সহিংসতা করলো তারা কারা ছিল? যখন আইন জীবী রা বের হতে চাইলো তখন পুলিশ তাদের উপর গরমপানি দিলো কিন্তু যখন আওয়ামী রা আসলো আর প্রধান ফটক এর বেষ্টনী ভেঙ্গে ঢুকল তখন তারা ভিজা বিড়ালের মতো কাপুরুষের মতো পিছনে দারিয়ে থাকলো!

না আমি কোন রাজনৈতিক দল কে সমর্থন করি না। কিন্তু আজ সরকার কেন এই কাজ করলো? কেন দিলো না গণতন্ত্রের অভিজাত্রা কে সফল হতে দিলো না? এতো ভয় কেন? আপনি যখন জানেন যে জনগন আপনার পক্ষেই আছে তাহলে কেন এই অভিজাত্রায় বাঁধা দিচ্ছেন? মাঝে মাঝে খুব লজ্জা হয় এটা ভেবে যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিরোধী নেতা কে আটকানোর জন্য বালুর ট্রাক এনে রাখে। ব্যাপার টা যে কি পরিমাণ হাস্যকর আর লজ্জা জনক তা কি আপনি জানেন?

আপনি দেশের যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করছেন খুব ভালো কথা তা হলে ১৯৯৬ সালে কি হয়েছিলো আপনার? তখন তো এই জামাত শিবির কে সাথি করেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এনেছিলেন। যখন এই জামাত-শিবির আপনার সাথে না থেকে বিরোধীদলকে সমর্থন করছে তখন তারা সব্বাই যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেলো? মানলাম মানি তাদের কেউ কেউ যুদ্ধাপরাধী কিন্তু তাহলে তাদের বিচার কেন এখন করছেন? আগে তো তাদের শক্তি এতো বেশী ছিল না তাহলে কেন সেই নব্বইয়ের দশক বা আশির দশকে হলনা এই বিচার?

পাকিস্তান নাম টা শুনলেই গা জ্বলে। আমি আমার দেশে পাকিস্তানের অস্তিত্বও দেখতে চাই না।আমার নানা মামা আর এক চাচা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বড় খালা মুক্তিজুদ্ধের সময় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। পাকিস্তানীদের ভয়ে আমার সেঝ খালাকে শীতল পাটির মাঝে পেঁচিয়ে দেয়ালের কণায় দাড়িয়ে রাখা হতো। তাই এই পাকিস্তানের উপর আমার কোন মায়া থাকার কারন নেই। কিন্তু পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা তো অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল। তখন কারো মনে হয়নি। কিন্তু যখন দেশে এক অরাজক অবস্থা তখন আরও অরাজক করতে একটা ড্রামা কি না করলেই হচ্ছিলো না? কি এক ইমরান এইচ সরকার কে সকলে পেলো তাকে নিয়ে নাচানাচি শুরু। সে নিজে পাকিস্তানী পণ্য পরিহার করতে বলছে কিন্তু তার পাশে যে মেয়ে টা হাঁটছে তার গায়ে পাকিস্তানী লনের জামা। এই সব ভণ্ডামি না করলেই কি হচ্ছে না?

পাকিস্তানের এম্বাসি বাংলাদেশে না থাকাই উচিত। না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশি। এক দিকে আমরা তাদের পায়ে তেল দিবো আর অন্য দিকে বলব যে তাদের দেখতে পারিনা সেটার মতো ভণ্ডামি করতে ইচ্ছা করে না। বাদ দেন না পাকিস্তানের সব কিছু বাংলাদেশ থেকে! তা কি দিতে পারবেন?

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনি আমাদের থেকে অনেক অভিজ্ঞ তাই যা আমার চখে পরছে তার অনেক বেশি আপনার চখে পরার কথা। আপনার এই সব কর্ম কাণ্ডের জন্য আপনার জনপ্রিয়তা কমে জাচ্ছে সেটা আপনার বোঝা উচিৎ। দেশের স্বার্থে আমাদের স্বার্থে আপনি এবার ক্ষান্ত দেন না। আপনি তো বললেন আপনি প্রধান মন্ত্রিত্ব চান না দেশে শান্তি চান তাহলে দেশের শান্তির জন্য এইবার এই মারামারি কাটাকাটি বন্ধ করেন। ভিতু বোকা না সাহসী চালাক হয়ে মাঠে নামেন। তখন দেখা যাবে আসলে দেশের জনগণ কাকে চায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.