নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা সত্ত্বেও দেশে পোশাক রপ্তানি বিগত বছরের তুলনায় বেড়েছে

১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা সত্ত্বেও দেশে পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর এ খাত থেকে আয় হয়েছে ২৭০ কোটি ডলার। মঙ্গলবার একটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এ কথাজানায়। জুন মাসে শেষ হওয়া চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ২১শ’ ৫০ লাখ ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ ভাগ বেশি। বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। এ বছর সব মিলিয়ে রপ্তানি ১১ ভাগ বেড়েছে যার আর্থিক মুল্য ২ হাজার ৭শ’ কোটি ডলার। সাভারে গত এপ্রিল মাসে ভবন ধসে ১১৩২ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার পর সরকার পোশাক শিল্পে ব্যাপক সংস্কারের ঘোষণা দেয়। আর এ পরিস্থিতির মধ্যে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির খবরটি নিঃসন্দেহে খুশির খবর। গত বছর তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যায় আরো ১১২ জন। এ দুটো ঘটনার পর বাংলাদেশের সরকার, পোশাক কারখানার মালিক এবং এ দেশ থেকে স্বল্প মজুরিতে যারা পোশাক তৈরি করিয়ে থাকে সেসব খুচরা কোম্পানিগুলোর ওপর শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাপ বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের পোশাক কোম্পানিগুলোতে ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য একটি প্যানেল গঠন করেছে।এদিকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকার সুবিধা জিএসপি স্থগিত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ যদি একই ব্যবস্থা নেয় তবে তা দেশের পোশাক খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। তবে আশার খবর, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন করবে খুচরা বিক্রেতা ও নামিদামি ব্র্যান্ডসহ ৭৩ বিদেশি ক্রেতার একটি কনসোর্টিয়াম। বাংলাদেশের যেসব কারখানা তাদের পোশাক সরবরাহ করে সেসব কারখানা আগামী ৯ মাসের মধ্যে পরিদর্শন করবে তারা। পরিদর্শনকালে কোনো কারখানায় গুরুতর নিরাপত্তা সমস্যা পরিলক্ষিত হলে ক্রেতারা তার দায়িত্ব এবং জরুরি পদক্ষেপ নেবে।এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকার নামিদামি পোশাক ক্রেতারা আগামী ৩০ জুলাই বাংলাদেশের কারখানাগুলো পরিদর্শনে আসছে। আর নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটা একটা সুখবর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.