নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঢেকে দিতে সরকারের মহতী উদ্দ্যোগ তিন দেশের অভিজ্ঞতায় তৈরি হচ্ছে “সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী”

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী কার্যকর করতে তিন দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, কম্বোডিয়া এবং নেপাল। প্রতিবছর এ খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলেও কাংক্ষিত ফল মিলছে না। এ প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল তৈরিতে এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই ধারণাপত্র তৈরির কাজ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে কর্মশালা। এর মধ্য দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের ধারণাপত্র চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ কৌশলপত্র তৈরির কাজ শেষ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতায় পরিচালিত প্রায় ৯২টি কর্মসূচী এবং বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় একই ছাতার নিচে আসবে। ওই তিন দেশের সফল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আলোকে তৈরি করা হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র। বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় পরিচালিত ভিজিডি কর্মসূচীর উপকারভোগীদের মধ্যে প্রায় ২৭ শতাংশ দরিদ্র নয়। প্রায় ১১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি কর্মসূচীর একটিও শর্ত পূরণ করে না এবং কেউই কমপক্ষে তিনটি শর্ত পূরণ করেনি। প্রায় ৪৭ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি কর্মসূচীর উপকারভোগী নয় এবং তাদেরকে কর্মসূচীতে সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এভাবে উপকারভোগীদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচী সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় একটি সুপারিশ উপস্থাপনকালে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সুফল সমানভাবে না মেলার উদাহরণ হিসেবে এসব বিষয় তুলে ধরে সংস্থাটি। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর মতো বড় কর্মসূচীগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। মেয়েদের বৃত্তি কর্মসূচীর ক্ষেত্রে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বরাদ্দকৃত বাজেট উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছায় না। ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক খাত উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীসমূহ পরিবীক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্রীয় পরিবীক্ষণ কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ জুন মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক এবং কর্মসূচীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ২১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবকে সদস্য করে কেন্দ্রীয় পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সঠিক মূল্যায়ন এবং গুণগত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ইউএনডিপি, ডব্লিউএফপি ও ডিএফআইডিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা যৌথভাবে ইতোমধ্যেই প্রস্তাব দিয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.