নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়স্ক ভাতার টাকা পাওয়ায় বেজায় খুশি শতবর্ষী বৃদ্ধরা। দাবি-ভাতার অর্থ বাড়ানোর।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় বয়স্ক ভাতাভোগী ৭ হাজার ৬ শত ৩৬, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতাভোগী ৩ হাজার ৩ শত ২৩, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ৮শত ৫২, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাভোগী ৭শত ১২, শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ৩৫ মিলে মোট ১২ হাজার ৫ শত ৫৮ ভাতা ভোগীর জন্য কাজ করছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ব্যাংকের একটি করে শাখা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩টি শাখা সহ মোট ৬টি শাখা। ৫টি শাখা ভাতা ভোগীর বিরম্বনা, কষ্ট ও খরচের কথা বিবেচনা করে মানবিক দিক চিন্তা করে ভাতা ভোগীর দোর গোড়ায় গিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজকর্মীর সম্বনয়ে ক্যাম্প বানিয়ে ভাতার অর্থ পৌচ্ছে দিলেও অজ্ঞাত কারণে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, মন্ডলের হাট শাখা, নিজের খেয়াল খুশি মতো ব্যাংকে বসে বিতরনের নামে নানা কারণে অকারনে হয়রানি করছে। শারীরিকভাবে চলাচলে প্রায় অক্ষম শতবর্ষী বৃদ্ধারা গ্রামে বসে ভাতার টাকা হাতে পাওয়ায় বেজায় খুশি উলিপুরের সমাজসেবার সমাজকর্মীদের উপর। বজরা ইউনিয়নের ভাতা ভোগী ১০২ বছর বয়সের আঃ বারী, ৯৫ বছর বয়সের মোহাম্মদ আলী, ৮৭ বছর বয়সের আমেনা বেওয়া তারা তাদের ভাষায় বলেনÑম্যালা বছর আগে শেকের বেটি হামাক ট্যাকা দেওয়া শুরু করছে, হামরা এলাও পারার নেকছি, খোদা হামাক যেমন শান্তিত রাইকছে তেমন শেকের বেটি হাছিনাকে যেন শান্তি রাকে খোদার কাছে এই মেনত করি, বাবা মাসে ৩০০ টাকা ভাতা পাই কি কিনি, কি খাই? জীবন চলেনা। (অনেক বছর আগে শেখ হাসিনা তাদের নামে ভাতা বরাদ্ধ করেছে, মাসিক ৩০০ টাকা ভাতা পেয়ে শান্তিতে আছেন তবে তাদের দাবি বর্তমান সময়ে ৩০০ টাকায় জীবন চলে না, ভাতার টাকা বাড়ানো দরকার।

ভাতা বিতরণ ব্যবস্থাপনা :

সঠিক নিয়মে বিধিমোতাবেক ভাতা সংশ্লিষ্ট ভাতাভোগীর নিকট বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যই মূলত ভাতাভোগীদের ব্যাংক হিসাব নম্বর খোলা হয়েছে । যেমন ধরুন একজন বিধবা ভাতাভোগী নভেম্বর/১২ মাসের ২৫ তারিখে মারা গেছেন বিধিমোতাবেক উনি কিন্তু নভেম্বর/১২ মাস পর্যন্ত ভাতা পাবেন । যদি ভাতার টাকা বিতরণের আগে ভাতাভোগীর হিসাবে ইউএনও এবং সমাজসেবা অফিসারের যৌথস্বাক্ষরে তালিকা দ্বারা স্থানান্তর নিশ্চিত করা হয় এবং ভাতা যদি ব্যাংক হতে বিতরণ করা হয় তবে ঐ ভাতাভোগীর নমিনি কিন্তু নভেম্বর/১২ পর্যন্ত ভাতা তুলতে পারবেন কিন্তু বিধিবর্হিভূত ভাবে অন্যকোন স্থানে ক্যাম্প করে বিতরণ করা হয় তবে কার হিসাবে কত টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে তা সঠিক ভাবে যেমন বুঝা যাবে না ঠিক তেমনি ভাবে কেন্দ্রীয় হিসাব হতে এভাবে অনিয়ম করে টাকা তুলে বিতরণ করলে অনিয়ম হলে সরকারি অর্থ তছরুপ করার দায়ে সমাজসেবা অফিস বা ব্যাংক দায়ী হতে পারে এছাড়াও একত্রে বড় পরিমানের টাকা তুলে বিতরণ করতে গেলে নিরাপত্তার একটি বিষয় সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়বে ।

এমতাবস্থায় , আমি মনে করি প্রতি কিস্তির টাকা প্রতি কিস্তিতে বিতরণের পূর্বে নীতিমালা অনুসারে ভাতাভোগীর নাম, বহি নম্বর, হিসাব নম্বর, স্থানান্তরিত টাকার পরিমান, সময়কাল ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত তালিকা ইউএনও এবং সমাজসেবা অফিসারের যৌথস্বাক্ষরে ব্যাংকে প্রেরণ করা উচিত । প্রেরিত তালিকা মোতাবেক ৩/৫ কর্মদিবসের মধ্যে টাকা ভাতাভোগীদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর নিশ্চিত করার পর তারিখ নির্ধারণ (মাসিক) করে ব্যাংক হতে ভাতা উত্তোলনের জন্য নির্ধারিত কাউন্টার এর মাধ্যমে ভাতা বিতরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন । এতে যেমন আর্থিক স্বচ্ছতা আসবে তেমনি নিয়মিত বিতরণ চলমান নিশ্চিত করলে ভাতাভোগীদের বিড়ম্বনাও কমবে ।



বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম



দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এনে পৃথিবীর অন্যান্য কল্যাণ রাষ্ট্রের ন্যায় তাদেরকে আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে মনোবল জোরদার, পরিবারে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনা এবং দেশের দুঃস্থ, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, দরিদ্র, এতিম, প্রতিবন্ধী এবং অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রয়েছে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচী। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সালে দুঃস্থ ও বার্ধক্যে আক্রান্ত স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা অপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম প্রবর্তণ করে আসছে। বর্তমানে ফকিরহাট উপজেলায় ২১৭৮ জন বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন।



বয়স্ক ভাতা বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ :

• বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বয়স্কভাতা প্রদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে। এ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।

• এ কর্মসূচী সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানের জন্য মাননীয় অর্থ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রীসভা কমিটি রয়েছে মাননীয় মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, মাননীয় মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় উক্ত কমিটির সদস্য। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কমিটিকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। কমিটি প্রতি ৩ মাসে একবার বৈঠকে মিলিত হয়। প্রতি বছর মার্চ মাসে কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত সভায় বয়স্ক ভাতা প্রদান কর্মসূচীর পরবর্তী বছরে সার্বিক মূল্যায়ন ও পরবর্তী বাজেট নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।



বাস্তবায়ন কর্মকৌশল :

• সংশ্লিষ্ট এলাকায় বয়স্ক ব্যক্তিদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ এবং তার মাধ্যমে প্রকৃত সংখ্যা নিরূপন করা।

• বয়স্কদের মধ্যে অসচ্ছল, অসহায় এবং দুর্বল অংশের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন করা।



প্রার্থী নির্বাচনের মানদন্ড :

বয়সঃ সর্বোচ্চ বয়স্ক ও অসচ্ছল ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। তবে সর্বনিম্ন ৬৫ বছর বয়স্ক না হলে কোন ব্যক্তি ভাতা প্রাপ্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হয় না। তবে যারা পূর্ব থেকে ভাতা ভোগ করে আসছেন তারাও ভাতা পেতে থাকবেন।

প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয়ঃ অনুর্ধ ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা (শর্ত শিথিল যোগ্য হতে পারে)।



স্বাস্থ্যগত অবস্থা :

• যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম অর্থাত্ সম্পূর্ণরূপে কর্মক্ষমতাহীন তাঁকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

• শারীরিকভাবে অসুস্থ, মানসিকভাবে অপ্রকৃতিস্থ, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ও আংশিক কর্মক্ষমতাহীন ব্যক্তিগণকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।



আর্থ-সামাজিক অবস্থা :

• মুক্তিযোদ্ধাঃ অসচ্ছল বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে, তবে সে যদি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাভূক্ত হয় তাহলে তাকে এই বয়স্ক ভাতা দেওয়া হবে না।

• আর্থিক অবস্থাঃ নিঃস্ব, উদ্বাস্তু ও ভূমিহীনকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

• সামাজিক অবস্থাঃ বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, বিপত্মীক, নিঃসন্তান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগণকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।



বিভিন্ন খাতে খরচ :

প্রার্থীর খাদ্য, স্বাস্থ্য/চিকিত্সাক, বাসস্থান ও অন্যান্য খাতে তার বার্ষিক আয় কি অনুপাতে খরচ করনে তা বিবেচনা করতে হবে। খাদ্য বাবদ যার সমুদয় আয়ের অর্থ ব্যয় হয়ে যায়, স্বাস্থ্য/চিকিত্সা বাসস্থান ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করার জন্য কোন অর্থ অবশিষ্ট থাকে না তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।



ভূমির মালিকানা :

ভূমিহীন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বসতবাড়ী ব্যতীত কোন ব্যক্তির জমির পরিমান ০.০৫ একর (৫ শতক) বা তার কম হলে তিনি ভূমিহীন বলে গণ্য হবেন।



বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা :

(১) সরকারি কর্মচারী বা পরিবারের কোন সদস্য পেনশনভোগী হলে।

(২) দুঃস্থ মহিলা হিসেবে ভিজিডি কার্ডধারী হলে।

(৩) অন্য কোনভাবে নিয়মিত সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত হলে। (ভিজিডি, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা প্রভৃতি ভাতাভোগী হলে)

(৪) কোন বেসরকারী সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিতভাবে আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত হলে।

(৫) পেশাগত ক্ষেত্রে দিন মজুর, ঝি-এর কাজ এবং ভবঘুরে হলে।



প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া :

(১) বয়ষ্ক ভাতা প্রদানের জন্য দরখাস্ত আহবান করে গণমাধ্যম, দৈনিক পত্রিকা ও স্থানীয়ভাবে সর্বসাধারণকে অবহিত করতে হবে।

(২) উপজেলা পর্যায়ে বয়স্ক ভাতা গ্রহণে আগ্রহী আবেদনকারীগণ নির্ধারিত ছকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এর বরাবরে আবেদনপত্র পেশ করবেন। (এই ফর্ম উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পাওয়া যায়)

(৩) উপজেলা পর্যায়ে বয়স্ক ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ে একটি এবং ইউনিয়নে ওয়ার্ড পর্যায়ে একটি কমিটি থাকবে।



বয়স্ক ভাতার বাছাই কমিটি ও তাদের কর্মপরিধি :

ওয়ার্ড কমিটিঃ

• সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য .............................................সভাপতি

• সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ............................................ সহসভাপতি

• দুই (২) জন গন্যমান্য ব্যক্তি .................................................... সদস্য

• ইউনিয়ন সমাজকর্মী ...................................................... সদস্য সচিব

বিঃদ্রঃ নির্বাচন স্থগিত এমন স্থানে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সভাপতি এবং ইউপি সচিব সহসভাপতি



ওয়ার্ড কমিটির কর্মপরিধি :

• বয়স্ক ভাতা প্রদানের জন্য প্রণীত নীতিমালার আলোকে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করবে।

• চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যে প্রণীত তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটির নিকট পেশ করবে।

• প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করবে তবে আপীলের প্রশ্ন দেখা দিলে তা উপজেলা কমিটিতে নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করবে।



উপজেলা কমিটি :

• উপজেলা নির্বাহী অফিসার ..................................................সভাপতি

• ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ........................................... সদস্য

• মুক্তিযোদ্ধা থানা কমান্ডের একজন প্রতিনিধি ................................. সদস্য

• উপজেলা/জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা .......................................... সদস্য

• ম্যানেজার (সোনালী, জনতা, অগ্রনী, বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক) ............. সদস্য

• স্থানীয় কলেজের অধ্যক্ষ/অধ্যক্ষা ................................................ সদস্য

• গণ্যমান্য ব্যক্তি ৩ (তিন) জন .................................................. সদস্য

• উপজেলা সমাসসেবা কর্মকর্তা ............................................. সদস্য সচিব

• প্রবীণ হিতৈষী সংঘের প্রতিনিধি ....................................... কো-অপ্ট সদস্য

বিঃ দ্রঃ যেখানে প্রবীণ হিতৈষী সংঘের শাখা রয়েছে সেখানে ঐ সংঘের প্রতিনিধিকে উপজেলা কমিটির সভাপতি কর্তৃক কো-অপ্ট করা যাবে।



উপজেলা কমিটির কর্মপরিধি:

• ওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত প্রার্থী তালিকা যাচাই/বাছাই পূর্বক চূড়ান্তকরণ।

• ভাতা প্রদান কার্যক্রম তদারকীকরণসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় আপীল অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণ।

• ভাতা প্রদানের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদনকরণ।

• ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত সোনালী/জনতা/অগ্রণী/বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের নিকটতম শাখার মাধ্যমে ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।



স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সংজ্ঞা :

যারা স্থানীয় ব্যক্তি হতে পারেন তারা হলেন-নেতৃস্থানীয় সমাজসেবক/সংগঠক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য/সদস্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক/বেসামরিক/কর্মচারীগন। (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট মাননীয় সংসদ সদস্য সদস্যাদের সাথে আলোচনাক্রমে উপজেলা কমিটিতে গন্যমান্য ব্যক্তি মনোনীত করবেন)



ভাতা প্রদান পদ্ধতি :

১. বয়স্ক ভাতা প্রদান বাবদ বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ অবমুক্ত করে সোনালী ব্যাংকে ন্যস্ত করা হবে।

২. ভাতা গ্রহীতাদের সুবিধার্থে সোনালী/জনতা/অগ্রণী/বাংলাদেশ কৃষি/রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা পরিশোধ করা হবে।

৩. বয়স্ক ভাতার পরিমান মাসে ২৫০ টাকা।

৪. পেনশন প্রাপ্তদের পিপিও (Pension payment Order) এর ন্যায় বয়স্ক ভাতা পরিশোধ বহি নামে একটি বই থাকবে। এ বইয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর/১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বয়স্ক ভাতা প্রাপকের সত্যায়িত ছবি থাকবে। প্রতিটি বইয়ে পৃথক নম্বর সন্নিবেশিত থাকবে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হওয়ার পর উপজেলা/জেলা হিসাব রক্ষক অফিসার সংশ্লিষ্ট ভাতা প্রাপকের নামে এ বই ইস্যু করবেন। এ বই ইস্যু করার পর উপজেলা/জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বয়স্ক ব্যক্তির মাসিক ভাতা পরিশোধের জন্য স্থানীয় সোনালী/জনতা/অগ্রণী/বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবিসহ ভাতা পরিশোধের আদেশ প্রেরণ করবেন। বয়স্ক ভাতা প্রাপকগণ কেহ বই হারিয়ে বা নষ্ট করে ফেললে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা/উপজেলা কমিটি বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। উপজেলা কমিটি যথাযথভাবে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে পুনরায় ডুপ্লিকেট পাশ বই ইস্যু করার জন্য সুপারিশ করবে।

৫. উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা/জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বয়স্ক ভাতা প্রাপকের নাম, ছবি ও নমুনা স্বাক্ষরসমেত রেজিস্টার সংরক্ষণ করবে।

৬. যদি শারীরিক অক্ষমতাজনিত কিংবা পর্দানশীল হওয়ার কারণে কোন ব্যক্তি ভাতা গ্রহণের জন্য স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে না পারেন, তা হলে তিনি অন্য কোন ব্যক্তিকে তার পক্ষে ভাতা গ্রহণের জন্য মনোনয়ন দান করবেন। মনোনীত ব্যক্তির পরিচয় পত্রে ওয়ার্ড মেম্বর/১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা / উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ছবি থাকবে। মনোনীত ব্যক্তি ভাতা গ্রহণ করার সময় প্রতিবার সংশ্লিষ্ট ভাতা প্রাপক জীবিত আছেন মর্মে স্থানীয় প্রতিনিধি (ওয়ার্ড মেম্বর/চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ) এর সনদপত্র পেশ করবেন।

৭. বয়স্ক ভাতা প্রতিমাসে প্রদান করা হবে, তবে কেহ এককালীন উত্তোলন করতে চাইলে তিনি ভাতা নির্ধারিত সময়ের শেষে উত্তোলন করবেন। (উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ৩ বা তদুর্ধ সময়ে প্রেরণ করা হয়ে থাকে)।

৮. বয়স্ক ভাতা গ্রহীতা মৃত্যুবরণ করলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড মেম্বর/ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক মৃত্যু সম্পর্কিত সনদপত্র প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। উপ-পরিচালক/সমাজসেবা কর্মকর্তা ভাতা গ্রহীতার মৃত্যু সম্পর্কিত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ ও কার্যালয়কে অবহিত করবেন।

৯. ভাতাভোগীর মনোনীত ব্যক্তিকে (Nominee) প্রদান করা যাবে এবং ভাতা ভোগকারী কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর মনোনীত ব্যক্তি (Nominee) কে ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত উক্ত ভাতা প্রদান করা হবে।

১০. বয়স্ক ভাতা বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে শাখা পর্যায়ে দ্রুত অর্থ ছাড়করণে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ তত্প্র হবেন। তাছাড়া প্রতি মাসের ১ম সপ্তাহে পূর্ববর্তী মাসের ব্যয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতির নিকট দাখিল করবেন।



তালিকা ও অন্যান্য তথ্যাদি সংরক্ষণ পদ্ধতি :

১) উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মঞ্জুরীকৃত ভাতা প্রাপকদের তালিকা প্রয়োজনীয় উপকরণ (ভাতা পরিশোধ বহি ও ছবি) এবং বয়স্ক ভাতা পরিশোধের আদেশ (ডি-হাফ) ও অন্যান্য তথ্যাদিসহ উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নির্বাচিত ভাতা প্রাপকদের প্রাথমিক তালিকা সংরক্ষণ করবেন। কোন বয়স্ক ভাতা প্রাপকের মৃত্যু হলে তাঁর স্থলে একই ওয়ার্ডের জেন্ডার অনুসারে অপেক্ষামান তালিকা থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচিত করে ভাতা গ্রহণের জন্য তালিকাভুক্ত করবেন।

২) প্রতি ওয়ার্ডে ১০ (দশ) জন পুরুষ ও ১০ (দশ) জন মহিলার অপেক্ষমান তালিকা অগ্রাধিকার ক্রমানুযায়ী প্রস্তুত রাখা হবে। ভাতা গ্রহণের জন্য নির্বাচিত বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে যদি কেহ মৃত্যুবরণ করেন তাঁর স্থলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তিনি তালিকাভুক্ত হবার দিন থেকে ভাতা গ্রহনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ওয়ারিশ হিসেবে কাউকে ভাতা প্রদান করা যাবে না। তবে নমিনি ভাতাভোগীর মৃত্যুর পর ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন।

৩) প্রতি উপজেলা ও পৌরসভার বাছাইকৃত নতুন প্রার্থীর সংখ্যা সিটি কর্পোরেশনসমূহ বাদে সারাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ পৌরসভার জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে নির্ণয় করা হবে।

৪) ভাতাভোগী এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার তারিখ হতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তন না করলে ভাতা প্রদান তালিকা হতে তার নাম বাতিল করতঃ অপেক্ষমান তালিকা হতে তার স্থলে অন্য ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

৫) প্রতি বত্সর মৃত্যুবরণকারী ভাতাভোগীদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক মন্ত্রীপরিষদ কমিটির পরবর্তী সভায় মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদফতর পেশ করবেন। এ জন্য মাঠ পর্যায় থেকে ৬ (ছয়) মাস পর পর এ ধরণের নতুন ভাতাভোগীদের তালিকা সমাজসেবা অধিদফতরে প্রেরণ করতে হবে। তাছাড়া মৃত ভাতাভোগীর স্থলে যথা- সময়ে বিধি মোতাবেক নতুন ভাতাভোগী নির্বাচন করে ভাতা প্রদান করতে হবে।

বর্তমান বয়স্কভাতা ভোগী:

বেতাগা শুভদিয়া নখপুর পিলজংগ ফকিরহাট মূলঘর নলধা মৌভাগ বাহিরদিয়া মানসা মোট

২৪২ ২৫৪ ২৮৬ ২৭৬ ৩৪১ ২৫৯ ২৭২ ২৪৮ ২১৭৮



বয়স্ক ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন পত্র

প্রথম অংশ

(আবেদনকারীর নিজে পূরণ ও স্বাক্ষর করিবেন অথবা কাহারো দ্বারা পূরণ করিয়া নিজে স্বাক্ষর ও টিপসই দিবেন)

বরাবর,

----------------------

----------------------

----------------------

বিষয়ঃ বয়স্ক ভাতা মঞ্জুরীর জন্য আবেদন। ছবি

মহোদয়,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমার বর্তমান বয়স .................... বত্সর। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত মাসিক ............. টাকা হারে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির জন্য আবেদন জানাইতেছি এবং এই সুত্রে নিম্নলিখিত তথ্যাদি আপনার সহানুভূতিশীল বিবেচনার জন্য পেশ করিতেছি।



(ক) নাম :



(খ) ঠিকানা :

বর্তমান:........................

...............................

...............................

............................... স্থায়ী:...........................

................................

................................

................................

(গ) আবেদনকারীর বাত্স.রিক গড় আয় :

(ঘ) স্বাস্থ্যগত অবস্থা :

(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টিক চিহ্ন দিন) ১) সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন ২) অসুস্থ ৩) অপ্রকৃতিস্থ ৪) প্রতিবন্ধী আংশিক কর্মক্ষমতাহীন

(ঙ) আর্থ সামাজিক অবস্থা : (ক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টিক চিহ্ন দিন) ১) নিঃস্ব ২) উদ্বাস্তু ৩) ভূমিহীন ৪) প্রতিবন্ধী আংশিক কর্মক্ষমতাহীন

(খ) ১) বিধবা ২) তালাকপ্রাপ্তা ৩) বিপত্মীক ৪) পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন

(চ) জন্ম তারিখ/আনুমানিক জন্ম তারিখ :

(ছ) সনাক্তকরণ চিহ্ন :

(জ) মুক্তিযোদ্ধা কিনা :

------------------------------

(ওয়ার্ড সদস্য/সদস্যা/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান)



২। আমার শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে বয়স্ক ভাতা গ্রহনের জন্য স্বশরীরে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমার বয়স্ক ভাতা গ্রহনের জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দান করিলাম।



নাম ও ঠিকানা সম্পর্কে মনোনীত ব্যক্তির নমুনা স্বাক্ষর বয়স্ক ভাতাভোগীর প্রতিস্বাক্ষর/টিপসহি



আপনার অনুগত



তারিখ : আবেদনকারীর স্বাক্ষর :

আবেদনকারীর নাম :

নমুনা স্বাক্ষর/টিপসহি :

















































প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রম

প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বলতে অসুখে, দুর্ঘটনায়, চিকিত্সা ত্রুটি বা জন্মগতভাবে যদি কোন ব্যক্তির শারীরিক বা মানসিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার মাধ্যমে কর্মক্ষমতা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে লোপ পায় অথবা তুলনামূলকভাবে কম হয় তা হলে সেই ব্যক্তিকে বুঝায়। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ প্রতিবন্ধী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫,১৭, ২০ এবং ২৯ অনুচ্ছেদে অন্যান্য নাগরিকদের সাথে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম-সুযোগ ও অধিকার প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার অর্থাত্ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুজনিত কিংবা বৈধব্য, পিতৃ-মাতৃহীন বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ পরিস্থিতিজনিত কারণে অভাবগ্রস্থতার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্য লাভের অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইনের তফসিলের 'ঝ' অংশে সামাজিক নিরাপত্তা সম্পর্কিত অধ্যায়ে বেকার, অসহায় ও বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ভাতা প্রবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অসচ্ছল দুস্থ প্রতিবন্ধীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও তাদের প্রতি প্রদত্ত সাংবিধানিক ও আইনগত প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে সারা দেশে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রম রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বর্তমানে ফকিরহাট উপজেলায় ২১০ জন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন।

বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ :

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ভাতা প্রদান কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। সারাদেশে সকল উপজেলা এবং শহর এলাকার পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় বসবাসকারী অচল, অক্ষম ও দুঃস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ ভাতা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হয়ে থাকে।

কর্মকৌশল :

• সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ এবং তার মাধ্যমে প্রকৃত সংখ্যা ও প্রতিবন্ধীদের ধরণ নিরূপণ করা;

• প্রতিবন্ধীদের মধ্যে অসচ্ছল, অসহায় এবং দূর্বল অংশের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন করা;



প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী :

• বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;

• মাথাপিছু বার্ষিক আয় ২৪০০০/- (চব্বিশ হাজার) টাকার উর্ধ্বে নয় এমন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ;

• ভাতা প্রাপককে অবশ্যই দুঃস্থ প্রতিবন্ধী হতে হবে;

• সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা হতে হবে;

• ৬ বত্সারের উর্দ্ধে সকল ধরনের প্রতিবন্ধী;

• বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।

• গরীব ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু ও সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

অযোগ্যতা

• যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বয়স্কভাতা বা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ভাতা পেয়ে থাকেন;

• অবসরপ্রাপ্ত কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যদি পেনশন পান।

প্রার্থী বাছাইয়ের মানদন্ড :

• ভাতা প্রাপক-কে অবশ্যই বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইনের সংজ্ঞানুযায়ী প্রতিবন্ধী হতে হবে;

• ভাতা প্রাপকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বাছাইকালে বিবেচনায় আনতে হবে;

• ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে বৃদ্ধ/বৃদ্ধা প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে;

• ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিবন্ধীগণ ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার লাভ করবে।

প্রতিবন্ধী ভাতার কমিটি ও কর্মপরিধি:

উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি :

১. উপজেলা নির্বাহী অফিসার ................................................ সভাপতি

২. উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ............................. সদস্য

৩. ব্যাংক ম্যানেজার (যে ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ করা হবে) .......... সদস্য

৪. ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ ষ্টেশন ............................................. সদস্য

৫. উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ........................................... সদস্য

৬. সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা কমিশনার ................. সদস্য

৭. উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ...................................... সদস্য

৮. স্থানীয় সমাজকর্মী- ১ জন .................................................. সদস্য

(উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত)

৯. মহিলা সমাজকর্মী -১ জন ................................................... সদস্য

(উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত)

১০. উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা .............................................. সদস্য

উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির কর্মপরিধি :

• প্রার্থী নির্বাচন

• প্রার্থীদের ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ

• কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা

• স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভূদ্ধ সমস্যা নিরসন

• কার্যক্রম বাস্তবায়ন তদারকি, পরিদর্শন

• কার্যক্রম মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ

• উচ্চতর কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও উচ্চতর কমিটির নিকট সুপারিশ প্রেরণ

• উপজেলা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি প্রতি ৩ মাস অন্তর সভায় মিলিত হবে

ভাতা প্রদান পদ্ধতি :

• প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতা প্রদান বাবদ বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সমান ২ (দুই) কিস্তিতে অবমুক্ত করে সোনালী ব্যাংকে ন্যাস্ত করা হবে।

• উপজেলা সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা পরিশোধ করা হবে। উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের কোন শাখা না থাকলে অন্য কোন তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা পরিশোধ করা হবে।

• পেনশনারদের পিপিও এর ন্যায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা পরিশোধের বই (পাশ বই) থাকবে। এই বইয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য/কমিশনার/ প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা/সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা কর্তৃক ভাতা প্রাপকের সত্যায়িত ছবি থাকবে। প্রতিটি বইয়ে পৃথক নম্বর সন্নিবেশিত থাকবে। প্রার্থী তালিকা অনুমোদিত হওয়ার পর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক/প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ভাতা প্রাপকের নামের এ বই ইস্যু করবেন। এই বই ইস্যুর পর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাসিক ভাতা পরিশোধের জন্য স্থানীয় সোনালী ব্যাংক/অন্যান্য ব্যাংকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবিসহ ডি-হাফ প্রেরণ করবেন। তাতা প্রাপকগণ কোন কারণে পাশ বই হারিয়ে বা নষ্ট করে ফেললে স্থানীয় বাস্তবায়ন কমিটি বিষয়টি যাচাই বাছাইপূর্বক ডুপ্লিকেট পাশবই ইস্যু করার জন্য সুপারিশ করবে।

• হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিসে ভাতা প্রাপকের নাম, ঠিকানা, ছবি ও নমুনা স্বাক্ষরসম্বলিত রেজিষ্টার সংরক্ষণ করতে হবে।

• অক্ষমতাজনিত কারণে অথবা অন্য কোন সঙ্গত কারনে কেহ ভাতা গ্রহণে অসমর্থ হলে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য/প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ছবিসহ ভাতাভোগী কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন। ভাতাভোগী জীবিত আছেন মর্মে ভাতা গ্রহণের সময় বর্ণিত কর্মকর্তাদের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

• কোন ভাতা গ্রহীতা মৃত্যুবরণ করলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড সদস্য কর্তৃক মৃত্যু সম্পর্কিত সনদপত্র প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। উপ-পরিচালক/সমাজসেবা কর্মকর্তা ভাতা গ্রহীতার মৃত্যু সম্পর্কিত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ ও কার্যালয়কে অবহিত করবেন।

• এ ভাতা মাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হবে। তবে কেহ এককালীন ভাতা উত্তোলন করতে চাইলে তিনি নির্ধারিত সময়ের শেষে ভাতা উত্তোলন করবেন।

• উপজেলা, জেলা, শহরাঞ্চলসহ সকল ক্ষেত্রে ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ পরিপত্রের মাধ্যমে জানানো হবে এবং বর্ণিত সংখ্যক ব্যক্তিকে ভাতা প্রদানের জন্য নির্বাচন করতে হবে।



বিঃদ্রঃ সরকার নীতিমালার সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন এর ক্ষমতা সংরক্ষণ করে

প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী :

বেতাগা শুভদিয়া নখপুর পিলজংগ ফকিরহাট মূলঘর নলধা মৌভাগ বাহিরদিয়া মানসা মোট

২২ ২৩ ২৮ ২৬ ৩৮ ২৫ ২৫ ২৩ ২১০





অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন পত্র

প্রথম অংশ

(আবেদনকারীর নিজে পূরণ ও স্বাক্ষর করিবেন অথবা কাহারো দ্বারা পূরণ করিয়া নিজে স্বাক্ষর ও টিপসই দিবেন)

বরাবর,

----------------------

----------------------

----------------------

বিষয়ঃ অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা মঞ্জুরীর জন্য আবেদন। ছবি

মহোদয়,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমি একজন.................... প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। আমার বয়স ................ বত্সর। আমি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্ধকৃত ভাতা প্রাপ্তির আবেদন করছি। আমার তথ্যাবলী নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ



১. নাম :

২. পিতা/স্বামীর নাম :.....................................৩.মাতার নাম .........................................



৪. ঠিকানা :

বর্তমান:.......................

.........................

......................... স্থায়ী: .......................

...........................

..........................

৫. বার্ষিক গড় আয়:

৬. স্বাস্থ্যগত অবস্থা : ক. চলাচলে সক্ষম খ. চলাচল অক্ষম

৭. প্রতিবন্ধীত্বের ধরন : ......................................................................................

৮. আর্থ সামাজিক অবস্থা :

(ক) জমিজমার পরিমান : ...........................................

(খ) বিবাহিত/অবিবাহিত : ..........................................

(গ) ছেলে-মেয়ের সংখ্যা : ..........................................

(ঘ) আবেদনকারীর স্বাক্ষর : ........................................

(ঙ) সনাক্তকারীর স্বাক্ষর : ..........................................

সুপারিশ : আবেদনকারীর বর্ণনা সত্য। তিনি ভাতা প্রাপ্তির যোগ্য/অযোগ্য। তাকে ভাতা প্রদান করা যেতে পারে/পারে না।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য/চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের কমিশনারের স্বাক্ষর







বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা কার্যক্রম

গ্রাম অঞ্চলের বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের দারিদ্র ও অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ-দূর্দশা লাঘব করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সাল থেকে এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত করে আসছে। প্রতিজনকে ১০০/- (একশত) টাকা হারে ভাতা বিতরণের মাধ্যমে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে ভাতা প্রদান কর্মসূচী নিয়মিত ইউনিয়নের মাধ্যমে পরিচালনার ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, বর্তমানে সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় এর স্থলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের দ্বায়িত্বভার হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ফকিরহাট উপজেলায় ১০৪৫ জন বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা পাচ্ছেন।



বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ :

১. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে ভাতা প্রদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। এ বাস্তবায়ন কাজ উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে সম্পাদিত।

২. বয়স্ক ভাতা প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রীসভা কমিটি কাজ করছে। এ কমিটি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে ভাতা বিতরণ কর্মসূচী ও সার্বিক তত্ত্বাবধান, মূল্যায়ন এবং এ সংক্রান্ত বাজেট নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করবে।

৩. মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্থানীয় পযায়ে গঠিত কমিটির সাথে পরামর্শ করে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাদের ভাতা প্রদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে।

বাস্তবায়নের কর্মকৌশল :

১. সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের সম্বন্ধে তথ্য এবং তার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণ।

২. বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের মধ্যে অসচ্ছল, অসহায় এবং দূর্বল অংশের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন।

চিহ্নিতকরণের মানদন্ড :

১. বিধবা বলতে তাদেরকেই বুঝানো হবে যাদের স্বামী মৃত।

২. স্বামী পরিত্যক্তা বলতে তাদেরকেই বুঝানো হবে যারা স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত বা অন্য যে কোন কারণে দু'বছর যাবত্ স্বামীর সংগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বা একত্রে বসবাস করেন না।

যোগ্যতা :

১.সর্বোচ্চ বয়স্ক অসহায় ও দুঃস্থ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

২. যিনি দুঃস্থ, অসহায়, প্রায় ভূমিহীন, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা যার ১৬ বছর বয়সের নীচে ২টি সন্তান রয়েছে তিনি ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

৩. দুঃস্থ, দরিদ্র, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তদের মধ্যে যাঁরা প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ তাঁরা ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

৪. যাঁর বার্ষিক গত আয় ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা বা তার নীচে।

ভাতা প্রাপ্তি অযোগ্যতা :

• যিনি সরকারী বা বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী।

• যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশনের সুবিধা পেয়ে থাকেন।

• যিনি দুঃস্থ মহিলা হিসেবে ভিজিডি কার্ডধারী।

• যিনি অন্য কোনভাবে নিয়মিত সরকারী অনুদান পেয়ে থাকেন।

• যিনি কোন বেসরকারী সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিত আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন।

• যিনি শহর ও পৌর এলাকার বাসিন্দা।

• যিনি পেশাগত ক্ষেত্রে দিনমজুর, গৃহপরিচালিকা (ঝি) এবং ভবঘুরে।

• যিনি বয়স্ক ভাতা গ্রহীতা

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি :

১. ওয়ার্ড কমিটি, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদানের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে স্থায়ীভাবে সর্বসাধারণকে যথাযথভাবে অবহিত করবেন।

২. বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা গ্রহণে আগ্রহী আবেদনকারীগণ নির্ধারিত ছকে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি/সদস্য-সচিব বরাবর আবেদন পত্র পেশ করবেন (ফরম-১) ।

৩. বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা প্রদানের জন্যে প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।

ওয়ার্ড কমিটি :

১. সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড হতে নির্বাচিত মহিলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সভাপতি

২. সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নির্বাচিত পুরুষ সদস্য সহ সভাপতি

৩. দুইজন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি (একজন পুরুষ ও একজন মহিলা) (কমিটির প্রথম সভায় এরূপ দু'জনকে কো-অপট করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানাবে)। সদস্য

৪. ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সদস্য সচিব

বিঃদ্রঃ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে এমন ইউনিয়নে, ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্নোক্তভাবে কমিটি গঠিত হবে।

১. উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সভাপতি

২. ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সদস্য

৩. সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দুইজন গন্যমান্য ব্যক্তি (১ জন পুরুষ + ১ জন মহিলা) সচিব

৪. সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউনিয়ন সমাজকর্মী সদস্য সচিব



ওয়ার্ড কমিটির কর্মপরিধি :

• বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা প্রদানের জন্য প্রণীত নীতিমালার আলোকে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করবে।

• চূড়ান্ত অনুমোদনের লক্ষ্যে প্রণীত তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটির নিকট পেশ করবে।

• প্রাথমিক ভাবে প্রার্থীবাছাই সংক্রান্ত অভিযোগের নিস্পত্তি করবে। তবে আপীলের প্রশ্ন দেখা দিলে তা উপজেলা কমিটিতে নিস্পত্তির জন্য প্রেরণ করবে।

উপজেলা কমিটি :

১. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ...................................................................... সভাপতি

২. সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ........................................... সদস্য

৩. উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তি (২ জন) ............................................................. সদস্য

(কমিটি প্রথম সভায় এরূপ দু'জনকে কো-অপট করে এবং সংশ্লিষ্ট জেলার উপ-

পরিচালক, জেলা সমাজসেবা অফিসারকে জানাবে)।

৪. উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা .............................................................. সদস্য সচিব



উপজেলা কমিটির কর্মপরিধি :

• ওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত প্রার্থী তালিকা বাছাই করবে।

• ভাতা প্রদানের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত অনুমোদন করবে।

• ভাতা প্রদান কার্যক্রম তদারকিকরণসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় আপীল অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে।

ওয়ার্ড কমিটি ও উপজেলা কমিটির গণ্যমান্য ব্যক্তি

১. নেতৃস্থানীয় সমাজসেবা/সংগঠক

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান

৩. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান

৪. অবসরপ্রাপ্ত

বিঃদ্রঃ ওয়ার্ড কমিটির বেলায় এরূপ ব্যক্তি ওয়ার্ডের বাসিন্দা হতে হবে। উপজেলা কমিটি বেলায় এরূপ সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাসিন্দা হতে হবে।

ভাতাভোগীদের তথ্যাদি সংরক্ষণ পদ্ধতি :

• উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপজেলা কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত ভাতা প্রাপকদের তালিকা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ (ভাতা পরিশোধ বহি ও ছবি) ও অন্যান্য তথ্যাদি উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবেন;

• উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত ভাতা প্রাপকদের তালিকা সংরক্ষণ করবেন। কোন ভাতা প্রাপকের মৃত্যু হলে তাঁর স্থলে একই ওয়ার্ডের অপেক্ষামান তালিকা থেকে অগ্রাধিকার-ক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করবেন।

• ভাতা গ্রহণের জন্য নির্বাচিত বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন তবে তাঁর স্থলে অপেক্ষামান তালিকা থেকে যিনি নতুনভাবে উপজেলা কমিটি কর্তৃক গৃহীত হবেন, তিনি কমিটি কর্তৃক গৃহীত হবার মাস হতে ভাতা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

• ভাতা প্রাপকের মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হিসেবে কেউ ভাতা দাবী করতে পারবেন না।

ভাতা পরিশোধের পদ্ধতি :

১. বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের জন্য ভাতা প্রদান বাবদ বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সমান ০২ (দুই) কিস্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় অবমুক্ত করবে। অতঃপর সমাজসেবা অধিদপ্তর এ অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ন্যস্ত করবে।

২. তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে ভাতা পরিশোধ করা হবে। উপজেলা সদরের বাহিরে ইউনিয়ন পর্যায়ে তফসিলি ব্যাংক থাকলে তার মাধ্যমেও ভাতা পরিশোধ করা হবে;

৩. পেনশনারদের পিপিও এর ন্যায় বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা পরিশোধ বই (বাশ বই ফরম-২) নামে একটি বই থাকবে। এ বইয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর, প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা/ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ভাতা প্রাপকের সত্যায়িত ছবি (সত্যায়নকারীর সীলসহ) থাকবে। প্রতিটি পৃথক নম্বর থাকবে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হওয়ার পর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার সংশ্লিষ্ট গ্রহীতার মাসিক ভাতা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে সংশ্লিষ্ট গ্রহীতার ছবিসহ ডি-হাফ (ফরম-৩) প্রেরণ করবেন। বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা গ্রহীতাদের মধ্যে কেউ পাশ বই হারিয়ে বা নষ্ট করে ফেললে উপজেলা কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদন পত্রের বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করবেন। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে কমিটি পুনরায় একটি ডুপ্লিকেট পাশ বই ইস্যু করার জন্য উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে সুপারিশ করবে।

৪. উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা প্রাপকদের নাম, ছবি ও নমুনা-স্বাক্ষর সমেত একটি রেজিষ্টার সংরক্ষণ করবে।

৫. যদি শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে কিংবা পর্দানশীল হওয়ার কারণে কোন মহিলা ভাতা গ্রহণের জন্য স্বশরীরে উপস্থিত হতে না পারেন তা হলে তিনি অন্য কোন ব্যক্তিকে তার পক্ষে ভাতা গ্রহণের জন্য মনোনয়ন দান করবেন। মনোনীত ব্যক্তির পরিচয় পত্রে ওয়ার্ড মেম্বর/প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ছবি (সত্যায়নকারীর সীলসহ) থাকবে। মনোনীত ব্যক্তি ভাতা গ্রহণ করার সময় প্রতিবার সংশ্লিষ্ট প্রাপক জীবিত আছেন মর্মে স্থানীয় (ওয়ার্ড মেম্বার/চেয়ারম্যান) সনদ পত্র পেশ করবেন।

৬. বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা প্রতি মাসে প্রদান করা হবে। তবে কেউ ইচ্ছা করলে বছরে একবার বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতেও ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।

৭. কোন বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা গ্রহীতা মৃত্যুবরণ করলে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি/সচিব অবিলম্বে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জ্ঞাত করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে লিখিত আকারে অবহিত করবেন। এ সংবাদ জ্ঞাত করার সময় মৃত ব্যক্তির মৃত্যুজনিত একটি সার্ফিফিকেট সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ইস্যু করবেন (ফরম-৪)।

বেতাগা শুভদিয়া নখপুর পিলজংগ ফকিরহাট মূলঘর নলধা মৌভাগ বাহিরদিয়া মানসা মোট

১৩০ ১৩০ ১৩৫ ১৩০ ১৩০ ১৩০ ১৩০ ১৩০ ১০৪৫



বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন পত্র

প্রথম অংশ

(আবেদনকারীর নিজে পূরণ ও স্বাক্ষর করিবেন অথবা কাহারো দ্বারা পূরণ করিয়া নিজে স্বাক্ষর ও টিপসই দিবেন)

বরাবর,

----------------------

----------------------

----------------------

বিষয়ঃ বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা মঞ্জুরীর জন্য আবেদন। ছবি

মহোদয়,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমার বর্তমান বয়স .................... বত্সর। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত মাসিক ............. টাকা হারে বিধবা/স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা প্রাপ্তির জন্য আবেদন জানাইতেছি এবং এই সুত্রে নিম্নলিখিত তথ্যাদি আপনার সহানুভূতিশীল বিবেচনার জন্য পেশ করিতেছি।



(ক) নাম :



(খ) ঠিকানা :



বর্তমান: ................................ স্থায়ী : . .............................

................................. ...............................

.................................. ................................

................................. ...............................

.................................. ..............................

(গ) আবেদনকারীর বাত্স.রিক গড় আয় :

(ঘ) স্বাস্থ্যগত অবস্থা :

(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টিক চিহ্ন দিন) ১) সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন ২) অসুস্থ ৩) অপ্রকৃতিস্থ ৪) প্রতিবন্ধী ৫) আংশিক কর্মক্ষমতাহীন

(ঙ) আর্থ সামাজিক অবস্থা : (ক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টিক চিহ্ন দিন) ১) নিঃস্ব ২) উদ্বাস্তু ৩) ভূমিহীন ৪) প্রতিবন্ধী আংশিক কর্মক্ষমতাহীন

(খ) ১) বিধবা ২) স্বামী পরিত্যাক্তা ৩) স্বামী কর্তৃক পরিত্যাগের তাং

(চ) জন্ম তারিখ/আনুমানিক জন্ম তারিখ :

(ছ) সনাক্তকরণ চিহ্ন :

(জ) মুক্তিযোদ্ধা কিনা :



---------------------------------------------------

(ওয়ার্ড সদস্য/সদস্যা/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান)



২। আমার শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে বিধবা/স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা গ্রহনের জন্য স্বশরীরে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমার বিধবা/ স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা গ্রহনের জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দান করিলাম।



নাম ও ঠিকানা সম্পর্কে মনোনীত ব্যক্তির নমুনা স্বাক্ষর বিধবা/স্বামী পরিত্যাক্ত দুঃস্থ মহিলা ভাতাভোগীর প্রতিস্বাক্ষর/টিপসহি



আপনার অনুগত



তারিখ : আবেদনকারীর স্বাক্ষর :

আবেদনকারীর নাম :

নমুনা স্বাক্ষর/টিপসহি :









মুক্তিযোদ্ধা ভাতা কার্যক্রম

সরকার দেশের সকল উপজেলা, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ১লা জুলাই, ২০০০ তারিখ হতে আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে এই ভাতার পরিমান ছিল ৩০০ শত টাকা। পরবর্তীতে এই ভাতার পরিমান বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে দাড়িয়েছে ৭৫০ টাকায়। বর্তমানে ফকিরহাট উপজেলায় ৭৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন।



বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ :

• মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভাতা প্রদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ে কোন সংগঠন বা জনবল না থাকায় এ বাস্তবায়ন কার্যক্রম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সম্পাদিত হবে।

• বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে মাননীয় অর্থ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রীসভা কমিটি কাজ করছে। এ কমিটি অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভাতা বিতরণ কর্মসূচী সার্বিক তত্ত্বাবধান, মূল্যায়ন এবং এ সংক্রান্ত বাজেট নির্ধারণের দ্বায়িত্ব পালন করবে।

• মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপজেলা পর্যায়ে ভাতা বিতরণ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি এবং সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভুক্ত থানাসমূহে ভাতা বিতরণ সংক্রান্ত কমিটির সাথে পরামর্শ করে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভাতা প্রদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে।

বাস্তবায়নের কর্মকৌশল :

• সংশ্লিষ্ট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তিদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ এবং তার মাধ্যমে প্রকৃত সংখ্যা নিরুপন।

• মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অসচ্ছল, অসহায় এবং দুর্বল অংশের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন।



মুক্তিযোদ্ধা/অসহায় মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিতকরণের মানদণ্ড :

মুক্তিযোদ্ধা :

• মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত সাময়িক সনদপত্রধারী। অথবা

• এ পর্যন্ত জাতীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত চারটি তালিকার মধ্যে যাদের নাম কমপক্ষে দুইটি তালিকায় অর্ন্তভূক্ত আছে; অথবা

• সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বাংলাদেশ রাইফেলস হতে প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যাদের নাম অর্ন্তভূক্ত আছে; অথবা

• পরবর্তী যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে যাদের নাম গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে।

অসহায় মুক্তিযোদ্ধা :

• অসহায় মুক্তিযোদ্ধা যার বার্ষিক আয় মোটামুটি ১২,০০০/- টাকার উর্দ্ধে নয়।

• কর্মক্ষম নন বা আংশিক কর্মক্ষম/ভূমিহীন/কর্মহীন/সহায় সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধা।

অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা অগ্রাধিকার পাবেন :

• সর্বোচ্চ বয়স্ক।

• যদি তিনি বয়স্ক ভাতা/বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতাভোগী হন, তবে তিনি অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেলে ভাতা প্রাপ্তির মাস হতে আর বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা দুঃস্থ মহিলা ভাতা পাবেন না।

• যিনি ভূমিহীন অর্থাত্ জমি ও বাস্তুভিটাহীন।

• বসত বাড়ী আছে কিন্তু আবাদি জমি নেই।

• যার পরিবারে উপার্জনক্ষম কোন ব্যক্তি নেই।

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি :

যোগ্যতা :

• মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপকদের বর্তমান তালিকা সংশ্লিষ্ট থাকা কমিটি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জেলা কমিটি) কর্তৃক পর্যালোচনা করে যারা সচ্ছল বা অমুক্তিযোদ্ধা তাদের নাম তালিকা হতে বাদ যাবে।

• সমসংখ্যক যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন করে উভয় ক্ষেত্রে জেলা কমিটির চুড়ান্ত অনুমোদনক্রমে তা উপজেলা কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।

• জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভুক্ত থানাসমূহের ভাতা বিতরণের জন্য কমিটি অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানের জন্য ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে দরখাস্ত আহবান করবেন। এ ব্যাপারে বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড কাউন্সিল/পৌরসভা চেয়ারম্যান/মেম্বার এবং স্থানীয় বিদ্যালয়/মাদ্রাসাসমূহের প্রধানসহ অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগণকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানাতে হবে।

• অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীগণ নির্ধারিত ছকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা কমিটির সদস্য-সচিব বরাবরে আবেদনপত্র পেশ করবেন। (ফরম-১)

• অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে একটি ও জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি থাকবে।

ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা :

• যিনি সরকারী বা অসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী।

• গ্র্যচুইটি বা পেনশনের সুবিধাসহ যার বার্ষিক আয় ১২,০০০/- টাকার উর্দ্ধে।

• যিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট/বেসরকারী সংস্থা হতে নিয়মিত আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন।

ভাতা বিতরণ কমিটি :

উপজেলা কমিটি:

• উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ............................................................................ সভাপতি

• পৌরসভার চেয়ারম্যান/প্রতিনিধি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) .................................................... সদস্য

• উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর ২ (দুই) জন প্রতিনিধি............................................... সদস্য

• উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা ....................................................................... সদস্য

• ব্যাংক ম্যানেজার (সোনালী/জনতা/অগ্রণী/রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক/বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদর) ........ সদস্য

• সংশ্লিষ্ট উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ................................................... সদস্য

• গণ্যমান্য ব্যক্তি ২ জন (১ জন পুরুষ+১ জন মহিলা) .................................................. সদস্য

(সংশ্লিষ্ট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী/চীফ হুইপ/প্রতিমন্ত্রী/হুইপ/উপ-মন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত)

• উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ........................................................................... সদস্য



উপজেলা পর্যায়ে ভাতা বিতরণ সংক্রান্ত কমিটির কর্মপরিধি :

• উপজেলা এলাকার অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানের জন্য নীতিমালা আলোকে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করে তালিকা প্রণয়ণ করবে।

• অনুমোদনের জন্য প্রণীত তালিকা জেলা কমিটির নিকট প্রেরণ করবে।

• প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে। তবে আপীলের প্রশ্ন দেখা দিলে তা নিষ্পত্তির জন্য জেলা কমিটিতে প্রেরণ করবে এবং জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

ভাতা পরিশোধের পদ্ধতি :

• কোন উপজেলায় নির্ধারিত সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট জেলার অন্য কোন উপজেলার যোগ্য প্রার্থী দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করা যাবে। এ বিষয়ে জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

• উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, ভাতা প্রদান সংক্রান্ত কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত ভাতা প্রাপকদের তালিকা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ (ভাতা পরিশোধ বহি ও ছবি) ও অন্যান্য তথ্যাদি উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবে।

• উপজেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে প্রণীত ভাতা প্রাপকের তালিকা সংরক্ষণ করবে।

• অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান বাবদ বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সমান দু'কিস্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় অবমুক্ত করবে। অতঃপর সমাজসেবা অধিদপ্তর ঐ অর্থ সোনালী/জনতা/ অগ্রণী/রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক/কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ন্যাস্ত করবে।

• উপজেলায় অবস্থিত সোনালী/জনতা/অগ্রণী/রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক/বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে এ ভাতা পরিশোধ করা হবে।

• পেনশনারদের পিপিও এর ন্যায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পরিশোধ বই (পাশবই ফরম ২+৩) নামে একটি বই থাকবে। এ বইয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর/গেজেটেড কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ভাতা প্রাপকের সত্যায়িত ছবি (সত্যায়নকারীর সীলসহ) থাকবে। প্রতিটি বইয়ে পৃথক নম্বর থাকবে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হওয়ার পর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ভাতা প্রাপকের নামে একটি বই ইস্যু করবে। এ বই ইস্যু করার পর জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ভাতা গ্রহীতার ছবিসহ ডি হাফ (ফরম-৩) প্রেরণ করবে। অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহীতাদের মধ্যে কেহ পাশ বই হারিয়ে বা নষ্ট করে ফেললে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটি আবেদনপত্রের ভিত্তিতে বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করবে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে কমিটি পুনরায় একটি ডুপ্লিকেট পাশ বই ইস্যু করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে সুপারিশ করবে এবং জেলা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবে।

• উপজেলার ক্ষেত্রে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপকদের নাম, ছবি ও নমুনা স্বাক্ষরসমেত একটি রেজিষ্টার সংরক্ষণ করবে। যদি শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে কিংবা পর্দানশীল হবার কারণে কোন ভাতাভোগী ভাতা গ্রহণের জন্য স্বশরীরে উপস্থিত হতে না পারেন, তাহলে তিনি অন্য কোন ব্যক্তিকে তাঁর পক্ষে গ্রহণের জন্য মনোনীত করতে পারবেন। মনোনীত ব্যক্তির পরিচয়পত্রে ওয়ার্ড মেম্বর/গেজেটেড কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ছবি (সত্যায়নকারীর সীলসহ) থাকবে। মনোনীত ব্যক্তি ভাতা গ্রহণ করার সময় প্রতিবার সংশ্লিষ্ট ভাতাভোগী জীবিত আছেন মর্মে স্থানীয় প্রতিনিধি ওয়ার্ড মেম্বার চেয়ারম্যান এর সনদপত্র পেশ করবে।

• মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রতি মাসে প্রদান করা হবে। তবে কেহ ইচ্ছা করলে একত্রে একাধিক মাসের বকেয়া ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।

• অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহীতা মৃত্যুবরণ করলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা এলাকার কমিটির সভাপতি/সদস্য-সচিব অবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে জ্ঞাত করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জ্ঞাত করবে। মৃত ব্যক্তির মৃত্যুজনিত একটি সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটির সভাপতি/সদস্য-সচিব ইস্যু করবে। (ফরম-৪) সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভুক্ত থানাসমূহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনের এলাকাভুক্ত থানাসমূহে ভাতা বিতরণ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি/সদস্য-সচিব অবিলম্বে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে জ্ঞাত করে জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করবে। মৃত ব্যক্তির মুত্যুজনিত একটি সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সদস্য-সচিব ইস্যু করবে (ফরম-৪)।

অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা মঞ্জুরীর আবেদন পত্র

প্রথম অংশ

(আবেদনকারীর নিজে পূরণ ও স্বাক্ষর করিবেন অথবা কাহারো দ্বারা পূরণ করিয়া নিজে স্বাক্ষর ও টিপসই দিবেন)

বরাবর,

উপরিচালক

জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও

সদস্য সচিব, উপজেলা ভাতা বিতরন সংক্রান্ত কমিটি

উপজেলা -----------------

জেলা ---------------------- ছবি

বিষয়ঃ অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা মঞ্জুরীর জন্য আবেদন।



মহোদয়,

বিনীত নিবেদন এই যে, আমার বর্তমান বয়স .................... বত্সর। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত মাসিক ................... টাকা হারে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তির জন্য আবেদন জানাইতেছি এবং এই সুত্রে নিম্নলিখিত তথ্যাদি আপনার সহানুভূতিশীল বিবেচনার জন্য পেশ করিতেছি।

(ক) নাম :

(খ) ঠিকানা :

বর্তমান: ................................ . .. স্থায়ী: ................................

................................. .................................

.................................. ................................

(গ) আবেদনকারীর বাত্স.রিক গড় আয় :

(এর সাপেক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড সদস্য/কমিশনারের সার্টিফিকেট সংযোজন করিতে হবে)

(ঘ) স্বাস্থ্যগত অবস্থা :

(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টিক চিহ্ন দিন) ১) দুর্বল ২) আংশিক কর্মক্ষম ৩) কর্মক্ষম নহে

(ঙ) আর্থ সামাজিক অবস্থা : (ক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টিক চিহ্ন দিন) ১) ভূমিহীন ২) বাস্তুভিটাহীন ৩) পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তিহীন ৪) কর্মহীন

(খ) ১) বয়স্ক ভাতাভোগী ২) বিধবা/স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা ভোগ ৩) মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের ভাতা ভোগী ৪) বেসরকারী সংস্থার ভাতা ভোগী

(চ) জন্ম তারিখ/আনুমানিক জন্ম তারিখ :

(ছ) সনাক্তকরণ চিহ্ন :

(জ) মুক্তিযোদ্ধার সমর্থনে সনদপত্রের অনুলিপি সংযুক্ত করিতে হইবে:

(ঝ) পৌরসভা/ইউনিয়ন/সিটিকর্পোরেশনের বাসিন্দা হিসাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড সদস্য/কমিশনারের নিকট থেকে স্থায়ী বাসিন্দার প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করিতে হবে:

(ঞ) উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় অবস্থিত: সোনালী/জনতা/অগ্রণী/রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক/বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কোন শাখা হতে ভাতা উত্তোলনে আগ্রহী।

২। আমার শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহনের জন্য স্বশরীরে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমার অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহনের জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দান করিলাম।

নাম ও ঠিকানা সম্পর্কে মনোনীত ব্যক্তির নমুনা স্বাক্ষর বিধবা/স্বামী পরিত্যাক্ত দুঃস্থ মহিলা ভাতাভোগীর প্রতিস্বাক্ষর/টিপসহি



আপনার বিশ্বস্ত

তারিখ : আবেদনকারীর স্বাক্ষর :

আবেদনকারীর নাম :

নমুনা স্বাক্ষর/টিপসহি :







ভিজিডি কার্যক্রম

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশের পল্লী এলাকায় বসবাসরত অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র পীড়িত। গ্রামের দরিদ্র, অসহায় ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিশেষ করে মহিলাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ও করুণ। তাই ঐ সমস্ত অসচ্ছল গরীব মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার ভিজিডি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গরীব মহিলাদের খাদ্য ও প্রশিক্ষণ সহযোগীতা প্রদান করা হয় যেটা চক্রানুসারে চলে। এক চক্রের মেয়াদ ২৪ মাস বা দুই বত্সর। এই কর্মসূচীর আওতায় সাধারণত চাল ও গম সাহায্য হিসাবে দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে ফকিরহাট উপজেলায় ৫৫০ জন ভিজিডি সেবা পাচ্ছেন।

বাস্তবায়নের কর্মকৌশল :

১. সংশ্লিষ্ট এলাকায় গরীব ও দুঃস্থ মহিলাদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ এবং তার মাধ্যমে প্রকৃত সংখ্যা নিরূপন

২. গরীব ও দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে অসচ্ছল, অসহায় এবং দুর্বল অংশের অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন



ভিজিডি কার্ডধারী মহিলা বাছাইয়ের শর্তাবলী :

ভিজিডি কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে কমপক্ষে ৪টি শর্ত পূরণ করতে হবে, তবে, ভূমিহীন যেসব পরিবারের প্রধান মহিলা এবং কোন আয়ের উত্সম নেই সেইসব পরিবার অগ্রাধিকার পাবে।

অর্ন্তভুক্তির শর্তাবলী

১. অতিমাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তাহীন অর্থাত্ যে পরিবারের সদস্যরা প্রায় খাদ্যের অভাবে প্রতিদিন কোন না কোন বেলায় খাবার খেতে পারে না।

২. প্রকৃত অর্থে ভূমিহীন অর্থাত্ যাদের কোন জমি নেই অথবা ০.১৫ একরের কম জমির মালিক। এক্ষেত্রে, ভূমিহীন পরিবার অগ্রাধিকার পাবে।

৩. বসত বাড়ির অবস্থা (ঘরের ছাউনি, বেড়া, দরজা, খুঁটি ও পয়ঃনিষ্কাশন) খুবই নিম্ন মানের।

৪. যে সব পরিবার দৈনিক অথবা অনিয়মিত দিন মজুর হিসাবে অতি সামান্য জীবিকা নির্বাহ করে এবং সুনির্দিষ্ট কোন আয়ের উত্সক নেই।

৫. পরিবার প্রধান মহিলা এবং কোন উপার্জনক্ষম পুরুষ সদস্য অথবা অন্য কোন আয়ের উত্সক নেই।



অন্তর্ভুক্ত না করার শর্তাবলী :

উপরোক্ত যে কোন চারটি শর্ত পূরণ করলেও নিম্নোক্ত যে কোন একটি শর্ত বর্তমান থাকলে বিজিডি কার্ড পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন:

১. মহিলা যিনি নির্ধারিত বয়সের অন্তর্ভুক্ত নন (১৮ থেকে ৪৯ বছর)।

২. মহিলা যিনি অন্য কোন খাদ্য বা অর্থ প্রদানকারী কর্মসূচী/প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত সদস্যা।

৩. মহিলা যিনি ২০০৩-২০০৬ সনের মধ্যে যে কোন চক্রে ভিজিডি কার্ডধারী ছিলেন।

৪. একটি পরিবারে কেবল একটি ভিজিডি কার্ড পাবে।

৫. নির্বাচিত মহিলাগণ বিনা শর্তে এবং বিনা মূল্যে ভিজিডি কার্ড পাওয়ার অধিকারী।

৬. কোন অবস্থাতেই তারা কোন সেবা প্রদানে বা মূল্য প্রদানে বাধ্য নহে।



বাস্তবায়ন নির্দেশিকা (সেপ্টেম্বর ২০০২) অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি, সহযোগী এনজিও এবং ইউনিয়ন সদস্য/সদস্যা প্রদত্ত ভিজিডি মহিলার প্রাথমিক তালিকা পর্যালোচনা করবেন।



ভিজিডি কমিটি :

ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি:

১. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান .....................................................................সভাপতি

২.ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য (তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্যসহ) ........................... সদস্য/বৃন্দ

৩. ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (পরিবার কল্যাণ সহকারী/পরিদর্শক) ........................ সদস্য

৪. সহযোগী বেসরকারী সংস্থার (NGO) প্রতিনিধি (মহিলা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত) ......................... সদস্য

৫. একজন সরকারি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক (মহিলা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত) ..................................... সদস্য

৬. ইউনিয়ন ব্লক সুপার ভাইজার (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) ......................................... সদস্য

৭. ইউনিয়ন পশু সম্পদ সহকারী .......................................................................... সদস্য

৮. ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী ............................................................................... সদস্য

৯. কমিউনিটি নিউট্রিশন অর্গানাইজার (যেখানে প্রযোজ্য) ............................................... সদস্য

১০. কমিউনিটি নিউট্রিশন প্রমোটার (যেখানে প্রযোজ্য) .................................................. সদস্য

১১. তিনটি ওয়ার্ড হতে চলমান ভিজিডি খাদ্য চক্রের তিনজন ভিজিডি মহিলা ........................... সদস্য

১২. ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ..................................................................... সদস্য-সচিব



বিঃদ্রঃ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যদি কোন কারণে অপসারিত হন বা পদত্যাগ করেন অথবা দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাত্ক্ষনণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভিজিডি কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করার জন্য একজন বিকল্প ব্যক্তির (ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/সদস্যা) মনোনয়ন প্রদান করবেন।

উপজেলা ভিজিডি কমিটি :

১. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা .............................................................................. সভাপতি

২. উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা ...................................................................... সদস্য

৩. উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক .................................................................................. সদস্য

৪. উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ............................................................................. সদস্য

৫. উপজেলা মত্স্যপ কর্মকর্তা ................................................................................. সদস্য

৬. উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ................................................................................. সদস্য

৭. উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ................................................................................ সদস্য

৮. উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ............................................................................ সদস্য

৯. উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ............................................................................ সদস্য

১০. উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা .......................................................... সদস্য

১১. উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ........................................................................... সদস্য

১২. উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা/উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ............................................. সদস্য

১৩. সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ................................................................... সদস্য

১৪. প্রত্যেক সহযোগী বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) প্রতিনিধি .................................................. সদস্য

১৫. উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ................................................................. সদস্য সচিব

১৬. কমিউনিটি নিউট্রেশন অর্গানাইজার (যেখানে প্রযোজ্য) .................................................. সদস্য



উপজেলা ভিজিডি কমিটির দায়িত্বাবলী :

১. বিধি মোতাবেক ভিজিডি মহিলাদের নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং এ নির্বাচন সরেজমিনে যাচাই করা। এই যাচাই ও পর্যাবেক্ষণ কাজটি যৌথভাবে UWAO/PIO এবং এনজিও প্রতিনিধি সস্পন্ন করবেন। এনজিও প্রতিনিধিকে সক্রিয়ভাবে সার্বিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

২. আনুপাতিক খাদ্য নিরাপত্তাহীন, দরিদ্রতা ও দুর্দশাগ্রস্থ জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ করবেন।

৩. ভিজিডি মহিলা নির্বাচনে এনজিওদের সাথে সমন্বয় ও সহযোগীতা করবেন।

৪. উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচনী শর্তাবলী অনুযায়ী ভিজিডি মহিলার তালিকা তৈরী করার জন্য উপজেলার যে কোন সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে পারবেন, যদিঃ

• ভিজিডি মহিলা বাছাই এর শর্তাবলী প্রয়োগ না করা হয়।

• ভিজিডি মহিলা প্রক্রিয়া ও নির্দেশনাসমূহ পালন না করা হয়।

• মহিলা সদস্যগণ তাদের দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্থ হয় অর্থাত্ ৫০% ভিজিডি মহিলার তালিকা প্রণয়ণে বাধাগ্রস্থ হয়।

৫. তালিকা প্রণয়নের সময় এমনভাবে মহিলাদের বাছাই করতে হবে যাতে তাদেরকে নিয়ে দল গঠনে সুবিধা হয় অর্থাত্ অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে নূন্যতম দুরত্বে বসবাসকারী অধিক সংখ্যক মহিলাকে নির্বাচন করতে হবে।

৬. ভিজিডি মহিলারা তাদের কার্ড সেবা বা অর্থের বিনিময়ে যেন না পায় সেটা নিশ্চিত করা।

বাছাই প্রক্রিয়া :

(ক) ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি বাছাই-এর শর্তাবলী, প্রক্রিয়া এবং নির্দেশনাসমূহ ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ড/গ্রাম পর্যায়ে অবহিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি ৩ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট ক্ষুদ্র দল এর মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ড/গ্রামে সকল গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে জনসভার মাধ্যমে ভিজিডি মহিলা বাছাই প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে অবহিত করবে। এই জনসভায় উপস্থিত সকলকে ভিজিডি কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য উপযুক্ত হবার শর্তাবলী বিশেষভাবে অবহিত করা হবে (উপস্থিত সকলের মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ করা হবে)। এই জনসভার মাধ্যমে সম্ভাব্য মহিলা এবং তাদের অবস্থান সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা অর্জন সম্ভব হবে। এই ক্ষুদ্র দলের সদস্যগণ হবেন-সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পুরুষ ও মহিলা সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ভিজিডি এনজিও-এর প্রতিনিধি। যেসব এলাকায় ২০০৬ সালে কোন ভিজিডি এনজিও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেই, সেসব এলাকায় স্থায়ী অধিবাসীদের মধ্য থেকে সম্মানিত ব্যক্তি (শিক্ষক/সমাজ উন্নয়ন কর্মী) অথবা ভিজিডি দলনেত্রী/পল্লী সমাজ নেত্রীদের (যে সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ক্ষুদ্র দলের সদস্য হিসাবে গ্রহণ করা যাবে।

(খ) ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/সদস্যাগণ ৩০শে নভেম্বর ২০০৬ এর মধ্যে সহযোগী এনজিওদের সক্রিয় সহযোগীতায় সম্ভাব্য মহিলাদের বাড়ি পরিদর্শন করে ভিজিডি কর্মসূচীর যোগ্য মহিলাদের প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করবেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, সংরক্ষিত আসনের ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্যগণ ৫০% ভিজিডি মহিলার তালিকা প্রণয়ন করবেন এবং অবশিষ্ট ৫০% মহিলার তালিকা ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য/সদস্যাগণ সংযুক্ত ছক-১ অনুযায়ী তৈরী করবেন। ছক-১ যৌথভাবে স্বাক্ষরিত হবে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সহযোগী এনজিও দ্বারা। যেসব এলাকায় কোন ভিজিডি এনজিও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেই, সেসব এনজিওর পরিবর্তে ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এই তালিকা তৈরী করতে কাজ করবে। উক্ত স্মারণীতে তালিকাভুক্ত ভিজিডি মহিলাদের মধ্যে অন্তত ৫০% সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্যগণ কর্তৃক প্রস্তাবিত/নির্বাচিত হতে হবে।

(গ) প্রাথমিক তালিকার মধ্য থেকে অন্ততঃ ২৫% তালিকাভুক্ত মহিলার বাড়ি Random selection এর মাধ্যমে পুনঃ পরিদর্শন করবে "তালিকা যাচাইকরণ দল/কমিটি"। ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটির মধ্য থেকে পূর্বে গঠিত "ক্ষুদ্র দল" এই "যাচাইকরণ দল" হিসাবে কাজ করবে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক তালিকা তৈরীর জন্য একটি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত "ক্ষুদ্র দল" অন্য ওয়ার্ডের "যাচাইকরণ দল" হিসাবে কাজ করবে এবং কোন ক্রমেই একই ওয়ার্ডের জন্য "যাচাইকরণ দল" হিসাবে কাজ করতে পারবে না। এই যাচাইরণ দল তাদের প্রাপ্ত মন্তব্য/মতামত ছক-১এ শেষ কলামে প্রদান করতঃ যৌথ স্বাক্ষর করবে।

(ঘ) প্রাথমিক তালিকা যাচাইকরণের পর ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি সবগুলি ওয়ার্ডের যোগ্য মহিলাদের তালিকা একত্রিত করে ইউনিয়নের জন্য একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরী করবে। এই চূড়ান্ত তালিকাটি প্রস্তুত করতে হবে ছক-২ অনুযায়ী এবং এই স্মারণীতে যৌথভাবে স্বাক্ষর করবে ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি চেয়ারপারসন এবং সহযোগী এনজিও প্রতিনিধি/সরকারি কর্মকর্তা (যিনি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুতে সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন)। ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি এই চূড়ান্ত স্বাক্ষরিত উপজেলা ভিজিডি কমিটির নিকট জমা দিবেন।

(ঙ) ইউনিয়ন হতে প্রাপ্ত ভিজিডি মহিলাদের তালিকায় কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে উপজেলা ভিজিডি কমিটি তালিকার সঠিকতা যাচাই-বাছাই করতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা ভিজিডি কমিটির চেয়ারপারসন হিসাবে ২ অথবা ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই যাচাই কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে, যাচাই প্রতিবেদন অবশ্যই যাচাই কমিটি দ্বারা স্বাক্ষরিত হবে এবং উপজেলা ভিজিডি কমিটির নিকট পেশ করতে হবে।

(চ) উপজেলা ভিজিডি কমিটি মহিলাদের প্রাথমিক তালিকা ও যাচাই কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ভিজিডি মহিলাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করবে। উপজেলা ভিজিডি কমিটির চেয়ারপারসন হিসাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই পূর্ণাঙ্গ তালিকায় অনুমোদন প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভিজিডি মহিলাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার প্রতি পাতায় স্বাক্ষর করবেন। উপজেলা ভিজিডি কমিটি এই তালিকা চূড়ান্ত করবে।

(ছ) উপজেলা ভিজিডি কমিটি প্রতিটি ইউনিয়নের ভিজিডি মহিলাদের চূড়ান্ত এবং স্বাক্ষরিত তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে প্রেরণ করবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন এই চূড়ান্ত এবং স্বাক্ষরিত তালিকা (ভিজিডি কার্ড নম্বর, নাম, পিতা/স্বামীর নাম এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা) ভিজিডি নথিপত্রে সংরক্ষণ করবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করবে। তালিকাভুক্ত ভিজিডি মহিলাদের ভিজিডি কার্ড ও ভিজিডি কার্ডের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার কথা ইউনিয়ন পরিষদ উক্ত মহিলাকে অবহিত করবে।

(জ) ইউনিয়ন ভিজিডি কমিটি প্রতি ভিজিডি মহিলাদের ভিজিডি কার্ড নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বিতরণ নিশ্চিত করবে।

ভিজিডি কার্ড বিতরণ :

ইউনিয়ন পরিষদ পূর্ব নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত ভিজিডি মহিলাদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ এর মধ্যে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা/প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এর উপস্থিতিতে এই ভিজিডি রেশন কার্ড বিতরণ করবেন। কোন অবস্থায়ই ভিজিডি কার্ড বিতরণ না করে খাদ্য বিতরণ করা যাবে না।

বিশেষ বিবেচ্য বিষয় :

১. ভিজিডি কর্মসূচীর সার্বিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০২ সালে জারিকৃত বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসৃত হবে।

২. ভিজিডি মহিলাদের নির্বাচনী শর্তসমূহ পালনে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বখাদ্য কর্মসূচী ভিজিডি কেন্দ্রের খাদ্য সাহায্য স্থগিত বা বাতিল করার ব্যবস্থাদি গ্রহণ করবে।

৩. যে সকল উপজেলা মহিলা নির্বাচনের শর্ত এবং প্রক্রিয়া অত্যন্ত সঠিকভাবে অনুসরণ করবে, সে সকল উপজেলা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী কর্তৃক প্রদত্ত পুরস্কারের (award) জন্য বিবেচিত হবে।

৪. সহযোগী এনজিও কর্তৃক প্রদত্ত উন্নয়ন প্যাকেজ সেবার উপর আলাদাভাবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিপত্র জারি করা হবে।

৫. কয়েকটি ইউনিয়নে পাইলট বেসিসে লটারী পদ্ধতির মাধ্যমে ভিজিডি মহিলার চূড়ান্ত নির্বাচন করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলাকে পৃথকভাবে অবহিত করা হবে।

ভিজিডি ভাতা সংখ্যা :

বেতাগা শুভদিয়া নখপুর পিলজংগ ফকিরহাট মূলঘর নলধা মৌভাগ বাহিরদিয়া মানসা মোট

৫৬ ৬১ ৭৫ ৭১ ৯৮ ৬৩ ৬৭ ৫৯ ৫৫০

তথ্যসূত্র : ভাতা সংক্রান্ত সরকারের নীতিমালা, চিঠি ও পরিপত্র থেকে সংগৃহীত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.