![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশের অর্থিক খাত এখন যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল আছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি যে কোন সমস্যা সঠিক সময়ে চিহ্নিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ঘটনা সংঘটনের পর ব্যবস্থা নেয়ার চেয়ে আগে ব্যবস্থা নেয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি রক্ষা করা যেমন সম্ভব তেমনি আর্থিক খাতের প্রতি মানুষের আস্থাও অটুট থাকবে। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক আর্থিক কর্মকান্ড সার্বক্ষণিক নজরে থাকবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগাম সতর্ক বার্তা নির্দেশ করায় অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিষ্ঠানকে সবল করতে পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এ খাতকে সুশাসন ব্যবস্থার আওত্তায় আনতে ব্যাংক বহির্ভুত দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে সরকারের নির্দেশে বিশেষ সফটওয়্যার চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকের ন্যায় এ সব প্রতিষ্ঠানও আগাম সতর্ক ব্যবস্থার (আর্লি ওয়ার্নিং) আওতায় আসবে। এখন থেকে ব্যাংকগুলোর মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে তদারকি করা হবে। তাদের ‘ক্যামেলস’ রেটিংয়ের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই তালিকা প্রস্তুত হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে তাদের ‘ক্যামেলস’ রেটিং দেওয়া হয়। এই রেটিংয়ের ওপর ভিত্তি করে এখন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। প্রথম তালিকার প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে সাধারণ ক্যটাগরিতে। এর পরের ধাপের গুলোকে বলা হবে দুর্বল এবং তৃতীয় ধাপেরগুলো সমস্যাগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এর পর এসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদারক ব্যবস্থার ওপর গুরত্বারোপ করবে। বাংলাদেশের অর্থিক খাতকে আরও সচল করতে সরকারের এমন উদ্দ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।
©somewhere in net ltd.