বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ববাজারে সক্ষমতা বাড়াতে নতুন রপ্তানিনীতি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যেসব পরিবর্তন এসেছে এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে নতুন রপ্তানিনীতি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রপ্তানিমুখী পণ্যের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনার পাশাপাশি পোশাকশিল্লের পশ্চিমা ক্রেতাদের পক্ষে কারখানা পরিদর্শন ও সার্বিক নজরদারির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নতুন জাতীয় রপ্তানি নীতিতে। নতুন এই নীতিমালা তৈরি হবে ২০১৫ থেকে ১৮ অর্থবছরের জন্য। বর্তমান নীতিমালার অনেক কিছু সংযোজন এবং বিয়োজন করেই নতুন নীতি তৈরি করা হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, রপ্তানিকারক, ব্যাংক-বীমা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় রপ্তানিনীতি চূড়ান্ত করা হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে রপ্তানি খাতে নির্ভরতা বাড়াতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নিয়মকানুন এবং বিশ্বায়নের প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতি রেখে রপ্তানিব্যবস্থাকে যুগোপযোগী, উদার করা, শ্রমনির্ভর রপ্তানিপণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা, রপ্তানিপণ্য উৎপাদনে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে কাঁচামালের জোগান সহজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন, বৈচিত্র্য আনা এবং উৎপাদন বাড়ানো ও কমপ্লায়েন্সের বিভিন্ন শর্ত প্রতিপালনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা থাকবে নতুন নীতিতে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের রীতিনীতি সম্পর্কে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হবে। প্রচলিত রপ্তানি বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি সম্ভাবনাময় বাজার সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতি-প্রকৃতির ওপর নজরদারি বাড়ানোসহ বেশ কিছু বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবারের রপ্তানি নীতিতে। জাতীয় রপ্তানির আয়ের ৭৭ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক থেকে। তিন দশক ধরে এ খাতের উদ্যোক্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের রপ্তানি খাতকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, তাই তৈরি পোশাক শিল্পকে অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করে নতুন নীতিমালার মুখবন্ধে স্থান দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিন বছর মেয়াদি বর্তমান রপ্তানিনীতি চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সঙ্গে শেষ হবে। পরবর্তী তিন বছর মেয়াদি রপ্তানিনীতি আগামী দেড় মাসের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। প্রচলিত রপ্তানি বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি সম্ভাবনাময় বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের এ পদক্ষেপ সফল হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

০ টি +০/-০