বাংলাদেশে প্রযুক্তি ব্যবহারে গতি ত্বরান্বিত। রেলে ডিজিটাল যাত্রীসেবা চালু, ক্ষুদে বার্তায় জানা যাবে ট্রেনের সর্বশেষ অবস্থান

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

এবারের ঈদে যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নতুন সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেন মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে এখন থেকে যাত্রীরা মোবাইল ফোনে একটি মাত্র মেসেজের মাধ্যমেই রাস্তায় ট্রেনের গন্তব্য ও ট্রেন চলাচলের সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন। এ সার্ভিসটি চালু করার ফলে যাত্রীদের এখন থেকে আর টিকেট হাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনের জন্য প্লাটফর্মে অপেক্ষা করতে হবে না। নির্দিষ্ট সময় ও স্থান বুঝে প্লাটফর্মে এসে উপস্থিত হলেই চলবে। এ পদ্ধতিটি চালুর ফলে যাত্রীর মূল্যবান লাখ লাখ কর্মঘণ্টা বাঁচবে পাশাপাশি হয়রানি অনেকাংশে কমবে। দেশের সকল আন্তঃনগর ও গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে এ সার্ভিসটি প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে সকল ট্রেনে সার্ভিসটি প্রদানের চিন্তা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমে চালু করা এ পদ্ধতিটির সেবা প্রদান করবে বাংলাদেশের ৩টি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। এ জন্য যাত্রীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যয় করতে হবে। ট্রেন ট্র্যাকিং মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীদের জিজ্ঞাসার জবাব দেবে ১৬৩১৮ নম্বর। এ সেবা পেতে মোবাইল ফোনে টিআর লিখে স্পেস দিয়ে ট্রেনের নাম বা টিকেটে উল্লিখিত কোড লিখে ১৬৩১৮ নম্বরে মেসেজ পাঠালেই ফিরতি মেসেজে পাওয়া যাবে কাংক্ষিত ট্রেনের অবস্থান, বিলম্ব সময়সহ প্রয়োজনীয় তথ্য। এ তথ্য পেতে প্রতি এসএমএসে ভ্যাটসহ খরচ হবে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। নতুন এ পদ্ধতিটি চালু করতে রেল কর্তৃপক্ষ জিপিআরএসের মাধ্যমে ট্রেন ট্র্যাকিং করতে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনে বসানো হয়েছে বিশেষ ডিভাইস। এটি দিয়েই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে ট্রেন। রেলের নতুন এ সেবার মাধ্যমে যাত্রীদের বিগত বছরগুলোর ঈদের মতো টিকেট হাতে ট্রেনের জন্য বিরক্তিকর অপেক্ষার প্রহরের দিন শেষ হচ্ছে। তথ্য হিসেবে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের গ্রাহকরা এখন এসএমএসেই দেয়ার পর ট্রেন কোথায় অর্থাৎ সর্বশেষ অবস্থান, ঐ স্টেশন থেকে ট্রেন কখন ছাড়বে, পরবর্তী স্টপেজ এবং রাস্তায় কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে বা ট্রেনের ত্রুটিজনিত বিলম্বের সময়সহ প্রয়োজনীয় তথ্য দেবে। প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু সমস্যা কাটিয়ে বর্তমানে এ সেবাটি এখন দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী প্রায় সকল যাত্রীর হাতে রয়েছে। ভবিষ্যতে রেলওয়েতে ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হবে।

০ টি +০/-০