![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশী-বিদেশী জঙ্গীদের সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নতুন কিছু নয়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা দেশব্যাপী সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছে। ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগেও তারা চেয়েছে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে। কিন্তু সরকারের বিচক্ষণতার কারণে জামায়াত-শিবিরচক্র পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার অর্থ এই নয় যে, তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়েছে। সম্প্রতি জামায়াত নেতাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা জঙ্গীদের এক গোপন বৈঠকের খবরে অনেকেই আতঙ্কিত বোধ করেছেন। শুক্রবার কক্সবাজারে একটি বাড়িতে এই গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্বভাবতই প্রশ্ন জেগেছে, এটা কি কোন বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি? আগামী দিনগুলোতে একাত্তরের কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় দেয়ার কথা। এই রায় ঘোষণার আগে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতেই কি এই বৈঠক? এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকা গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এখানকার দেশী-বিদেশী কিছু এনজিওতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের সদস্যরা গোপন পরিচয়ে চাকরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের সিংহভাগই রোহিঙ্গা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত, জামায়াত ও রোহিঙ্গা জঙ্গীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত গোপন বৈঠকের গুরুত্ব দেয়া। একই সঙ্গে এসব তথাকথিত এনজিওর তৎপরতার বিষয়টি তদন্ত করা। এদের যোগসাজশে কক্সবাজার ও বান্দরবানে কোন নাশকতামূলক ঘটনা ঘটলে তার ফল হবে সুদূরপ্রসারী। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। দেশ বাসী এখনো কক্স বাজার, রামুর ঘটনা ভুলে যায় নাই।
©somewhere in net ltd.