![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
লোকসানের অপবাদ ঘুচিয়ে মংলাবন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। গত ৫ বছরে এ সমুদ্রবন্দরটি রাজস্ব আয় করেছে ৫৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে নীট লাভ হয়েছে ১৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রতিবছর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সর্বোপরি সরকারের সদিচ্ছার কারণে মৃত প্রায় মংলাবন্দর সচল হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে মংলাবন্দরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পদ্মা সেতু নির্মিত হলে মংলাবন্দরের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে এবং মংলাবন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর মংলাবন্দরকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়। বন্দর ব্যবহারকারীদের একাংশের চক্রান্ত ও তৎকালীন সরকারের উদাসীনতার কারণে মংলাবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। মংলাবন্দরে আমদানি ও রপ্তানিমুখী জাহাজ আগমন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। কখনও কখনও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্দর জাহাজ শূন্য অবস্থায় থাকে। আমদানি ও রফতানি পণ্য খালাশ ও বোঝাই কার্যক্রম তেমন না থাকায় বন্দরটির রাজস্ব আয় হ্রাস পায়। এতে মংলাবন্দর লোকসানের কবলে পড়ে। লোকসান দিতে দিতে বন্দরটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বন্দরের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদক্ষেপের কারণে মংলাবন্দর লাভের ধারায় ফিরলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে মংলাবন্দরের ড্রেজিংসহ বন্দরকে গতিশীল করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি বন্দর পরিচালনায় দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। মংলাবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মংলা ইপিজেডকে গতিশীল করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজের আগমন ও নির্গমন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে আমদানিকৃত গাড়ি খালাসের মধ্য দিয়ে মংলাবন্দর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আর এই গাড়ি আমদানি মংলাবন্দরকে লাভজনক করতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। বন্দরের নাব্য রক্ষায় ১০৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং কাজ চলছে। যার প্রায় ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এ প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হলে মংলাবন্দরে ৭.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারবে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও কর্মসূচী বাস্তবায়নের ফলে ইতোমধ্যে মংলাবন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন ও কার্গো হ্যান্ডলিং অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। হতাশা কাটিয়ে এবং লোকসানের অপবাদ ঘুচিয়ে মংলাবন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান।
©somewhere in net ltd.