![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
নৌবাহিনীর জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়ে দুটি ডুবো যুদ্ধজাহাজ (সাবমেরিন) কেনার জন্য চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। ২৪ বছরের পুরোনো এই সাবমেরিন দুটি বর্তমানে চীনের নৌবাহিনী ব্যবহার করছে। পুনঃসজ্জিত করার পর ২০১৮ সালের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোট চারটি সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা আছে সরকারের, যাতে বাহিনীতে একটি ‘সাবমেরিন স্কোয়াড্রন’ গঠন করা যায়। সাবমেরিন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পৃথক বিভাগ (সাবমেরিন অপারেটিং অথরিটি) গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাবমেরিন পরিচালনার জন্য জনবল লাগবে প্রায় ২০০, যাদের বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুসারে ‘০৩৫জি’ মডেলের দুটি সাবমেরিন সরবরাহ করবে চীন। পাঁচ হাজার ২০০ অশ্বশক্তির ইলেক্ট্রো ডিজেল ইঞ্জিনের এ সাবমেরিনে পানি থেকে পানিতে বা পানির ওপরে নিক্ষেপণযোগ্য স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র (টর্পেডো), মাইন ও উন্নত প্রযুক্তির রাডার আছে। আরও আছে ফ্রান্সে তৈরি পানির তলদেশে শব্দ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তল্লাশি চালানোর ব্যবস্থা (সোনার সিস্টেম)। এতে ৫৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর আবাসন সুবিধা আছে। এগুলো ৩০০ মিটার (৯৮৫ ফুট) পর্যন্ত পানির গভীরে যেতে পারে। নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১০ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তার অংশ হিসেবে সাবমেরিন কেনা হচ্ছে। তা ছাড়া সাবমেরিন পরিচালনার উপযোগী কর্মকর্তা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। এ কারণে এখন থেকেই কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর বেশ কিছু কর্মকর্তা তুরস্কের গোল চুক নৌঘাঁটিতে সাবমেরিন পরিচালনার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাবমেরিনের ঘাঁটি হবে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার কুতুবদিয়া চ্যানেলে। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার অদূরে রাবনাবাদ চ্যানেলের কাছে আরেকটি ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে সাবমেরিন নোঙর করার (বার্থিং) সুবিধা থাকবে। বাহিনীকে সাজাতে হবে সামনের সময়কে বিবেচনায় নিয়ে। নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন কেনা অনেক দিনের প্রচেষ্টার ফল। এতে বাহিনীর মর্যাদা ও ক্ষমতা বাড়বে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হবে।
©somewhere in net ltd.