নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইবার জগতের অপব্যবহার শুরু করে প্রথম শিবির

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

সাইবার অপরাধের কারণে বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। আর সাইবার জগতের অপব্যবহার শুরু করে প্রথম শিবির। আমাদের দেশে প্রচলিত সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা ও প্রচলিত আইন রুখতে পারছে না অপরাধীদের। দেশে ইন্টারনেট কেন্দ্রিক যে অপরাধগুলো ঘটছে, এর মাঝে বেশি হলো সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে বন্ধুত্ব তৈরি করে মিথ্যা সম্পর্কের আশ্বাস বা অন্য কোনো প্রলোভন দেখিয়ে অন্যের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলা। কারো কোনো অন্তরঙ্গ বা আপত্তিকর অবস্থার ছবি বা অন্যকোনো একান্ত ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া বা ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে জিম্মি করা। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অল্পবয়সী মেয়েরাই এসব প্রতারণার শিকার হচ্ছে বেশি। সাইবার অপরাধের শিকার বেশ কটি মেয়ের আত্মহত্যার দৃষ্টান্ত রয়েছে আমাদের সামনে। এ ছাড়া আরেকটি বড় অপরাধ প্রবণতা হলো ইন্টারনেটে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো। রাজনৈতিক বা বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটে মিথ্যা বানোয়াট উস্কানিমূলক তথ্য প্রচারণা। এর পরিণামে ব্যক্তিবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াই শুধু নয়, কোনো একটা জনগোষ্ঠী আক্রান্ত হওয়া থেকে জাতীয় স্থিতিশীলতা পর্যন্ত হুমকিগ্রস্ত হতে পারে। আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এর দৃষ্টান্ত একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি চাঁদে দেখা যাওয়ার প্রচারণায় ব্যাপক মানুষকে উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি, মহানবীকে অসম্মান করা হয়েছে এমন একটি ফেসবুক স্টেটাসকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলক উস্কানির মাধ্যমে রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর জঘন্য আক্রমণ, তাদের বাড়িঘর-উপাসনালয় ধ্বংস করা বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিনিয়তই ছড়ানো হচ্ছে আরো নানা বিকৃত ছবি, পর্নোগ্রাফি আর যতো অরুচিকর ভার্চুয়াল সামগ্রী, চলছে আরো নানা রকম প্রতারণা, অপরাধকর্ম। আমরা প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমে ইন্টারনেট-কেন্দ্রিক প্রতারণা ও অপরাধের খবর পাচ্ছি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরাই বলছেন, এ সংক্রান্ত অপরাধের মাত্রা আরো বেশি, অনেক অপরাধের খবরই সংবাদ মাধ্যমে আসে না। মানসম্মানের ভয়ে অনেকে এরকম অপরাধের শিকার হয়েও থানা পুলিশ কিংবা অন্য কোনো সংস্থার কাছে অভিযোগ করছেন না। ফলে অনেক ঘটনাই বিচারের আওতায় আসছে না আর যেগুলো আসছে, সেগুলোরও অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীদের শনাক্ত করা যায় না। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দেশের প্রেক্ষাপটে সাইবার অপরাধের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের শনাক্তকরণের উপায়। সেবা গ্রহণ থেকে শুরু করে সেবা ব্যবহারকালে ব্যবহারকারীর গতিবিধি রেকর্ড করার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। অপরাধীরা নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে সহজেই মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ ও ব্যবহার করে যে কোনো অপরাধকর্ম করতে পারে। কাজেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর গতিবিধি শনাক্তকরণের ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ দরকার। দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাইবার অপরাধ বিষয়ে ভালোভাবে প্রশিক্ষিতকরণ। এছাড়া প্রচলিত আইনও বর্তমানের বহুমুখী সাইবার অপরাধ কভার করার জন্য পর্যাপ্ত নয়। কাজেই সাইবার অপরাধ বিষয়ক সময়োপযোগী আইনি সংস্কার বা আইন প্রণয়নেও কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। আর শুধু র্যা ব পুলিশ এবং বিচার বিভাগ দিয়েও এ অপরাধ ঠেকানো যাবে না, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সামাজিক প্রতিরোধ। সাইবার অপরাধ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ জোরদার করতে হবে।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.