নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলাকাশ

নিলাকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থ বুঝে কোরআন পড়া (পর্ব-১)

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:০১


আল-কোরআন বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত বই, আবার অর্থ না বুঝে পঠিত বইয়ের তালিকায়ও এটি এক নাম্বারে ! আলহামদুলিল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌ রাহমানির রাহিম (পরম করুণাময় , অসীম দয়ালু), অর্থ না বুঝে পড়লেও এই বই পড়ার পুরস্কার থেকে আমাদের বঞ্চিত করেন না । কিন্তু, অর্থ বুঝে কোরআন পড়া আর না বুঝে পড়া কি এক হল ? আল্লাহ্‌ বলেন

এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমুহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে । (ছোয়াদ ৩৮:২৯)

তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না ? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ ? (মুহাম্মদ ৪৭:২৪)

আল্লাহ্‌ কোরআন আরবি ভাষায় নাযিল করেছেন । যদিও বাংলা ভাষায় অনেক অনুবাদ পাওয়া যায় কিন্তু কোনটাকেও মূল কোরআনের সমতুল্য বলা যাবে না । রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলী কিংবা জসিমুদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠ এর ইংরেজী অনুবাদ পড়ে কি কখনও মূল বাংলা ভাষার মাধুর্য অনুধাবন করা যাবে ? অনুরূপ ভাবে কোরআনের ভাষার মাধুর্য অনুধাবন করতে হলে কোরআনের ভাষাতেই কোরআন বুঝা উচিত । আর বোঝার জন্যে আল্লাহ্‌তো কোরআনকে সহজ করে নাযিল করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌ । সূরা কামার এ এই কথাটি আল্লাহ্‌ ৪ বার বলেছেন

আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে । অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি ? (কামার ৫৪:১৭, ২২, ৩২, ৪০)

তাই চলুন কোরআনকে কোরআনের ভাষাতেই বুঝার চেষ্ঠা করি । সেটা শুরু হোক আজ থেকেই । চিন্তা করে দেখুনতো ইংলিশ ভাষা শিখার জন্য স্কুল জীবন থেকে শুরু করে আজ অবধি আমরা কত সময়, কত শ্রম দিয়েছি । আর যে ভাষা হবে আখিরাতের অনন্ত জীবনের ভাষা, যে ভাষায় আল্লাহ্‌ আমাদেরকে নবীর মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছেন সেই কোরআনের ভাষার জন্য কতটুকু শ্রম ও সময় দিয়েছি ? কোন মুখ নিয়ে আমরা আল্লাহ্‌র সামনে দাঁড়াব ?

পুরু কোরআনে মোট শব্দ আছে ৭৭,৪২৯ টি । কিন্তু পুনারাবৃত্তি আর একই শব্দের বিভিন্ন ব্যাবহারগুলো বাদ দিলে শব্দ সংখ্যা দাড়ায় মাত্র ৪৮৪৫ টি [১] । নিচের টেবিলে একয়টা শব্দের অর্থ ও কোরআনে এর ব্যাবহারসহ, পুনারাবৃত্তি সংখ্যার ভিত্তিতে অধঃক্রমে সাজানো হল । চলুন আজ আমরা প্রথম ৫ টি শব্দ (যা মোট শব্দ সংখ্যার ১৫%) শিখে আমাদের যাত্রা শুরু করি ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম



‘রব্বী যিদনী ইলমা’
আল্লাহ্‌ আমাদের সাহায্য করুন । আমীন ।
(চলবে ইনশা আল্লাহ্‌ ….)

ফেসবুক লিংক
অর্থ বুঝে কোরআন পড়া (পর্ব-১)view this link
অর্থ বুঝে কোরআন পড়া (পর্ব-২)view this link
অর্থ বুঝে কোরআন পড়া (পর্ব-৩)view this link

Note: মানুষ মাত্রই ভূলের উর্দ্ধে নয় । তাই যেকোন ভূল কারো চোখে পরলেই শুধরে দেয়ার অনুরোধ রইল ।
Reference:
১। Qur’an word frequency, http://quran.ilmsummit.org
২। সহীহ নূরানী কোরআন শরীফ, মূল তরজমা - মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রঃ) ।
৩। কোরআনের বাংলা অনুবাদ - মুহিউদ্দীন খান ।
৪। আল-কোরআনের ভাষা - এস এম নাহিদ হাসান ।
৫। তিন ভাষায় Quranic Vocabulary - আবদুল করিম পারেখ, দারুস সালাম বাংলাদেশ ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে ১৬০ কোটী মুসলমানের মাঝে কি পরিমাণ মানুষ জানে না যে, কোরানে কি লেখা আছে?

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯

নিলাকাশ বলেছেন: আমার কাছে সঠিক পরিসংখান নেই । তবে বেশির ভাগই জানে না ।

২| ৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আল্লাহ আমাদের অর্থ বুঝে কোরান পড়ার তৌফিক দান করুন।আমিন।

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

নিলাকাশ বলেছেন: আমিন

৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

কানিজ রিনা বলেছেন: কোরআনে পড়া অর্থ করে পড়া মনআত্বার
পবিত্র বিকাশ ঘটে বৈকি আগে অর্থ ছিলনা
মানুষ অতি সম্মানের সাথে মুখস্ত পড়তেন।
পবিত্র কোরআনের জ্ঞান বিজ্ঞানে মহাসাগর
সমতুল্য জ্ঞান রয়েছে। বিধর্মী বিজ্ঞানীরা
কোরআনের বিজ্ঞান রিচার্জে ব্যস্ত থাকে।
অথচ আমরা মুসলিমরা নিজের কোরআনের
জ্ঞান চর্চায় কতটা পিছিয়ে আছি।

আমাদের ইসলামীক বড় বড় শিক্ষকগন যদি
কোরআনের জ্ঞান বিজ্ঞানের রির্চাযের উপর
জোর দিতেন মুসলিমরা বিজ্ঞানে এগিয়ে
যেতে পারত। ধন্যবাদ।

০১ লা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

নিলাকাশ বলেছেন: সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: হেরা গুহা থেকে বিচ্ছুরিত বিশ্বব্যপি আলোকউজ্জল এক দ্বিপ্তিময় আলোক
বর্তিকা হল আল কুরআন।
যা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে অবতীর্ন সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ট ঐশী গ্রন্থ।
বিশ্ব মানবতার এক চিরন্তন মুক্তির সনদ এবং অনন্য সংবিধান আল কুরআন।
যার অধ্যয়ন অনুধাবন এবং বাস্তবায়নের মাঝে রয়েছে গোটা মানবজাতির কল্যাণ এবং সার্বিক সফলতার নিদর্শন।
মানুষের আত্মিক এবং জাগতিক সকল দিক বিভাগের পর্যাপ্ত ও পরিপূর্ণ আলোচনার একমাত্র আধার হল আল কুরআন।
ইসলামী মুলনীতির প্রথম এবং প্রধান
উৎস হল মহাগ্রন্থ আল কুরআন।
যার সফল ও স্বার্থক বাস্তবায়ন ঘটেছে বিশ্ববরণ্য মানব নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে।
নবুয়্যতের তেইশ বছর জীবন ব্যপী যুগোপযোগী প্রেক্ষাপটের ক্রমধারায় তাঁর উপর অবতীর্ণ হয় এই মহান ঐশী গ্রন্থ আল কুরআন।
ফলে কুরআনের যথার্থ ব্যাখ্যা সম্পর্কে তিনিই সমধিক অবহিত ছিলেন।
তিনি ছিলেন আল কুরআনের বাস্তব নমুনা।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনের সহী
ও শুদ্ধ জ্ঞ্যান দান করুন।
✌✌ আমিন

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫১

নিলাকাশ বলেছেন: আমিন ...

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক উপকারী পোষ্ট ।
শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.