নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মাসউদুর রহমান, আব্বা আম্মা ডাকেন রাজন নামে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পারফর্মিং আর্টস-এর শিক্ষক। ফিল্মমেকিং, অভিনয়, পাবলিক স্পিকিং, প্যান্টোমাইম- এইসব বিষয় পড়াই। এর আগে স্কুলে মাস্টারি করতাম। শিক্ষকতা আমার খুব ভালোবাসার কাজ।

মাসউদুর রহমান রাজন

একজন মানুষ, শিক্ষক ও সবার আমি ছাত্র তবে সব শিক্ষকের পড়া আমি শিখি না।

মাসউদুর রহমান রাজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘স্যার’ নিয়া কত ক্যাঁচাল, আমিও ইকটু পাড়ি প্যাঁচাল

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩


যখন স্কুলে মাস্টারি করতাম, তখন হুট কইরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম- আজ থেকে সব ছাত্র-ছাত্রীরে স্যার ডাকুম। ব্যাপারটার মধ্যে একটা মজা অনুভব করতেছিলাম ছাত্র-ছাত্রীদের রিয়েকশন কী হবে তা ভাইবা। তবে সিরিয়াসলি এর পিছনে আমার একটা আমার একটা যুক্তিও ছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের ফিল করানো যে তাদেরও রেসপেক্ট আছে। তারপর দিনের প্রথম ক্লাসেই গিয়া শুরু করলাম- গুড মরনিং, হাউ আর ইউ, স্যার। সেটা ছিল ক্লাস থ্রি। তো যেইটা বুঝলাম আমার স্যার ডাকা তারা খুবই পছন্দ করছে। তারমানে এক্সপেরিমেন্ট সফল। এরপর ক্লাস টেন, সিক্স, সেভেন (আমি ছাত্র হিসাবে মেধাবী না হইলেও টিচার হিসাবে কাবিল। অংক ছাড়া দুনিয়াতে খুব কম সাবজেক্টই আছে যা আমি পড়াইতে পারতাম না, তাই আমারে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিচিত্র বিষয়ে পাঠদান করতে হইতো। যেমন ধরেন ইংলিশের মাস্টার হইয়া আমারে ক্লাস টেনের বাংলা ব্যাকরণের ক্লাস নিতে হইতো, কারণ স্কুলের প্রিন্সিপালের বিশ্বাস ছিল এতে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট ভালো হবে। স্কুলের বাংলার মাস্টারেরা এই বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করে নাই, বরং তাদের কেউ কেউ খুশিই হইছিলেন)। যাই হোক, এরপর টিচারস রুমে কেউ দেখা করতে আসলে তারেও- স্যার, কী সমস্যা বল। একসময় বুঝলাম সারা স্কুল আমার এই বিষয়টা পছন্দ করছে এবং এই নিয়া ছাত্র-ছাত্রীমহলে তো অবশ্যই, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলেও ব্যাপক আলোচনা হইছে। তবে বেশির ভাগই পজিটিভ আলোচনা। আমিও চরম উৎসাহিত হইয়া আমার এই ‘স্যার’ সম্বোধনক্রিয়া চালাইয়া গেলাম। একবার ক্লাস নাইনের এক ছাত্রী জিগাইলো, স্যার, হোয়াই ডু ইউ এড্রেস আস “স্যার”? আমি কইলাম, এজ মাই স্টুডেন্ট ইউ ডিজার্ভ রেসপেক্ট। আই এম জাস্ট গিভিং ইউ দেট। যাই হোক, এরপর প্রায় তিন বছর স্কুলে মাস্টারি করছি। ততদিনে ছাত্র ছাত্রীদের ‘স্যার’ ডাকার ব্যাপারটা আমার মুদ্রা দোষে পরিণত হইছিলো, যা থেকে আমি এখনো মুক্ত হইতে পারি নাই। তবে বিশেষ কোন প্রবলেম হয় নাই।

এই মুদ্রাদোষ নিয়া সমস্যায় পড়লাম যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারি করতে গেলাম। আমি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই সেইটা মেয়েদের জন্য একটা বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ার আঠারোটা দেশ থেকে মেয়েরা এইখানে আইসা পড়ালেখা করে। প্রথম দুই বছর স্যার ডাকা নিয়া কোন প্রবলেম হয় নাই। কেউ এই নিয়া কোন প্রশ্নও উঠায় নাই। কিন্তু হঠাৎ একদিন ক্লাসে আফগানিস্তানের এক ছাত্রী হাত তুললো। আমাদের কথোপকথন বাংলায় অনুবাদ করলে তা এমন দাঁড়ায়-
-প্রফেসর, আমি কি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি? (আমি এখনো প্রফেসর হই নাই, তবে এইখানে স্টুডেন্টরা সবাইরেই প্রফেসর ডাকে।)
-একশ’বার।
-আপনি আমাদের ‘স্যার’ ডাকেন কেন?
-কারণ আমি তোমাদের রেসপেক্ট করি।
-তাহলে আমাদেরকে ম্যাডাম বলে ডাকতে পারেন, স্যার কেন ডাকেন?
- হ্যাঁ ডাকা যায়, তবে আমি স্যার ডাকতে কমফোর্ট ফিল করি, আমার টিচিং লাইফের শুরু থেকেই আমি এটা করছি। অভ্যাস বলতে পারো। আমি তো কোন সমস্যা দেখি না।
-কিন্তু প্রফেসর, আমার মনে হচ্ছে আপনার এন্টি-ফেমিনিস্ট পেট্রিয়ারকাল মেন্টালিটির কারণে আপনি আমাদের ম্যাডাম না ডেকে স্যার ডাকেন, যা মূলত আমাদেরকে অসম্মান করা হয়।
আমি তো এই কথা শুইনা তবদা খাইয়া গেলাম। এই জিনিস তো আমি জীবনেও ভাবি নাই!
-দেখো বিষয়টা আসলে এতটা জটিল না। আমাদের বাংলাদেশে বাবা তার মেয়েকে আদর করে ‘আব্বু’ ডাকে, বড় ভাই তার ছোট বোনকে ‘ভাইয়া’ ডাকে। তোমাদেরকে ম্যাডাম না ডেকে স্যার ডাকার বেলায়ও আমার ভিতরে এই বিষয়টাই কাজ করছে। আর কিছু না। এইখানে এত থিওরি দেয়ার কিছু নাই।
সাথে সাথে একটা নেপালি ছাত্রী বইলা উঠলো, “হ্যাঁ প্রফেসর, আমরা যখন মালামাল কিনতে সুপার শপে গিয়েছি, তখন সেলসম্যান আমাদেরকে ‘ভাইয়া’ ডেকেছিল বলে আমরা রাগ করেছিলাম। এখন বুঝলাম ওরা কেন আমাদের ভাইয়া ডেকেছে।
যাই হোক আমার সেই আফগান স্টুডেন্টকে বুঝানো গেলো না, সে আমারে চ্যালেঞ্জ দিল, প্রফেসর আপনি যদি আমাকে ১০ মিনিট সময় দেন আমি আপনারে বুঝায়া দিব, আই এম রাইট।
আমি কইলাম, দেখ তার প্রয়োজন নাই। কারণ তুমি সারাজীবন চেষ্টা করলেও আমারে বুঝাইতে পারবা না। কারণ তুমি যেই পয়েন্ট থেকে অবজেকশন জানাইতেছ, আমি তো সেই পয়েন্টেই নাই। তোমাদের ম্যাডাম না ডেকে স্যার ডাকার পেছনে আমাদের ভাষাগত সাংস্কৃতিক অভ্যাস জড়িত, অন্য কিছুই না। একজন শিক্ষক হিসাবে তোমার প্রতি ভালোবাসা, স্নেহ আর সম্মান ছাড়া এর ভিতরে আর কিছুই নাই। তুমি থিওরি দিয়া এইটারে কলুষিত কইরো না। তোমাদের সমস্যা থাকলে আমি তোমাদের ‘স্যার’ ডাকবো না।

আমার স্যার বিষয়ক প্যাঁচাল এইখানেই শেষ করলাম। তবে আমি এখনো আমার ছাত্রীদের স্যার কইয়াই ডাকি।

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের একটা ঘটনা দিয়া শেষ করি। ঘটনাটা হুমায়ূন স্যার তার আত্মজীবনীমূলক একটা বইয়ে লিখছিলেন। (গল্পের ভাব ঠিক আছে তবে স্পয়লার দোষে দুষ্ট হইতে পারে, তার দায় আমার) তো উনি উনার একটা বইয়ে ‘গণ্ডগ্রাম’ শব্দটা ব্যবহার করলেন অজপাড়াগাঁ, ছোটগ্রাম হিসাবে। বই প্রকাশ হওয়ার কিছুদিন পর হুমায়ূন স্যারের সাথে জনৈক পাঠক দেখা কইরা বললেন তিনি শব্দটির ভুল ব্যবহার করছেন। ডিকশনারি নিয়া দেখায়া দিলেন গণ্ডগ্রাম শব্দের অর্থ বিশাল গ্রাম, প্রধান গ্রাম ইত্যাদি এবং সামনে শব্দের অর্থ জেনে ব্যবহার করতে বলে চলে গেলেন। হুমায়ূন স্যার তো ডিকশনারি ঘাইটা দেখেন কথা তো সত্যি, গণ্ডগ্রাম মানে বিশাল গ্রাম। তো স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বাংলার প্রফেসরকে ফোন দিলেন। দিয়া জিগাইলেন গণ্ডগ্রাম মানে কী। সেই প্রফেসরও কইলেন, অজ পাড়াগাঁ, ছোট ক্ষুদ্র গ্রাম। হুমায়ূন স্যার কইলেন, কিন্তু ডিকশনারিতে তো লেখা বিশাল গ্রাম। আপনি ঠিক, না ডিকশনারি ঠিক? তখন প্রফেসর সাব কইলেন, ডিকশনারিও ঠিক আছে, আমিও ঠিক আছি। গণ্ডগ্রাম শব্দটার আসল মানে বড় গ্রাম, প্রধান গ্রাম কিন্তু সবাই ভুল কইরা অজ পাড়া গাঁ অর্থে গণ্ডগ্রাম ব্যবহার করতে থাকল। আজ তাই অজ পাড়া গাঁ হইতাছে স্বীকৃত অর্থ। এইটাই শুদ্ধ। ... ভাষা কোন স্থির কিছু না। এইটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাইতে পারে। শব্দের অর্থ পাল্টায়া যাইতে পারে।

‘স্যার’ বিষয়ক যে ক্যাঁচাল, বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্যার শব্দের ব্যবহার ও প্রয়োগ বিষয়ে এই ঘটনা থেকে সেই বিষয়ে একটা দিক নির্দেশনা পাওয়া যাইতে পারে আরকি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ‘স্যার’ শব্দটারে এত সিরিয়াসলি নেয়ার কিছুই নাই। যে আপনারে সম্মান করবে না, সে স্যার ডাইকাও আপনারে অসম্মান করতে পারে, যদি আপনি ‘স্যার’ শব্দটারে এমন কিছু মনে কইরা থাকেন। আর কাউরে স্যার ডাকার মানে এই না যে তিনি আপনার চাইতে অনেক সম্মানিত হইয়া গেলেন। তবে এইটাও ঠিক বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক শ্রেণিসংস্কুতির বিচারে স্যার শব্দটা গণ্ডগ্রামের চাইতে একটু জটিল অবস্থায় আছে।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

হাবিব বলেছেন: স্যার আপনার লেখা পইড়া মজা পাইলাম। আফগানি নারী স্টুডেন্টের কথা পড়ে হাসলাম। হুমায়ূন আহমেদের ঘটনাটা পড়ে আনন্দ পেলাম। সুন্দর পোস্ট।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: হাবিব স্যার, আপনার মন্তব্যের জন্য ভালোবাসা নিবেন। আপনার নামের পাশে স্যার শব্দটা না দেখে কেমন কেমন জানি লাগে।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০০

ইন্দ্রনীলা বলেছেন: স্যারে স্যারে দেখছি ব্লগ ভরে গেলো। নাই কাজ ভই ভাঁজ টাইপ হলে গেলো ব্যপারটা মনে হচ্ছে। তবে কথা সত্যি নিক বা নামও মানুষের উপর প্রভাব ফেলে। আগেও জেনেছিলাম, জানতাম আর মনে হচ্ছে এই নিক নিয়ে মহামারীতে আরও কিছু জেনে যাবো।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আফা, খই ভাঁজতে ভালোই তো লাগতাছে। খাইতেও মজা।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক সময় স্যার একটা সৌজন্যমুলক শব্দ। আমাদের দেশে আমরা চিঠিতে লিখি ডিয়ার স্যার। তাতে ঐ ব্যক্তিকে আকাশে তোলা হয় না। বরং এইখানে স্যার একটা সম্মান মিশ্রিত সৌজন্যমুলক শব্দ। চিঠিকে আনুষ্ঠানিকতা দেয়ার জন্য এইভাবে লেখা হয়। আপনার আফগানি ছাত্রীর ভাই মনে হয় তালেবান দলের কেউ হবে। অথবা সে নিজেই মহিলা তালেবান দলের কর্মী হতে পারে। ভাষার প্রয়োগ স্থান, কাল ও পাত্রের উপর অনেক সময় নির্ভর করে। যারা সরকারি বা সামরিক বাহিনীতে আছেন বা ছিলেন তাদের কাছে স্যার মানে আতঙ্ক। এই কারণে অনেকে স্যারের বিভিন্নমুখী প্রয়োগ বুঝতে পারে না। অপরিচিত সিনিয়ার কাউকেও সৌজন্য করে স্যার বলা যায়। তারমানে সে আপনার বস/ প্রভু এমন বুঝায় না। কোথায় যেন পড়লাম যে ভারতীয় আমলারা এক মিনিতে ১৬ বার স্যার বলেছেন এই রকম নজিরও আছে। এক কলামিস্ট তার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। উনি এক আমলার কথোপকথনের সময় নিজে গুনেছিলেন। তাই অনেকের কাছে স্যার মানেই বস আর অধিনস্তের মধ্যে ব্যবহৃত একটা শব্দ। আবার অনেক মনে করেন এটা শুধু নাইটহুড সংক্রান্ত।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আমার আফগান ছাত্রীটিকে কখনো জিজ্ঞাসা করি নাই সে বা তার ভাই তালেবান কিনা, তাই এই ব্যাপারে আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারতেছি না। তবে তার মন্তব্য থেকে কিভাবে আপনার মনে হলো যে সে তালেবান তা আমার বুঝে আসলো না। যাই হোক সেটা আমার বুঝারও দরকার নাই।
বুঝাই যাচ্ছে স্যার আসলেই একটি ব্যাপক শব্দ। এই ব্যাপারে নোম চমস্কিরে একটু জিগাইতে পারলে ভালো হইতো।
আপনার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত রাজন ভাইয়া আপনার সঙ্গে। সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। হুমায়ূন আহমেদের স্যারের গন্ডগ্রাম বিভ্রাট ঘটনাটা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে।++

স্যার ডাক নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে আমারও কোন হীনমন্যতা নেই। নিজে খুবই ছোট্ট মানুষ।শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তির সম্মানে স্যার ডাক মনের অজান্তেই এসে পড়ে।

পোস্টে তৃতীয় লাইক।

শুভেচ্ছা জানবেন।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: পদাতিক ভাই, য়থার্থ কইছেন। আপনার মতামতের জন্য এবং লাইকের জন্য অধমের ভালোবাসা নিবেন।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্যারের সাথে যে মেয়ে তর্ক করে সেই মেয়ে তালেবান না হয়ে যায় না। এত সাহস কেমনে পায়। :)

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: নারে ভাই, আমার সাথে পারে। ;-) বেচারিরা এখন বড় বিপদে আছে।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চলছে গাড়ি যাত্রা বাড়ি স্যার নিয়ে কাড়াকাড়ি। ব্লগে সবা্ই ছাত্র আবার সবাই শিক্ষকও বটে। তবে মানুষদের সম্মান করলে কেউ ছোট হয় না কিন্তু। অহংকার করলে হয়। আর স্যার বা আচার নিক তো নিকই। স্যার নয়ে জাবর কেটে ভালই মজা পাচ্ছে। চুলকানি চুলকানো মজা বেশি। শরীরের সুস্থ অংশের খবর কে রাখে? অনেক সময় আছে কি বা নাই সে হুশও থাকে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আজিজুল হক স্যার তার সব ছাত্রদের আদর করে ডাকতেন স্যার। :) স্যার বিষয়ক লেখা লেখি শুরু হলে সপ্তাহ খানেক শুধু স্যারের উপর ব্লগিং চলতে পারে। যারা ব্লগার সবাই কমবেশি শিক্ষিত। ফলে সবাই স্যার বিষয়ে ভূড়ি ভূড়ি অভিজ্ঞতা নিয়েই ব্লগিং করছেন। মধ্যে থেকে আমাদের হাবিব স্যার শিক্ষকতা বাদ দিলেন। জাতি একজন সম্মানিত শিক্ষক হারলো। কিন্তু ব্লগের ক্ষতি হয়নি। এখন স্যারেরই জয়জয়কার। জমেছে বেশ। :)

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সব দোষ হাবিব স্যারের। আসেন শিক্ষক হাবিব স্যারের জন্য ১ মিনিট নিরবতা পালন করি । :)

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: আমি স্যার বিষয়ক বিতর্কের বিষয়ে যাচ্ছি না, আপনার লেখার আফগান মেয়েটার কথা বলি। আমি খুব অবাক হলাম লেখাটি পড়ে, কারন আফগান মেয়েটি স্যার সম্মোধন করায় আপনাকে এন্টি-ফেমিনিষ্ট ধরে নিলো এবং সে ম্যাডাম সম্মোধন আশা করলো!!!

আপনি হয়তো জানেন আমাদের দেশের নারী সরকারী কর্মচারীগনকে (বিশেষ করে প্রশাসন ও পুলিশে বিভাগের) ম্যাডাম ডাকা অলিখিতভাবে নিষেধ, তারা স্যার সম্মোধন আশা করেন। কারন হিসেবে তাদের যুক্তি হলো, ‘ম্যাডাম’ শব্দটির তুলনায় ‘স্যার’ শব্দটি বেশি সম্মানজনক এবং ‘ম্যাডাম’ বলতে ‘কোনো না কোনো স্যারের স্ত্রী’ বোঝায়। নারী সরকারি কর্মচারীদের স্যার না বলে ম্যাডাম ডাকায় তাদের রেগে যাওয়ার ব্যাপারে পত্রিকায় নিউজও এসেছিলো বছর খানেক আগে।

আর আমার ভার্সিটির একজন নারী শিক্ষিকাকে দেখেছিলাম ম্যাডাম শব্দে আপত্তি, কারনটা যৌক্তিক ছিলো। ডিকশনারিতে ম্যাডামের বাজে একটা অর্থ (a woman who runs a brothel) আছে।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ভাই আমি তারে দোষ দিই না। হয়তো তারও এই ব্যাপারে কোন আন্ডারস্টেন্ডিং আছে। ছোট মানুষ, অল্প সল্প পড়ছে। পাশাপাশি সে যে সামাজিক প্রেক্ষপটে বড় হইছে সেটাও তার এই ধরণের চিন্তাধারা সৃষ্টির পিছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। বড় হয়ে তারও হয়তো ভিউ চেন্জ হইতে পারে।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


যাউগ্যা, থাকুন আপনারা আপনাগো স্যার আর সার নিয়া !!
তয় আমি কইলাম যুদ্ধেই যামুনা !!

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: নূর ভাই, আমি তো সন্ধি প্রস্তাব দিলাম।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

আমি রানা বলেছেন: স্যার B-)

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ও স্যার.. ;)

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

সাসুম বলেছেন: আপনি আপ্নারে পছন্দ করা শুরু করেছি। আপনি ভালা মানুষ, আপ্নারে স্যার ডাকুম এখন থেকে, কারন আপনি সত্যিকার অর্থে স্যার। আমি স্কুল কলেজ ইউনির যেকোন টিচার কে স্যার ডাকি। আমার কাছে সম্মান দিতে ভাল্লাগে।

বিঃদ্রঃ প্যারা মজিদ বাদে। তারা টিচার হলেও ষ্যাড়।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ভাই সাসুম, আপনারে ভালোবাসা। স্যার ডাইকেন না পিলিজ...

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় নিয়ে অহেতুক আলোচনার নামে ব্লগের প্রথম পাতার স্থান নষ্ট হচ্ছে। এটা অপরিপক্ক এবং হাস্যকর। যারা এমনটা করছেন, দিন শেষে তাঁরা নিজেদের হাস্যকর বানানো ছাড়া অন্য কিছু প্রমান করতে পারছেন না।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় কাল্পনিক ভালবাসা ভাই, আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করলে খুবই ভালো লাগে, আবার একই সাথে ভয়ও লাগে- এই বুঝি আপনি আমারে একটা বকা দিবেন। আপনার কথা ঠিক। তাইতো এই হাস্যকর বিষয়টাকে একটা সামারি দেয়ার চেষ্টা করলাম। এই লেখার ‘স্যার’সংক্রান্ত আগের পোস্টগুলার রেফারেন্সের অংশটা বাদ দিলে লেখাটায় ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতার কথাবার্তা পাওয়া যায়। এমন অনেক পোস্টই অনেকে ইতিপূর্বে লিখেছেন যেমন অনেকে তাদের দেখা সুন্দরী মেয়েদেরকে নিয়ে পোষ্ট লিখছেন। আমি জাস্ট সেভাবেই ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতাই শেয়ার কইরা তার সাথে স্যার সংক্রান্ত চলমান জটিলতাকে কানেক্ট কইরা এই জটিলতা নিয়ে একটা সমাধানে আসার চেষ্টা করেছি মাত্র। ধন্যবাদ, আপনার প্রতি ভালোবাসা।

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



@কাল্পনিক_ভালোবাসা ,

শিক্ষক মানুষ সময় ব্যয় করে লিখেছেন, ইহাকে ষ্টিকি করে দেন।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: কলিজা পোড়া গন্ধ পাওয়া যাইতেছে... এই গন্ধ কোথা থেকে আসে?

চাঁদগাজী ভাই আমার আগে তো আপনি কাল্পনিক ভালবাসা ভাইয়ের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন। আমি ভাবছিলাম সম্মানিত মডারেটরের কাছে একটা প্রস্তাব রাখবো, প্রতি বছর একজন ব্লগারকে সামুর পক্ষ থেকে ‘স্যার’ উপাধি দেয়া যায় কিনা এবং সেই হিসেবে প্রথম বছরের জন্য আপনার নাম প্রস্তাব করার চিন্তা করেছিলাম, যেইভাবে ব্রিটিশ রানী দেন। এই পদে এর থেকে যোগ্য আর মানুষ দেখি না।

ভালো থাকবেন

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার লেখাটার প্রশংসা করছি।
যদিও 'স্যার' ডাক নিয়ে ব্লগে অনেক জল ঘোলা হচ্ছে- কিন্তু এর মাঝে কিছু ব্যাতিক্রমধর্মী আলোচনা উঠে এসেছে আপনার লেখায়।

স্যার- সন্মোধন নিয়ে আমাদের দেশে, ছোট,বড়,ধণী,গরিব, শিক্ষিত অশিক্ষিত , স্টাটাস সহ অনেক কিছুই নির্ধারন করা হয়।
এদেশের প্রায় প্রত্যেকটা লোকের এই স্যার সন্মোধন নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন বা বিব্রতবোধ করেছেন।

সুতারাং এই বিষয়টা নিয়ে অল্প বিস্তর আলোচনা মন্দ নয়।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: যাক ভাই, বাঁচাইলেন। আমি তো টেনশনেই পইড়া গেছিলাম ভুল ভাল কিছু লেখলাম কিনা। স্যার সম্বোধনটা নিয়া কলোনিয়াল ও পোস্ট কলোনিয়াল পারসপেকটিভ থেকে বাংলাদেশের কনটেক্সটে অনেক বিস্তর লেখা যায়। ব্যাপারটা কিন্তু হালকা না। আমাদের দেশে জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হইতে হয় হরহামেশা।

অধমের ধন্যবাদ নিবেন।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: স্পিশাল কারো জন্য স্যারকে মডিফাই করে ষ্যাড় উপাধি দেবার কথাটা সিরিয়াসলি ভাবা যায় কীনা?

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৬

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: দেখেন কাবিন ভাই, আমি কিন্তু সিরিয়াস। এ বিষয়ে আপনার মজাক করা উচিৎ হচ্ছে না একদমই।

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৫

সাজিদ! বলেছেন: আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোন ক্যাচাল আর ঝামেলায় জড়াবো না। তবে আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই তিন থেকে চার মাস আগে এই ব্লগেই একজনের বিরুদ্ধে নানাবিধ মাল্টি আইডি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছিল। চমৎকার সব পোস্ট এসেছিল প্রমাণসহ। ইদানীং দেখছি যারা সে পোস্টগুলো দিয়ে ব্লগীয় শুদ্ধাচারের কথা বলেছেন তারা ইনএকটিভ ( আমি সহ) অথচ যার বা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা এমনভাবে শুদ্ধাচারের কথা বলছেন যেন কিছুই হয়নি সেসময়। আমি বিশেষ কিছু মানুষের এই ধরনের অহংকার দেখে খুবই অবাক হচ্ছি!
শান্তি।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সাজিদ ভাই, তিন/চার মাস আগে আমার ব্লগে জন্মই হয়নি । আমি এখনো নিতান্তই শিশু। আপনারা যারা ইনএকটিভ তারা একটিভ হোন। আপনি যাদের কথা বললেন, মানে যারা এখন শুদ্ধাচার নিয়া উইঠা পইড়া লাগছে, তারা বিপদে পড়লেই শুদ্ধাচারকে উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করেন, ব্লগে আমার শিশু জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

ক্যাচাল না করলে এইসব বাচাল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
ভালো থাকবেন।

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৬

জটিল ভাই বলেছেন:
ইদানিং ব্লগবিমুখ হইয়া ভালো আছি। নয়তো ভাই নিয়াও লাইগা যাইতো! হাহাহা.....
লেখার স্বাদ সাধারণ না :)

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৩

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: জটিল ভাই, সাধারণ না মানে কী বুঝাইলেন, সাধারণের নিচে না উপ্রে? ;)

ভাই নিয়ে একটা বিতর্ক তোলা যায় আমার সাইড থেকে। যেহেতু ব্লগে আমি সবাইরে ভাই সম্বোধন করি, তাইলে যেহেতু আপনার নামই হইলো জটিল ভাই, তাইলে আপনারে সম্বোধন করতে হইলে জটিল ভাই ভাই বইলা ডাকা লাগবে।

১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: স্যার তো বিশ্বে একজনই "স্যার আইজ্যাক নিউটন".

০২ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: আরে না শূন্য ভাই, স্যারের অভাব নাই। ম্যালা গুলা স্যার। এই স্যারেরা নিউটনরে গোনার মধ্যেই আনে না।

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৫

জটিল ভাই বলেছেন:
লেখক বলেছেন: জটিল ভাই, সাধারণ না মানে কী বুঝাইলেন, সাধারণের নিচে না উপ্রে? ;) যেহেতু আপনার নামই হইলো জটিল ভাই, তাইলে আপনারে সম্বোধন করতে হইলে জটিল ভাই ভাই বইলা ডাকা লাগবে।

মানে অসাধারন। পরেনা আবার ভাই ভাই ভায়রাভাই হইয়া যায়। :P

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০২

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: জটিল ভাইরাভাই করার দাবী উঠার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: নিজের নামে সামনে একটা স্যার যুক্ত করে নেব ভাবছি । অবশ্য আমি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে স্যার ডাকা শুনতেই আছি সব সময় । সেই হিসাবে স্যার যুক্ত করাই যায় ! :D

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৪

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: খুবই ভালো উদ্যোগ, অপু ভাই। করে ফেলেন।

২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই, তবে আমার কেন জানি মনে হয় আজকাল কোন স্কুল টিচার সব ছাত্র ছাত্রীকে স্যার ডাকতে শুরু করলে গন্ডগ্রামের মতো কিংবা আপনার আফগানী ছাত্রীর মতো প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ভাই, এইটা নির্ভর করতেছে আপনি বিষয়টারে কেমনে বাস্তবায়ন করতাছেন তার উপরে। তাছাড়া কোন কাজই তো প্রশ্নের উপরে না। প্রশ্ন তো থাকবোই।
আপনার মন্তব্যের জন্য অধমের কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: স্যার, প্রথমেই আপনার প্রতি সম্মান।
ছাত্র-ছাত্রী যে সন্তানের মতো এই চিন্তাটাই আজকাল বেশির ভাগ শিক্ষক করে না বরং পরিমল টাইপের বদের হাড্ডিগুলো বদনামের কালিমা লেপন করে শিক্ষকের ললাটে।
ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান দিয়ে কথা বলাটাও একধরনের শিক্ষা প্রদান। এতে শিক্ষকের কাছ থেকে সম্মান প্রদানের বিশাল একটা গুন দেখে শেখে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর...

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৫

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় ভাই, ফুয়াদের বাপ। আশা করি ফুয়াদ ভালো আছে। তারে আমার ভালোবাসা দিবেন। আপনি ঠিকই ধরছেন, ছোটরা সম্মান পেলে নিজের গুরুত্ব বুঝতে শিখে এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গ্রো করে।
ভালো থাকবেন।

২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: আপনার লেখা প্রায় এক নিঃস্বাসে পড়ে ফেললাম। ভালো লাগলো। আমার ও মনে হচ্ছে আমি টিচার হলে আমিও আমার ছাত্র/ছাত্রীদের স্যার বলে ডাকার চেষ্টা করতাম।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৭

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: হাসানাত ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। অধমের কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যে দেরী কইরা ফেললে মন্তব্য কইরা আমি জুইত পাই না। তবে স্যার নিয়া আলুচনা ভালু হইছে। ব্লগে আসলে কিছু মানুষ আছে, যাদের মনের সুপ্ত বাসনা.......তাদেরকে সবাই স্যার বলুক বা হুজুর হুজুর করুক। উনাদের সুপ্ত বাসনা গুপ্তই থাকে আর মাঝে-মধ্যে আর সহ্য করতে না পারলে উদগীরণ ঘটে। ফাকতালে আমরা কিছু ভাব-দিগম্বর মানুষের দেখা পাই!!! =p~

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: মফিজ ভাই, দেরীতে হইলেও মতামতের জন্য শুকরিয়া। এই ধরণের ভাব-দিগম্বর মানুষ দুনিয়ার ব্যাবাক জায়গায় পাইবেন। সর্বত্রই এরা স্বমহিমায় ভাস্বর।

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৩৫

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: এখানেও স‍্যার!! তবে স‍্যার নিয়ে আপনার ব‍্যখ‍্যাটি দারুন ছিল। শেষে আপনি যে উপসংহার টেনেছেন তা ভালো ছিল। কারো সম্মান করার মানুসিকতা না থাকলে স‍্যার ডেকেও সম্মান হবে না আবার মানুসিকতা থাকলে স‍্যার ডাকার প্রয়োজন হবে না।ব‍্যপারটা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

শুভকামনায়,

দেয়ালিকা বিপাশা।

০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৯

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: প্রিয় দেয়ালিকা, আমার দেয়ালে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ নিবেন। ভালো থাকবেন।

২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আস্তিক, নাস্তিক নিয়ে ক্যাচাল হচ্ছে, আপনার পোষ্ট লেখার সময় হয়েছে।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১২

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: সবার ক্যাচাল শেষ হোক, তারপর আমি লেখুম, উপসংহার

আপনে এইভাবে আমারে ফলো করেন দেখে সম্মানিত বোধ করতেছি।

২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: স্যার অর্থ জনাব ম্যাডাম অর্থ জনাবা ব্যাস এর থেকে বেশি কিছুই না।

আমাদের সমাজে কিছু মানুষিক ভাবে অথর্ব লোক আছে যারা এই সব ফালতু বিষয়ে উত্তেজিত থাকে।

স্যার/ম্যাডাম কে তারা সন্মান সূচক সম্মধন মনে করে।

ইউরোপে নাম না জানা থাকলে বয়স্কদের স্যার বলে সম্মধন করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.