![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.
দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে গেলো ছোট বোনটি।
ছোট্ট বেলায় কখনো কেউ ভাবতে পারে নি,
এই বোকা সোকা বাচ্চাটি একদিন পৃথিবী জয়ের পথে পা বাড়াবে।
ছোট্ট বেলা থেকেই আমি খুব দুষ্ট প্রকৃতির।
অবাধ্যতা আর নিজস্ব ভাবনা আমার সবসময় বাবা মা কে কম বেশী
ভাবিত, রাগান্বিত করেছে।
আম্মু আমাকে পিটান দিলে , ভয়ে এই মেয়েটি
গিয়ে গোছানো ঘর আবার গোছানো শুরু করতো।
পরিবারের সবার মন রক্ষা করে চলা একটি দূরুহ ব্যপার।
আমাদের জ্ঞাতি গোষ্ঠি মিলিয়ে কম করে হলেও ৫ হাজার।
সে সু কঠিন কাজ সমাধা করেছে।
সকলকে একই সাথে খুশী রেখেছে।
কিন্তু, সে জানে না..
তার অনেক সাফল্য আছে।
সেই সাফল্যই অনেকে ঈর্ষা করে।
এই ঈর্ষা ই অনেকের কাছ থেকে তাকে অসীম দূরত্বে ঠেলে দিয়েছে।
আমার ছোট বোন একজন সেলিব্রেটি।
বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ।
ছোট দেশে তারকার সংখ্যা অনেক।
অনেক তারার ভেতর তাকে আলাদা করে চেনে ১০ এ ৮ জন।
সে ৯/১০ বছর হলো সংবাদ পাঠ করছে একটি প্রাইভেট চ্যানেলে।
চ্যানেল আই তার নাম।
সবাই তাকে দেখে , সংবাদ পাঠক হিসেবে।
কিন্তু কেউ জানে না..
সংবাদ পাঠক হবার এই স্বপ্নটা ..তাঁর নিজের নয়।
স্বপ্নটা আমার।
আমার ইচ্ছেটাকেই মূলত সে ফূরন করেছে।
আমি তাকে নিয়ে গৌরব করি ৩ টি কারনে-
১. সে আমার ছোট বোন , তার সাফল্য এনে দিয়েছে তার শ্রম আর ধৈর্য।
আমাদের পরিবারের প্রথম সেলিব্রেটি। ( আমাদের পরিবারে আমার তৈরি আরো অনেক সেলিব্রেটি আছে।সেটা আরেকদিন বলবো।
২.সে আমার প্রথম শিষ্য। উচ্চারন,পজ, প্রজেকশন,নিউজ টোন, ছাড়া,ধরা,স্ক্যানিং..নিউজ পড়বার জন্য যা যা আবশ্যক..আমিই তাকে প্রথম শিখিয়েছি। কিন্তু, মজার একটি তথ্য হলো..
আমি এখন আমার ছোট বোনের সঙ্গে সংবাদপাঠক হিসেবে প্রতিযোগিতায় নামলে
সে পাবে ১০ এ ১৫। আমি পাবো ১০ এ শূন্য। হা হা হা। এটা আমার আরেকটি গৌরব।
আমার প্রথম ষ্টুডেন্ট এখন বিবিসির একজন সংবাদ পাঠক। দোয়া দোয়া দোয়া।
আমার শ্রম আর স্বপ্ন কে সে সাফল্যের চূড়ান্তে নিয়ে গেছে। এখানেই শেষ নয়।
এবার আমার মায়ের স্বপ্ন পূরন করতে সে ইংরেজি নিউজ পড়বে বলে বিশেষ ডিপ্লোমা করে এসেছে।
৩. তার একটি প্রতিভার কথা সবাই জানে না । আজ ফাঁস করে দিচ্ছি।
অনেক নিখুঁত , জীবন্ত অভিনয় করতে পারে সে। ফালানির মা নামক একটি একক অভিনয় করে সে
পারিবারিক অনেক দর্শককে অনেকবার কাঁদিয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে সে একটি জ্বলজ্যান্ত সূর্যের মালিক। সূর্যটির নাম আয়মান।
তার একমাত্র সম্পূর্ন্ পৃথিবীর স্বর্গীয় আলো।
আজ সেই ছোট্ট মেয়েটি , একটি শিশুর মা। পৃথিবী ব্যপী তার পরিচয় কি জানি না,
আমার কাছে তার আসল পরিচয়, সে আমার একমাত্র মামার মা।
আজ আয়মানের মায়ের জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন।
আশা করি আমার বোনের সব সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবে আমার মামা, কোনো একদিন।
এটাই রইলো জন্মদিনের দোয়া।
Click This Link
©somewhere in net ltd.