![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে বলার কিছুই না। সাধা-সিধে মানুষ।।চাকরী করি, আইটি নিয়ে কাজ করি। গান শুনি। কবিতা-উপন্যাস/গল্প পড়ি। কারো চাটুকার করি না। সত্যকে উম্মোচন করি ।
অংকটি সহজ আবার জটিলও।
গতকাল পাক ক্রিকেটের ইতিহাসে নক্করজনক অধ্যায়ের আবতারনা হলো। পরাজয়, তাও আবার বাংলাদেশের কাছে, এটি মেনে নিতে পারছে না পাকিস্থান নামক রাষ্ট্র। তাই তো পাক পত্রিকা, টিভি এবং স্বয়ং পার্লামেন্টে ক্রিকেট নিয়ে ঝড় উঠেছে।
এই ঝড় বাংলাদেশেও বইছে তবে তা জয়ের ঝড়। সারা বাংলাদেশের মানুষ অভিনন্দন জানাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলকে। গর্ববোধ করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে, নিজে বাঙ্গালী হয়ে। এহেন কোন বাঙ্গালী নাই, সেই নারী-বৃদ্ধ-শিশু-প্রবাসী সবাই আনন্দিত, পুলকিত পর পর ৪টি ম্যাচে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে, যে সেই পরাজয় নয়। রিতীমত হয়াইট ওয়াশ। বাংলার বাঘের কাছে পাক ক্রিকেট দাড়াঁতেই পারে নাই। অভিনন্দন জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রি, বিরোধীদলীয় নেতা, পার্লামেন্টারী বিএনপি নেতা সহ বিদেশী বন্ধুদরা।
কিন্তু সমস্য একটা। কুটিল সমিকরণ ! এত বড় বিজয়ে জামাতে ইসলাম কোন মন্তব্য বা অভিনন্দন জানায় নাই। তাদের নীরবতা কী ইঙ্গিত করে ?
উল্লেখ্য কাদের মোল্লার ফাসীঁতে পাকিস্থান পার্লামেন্ট নাখস হয় এবং ইমরান খান রীতিমত ক্ষিপ্ত বাংলাদেশ বিচার ব্যবস্থা এবং সরকারের উপর । সেই হিসাবে বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীর প্রীয় বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্থান।
তাইতো বোধ করি এদেশে পাক বাহিনীর পরাজয়ে জামাত খুশি নয়। যেমনটি অখুসি হয়েছিল ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালে।
জামাত খুশি হউক বা বেজার হউক, আর নাখোশ হউক নতুবা উল্লোবনে বেড়াতে যাক, একথা সত্য গতকালের বিজয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি ও খুশি হয়েছে। খুশি হয়েছে সেই সমস্ত বীর সন্তানরাও, যারা বিগত জামাতের হরতালে, তথাকথিত আন্দোলনে দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেছে, যারা মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে মৃত্যুর সাধ বুঝিয়ে দিয়েছে।
প্রশ্ন এখানেই বীর জামাতের বীর সন্তাদের প্রতি, যেখানে তাদের দলীয় নেতারা খেলার ফলাফলে খুশি নয়, সেখানে তারা জাতীয়তাবোধে কিভাবে উজ্জবীত এবং পুলকিত। তাহলে কী সেই বিপদগামী কর্মীরা জামাতের আদর্শ মেনে নিতে পারছে না। আসলে তারা নিজেরাও জানে জামাত যুদ্ধের সময় শ্রেফ রাজাকারী করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে গনিমতের মাল হিসেবে, বাব-চাচা, ভাইদের কে মুক্তি বলে জবাই করেছে। আর লুটপাট করে বড়লোক হয়েছে।
তাহলে সমস্যা কী। সমস্যা এখানেই স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মিথ্যা ইতিহাস ডুকেছে, আর কুশিক্ষা নিয়ে এখনকার প্রজন্ম রাজাকারের হরতালে গাড়ী পুড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। তবে বাঙ্গালী হয়েও তাদের মাঝে জাতীয়তাবোধ জেগে উঠে আর ব্রেইন ওয়াশ করা শিবিরের শিক্ষা তাদেরকে বিপদগামী করে।
জটিল সমিকরণটা এখানেই । বিমোহিত হই তাদের দর্শনে আর জাতীয়তাবোধ দেখে। আফসোস তাদের জন্য, যাদেরকে রাষ্ট্র নামক যন্ত্র যথার্থ শিক্ষা দিতে পারে নাই।
এত কিছুর পরও আমরা আশার আলোয় বুক বাধিঁ, প্রতিটি বিজয়ে আমরা জাতীয়বোধ পুনরুজ্জিবিত হউক। আবার সোনার বাংলায় বসবাস করি এই কামনা করছি।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০১
পাগলাগরু বলেছেন: চুলকায়?
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০২
নতুন বলেছেন: এত বড় বিজয়ে জামাতে ইসলাম কোন মন্তব্য বা অভিনন্দন জানায় নাই। তাদের নীরবতা কী ইঙ্গিত করে ?
এই ভাবে বলে নয়া প্রজন্মের কচি ছাগু গুলির মনে ব্যাথা দিয়েন না...
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: সহমত ।ধন্যবাদ