নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাথা পাগলা

মাথা পাগলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সব দোষ হাসিনার" আর "আপোষহীন নেত্রী" - সুশীল নৈতিকতার রিসেট বাটন

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৯



"আপোষহীন জননেত্রী" শব্দটা এখন বেশ শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ করেই তাকে মহৎ বানানোর চেষ্টা কেন? যেখানে তিনি পর পর তিন বার দূর্নীতিতে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন, ২০০১~০৬ জঙ্গি তৎপরতা, ২০১১~১৩ জঙ্গি-রাজাকারের পক্ষ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিলেন? শেখ হাসিনার স্বৈরাচারে পরিণত হওয়ার পেছনে খালেদা জিয়ার অবদান কম নয়। জঙ্গি-রাজাকারদের নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে হাসিনা ধীরে ধীরে সব ক্ষমতা সব নিজের হাতে টেনেছেন। আমার ধারণা, হাসিনা পলায়নের পর দেশে সুশীল সম্প্রদায়ের চিন্তাধারার মতো নেতা-নেত্রী নেই বলেই ধর্মগাধায় ভরা দেশে, এই সম্প্রদায়ের মানুষরা হঠাৎ করেই বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে দেশকে তালিবান-শরিয়তি শাসন থেকে তিনি ছাড়া আর কেউ রক্ষা করতে পারবেন না।


অন্যদিকে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া ব্যাক্তি ক্ষমতায় আসাতে এই সুশীল সম্প্রদায় ভেবেছিলো বাংলাদেশ খুব তাড়াতাড়ি সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে, উনাকে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেড় বছর তো শেষই, হয়তো বা তাদের মনের বাসনা পূর্ন হবে - কে জানে? অন্যদিকে নোবেল লরিয়েট হঠাৎ করেই রাজাকার-জঙ্গি দিয়ে দেশ চালানোর ইক্যুয়েশনটা - তারা মিলাতে পারছে না। যেসব সুশীলরা আগে হাসিনার ভালো-মন্দ সব কিছুরই বিচার করতো আজকে হঠাৎই কারন না থাকলেও সব "দোষ হাসিনা" র নাম নিয়ে আসবে, যেখানে বিগত দেড় বছরে দেশে লীগের কোন ছায়া নাই।

সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো, যে দলের জন্মই হয়েছে রাজাকারদের পুনর্বাসনের রাজনীতি থেকে, হাওয়া ভবনের ক্ষমতা, লুটপাট আর জঙ্গিবাদের রাজনীতি গড়ে তুলে - সেই ইতিহাস মুছে দিয়ে এখন "আপোষহীন জননেত্রী" ব্র্যান্ড বানানোর চেষ্টা চলছে। এই সুশীল সমাজ ভান করছে এসব কখন কোনদিন কিছুই হয়নি। হাসিনা পলয়ানের পর "আপোষহীন জননেত্রী"-র পাপ-পূন্য সব একদিনে রিসেট হয়ে গেছে। চিন্তাশক্তি, নৈতিকতাও এমন তলানিতে ঠেকেছে যে, এখন তারা স্বপ্ন দেখছে জঙ্গি-রাজাকারদের হাত ধরেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র বাঁচাবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২০

মাথা পাগলা বলেছেন: পোস্টটা মূলত এই এক লাইনের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মানসিকতাকেই নিয়েই।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৮

ক্লোন রাফা বলেছেন: উনি হোলেন ইসলামের রক্ষক একমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের। খুবই পরহেজগার মানুষ । জীবনে কখনো মেকাপ করেননি। অদ‍্যাবদি হিজাব বিহীন দেখেন নি কেউ।খুব সাবধানে কথা কইয়েন।

সব টকশোতে এখন উনার মহানুভবতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। রাজাকার থেকে জঙ্গি, মোনাফেক। চোর, ডাকাত , বদমায়েস সবাই তার গুনমুগ্ধ ভক্ত। বিশেষ করে আন্দা লিপ আর ডাকাতার জাহিদ এর আলোচনা শুনে নিয়েন!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৮

মাথা পাগলা বলেছেন: এরা সব সুবিধাবাদী। সময় হলে সব দোষ "আপোষহীন নেত্রী"-র বলতে একটুও দ্বিধা করবে না।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপোষহীন নেত্রী আমি কাউকে বলেছি ? আমি কেবল বলেছি সব দোষ শেখ হাসিনার ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৯

মাথা পাগলা বলেছেন: লেখাটা কারও ব্যক্তিগত আক্রমণ না, এখনকার কিছু সুশীল মানসিকতা আর তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:


বেগম জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন.... মৃত্যুশয্যায় মুমুর্ষ রোগীকে নিয়া আর কিছু নাই বা বল্লাম.....এইটুকু জ্ঞানে যা বুঝেছি, রাজা-রানীদের খারাপ কাজের বিচার এই দুনিয়াতে হয় না, তারা ঈশ্বরের দূত। খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেই ও তাই।

আমি আবার পড়কালে বিশ্বাসী। তাঁদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ রাগ-ক্ষোভ সব পরকালের ঈশ্বর প্রদত্ত বিচারের আশায় ছেড়ে দিলাম।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৪৩

মাথা পাগলা বলেছেন: বলতে গেলে বিগত ১৬ বছর লীগ ছাড়া বাকি সব দলই নন-এক্সিটিং দল ছিলো। এদের নিয়ে কিছু বলাটা ঠিক হবে না। কিন্তু ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে শুরু করেছে মববাজি-চাঁদাবাজি-৭১ অবমাননার কাজ। দেশের পক্ষে এখন কাজ করলে এসব কথা এখন আসতো না, দিন শেষে মানুষ শান্তি চায়।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এক জন মানুষ হিসাবে তার রোগ মুক্তি কামনা করা উচিত।
তবে শাসক হিসাবে তিনি ব্যর্থ।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:০৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এই মর্হুতে বাংলাদেশে রাজনীতিতে তিনি
ঐক্যর প্রতীক এবং গনতন্ত্রর মুরব্বী
উনার আশু রোগ মুক্তি কামনা করি ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৪৬

মাথা পাগলা বলেছেন: বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অকার্যকর করার মহৎ উৎসব শুরু হয়েছিল ৯৬ সালের একক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, আর সেই কৃতিত্বটা তারই।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: মোটামুটি ভালো লিখেছেন, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটা উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন! :)

শেখ হাসিনার স্বৈরাচারে পরিণত হওয়ার পেছনে খালেদা জিয়ার অবদান নিশ্চয়ই আছে, তবে জীবনের এই শেষ সময়ে, হঠাৎ অন্ধকার থেকে, খালেদা জিয়াকে আপোষহীন নেত্রী বানিয়ে দেবার পেছনে শেখ হাসিনার অবদান আরো অনেক বেশি।

খালেদা জিয়ার নির্বুদ্ধিতা, ধর্মভিত্তিক পপুলিস্ট রাজনীতি, এবং জঙ্গি জামাতিদের ফাঁদে পা দেওয়ার জন্য মানুষ তাকে সমালোচনা করেছে সত্যি, কিন্তু শেখ হাসিনার মতো এত ঘৃণা মানুষ তাকে করেনি। হাসিনার সাথে তুলনার ফলেই, খালেদা জিয়া অকর্মার ঢেকি হয়েও আপোষহীন নেত্রী হতে পেরেছেন।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

আমি নই বলেছেন: এক এগারোর সরকারের সময় মাইনাস টু ফর্মুলা কার্যকর করা সম্ভব হয় নাই শুধুমাত্র খালেদার জন্য। খালেদাও আপোষ করে দেশ ছারলে হয়ত হাসিনা ২০০৯ এ প্রধানমন্ত্রীই হতে পারতেন না।

শুনেছি এরশাদের আমলেও তিনি এরশাদের সাথে কোনো বিষয়ে আপোষ করেন নাই, কিন্তু হাসিনা করেছিল। এরশাদের সাথে খালেদাও আপোষ করলে মনে হয় না ৯০এই এরশাদের পতন হত।

সুতরাং তাকে আপোষহীন নেত্রী বলা যেতেই পারে। আর দুর্নীতি, ভোট চুরি, স্বজনপ্রীতি, ইত্যাদি হাসিনা আরো বেশি করেছে।

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: খালেদা জিয়ার অনেক দোষ আছে। সবচেয়ে বড় দোষ শেখ মুজিবের মৃত্যু দিনে নিজের জন্মদিন ধূমধাম করে পালন করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.