নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আউলের ব্লগ

না থিং টু সে

আউট

না থিং টু সে

আউট › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছি ...........

২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছি আমি,



আমি প্রতিদিনের মত সাড়ে আটটায় অফিস থেকে বের হয়ে, কাকলী বাসস্ট্যান্ডে এসে দাড়াই, প্রচুর মানুষের ভীড় - কোন বাসেই উঠা যাচ্ছে না, একটি সাদা রং এর প্রাইভেট কার আসে, বলে এয়ারপোর্ট ২০ টাকা , ভাবলাম, গাড়িটি যেহেতু খালী উঠে পড়ি, গাড়ির সামনে একজন চশমা পরা লোক উঠে, হাতে এক সহ একজন ছাত্র সদৃশ্য ছেলে উঠে, আমি উঠি, তারপর এক জন বলে ভাই আমি জিয়া কলোনী নামবো, সেও উঠে পড়ে ,



গাড়ি বনানী ব্রিজে উঠতেই গাড়ির গ্লাস বন্ধ করে এসি চালানো হয়, আর সামনের সিটে বসা লোকটি হাতের পিস্তলটি আমর দিকে দেখিয়ে বলে আপনাকে আমরা গুম করলাম, এখন আপনাকে আমরা আশুলিয়া এলাকায় নিয়ে যাবো, আপনি আপনার কোন আন্তীয় স্বজনকে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলেন, আর না হয় আমরা আপনাকে মেরে আশুলিয়ায় ফেলে দিবো



গাড়ি চলছে আর তারা আমার শরীর তল্লাশী চালাচ্ছে, আমার মানি ব্যাগে ছিলো ৭,০০০ টাকা, হাতে আইফোন৩জি, ব্যাল্কবেরী, ২টো এটিএম কার্ড, তারা এটিএম কার্ডের নাম্বরটিও বাই ফোর্স আদায় করে.......



আমি বলি ভাই আমি গার্মেন্টসে চাকুরী করি আমি ৫ লক্ষ টাকা কেথা থেকে দিবো, বা আমার আন্তীয় স্বজনইবা কোথা থেকে দিবে, পাশের ছেলেটি বার বার বলছে, একটি ফার মার তখন রাজি হবে, পাশের ছেলেছি একটি ভংকর ছুরি রের করে, আর বলে বেটা আইফোন আর ব্ল্যাকরেরী ব্যাবহার করে তার কাছে টাকা নাই বল্লেই বিশ্বাস করবো?



গাড়িটি একেকবার একেকদিকে নিচ্ছে, একবার কুড়িল ফ্লাইওভারের নীচে, যে অঞ্চলে আহমেদ ইমতিয়াজের ভাইয়ের লাশ পাঔয়া যায় ...........আরকেবার পুবাইল রোর্ডের দিকে, এরপর আবার গাড়ি ঘুরিয়ে এয়ার পোর্ট রোডে কাওলা এলাকার ঠিক উল্টো পাশে এয়ারটোরটের কাছা কাছি একটি জঙ্গল ঘেরা এলাকায় নিয়ে গাড়ির দাড়ায় আর সেখানে তারা বার বার টাকার জন্য চাপ দেয়, একজন গাড়ি থেকে নেমে আমার ২টি এটিএমের কার্ড পিন নম্বর সহ গাড়ি থেকে নামে, আর তারা আমাকে নিয়ে গাড়ীতে বসে থাকে, আর বার বার প্রেসার করে টাকার জন্য , আমি নিশ্চিত তারা আমাকে কিছু না করলেও অন্তত স্টেফ তো করবে, মনে সাহস এনে মনকে শক্ত করি একটা স্টেফ করলে আর কিইবা হবে..............্আর মেরে ফেলে দিলেইবা কি করার আছে ?



এক সময়ে তারা দু'জন ছুরি হাতে অন্থকারের আমাকে নিয়ে গাড়ি থেকে নমে, আমি নিশ্চিত এখন তারা স্টেফ করবে, তারা নেমে আমাকে ধাকা দিয়ে অন্ধকারে ফেলে অনেক জোরে গাড়ী টান দিয়ে চলে যায়, আমি দৌড়ে গিয়ে এয়ার পোর্ট রোডে অনেক গাড়ী সিগনাল দেই কিন্ত কোন গাড়ী দাড়ায় না, যদি কোন গাড়ী দাড়াতো হয়তবা ফলো করতে পারতাম, অনেক কস্টে সেখান থেকে হেটে হেটে বাসায় ফিরি রাত ১১টায় বা সাড়ে ১১টায় ..............



বি.দ্র. কখনো কোন অপরিচিত গাড়ীতে উঠবেন না , যত প্রয়োজনই হোক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.