![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকালকার দিনে চাবি দিয়ে স্টার্ট দিয়ে ক্লাচের সাথে থ্রটলের ব্যালেন্স রেখে রাস্তায় ২-৪ হাত যেতে পারলেই তাকে আমরা বাইকার বলে অকপটে মেনে নেই কিন্তু কিছু নিয়মকানুন আছে যা অধিকাংশ বাইকারেরাই জানে নাহ।
আসুন আজকে একটু জেনে নেইঃ আসুন আজকে একটু জেনে নেইঃ
মোটরসাইকেল টিপস
১. #ডানে_সিগনাল_লাইটঃ অনেকসময় হাইওয়েতে ড্রাইভ করার সময় আমরা খেয়াল করি যে সামনের গাড়ী ডানপাশে সিগনাল লাইট জ্বালিয়ে দিয়েছেন। অনেকেই ভেবে কুল পায় না যে চলন্ত অবস্থায় সে কেন ডানে সিগনাল দিল?সে কি ডানে যাবে?এত স্পীডে কেমনে ডানে যাবে?টার্ন কেমনে করবে? আসলে এমন কিছুই নাহ। সামনের গাড়ীটি ডানে সিগনাল লাইট দেয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিল যে এইমুহুর্তে ওভারটেক করা উচিত নাহ,বিপদজনক,সামনে অপজিট সাইড হতে গাড়ী আসছে।। সুতরাং ডানে লাইট জ্বলা অবস্থায় ওভারটেক করবেন নাহ।
২. #বামে_সিগনাল_লাইটঃ একইরকম চলন্ত অবস্থায় বামে সিগনাল লাইট দেয়া মানে এইমুহুর্তে ওভারটেক করা নিরাপদ। আপনি নিশ্চিন্তে ওভারটেক করতে পারেন।
৩. #হেডলাইট_হাইঃ সাধারণত সামনের রাস্তা দেখার জন্য হেডলাইট হাই বা উপরে করা হয় যাতে সামনের রাস্তাটা কি বাঁক নিতে যাচ্ছে বা সীমানা কতদুর বুঝা যায়। আপনার প্রয়োজনমত রেখে হেডলাইট লো করে দিন। লাইট হাই করে রাখা বিপদজনক আর বিরক্তিকর। যেকোন মুহুর্তে এর কারণে বিপদজনক ট্যাকলের সম্মুখীন হতে পারেন যা হবে আপনার জন্য সতর্কবাণী।।
৪. #হেড_বীমঃ হেডলাইট সর্বদাই বীম বা লো’তে থাকে এবং এইটাই নিয়ম। রাস্তা দেখার সুবিধার্থে সাময়িক লাইট হাই করে আবার আগেরর পজিশনে ( বীম/লো’তে) ফিরিয়ে আনুন।
৫. #হেড_পাসঃ এই ক্ষেত্রে আমরা কতিপয়েরা খুব অজ্ঞ আর সেইটা হল বাইকের হেডপাস বা লাইট টুইকিং। বাইকের বাম পাশের স্ট্যাডিংয়ে ক্লাচ লিভারের উপরে একটা ছোট সুইচ থাকে যা দিয়ে অতিদ্রুত লাইট হাই-লো করা হয়।এর কয়েকটি কারণ আছে যা নিচে তুলে ধরলামঃ
–> এইটা একটা বিশেষ সংকেত যা দ্বারা আপনি রাস্তার মধ্যে চলন্ত অবস্থায় পিছ হতে সামনের গাড়ীকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে আপনার সামনে যাওয়া দরকার এবং আপনাকে যাতে সাইড দেয়া হয়। এই সংকেত পাওয়ার পর সামনের গাড়ী আপনাকে সাইড দিতে বাধ্য যদি পর্যাপ্ত সাইড নেয়ার চান্স থাকে।
–> আবার অন্যক্ষেত্রে আপনার বিপরীত সাইড হতে আসা গাড়ীটি যদি ওভারটেকের সময় আপনাকে হেডপাস করে তাহলে বুঝে নিবেন তার ওভারটেক করাটা জরুরী,সে গাড়ী থামাতে অক্ষম আর অসফল হলে সে বিপদের সম্মুখীন হবে।তাই যতদ্রুত সম্ভব তাকে ওভারটেক সফল করতে দেয়া উচিত।
–> আবার অনেকসময় কেউ যদি আপনাকে হালকা হেডপাস করে আর সামনে পিছনে এর যথার্থ কারণ খুঁজে না পান তাহলে বুঝে নিবেন আপনার লাইট পজিশনে সমস্যা আছে। আপনার লাইট তার সমস্যার সৃষ্টি করছে সুতরাং লাইট পজিশন চেক করুন।।
৬. #ডাবল_সিগন্যালঃ ডাবল সিগন্যাল দ্বারা সাধারণত বুঝানো হয় যে সে সোজা যাবে আবার মাঝেমধ্যে পথিমধ্যে গাড়ীতে সমস্যা হলে ডাবল সিগন্যাল দ্বারা বুঝানো হয় যে তার সমস্যা হয়েছে সে সাহায্য চায় বা তার গাড়ী সাইড কাটিয়ে চলাচল করুন।
উপরোল্লিখিত নিয়মগুলো আমরা ৬০% লোকেরা জানলেও জানতে পারি,এতে অসম্ভবের কিছু নেই কিন্তু বাকি ৪০% এর কি হবে?? আমরা যদি না বলি তারা সারাজীবনই ওই যে ২-৪ হাত এগুলেই বাইকার তকমা গায়ে লাগিয়ে বাইক চালিয়ে যাবে আর একবার ভুল করে তার প্রাণপ্রদীপ নিভে যাবে বা সারাজীবন পঙ্গু হয়ে পড়ে রইবে পরিবারের বোঝা হয়ে।
আপনার বাবা-মা’র যেমন আপনি প্রিয় সন্তান তেমনই বাইক আপনার নিকট তেমনই একজন। মালিক যখন এক্সিডেন্ট হয়ে একপাশে নিথর হয়ে পড়ে থাকে তখন বাইকটাও ছিন্নভিন্ন হয়ে নিথর পড়ে থাকে অপরাধীর মতন। তার যদি প্রাণ থাকত তবে সে উঠে এসে অবশ্যই মালিককে জড়িয়ে ধরে কাঁদত, সাহায্যের জন্য চিৎকার করত।এইসব পারে না শুধুমাত্র সে একটা যন্ত্র বলে।
সে কখনোই আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না যতক্ষণ আপনি তাকে ভুল পথে পরিচালনা না করেন।
শুধুমাত্র একটি কথা মাথায় রাখবেন যে, আপনার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় কেউ একজন পথ চেয়ে আছেন,তাকে নিরাশ করা চলবে নাহ।
#সো_ড্রাইভ_সেইফ_রাইড_সেইফ। সো_ড্রাইভ_সেইফ_রাইড_সেইফ।
#আহমেদ_তানভীর
©somewhere in net ltd.